#কলেজে প্রায় ই কঠিন কোনো পরীক্ষার দিন সকালে ক্লাসরুমে এসে একটা মৃদু অসন্তোষের গুঞ্জন শোনা যেত।আস্তে আস্তে সেই গুঞ্জন টা একটা তীব্র আন্দোলনে রূপ নিত। আমার মতো সেই সমস্ত ক্যাডেট যারা “ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে” এই মতবাদে বিশ্বাস করে তারা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চিল্লা চিল্লি শুরু করতো । এরপর নানা দিকে কাহিনীর জল গড়াতো। একশন কমিটি গঠন করা হতো। এই পার্টি থেকে যথাযথ দিক নির্দেশনা দেওয়া হতো।
বিস্তারিত»মাস্টার প্ল্যান! (শেষ পর্ব)
৫।
-‘শামীম, তোমার ছেলের যে বয়স তাতে করে গিফট বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে তুমি মন জয় করতে পারবে না।‘ ডিপার্টমেন্ট এর ক্যাফেটারিয়াতে বসে কফি খেতে খেতে বললেন ডঃ আনিসুজ্জামান। শামীম হাসানের চেয়ে সিনিয়র হলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
-তাহলে আপনিই বলুন, আমার কি করা উচিৎ…
-প্রতিটি ছেলের কাছেই তার বাবা হচ্ছে তার প্রথম হিরো।
আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
একটি অনুবাদ
একটি অনুবাদ
সনেট ২৯: উইলিয়াম শেক্সপিয়ার
ভাগ্যের নির্মমতায় আর চারপাশের মানুষের পরিহাসে
জানটা যখন ফালা ফালা, একা কাইন্দা-কুইট্যাঁ শেষ;
কালা-খোদার কাছে চিৎকার কইরা কাইন্দাও ফায়দা নাই,
তাই ভাবতে ভাবতে নিজের ভাগ্যটারেই দেই অভিশাপ।
ক্যান যে আমার কপালটা ঐ লোকগুলার মতো হইল না:
তাদের আছে ধন-মান, চেহারা-সুরত, কিংবা বন্ধু-ভাগ্য;
বাঞ্ছা করি অমুকের মতো দক্ষতা, তমুকের মতো ক্ষমতা,
মাস্টার প্ল্যান!
১।
-হাই ড্যাড, কেমন আছো?
প্রশ্নটা শুনে শামীম হাসান কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন। একমাত্র সন্তানের সাথে তিনি কখনোই তেমন আন্তরিক বা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারেন নি। অনেকবারই চেষ্টা করেছেন কেয়ারিং বাবা হবার জন্য, কিন্তু ছেলের সাথে ‘লিটল টক’ দিয়ে আলাপ শুরু করতে গেলে এমন অবাক ও বিস্ময়মাখা এক্সপ্রেশন দেখেছেন যে কথা আর বেশি দূর কখনো এগোয় নি। আজ শিমুলের আকস্মিক এই পরিবর্তন কিছুটা অবাক হবার মতন বৈকি!
আত্মহত্যা বা জীবন যেরকম
হাতে ব্লেড নিয়েও চামড়ায় বসায় আর কয়জন! আমরা আসলে ভাবিই এভাবে… কিন্তু বসায়,অনেকেই বসায়। প্রতি স্কুলে, প্রতি কলেজে, প্রতি ভার্সিটির কোন না কোন ক্লাসে দুই একটা ছেলে বা মেয়ে থাকবেই যারা এই জিনিস নিজেদের কোমল হাতে এপ্লাই করে ফেলেছে, যারা বন্ধুরা “মুড়ি খা” বললে মুড়ি খাবার বদলে ঘুমের ওষুধ গিলেছে। বোকা বাচ্চাগুলো বোঝেনা বন্ধুরা বা মা বাবা মুড়ি খা” বললে মুড়িই খেতে হয়, “দূরে গিয়ে মর”
বিস্তারিত»নাগাল
– অ্যাই অন্তু! নামবি না?
বারান্দার রেলিঙ এ গাল ঠেকিয়ে বৃষ্টি দেখছিল অন্তু। নিজের নাম কানে আসতেই নিচের দিকে তাকাল। পাশের বিল্ডিঙের রাকিব ডাকছে ওকে।
– বৃষ্টির ভেতর নিচে নেমে কী করবো? খেলা হবে নাকি? আর কেউ নেমেছে খেলতে?
– পলাশ ভাই ব্যাট বল নিয়ে উনাদের সিঁড়িতে বসে আছে। চার পাঁচজন হলে শর্ট পিচ খেলা হবে।
– দাঁড়া দেখি আম্মা নামতে দেয় নাকি
অন্তুর আম্মা পাশের বাসায় গেছেন।
বিস্তারিত»যুদ্ধ…!!!
বিধাতা কিংবা প্রকৃতি যাই বলি মানুষ কে বাঁচতে শেখায় যুদ্ধ করে। মাঝে মাঝে অবাক লাগে যে অসম কোন কিছুই প্রকৃতি মেনে নেয়না । নর-নারীর প্রেম প্রকৃতির বিধানের অদ্ভুত এক রহস্যময় দিক।
আবেগ খুব তাড়া করে মাঝে মাঝে। অদ্ভুত সেই অসম প্রেমের গল্প। নায়ক নায়িকা নেই,আছে শুধু পাগলামি,উষ্ণতার অনুভূতি। চোখ বন্ধ করে নেয়া চুলের মিষ্টি গন্ধ কিংবা কাছের বান্ধবীর কাছে শোনা নির্ঘুম রাতের কথা ;
বিস্তারিত»ডাল সমাচার
ঘটনা ১ : ডিনার এ গেলাম ডাইনিং এ। দুপুরে ইউএস গভর্নমেন্ট এক্সাম ছিল। পরীক্ষা থাকলে যা হয় আরকি ! পেটের ভেতর অদ্ভুত কিছু আওয়াজ হচ্ছিল। খাওয়া দাওয়ার রুচি কমে গিয়েছিল ভয় এর চোটে! তাই পরীক্ষার এই সীমাহীন টেনশনে লাঞ্চ ই করা হয় নাই ! সো ডিনারের সময় বিশাল ক্ষুধার্ত অবস্থায় টেবিল আসলাম। টেবিলে বসে দেখি একটা স্পেশাল টাইপের সুপ সার্ভ করা। আমার স্কোয়াড লিডার আমাকে বললো ওটা টেস্ট করতে।
বিস্তারিত»কলেজ লাইফের ভূত-রসাত্মক কাহিনী ২
আমাদের কলেজে সিনিয়রদের মজা করার একটা কমন ট্র্যাডিশন ছিলো প্রথমে ভুত-প্রেত অশরীরী আত্মার কাহিনি পিচ্চি পোলাপানের মাথায় শক্তভাবে গেঁথে দেওয়া এবং এরপর প্রাক্টিক্যালি ভয় দেখানো। তাই আমরা প্রায়ই রাতের বেলায় সাদা কাপড় পরা অশরীরীদের ব্লকে হাঁটতে দেখতাম,আমাদের জানালায় টোকা মারতে দেখতাম এবং ছাদে প্যারেডের ধুপধাপ আওয়াজ শুনতাম।এগুলো আসলে কারা করতো তখন বুঝতে পারি নাই।
যাইহোক, এরকম ঘটনা ঘটলে কি ক্লাস সেভেনের পোলাপান রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারে?
অসমাপ্ত চিঠি…!!!
মাঝে মাঝে মনে হয় ভালবাসার মত জিনিসগুলো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে যার শাস্তি অপরাধীকে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলা । ব্রাশ ফায়ার করার কেউ ছিলনা তো ভেতরেই কাজ যা হওয়ার শেষ !
কি অদ্ভুতই না ছিল আবেগ গুলো। জানো তো আবেগপ্রবণ মানুষ গুলোকে নিয়েই বিপদ। পাওয়ার তালিকাটা হিসাবেই আনেনা কখনো । ভাল থাকে দেয়ালের উপর একসাথে বসে থাকায়,শেয়ার করা ফুচকায় ,আড্ডায় ,কবিতায় , ডিফারেন্সিয়েশন এর ম্যাথ বুঝানোর আড়ালে বাসায় গিয়ে বসে থাকায়,কাঁটাবন এ মাছ না খরগোশ কে কোনটা নিবে সেই ঝগড়ায়,কিংবা ওই যে মনে পড়ে কি শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকান গুলোর কথা…সেদিন গিয়েছিলাম জানো?
বিস্তারিত»একটি সেনা অভ্যুত্থান এবং জেনারেল খালেদ মোশাররফ-২
আগস্টের কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী মেজরের দেশ ছেড়ে চলে যাবার আগে কিছু সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গভবণে মিটিং করে। মেজর ডালিমের ওয়েবসাইটেই সেই মিটিংএর উপর কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেই মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল তাহেরও। সেই মিটিংএই সিদ্ধান্ত আসে মেজরেরা বর্তমান অবস্থায় দেশ ত্যাগ করে কাছাকাছি কোন দেশে অবস্থান করবেন এবং ব্যাংকককেই বাছাই করেন তারা। এরপরেই সিদ্ধান্ত আসে তারা কিভাবে খালেদ-শাফায়েত গ্রুপকে নিষ্ক্রীয় করবেন। তখনকার বঙ্গভবণে অবস্থিত সবাই এটাকে ভারতের ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছিল অথবা খালেদ-শাফায়েতকে ভারতের চর হিসেবে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইছিল ইচ্ছাকৃতভাবেই।
বিস্তারিত»২৭ জুন, ২০১৩, রোজ বৃহস্পতিবার, বেলা বারোটা বিশ মিনিট
একটু দেরিতে ঘুমালেও সকাল সাতটায় ঘুম ভেঙে গেল আজকে। বেশ খানিকটা বিয়ার পান করলে এরকম হয় দেখেছি। গতকাল রাতটা ঘুমানোর আগে স্থানীয় বিয়ার প্রস্তুতকারক/পানশালা কিউইনা ব্রিউইং কোম্পানির বিয়ার পান করে কাটিয়েছি। সবাইকে এটাকে কেবিসি বলেই জানে। কমদামে উন্নত মানের বিয়ার প্রস্তুতকারক হিসেবে খুব দ্রুত নাম কামিয়েছে এই কম্পানিটি। যাক মাথা ব্যথা চলে গিয়েছে। গতকাল বৃষ্টিতে ভেজার কারণে বেশ মাথা ধরেছিল। প্রায় দেড় বছর পরে বৃষ্টিতে ভিজলাম।
বিস্তারিত»বড়দের গল্প
কয়ডা ঘটনা লখতে মন চাইল হঠাৎ। এগুলা বড় ভাইয়াদের মুখে শোনা গল্প।
১) ডাক্তার আতিক ভাই, একবার ওনাদের ক্লাস হচ্ছে মেডিকেলের। সেদিন পড়ানো হচ্ছিল পুরুষের স্থায়ী জন্ম বিরতিকরন পদ্ধতির ওপর। এই পদ্ধতিতে নাকি ছোট একটা অপারেশন করে একবার প্রডাকশন অফ করে আবার ইচ্ছাকরলে পরে আরেকটা অপারেশন করে চালু করা যায়। তো পড়ানোর সময় এ বিষয়ে বলতে বলতে, টিচার এটাও বলছিল যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই পদ্ধতিকে উৎসাহিত করতে,সরকারী সাস্থ্যকেন্দ্র কেও এই পদ্ধতি গ্রহন করলেতাকে একটা ছাতা আর ২০০টাকা দেয়।
বিস্তারিত»আমাদের নায়ক
যে কোনো সময় খারাপ খবরটা আসতে পারে। তাই তৈরি হয়ে আছি। মনকে বুঝিয়েছি, এটাই বাস্তব। নির্মম সত্য। তবু কি মন মানতে চায়!
প্রিটোরিয়ার যে হাসপাতালটায় নেলসন মান্দেলা শেষ সময়টা কাটাচ্ছেন সেখানে বিশ্বের সব মিডিয়া ওৎ পেতে বসে আছে, কার আগে কে এই দুঃসংবাদটা প্রচার করবে! প্রিয় মাদিবার জন্য তার দেশের মানুষ প্রার্থনা করছে। হয়তো কোনো ‘অলৌকিক’ কিছুর অপেক্ষা করছে তারা।
বিস্তারিত»