প্লট

রেডিওতে বিবিসি সংলাপ শুনছিল আসিফা।হঠাৎ কে যেন তার পাশে এসে বসল।অপরিচিত একটা কণ্ঠস্বর বলে উঠল, ‘আসিফা আপু।’

‘কে?’

‘আমাকে চিনবেন না আপু।আমি মার্জিয়া।পাঁচতলায় থাকি।ডাইনিংয়ে, ক্যান্টিনে, জামালের দোকানে আপনাকে প্রায়ই দেখি। আমার এক বান্ধবী- সুমনা, চেনেন বোধহয়।ও আমাকে বলল আপনার একজন ভলান্টিয়ার দরকার।’

‘হ্যাঁ আপু, তা তো দরকার।দু’জন আমাকে রেকর্ডিংয়ে সাহায্য করত। একজন বাড়ি গেছে। আরেকজনের পরীক্ষা। তা কখন কখন সময় দিতে পারবে ?

বিস্তারিত»

পুরুষ তুমি মানুষ হবে কবে

On Dress of Women 09.06.2013

কিছু তথাকথিত ‘পুরুষ’ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নারীর ছবি দেখলে ওড়না কিভাবে পড়া উচিত, মাথায় স্কার্ফ কিভাবে পড়তে হবে কিম্বা হিজাব পড়ার জন্য নারীদের ‘জ্ঞানদান’ শুরু করেন। ফেসবুকে আমার কন্যাসম এক তরুনীর একটি ছবিতে ওড়না নিয়ে এক ‘পুরুষ’-এর মন্তব্য পড়ে এতোটাই বিরক্ত ছিলাম যে মেয়েকে প্রশ্ন করলাম “তুমি প্রতিবাদ করলে না কেন?” জবাবে ও জানালো, লোকটি ওই রকমই। প্রতিবাদ করতে গেলে কথা বাড়ে।

বিস্তারিত»

একটি কান্না, অতঃপর আমার জয়……

ছোটবেলা থেকেই কেঁদে জিতে যাওয়া ব্যাপারটার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। যখন তখন চোখের জল ফেলাটাকে আমরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা হার না মানা জাতি। কখনো কারো সাথে কোন কিছুতেই হেরে যেতে আমরা নারাজ। আমাদের মূলমন্ত্র যেন- “কর্মে যদিও হয় পরাজয়, কান্নায় জয় হবে নিশ্চয়”।

শৈশবে হয়তো মারামারিতে কারো কাছে হেরে গিয়েছি, কান্নায় কিন্তু ঠিকই জিত হয়ে গেছে। কিংবা বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে কিছু পাইনি,

বিস্তারিত»

লেঃ মাহমুদ এবং আমাদের গল্প…

আমাদের গল্পটার শুরু গ্রীষ্মের কোন এক মধ্য দুপুর থেকে। অন্য দুপুরগুলোর মত সেই দুপুরটাও অলস হতে পারত, কিন্তু সেদিন দুপুরের অলসতার সুযোগ ছিল না। কারন সেই দুপুরে দেশের বিভিন্ন জায়গার,বিভিন্ন চেহারার কিছু ছেলের ‘আমি থেকে আমরা’ হবার দিনের সূচণা হতে চলেছিল।০৭ মে,২০০২ সালের সেই রৌদ্রজ্জল দুপুরকে সাক্ষী রেখে আমরা একে একে খাকী পোশাকে নিজেকে জড়াই, আর নিজের অজান্তে ৫৪টি মন কখন যেন নিজেদের মত করেই জড়িয়ে গেছে,

বিস্তারিত»

দুটি অনু পরমানু


মেঘলা আকাশে গুড় গুড় গর্জন
টিনের চালে অবিরাম বৃষ্টির শব্দ
দূর পাহাড় ঘেষে লেকে একা নৌকা
দরজার ও-পাশে একটি কুকুর
অমনোযোগে পেয়ালার চা হিম।


দিনের সময়ের সাথে বদলে যায়
আমার জানালা।
ভোরে মেঘে ঢাকা পাহাড়;
কেবল ছেড়েছে ঘুম ভেঙে আড়মোড়া ।
দুপুর রোদে সবুজ পাহাড়;
কাপ্তাই হ্রদের জলে নীলাভ সখ্যতা।

বিস্তারিত»

