ক। বাসায় ছুটিতে গেলে সেখানে ঈদে আমার কর্মসূচী বেশ একটা সেট প্যাটার্নের । সকালে নামাজ , কিছুটা খাওয়া-দাওয়া আর তারপর সবগুলা টি ভি চ্যানেল এ প্রগ্রামের সাথে সাথে মজা করে এ্যড দেখা । সবগুলা চ্যানেল একসাথে যেন কম্পিটিশনে নামে কে কার চেয়ে বেশি এ্যড দেখাতে পারবে । এবার তার সাথে সন্ধ্যা থেকে শুরু হল খুব বাজে রকম জ্বর । তা এমন ই যে মাথাটা বিছানা থেকে উঠানো যেন পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী কাজ করা ।
বিস্তারিত»ফারাক
নভেম্বরের মাঝামাঝি । হিম পড়তে শুরু করেছে । দোতলা বাড়ির ছাদে বসে আছে শিপন । বাড়ির এদিকটায় অনেকগুলো সুপারি গাছ।তাদের ঝিরিঝিরি পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে চাঁদ। সেদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে শিপনের বুকের ভেতরটা হু হু করে ওঠে। নাহ্ ! এত সৌ্ন্দর্য একা উপভোগ করা যায়না । এসময় বিশেষ কাউকে পাশে থাকতে হয়।এখন যদি অবন্তী পাশে থাকত,কাঁধে মাথা রেখে!অবন্তীর খোলা চুল হাওয়ায় দুলে দুলে শিপনের গালে সুড়সুড়ি দিত যদি!
বিস্তারিত»ব্যক্তিগত রেসিপি-৭
একেকদিন অফিস পালিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াতে বেশ লাগে।কি একটা জরুরী কাজ পড়ে গেছে ভান করে বেরিয়েই একটা লম্বা শ্বাস-উফ্, দম বন্ধ হয়ে আসছিলো!ঘাড় কাত করে তার আর দালানের জঙ্গল থেকে আকাশটাকে আলাদা করতে চেষ্টা করি, পারিনা।একটুকরো আকাশও আজকাল এত দুর্লভ হয়ে গেছে এই শহরে!
অফিস পালিয়ে মানুষ দেখি,ছককাটা আকাশের নীচে ঢাকার উদভ্রান্ত ছুটে চলা দেখি।
দিনটাকে এত মনোরম আর রঙিন মনে হয়!অঢেল সময় হাতে নিয়ে একেকটা মুহূর্তকে নবাবী মেজাজে ছুঁড়ে ফেলতে ফেলতে ফুটপাত ধরে এগিয়ে চলা।ঘাড়ের কাছে কয়েকটা রিকশা এসে দেনদরবার করে উড়িয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যয়ে।না হে,
১১.১১.১১
ক.
দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেটের বাইরে ছিলাম। টিভি খবর কিংবা খবরের কাগজ, কোন কিছুর সাথেই যোগাযোগ ছিল না। তাই আশেপাশের অনেক ঘটনাই টের পাইনি। আজকে দুপুর নাগাত ঘুম থেকে উঠে অনেকিন পরে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব। আজকে ১১.১১.১১!!! ফেসবুক বা ইন্টারনেট না থাকলে মনে হয় টেরই পেতাম না, শুধু এই তারিখ না, আরো কত কিছুই যে টের পেতাম না কে জানে!
সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে? -২।
ব্যাপারটা শুরু অনেকটা fun থেকে, হালকা মেজাজের গল্প থেকে।বাবা-মা হজ্জ থেকে আসার পর সব ভাইবোন গোল হয়ে বসে গল্প শুন ছিলাম।অর্থাৎ “আম্মা গাঁধি” আর তাঁর শ্রদ্ধেও পিতাজান এই হজ্জ সফরে কি কি বোকামি করাতে আব্বার কি অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল, তার ফিরিস্তি শুনছিলাম। আম্মা মৃদু প্রতিবাদের সাথে শুনছিলেন এবং স্বভাবসিদ্ধ মৃদু মৃদু হাসছিলেন।
মা কোন এক ধর্মীয় বইতে নাকি পড়েছিলেন, হজ্জে স্বামীর টাকার চেয়ে নিজের টাকা অথবা ছেলের টাকায় গেলে সব থেকে বেশি ভাল।
বিস্তারিত»ধারাবাহিক উপন্যাস – ১৮
আঠার
একদিন আম্মা হোসনা আপার বাসা থেকে ঘুরে আসলেন। বাসায় এসে জানালেন হোসনা আপা আসলে অনেক দুঃখ নিয়ে লন্ডন থেকে ফিরে এসেছেন। কিরণ ভাই আমেরিকায় পড়তে গিয়ে একজন আমেরিকান মেয়ে
বিয়ে করে ফেলেছে। হোসনা আপার আশা ছিল লেখাপড়া শেষ করে কিরণ ভাই দেশে ফিরবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে নিজের মেধা আর শ্রম দিবে। উনি ভুলেও কখনও ভাবেননি যে আমেরিকা গিয়ে এতো
সহজে কিরণ ভাই দেশকে ভুলে যাবে।
জন্মদিনের লেখা
তোমরা চাও আমার হাত বন্ধ হোক?
