বই সমালোচনা: দ্যা গুড মুসলিম
কিছুদিন আগে তাহমিমা আনামের দ্যা গুড মুসলিম বইটি পড়লাম। প্রায় তিনশ পৃষ্ঠার বই। বইটি পড়ার সময় প্রথমেই যে বিষয়টি মুগ্ধ করে তা হল ইংরেজি ভাষার সাথে লেখকের একাত্মবোধ। লেখার ক্ষেত্রটিতে লেখকের স্বচ্ছন্দতা পরবর্তীতে পাঠকের পড়ার ক্ষেত্রটিকেও সহজ করে দেয়। তাহমিমা আনামের প্রথম বই ‘এ গোল্ডেন এজ’ আমার পড়া হয়নি। এটি দ্য গুড মুসলিমের আগের পর্ব। তবে প্রথম বইটি না পড়লেও পরেরটি বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি।
মূল ঘটনাটি এরকম যে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সোহেইল ,যে নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধের সময় ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার মানসিক ধাক্কা সহ্য করতে পারছিল না। নিজেকে ধাতস্থ করার জন্য তার একটা অবলম্বনের খুব প্রয়োজন ছিল। সেই অবলম্বন হিসেবে সে ধর্মকে আঁকড়ে ধরে। ব্যক্তিগত জীবনে সে অল্পবয়সে বাবা হারিয়েছিল এবং তাদের তেমন কোন আত্মীয়স্বজনদের সাথে যোগাযোগ ছিল না। পরবর্তী জীবনে সে একজন ফাদার ফিগার এবং জীবনসঙ্গিনী হিসেবে গোঁড়া ধার্মিকদের পছন্দ করেছিল। একসময় সে নিজে গোঁড়া তাবলীগ জামাতি হয়ে পড়ে এবং ধর্ম সাধনার বাইরে তার আর সব অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। সোহেইলের একমাত্র বোন মায়া এই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনা। যুদ্ধের আগে তার যে ভাই গিটার বাজিয়ে গান গাইত, ইবসেন পড়তো, এবং ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্য করতো – যুদ্ধের পরে সে কিভাবে এতো বদলে যায় মায়ার কাছে তা দুর্বোধ্য ঠেকে। মায়ার পৃথিবীতে সোহেইল অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছিল। সোহেইলের পরিবর্তন মানে মায়ার পৃথিবী বদলে যাওয়া। সোহেইলের ধর্মের কাছে পুরোপুরি সমর্পিত হওয়া মানে মায়া ক্রমশ ভাইহীন, বন্ধুহীন হয়ে পড়া। এই কারণে মায়া সর্বাত্নকরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিল সোহেইলের পরিবর্তনে। এক সময় হার মেনে অভিমান করে সে বাসা ছেড়ে চলে যায়। সমাজের প্রত্যন্ত অঞ্ছলে দেশের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সে তার জীবনকে অর্থবহ করে তোলার প্রয়াস চালায়। তারপর সাত বছর পর ফিরে আসে ভাইয়ের স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ শুনে। উপন্যাসের শুরুটা এখান থেকেই।
এই উপন্যাসটা পড়ার সময় বোঝা যায় যে লেখক প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছেন। সমকালীন মানুষদের সাথে কথা বলেছেন। লেখায় ধানমণ্ডি, গুলশান, শহিদ মিনারের বর্ণনা এসেছে। আন্তর্জাতিক তাবলীগ জামাতিদের কথা এসেছে। কোরান শরীফের কিছু আয়াত,কয়েকটি ধর্মীয় ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক ভাবেই। বোঝা যায় সুচিন্তিত ভাবে সমগ্র উপন্যাসটির প্লট সাজানোর জন্য অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। উপন্যাসটি তৃতীয় পুরুষে বর্ণনা করা। তবে প্রায় পুরোটাই মায়ার দৃষ্টিকোণ থেকে। পাঠক মায়ার চোখ দিয়ে ঢাকা শহর দেখে, সে সময়ের সমাজ দেখে, মানুষ বিশ্লেষণ করে। তবে সে বিশ্লেষণে সবসময় মায়ার সাথে একমত হতে পারিনি। হয়তো লেখক ইচ্ছা করেই এমনটা করেছে।