উত্তরাধিকার এর উইল সংক্রান্ত…

তোমায় করে যাচ্ছি
আমার ‘উত্তরাধিকার’।
আমার ভল্টে যতটুকু ভালো
তার ষোল আনাই পাবে তুমি।
আর কালিমাটুকুর সবটুকু
ট্র্যাভেলারস চেক করে
আমি চলে যাচ্ছি আজ।

জীবনের সব পাপগুলো শুষে নিয়ে
তোমায় দিয়ে গেলাম বিশুদ্ধ শুভ্রতা।
উইলে লিখে দিয়েছি তোমার নামে
আমার মরে যাওয়া স্বপ্ন গুলো।
ইচ্ছে মত ডানা মেলতে দিও ওদের।
বিদায় নেবার আগে তাই আমার
এহেন প্রথাগত সৌজন্যতা।

বিস্তারিত»

আমঃ গ্রাম থেকে অফিসে!

আমাদের ছোট বেলায় মে জুন মাসের দিকে ১ মাসের একটা ছুটি পাওয়া যেত। সেই ছুটি আমাদের কাছে আম কাঠালের ছুটি নামে পরিচিত ছিল। নানা বাড়ী গিয়ে আম কাঠাল খাওয়া ছাড়া আরো যে কাজটি আমরা তখন করতাম সেটা হল নিজের এলাকায় গাছ গাছালির নিয়মিত খোজ খবর রাখা। কোন বাড়ীতে কয়টা আম গাছ আছে, কয়টাতে এবার আম এসেছে, কোন গাছের আম কেমন এসব বিষয়ে আমরা তখন বিশেষজ্ঞ হয়ে যেতাম।

বিস্তারিত»

সাবান

কলিং বেলের শব্দে কিছুটা বিরক্ত হয় শারমিন। আজ শনিবার। ছুটির দিন। ছুটির দিনে বাসায় অপরিচিত কেউ আসেনা। পারভেজ এই দিন বাসায় থাকে। সারাদিন পারভেজকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘর গোছানো,টুকটাক রান্না বান্না। এছাড়া ইদানিং আরো একটা কাজ বেড়েছে। ছোট কাঁথা সেলাই করা। অসময়ে মাথা ব্যথা আর বমি বমি ভাব জানান দিচ্ছে ভালোবাসাবাসির প্রথম ফুল ফুটতে বেশি দেরি নেই। শারমিন বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুলল।
আরে তুমিহ?

বিস্তারিত»

“অবশ অনুভূতির চিঠি”

জানালার বাইরে ছিল অতি সাধারণ সবকিছু। একটি সবুজ ধানক্ষেত, আমের বাগান কনক্রিট রোড, ধুপি শপ, রেশন স্টোর, পানির ট্যাংক। প্রথম দিন যেমন নতুনত্ব ছিল সেদিনটাও কোন পার্থক্য ছিল না অনুভবের। জানালায় একবার দাড়িয়ে শেষবারের মত দেখলাম আমার ছবির ফ্রেমটা। জীর্ণ অথবা রংয়ের যত্নে লুকিয়ে থাকা রডগুলো ছুঁয়ে মনে হল ক্ষুদ্র অথচ প্রাণের কিছু অংশ রেখে যাচ্ছি। গতকাল রাত থেকে আমার অনুভুতিগুলো অনেকটা্ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ প্রাচীর

১) একবার দুইজন ক্যাডেট রাতের অন্ধকারে কলেজের প্রাচীর টপকে গেল সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে। হাউসে ফিরে আসার সময় তাঁরা হাউসের পেছনে এসে উঁকি মেরে দেখলো যে হাউসের সামনে হাউস বেয়ারা আর একজন স্টাফ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। ক্যাডেট দুইজন ভাবলো যে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ না করে স্বাভাবিকভাবে হাউসে প্রবেশ করলে তাদেরকে কেউ কিছুই বলবে না। এই ভেবে তাঁরা হাউসের পেছন থেকে বেরিয়ে এসে হাউসে ডুকতে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

বুক পকেট

সকাল সাড়ে সাতটা। বিছানায় উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে সোহেল। সুমন এসে গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকে, “এই সোহেল ওঠ, ক্লাসে যাবি না?” সোহেল ঘুমের মধ্যে উত্তর দেয়, ‘‘না দোস্ত, প্রক্সিটা দিয়ে দিস’’। ‘‘ঠিক আছে, তুই ঘুমা শালা’’ বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে সুমন।

ক্লাস আটটায়। হল থেকে ক্লাসে যেতে সময় লাগে ৫-৭ মিনিট। মাঝখানে ক্যান্টিনে নাস্তা করতে হবে তাই একটু আগেই বের হয় সে। দুটো পরোটা আর একটা ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তা করতে করতে সারা দিনের একটা কাজ কর্মের একটা পরিকল্পনা করে ফেলে সুমন।

বিস্তারিত»

একটা কুইক ভিজিট করে আসলাম কলেজে…যা যা দ্যাখলাম

বি এম এ তে যখন প্রথম শুনলাম পোস্টিং কুমিল্লায়…সেরাম মজা পাইসিলাম।সাথে থ্রীল…গাড়ি নিয়ে কলেজে যাবো…ক্লাস সেভেন এইটে যেমন দ্যাখতাম জিডিও যায়,ভাইয়ারা যায়।রেজিমেন্টেশান টাইমে একদিন ডিউটি,রাস্তায় দাড়ায়া আছি,হঠাৎ করে কলেজের বাসটা সামনে দিয়ে চলে গেলো,প্রথম দিনের সেই আবেগটা বোঝানো যাবে না।আজকাল প্রায়ই হয়,কলেজের যারা গ্রাউন্ডস ম্যান,হাউজ বেয়ারা,হয়তো রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে,দূর থেকে দেখে ডাক দেয়,শাহরিয়ার ভাই কেমন আছেন?আমিও ডাক দেই “আরে,আক্কাস ভাই না”…ভাল্লাগে খুব…রি-ইউনিয়নের পরে আর নানা ব্যস্ততায় যাওয়া হয় নাই।মাঝে মাঝে প্ল্যান করি,এত কাছে কলেজ,না গেলে পরে আফসোস হবে।সেই মোতাবেক আজকে একটা চান্স পাইসিলাম প্যারেন্টস ডে উপলক্ষ্যে।কিন্তু ফ্রী হইতে হইতে ১ টা বাইজা গেসে।তাই ভাবলাম একটানে একটু ঘুইর‍্যা আসি।তাই একটা কুইক ভিজিট করে আসলাম কলেজে…মেইনলি যা যা দ্যাখলামঃ

১।

বিস্তারিত»

“তেলাপোকা কেন উল্টো হয়েই মরে?”

চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার;  জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ,  আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।

খাটের পাশে রাখা  গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
নিজের অজান্তেই বেজে ওঠে।

বিস্তারিত»

মিশরের পিরামিড

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১ বছর ফিজিক্সের ছাত্র ছিলাম কিনা) পড়ুয়া তিন বন্ধু ফার্মগেটে একটা মেসে থাকতাম। টয়লেটসদৃশ রুমে বন্ধু নিয়াজ, শাকিল আর আমি; তিন বন্ধুর সুখের সংসার।

মেঝের তিন কোনায় পরস্পর সংলগ্ন তিনটি বিছানা, দুইটি টেবিল ফ্যান, খানকয়েক বই (শাকিলের ১০১ ম্যাজিকশিক্ষা, পত্রিকা(?), নিয়াজের জীবনানন্দসমগ্র, আমার কিছু ওয়েষ্টার্ন), একধামা আলুপটল, চাল, এক বোতল সয়াবিন তেল, কিছু কাপড়চোপড় -এই ছিল আমাদের পার্থিব সম্পত্তি।

মাঝেমাঝে ক্লাসে যাই,

বিস্তারিত»

বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমঃ বয়স্ক ভাতা

১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জন্মদিন পালন করতে যাচ্ছি।বানেশ্বরে কলেজ বাসে উঠতেই এক সিনিয়র ভাই জিজ্ঞেস করলেন কোথায় আছ ? কি কর ? লজ্জার সাখেই বললাম পুঠিয়া উপজেলায় আছি, সমাজসেবায় চাকরী করি।সমাজসেবা ! এটা আবার কোন এনজিও ? খালি ঋণ দাও? না কি আরও কিছু কর ? উপজেলা গুলোতে  আসলে কী হয় ? তাকেঁ আমাদের অফিসের কাজের সাথে সাথে আরও কয়েকটি অফিসের কাজের কথা বললাম।তিনি বললেন,

বিস্তারিত»