আমার লেখার খাতা কাগজ জব্দ হোক?
আমার মুখ বন্ধ হোক,চুপ থাকুক নীল ফড়িং
রূপকথার মৃত্যু হোক-এই তো চাও
মেঘলা দিন ভোর না হোক-এই তো চাও?
ঠিক আছে ,আমিও তবে বিষ নিলাম নীল শিরায়
হাত পোড়াই,মুখ পোড়াই-শান্তি পাও তোমরা সব?
নইলে কি আর তিন জুলাই,ঠোঁট পোড়াই,ঠোঁট পোড়াই
ভুল করি,রাত জেগে ভুল করি
ভুল বুকে প্রেম রেখে ভুল করি,ভুল ঘড়ি
ভুল সময় নষ্ট হয়,প্রেমবিহীন প্রেমবিহীন
অঘ্রাণের শেষ বেলায় আজ হোক আমার মৃত্যুদিন!
ফিরে আসা (শেষ পর্ব)
২০০০ সালের মে-জুন মাসের দিকে হবে । সময়টা সকালের সবচাইতে ‘Rush Hour’. New York MTA’র দুই নম্বর লাইনের শেষ প্রান্তে Brooklyn College – Flatbush Avenue থেকে উঠেছি বলে বসার সিট পেয়েছি।গন্তব্য ম্যনহাটন।Clark Street আর Wall Street এর মাঝে সম্ভবত East River এবং সমুদ্রের মোহনার নিচ দিয়ে টিউব লাইন, তাই বাইরের কিছু দেখার যো নেই। বেশ সময় নেয় নদীর তলদেশটা পাড় হতে।বসে বসে তাই মানুষ দেখছি।
বিস্তারিত»ধারাবাহিক উপন্যাস – ১৬, ১৭
আগের পর্ব
ষোল
একদিন সামাদ স্যারের বাসায় গেলাম। স্যার আমার জন্য অনেক করেছেন। বিশেষ করে অংক পরীক্ষার আগের দিন বাসায় এসে সাহস দিয়ে গেছেন। স্যারের বাসাটা আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে না, হেটেই যাওয়া যায়। একা একাই চলে আসলাম। স্যারের বাসা থেকে বেরুলেই সেই বিশাল দেবদারু গাছ। সেদিন দেখি এই গাছটার গুড়িতে হেলান দিয়ে মানিকদা আরও কয়েকটা ছেলের সাথে গল্প করছে।
বিস্তারিত»সৃষ্টিকর্তার কোন অবদানকে তোমরা অস্বীকার করবে?