এই উপন্যাসে আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র রেহানা, মায়া আর সোহেইলের মা। তবে বইটিতে রেহানা চরিত্রটিকে মোটামুটিভাবে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ জায়গায় রেহানার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। সোহেইলের ধার্মিক সত্ত্বাকে মেনে না নিয়ে অতিরিক্ত সমালোচনা মুখর হওয়ার জন্য মায়াকে যখন তিরস্কার করে তখন রেহানার কথাগুলো পড়তে ভাল লাগে। প্রতিটা কাজের পেছনে একটা কারণ থেকে। আমরা বলি কার্যকারণ। একজন যুদ্ধ ফেরত সৈনিক (এক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা) অসম্ভব মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায়। আমরা আমেরিকাকে বড় বড় যুদ্ধ করতে দেখি। আমেরিকার যুদ্ধ ফেরত সেইসব সৈনিকদের প্রতিদিনকার যুদ্ধ সম্পর্কে খুব কমই জানতে পারি। এদের অনেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। ঠিক তেমনি একাত্তরের পর এদেশে যুব সমাজের অনেককে আজকে আমরা রক্ষী বাহিনী কিম্বা সর্বহারা পার্টিতে যাওয়া নিয়ে সমালোচনা করি। কিন্তু তাদের মানসিক টানাপড়েন আর অস্থিরতার গল্প আমাদের কাছে অশ্রুতই থেকেই যায়। সোহেইল এদেরই একজন। যুদ্ধকালীন সময়ের ঘটনা-প্রতিঘটনায় মানসিকভাবে পর্যুদস্ত। একজন ডুবন্ত মানুষ তার চারপাশে আতিপাতি করে খোঁজে একটা কাঠের তক্তা। ধর্মকে আঁকড়ে ধরে ডুবন্ত সোহেইল ভেসে উঠতে চায়। পারে দাঁড়ানো দর্শকের চোখে একজন ভেসে থাকা মানুষ শুধুই বেঁচে থাকা একটা প্রাণ। সেখানে হারিয়ে যায় জীবনের স্বাভাবিক গতি, প্রাণের উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই ভেসে থাকা মানুষটি জানে এই তক্তাটা তার জন্য কতোটা জরুরী। একজন পাঠক হিসেবে লেখকের এই প্রকাশটা আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। একটা সময় মায়াও একই পরিস্থিতিতে পড়ে। অপরাধবোধের কারণে প্রচণ্ড মানসিক টানাপড়েন মধ্য দিয়ে যায়। সোহেইলের কাছে ক্ষমা চায়। সোহেইল তখন শান্ত স্বরে বলে,’আমি কেউ না। তিনি সর্বময় ক্ষমাশীল। তার কাছে সমর্পিত হলে ক্ষমা পাওয়া যায়।’ তখন মায়া বুঝতে পারে সোহেইল কেন এতো সমর্পিত। মায়ার সমর্পণ সমাজসেবার মধ্যে। আবার অন্যদিকে ধর্ম পালনের নামে সোহেইলের নিজের মা এবং সন্তানের উপর চরম অবহেলার বিষয়টিও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এক্ষেত্রে পাঠক খুব সহজেই সোহেইলের উপর রেগে যাবে। এটাকে লেখকের কৃতিত্বই বলব। এই উপন্যাসে স্বৈরশাসক তার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে কিভাবে মৌলবাদীদের উত্থান ঘটায় তার একটা সার্থক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। উপন্যাসের এই অংশটি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
এই উপন্যাসের যে জায়গাটায় সবচেয়ে বেশি হোঁচট খেয়েছি তা হল উপন্যাসের চরিত্রচিত্রণে। এক মায়া ছাড়া আর কারও চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলবার ব্যাপারে লেখকের তেমন কোন ইচ্ছা ছিল না। আবার মায়ার চরিত্রটাও অনেকাংশে বিশ্বাসযোগ্য নয়। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি তার আগে ছোটখাটো কিছু অসংগতি তুলে ধরছি। সোহেইল আর সিলভি রাস্তার এপার-ওপার বাসার প্রতিবেশী। দুজনেই ধানমণ্ডি এলাকায় লনসহ নিজেদের দোতলা বাড়ির বাসিন্দা। তারা চেয়েছিল বলে বিয়ের অনুষ্ঠান খুব ছোটখাটো পারিবারিক পরিবেশে হয়েছিল। খাওয়ার মেনু ছিল লুচি আর তেঁতুল দিয়ে রান্না করা আলুর দম। কিন্তু বাংলাদেশীরা খুব সাধারণভাবে একটা অনুষ্ঠান করতে চাইলেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে বেশ উদার থাকে। আবার রাজশাহী থেকে ট্রেনে আসার সময় মায়ার সামনে এক বয়স্ক মহিলা বসে ছিলেন। তিনি একা একা ভ্রমণ করছিলেন এবং দুপুরে খাওয়ার সময় ফুলকপি ভাজি আর রুটি খাচ্ছিলেন। একসময় মায়াকে শুটকো বলে একটু তিরস্কারও করলেন। সেই ১৯৮৪ সালে আমাদের দেশে গ্রামের মহিলারা একা একা ট্রেনে ভ্রমণ করতেন এবং নিঃসংকোচে সবার সামনে খেতে পারতেন ব্যাপারটা অতোটা স্বাভাবিক বলে মনে হয়নি। বইটার অনেক জায়গাতেই তাহমিমা আনামের উপর ইংরেজিতে লেখা ভারতীয় লেখকদের প্রভাব প্রচ্ছন্ন মনে হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি অসংগতি লেগেছে ভাইয়ের উপর রাগ করে মায়ার সাত বছরের জন্য উধাও হয়ে যাওয়া। তাও আবার সে এসময় থেকেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে। যে মায়ার সাথে আমাদের পরিচয় হয় তাকে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এক প্রতিবাদী নারী বলে হয়। কিন্তু ঠিক মাদাম তেরেসার মতো লাগেনি। এ বইটি থেকে যে জিনিষটা বুঝেছি তা হল মায়া পুরোপুরিই একজন নাগরিক মানুষ। ছোটবেলায় জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়টাতেও সে কখনও গ্রামে থাকেনি। থেকেছে পাকিস্তানের আরেক শহরে। মায়াকে সহজেই তারেক মাসুদের ‘মুক্তির গানে’দেখা নায়লা বা লুবনা মরিয়মদের কাতারে ফেলা যায়। এইসব নাগরিক মানুষেরা দেশের জন্য কাজ করলে নগরে বসেই করেন। তর্কের খাতিরে তার গ্রামে যাওয়াটা বিশ্বাস করলেও বছরে এক-আধবার নিজের মায়ের সাথে সে দেখা করতে আসবে না তা বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়নি। বিশ বা ত্রিশের কোঠার একটা মেয়ে হয় প্রিন্স চার্মিংএর অপেক্ষায়, নয় ক্যারিয়ারিস্ট হওয়ার জন্য অথবা কোন গুরুর রাজনৈতিক আদর্শে কনভিন্স হয়ে কাজ করার জন্য একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকতে পারে (উপন্যাসের সময় বিশ্লেষণ করে মনে হয়েছে তখন কোন সেশন জট ছিল না, বরং সময়ের আগে পাশ করে যেত)। কোন বিশ্বাসযোগ্য কারণ ছাড়া মায়া অনেকটা সময় একা ছিল। আবার অনেক বছর পর ভায়ের বন্ধু জয়ের সাথে কয়েকবার দেখা হওয়ার পর পরই সে বিয়েতে সম্মত হয়। জয়ের বিদেশ যাওয়ার, ফেরত আসার টাইমিংএর ব্যাপারটা লেখক মেলাতে পারেননি। একজন লেখক তার লেখনীর মুনশিয়ানায় অনেক অবাস্তব ঘটনাকেও প্রশ্নহীন মসৃণ করে উপস্থাপন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাহমিমাকে আনামকে অভিজ্ঞ মনে হয়নি। এ উপন্যাসের সবচেয়ে বড় অসামঞ্জস্য লেগেছে মিরাকলের মাধ্যমে ক্লাইম্যাক্স উত্তরণ। কিমো দেওয়ার পরে রেহানা একেবারেই বিছানার সাথে মিশে গিয়েছিল। সেসময় মায়া খাটছিল মায়ের সুচিকিৎসার জন্য। আর সোহেইল মাকে দেখতেও আসেনি। তবে দূর থেকে মায়ের জন্য কোরান খতম আর তালিমের ব্যবস্থা করেছিল। চিকিৎসা যেখানে ব্যর্থ হল সেখানে সোহেইলের সুরা ইয়াসিন আর জমজমের পানি মায়ের অসুখ ভাল করে দিল। আমরা জানি চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক মিরাকল ঘটে। কিন্তু রোড এক্সিডেন্টে কমা বা অবচেতন অবস্থায় চলে গেছে কিম্বা পাকস্থলী ফুটো হয়ে গেছে এইসব ক্ষেত্রে মিরাকল ঘটে আবার বেঁচে ফিরে আসার অনেক ঘটনা আছে। কিন্তু লিভার ক্যান্সারের শেষ অবস্থা থেকে ফিরে আসাটা অনেক অযৌক্তিক। এই ২০১১ সালে বিলিয়নিয়ার স্টিভ জবই পারল না ফিরতে সেখানে রেবেকা ফিরে আসলো ১৯৮৪ সালের বাংলাদেশের চিকিসাৎ ব্যবস্থা থেকে। উপন্যাসে আমরা দেখি রেহানা ১৯৯২ সালেও বেঁচে ছিলেন।