আজ ৯ই জিলহজ্জ ।পবিত্র ‘অকুফে আরাফাত’ বা আরাফাতের অবস্থানের দিন।সৌদি আরবের আরাফাতের প্রান্তরে আজ যারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে যে কোন সময় অবস্থান করবেন, তাদের আল্লাহ চাহেত পবিত্র হজ্জ পালন করা হয়ে যাবে।
আজকে দিনটাকে বেশি করে মনে পড়ছে এই জন্যে যে, আমার বাবার জিব্দশায় বহুবার হজ্জ পালন করেছিলেন এবং দিনটাকে অসামান্য গুরুত্ব দিয়ে সারা সময় টেলিভিশনে সামনে বসে থেকে হলেও ‘আরাফাতে’ সামিল হতেন।ওঁর হিসেব অনুযায়ী (চাঁদের হিসাবে) এবার হজ্জ ‘শুক্র বার’
বিস্তারিত»পাঠ প্রতিক্রিয়া : প্রযত্নে হন্তা
অভিনবত্ব কিংবা বাস্তবতা — ছোটগল্পের উপজীব্য কোনটা হতে পারে এমন তর্কটা পুরনো। ঘটনা হয়তো এমন নয় যে, এই দুটো গুণ সাংঘর্ষিক। তবে তারপরেও যেটা সত্যি সেটা হলো বাস্তব জীবনে অভিনব ঘটনা কম ঘটে। আর গল্প যেহেতু বাস্তবের বিম্ব তার মাঝে অভিনবত্বের ছোঁয়া সবসময় আশা করাটাও অনুচিত- এই কথাটা যেমন ঠিক, তেমনি সমানভাবে একথাও সত্যি যে রোজকার খাওয়া দাওয়া ঘুম অফিস যৌনাচারের বৈচিত্র্যহীন ক্লিশের ক্রমাগত বয়ান পাঠকের জন্য ক্লান্তিকর।
বিস্তারিত»ফিরে আসা-৪।
যারা ধ্যৈর্য ধরে আমার ‘ফিরে আসা’র শেষ দুই খণ্ড পড়েছেন, তাদের মধ্যে যদি মনবিজ্ঞানি থাকেন, নিশ্চয়ই Illusive Mental Disorder বা Imaginative, Hallucinatory Syndrome বা Paranoid Behavior বা ইংরেজি কোন খট্-বটে নামে আমার পূর্ববর্তি অধ্যায় দুইটির মূল্যায়ন করবেন, যার সোজা বাংলায় কোন মানসিক বিকারগ্রস্তের কাছে পিঠে কিছু হবে।আমি সেই সব জ্ঞানি গুনিদের সাথে তর্কে যাবোনা , কারন পৃথিবীর সব কিছু নিয়ে তর্ক করা সম্ভব, শুধু “মা”
বিস্তারিত»CSE না EEE?
কিছুদিন আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হল। রেজাল্টও হয়ে গেল। হয়ত সামনে আরও কিছু ভর্তি পরীক্ষা আসবে। এসবের একবারে শেষে ভর্তি হওয়ার সময় যেই ব্যাপারটা সামনে আসে সেটা হল- “কোন সাবজেক্ট পড়ব?” বা একাধিক জায়গাতে সুযোগ হলে “কোথায় পড়ব?” আর যারা মোটামুটি একদম প্রথম সারির তাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নটা শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায়- “CSE না EEE?” এখানে অবশ্য মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলছি না। তাদের এসব সাবজেক্ট ঠিক করার কোন ঝামেলা নাই।
বিস্তারিত»ফিরে আসা-৩।
নাই, কোথাও নেই। একদম ছোট বেলায়, যখন আঙ্গুল ধরে হাঁটতে শিখেছিলাম, নরম শাড়ির আঁচল, বোরখার জর্জেট কাপড় কূট কূট করে কাটতে শিখলাম, তখন থেকে আজ অব্দি সব সময়ের জন্যে সাথেই তো ছিল। সুখের সময় , দুঃখের সময় , বিপদের সময় , সাফল্যের সময় – কখন ছিলনা সাথে ? সুদূর জার্মানিতে হলুদ বাতির নিচে, যখন ভার্সিটি শেষে কাজ, কাজের শেষে একাকী ড্রাইভ করে বাড়ি ফিরতাম।তখনো আমার একমাত্র সঙ্গিনী মা।
বিস্তারিত»চলো বৃষ্টিতে ভিজি
সন্ধ্যার পর থেকেই টিনের চালে রিমঝিম আওয়াজ তুলে আশেপাশের কোন কিছুকে বিন্দুমাত্র দাম না দিয়ে আপন চপলতা আর ছন্দ বজায় রেখে আষাঢ়ের টানা বর্ষণ চলছে। একেবারে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি যাকে বলে। বারান্দায় বসানো হারিকেনটা বৃষ্টির ঝাঁপটা আর বাতাসের সাথে প্রাণপন যুদ্ধ করতে করতে এখনও পর্যন্ত বারান্দা সহ সামনের আরো কিছু অংশে কোমল আলো ছড়িয়ে আলোকিত করে রেখেছে। পাশে নীরা অপেক্ষমা্ন একটি দৃষ্টি নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।
বিস্তারিত»