আমার বুক-ক্লাবের জন্য এই বইটা নির্বাচন করেছিলাম। গতকালকেই বুক-ক্লাবের মেম্বাররা বইটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলাম। আমি মুগ্ধ কারণ দীর্ঘ উপন্যাসের ক্ষেত্রে আমি এখন পর্যন্ত সমসাময়িক বাংলাদেশি কারও লেখায় এরকম পরিশ্রম আর যত্নের ছাপ দেখিনি (এক্ষেত্রে আমার জানাশোনার পরিধিও সীমিত)। তাছাড়া বিষয়বস্তু আন্তর্জাতিকতাকে স্পর্শ করতে পেরেছে। আরেকজন বাংলাদেশি, যে নিজেও একটি মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান, সে রীতিমতো মুগ্ধ। বইটি তার হৃদয়ের অনেক কাছে পৌঁছেছে। তবে তার কাছে কে গুড মুসলিম সে প্রশ্নটি জাগেনি। আবার যারা অন্য দেশের তাদের কাছে প্রধান প্রশ্ন ছিল তাহলে কে গুড মুসলিম? মায়া না সোহেইল? এদের মধ্যে যে গোঁড়া খৃষ্টান তার মনে হয়েছে সোহেইল তার মতো ধর্ম পালন করছে আর মায়া তার মতো করে সোশ্যাল ওয়ার্ক করছে। দুটোর মধ্যে তেমন কোন বিরোধ নেই। জীবনটা অর্থবোধক করে তুলবার জন্য সবারই একটা উদ্দেশ্যের প্রয়োজন হয়। উদ্দেশ্য বিচিত্রতা থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। সমাজে কার অবদান বেশি এই নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট থেকে এই বইয়ের একটা বড় দুর্বলতা হচ্ছে অনেকাংশেই বইটা বার বার খালেদ হোসাইনের ‘কাইট রানার’কে মনে করিয়ে দিচ্ছিল। বিশেষ করে একজন মৌলবাদীর সাথে শিশু জায়েদের (সোহেইলের ছেলে) যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং মায়া তাকে মাদ্রাসা থেকে যেভাবে নাটকীয় পন্থায় উদ্ধার করতে যায় তার অনেকটাই ‘কাইট রানার’এর কপি-পেস্ট মনে হচ্ছিল। মিলটা হয়তো কাকতালীয়। কিন্তু লেখকের নিশ্চয় ‘কাইট রানার’ পড়া আছে। চাইলে পরে সে এই অংশটায় আরও স্বকীয়তা আনতে পারতেন।
সমালোচনা যা করেছি তা নিজের জন্যই করেছি। একজন পাঠকের বইটা পড়ার সময় এতো কিছু মনে নাও হতে পারে। বইটা পারলে পড়ে ফেলতে পারেন।
রেটিং:
আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ৬/১০
দেশীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ৯/১০
অনেক ধন্যবাদ, ওয়াহিদা আপা।
চমৎকার সমালোচনা। তাহমিমা আনামের আগের বইটিও পড়া হয়নি। তবে এখন পড়ার আগ্রহ পাচ্ছি। আমার ডাক নাম সোহেইল কিনা 😀
প্রথম হলাম নাকি :O (সম্পাদিত)
চমৎকার হয়েছে আপা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সোহেইল চরিত্রের সাথে আমার অভিজ্ঞতা মিলাতে পারলাম না।
ধন্যবাদ শান্তা। বইটা আমারও পড়া নেই। তবে সমালোচনা পড়ে বইটা পড়ার আগ্রহ তৈরি হলো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
পুস্তক সমালোচনা ভাল লাগলো।
এ্যা গোল্ডেন এজ বইটা পড়েছি। যত্ন নিয়েই লেখা। কিন্তু উপন্যাস হিসেবে অতো ভাল লাগেনি। লেখিকার কথা শুনতেই বরং বেশি লাগে। যাইহোক, ইংরেজিতে লেখার মতো লেখক বাংলাদেশি অরিজিন নেই বললেই চলে। সেদিক দিয়ে ভাল।
তাহমিমা আনামের পিএইচডির বিষয় ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি। তাই বিষয়বস্তুর উপর তার ভাল লেখাপড়া আছে তাতে সন্দেহ নেই।
দ্য গুড মুসলিমও পড়ার ইচ্ছা আছে।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
😀
:clap: