আমঃ গ্রাম থেকে অফিসে!

আমাদের ছোট বেলায় মে জুন মাসের দিকে ১ মাসের একটা ছুটি পাওয়া যেত। সেই ছুটি আমাদের কাছে আম কাঠালের ছুটি নামে পরিচিত ছিল। নানা বাড়ী গিয়ে আম কাঠাল খাওয়া ছাড়া আরো যে কাজটি আমরা তখন করতাম সেটা হল নিজের এলাকায় গাছ গাছালির নিয়মিত খোজ খবর রাখা। কোন বাড়ীতে কয়টা আম গাছ আছে, কয়টাতে এবার আম এসেছে, কোন গাছের আম কেমন এসব বিষয়ে আমরা তখন বিশেষজ্ঞ হয়ে যেতাম।

বিস্তারিত»

সাবান

কলিং বেলের শব্দে কিছুটা বিরক্ত হয় শারমিন। আজ শনিবার। ছুটির দিন। ছুটির দিনে বাসায় অপরিচিত কেউ আসেনা। পারভেজ এই দিন বাসায় থাকে। সারাদিন পারভেজকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। ঘর গোছানো,টুকটাক রান্না বান্না। এছাড়া ইদানিং আরো একটা কাজ বেড়েছে। ছোট কাঁথা সেলাই করা। অসময়ে মাথা ব্যথা আর বমি বমি ভাব জানান দিচ্ছে ভালোবাসাবাসির প্রথম ফুল ফুটতে বেশি দেরি নেই। শারমিন বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুলল।
আরে তুমিহ?

বিস্তারিত»

“অবশ অনুভূতির চিঠি”

জানালার বাইরে ছিল অতি সাধারণ সবকিছু। একটি সবুজ ধানক্ষেত, আমের বাগান কনক্রিট রোড, ধুপি শপ, রেশন স্টোর, পানির ট্যাংক। প্রথম দিন যেমন নতুনত্ব ছিল সেদিনটাও কোন পার্থক্য ছিল না অনুভবের। জানালায় একবার দাড়িয়ে শেষবারের মত দেখলাম আমার ছবির ফ্রেমটা। জীর্ণ অথবা রংয়ের যত্নে লুকিয়ে থাকা রডগুলো ছুঁয়ে মনে হল ক্ষুদ্র অথচ প্রাণের কিছু অংশ রেখে যাচ্ছি। গতকাল রাত থেকে আমার অনুভুতিগুলো অনেকটা্ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ প্রাচীর

১) একবার দুইজন ক্যাডেট রাতের অন্ধকারে কলেজের প্রাচীর টপকে গেল সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে। হাউসে ফিরে আসার সময় তাঁরা হাউসের পেছনে এসে উঁকি মেরে দেখলো যে হাউসের সামনে হাউস বেয়ারা আর একজন স্টাফ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। ক্যাডেট দুইজন ভাবলো যে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ না করে স্বাভাবিকভাবে হাউসে প্রবেশ করলে তাদেরকে কেউ কিছুই বলবে না। এই ভেবে তাঁরা হাউসের পেছন থেকে বেরিয়ে এসে হাউসে ডুকতে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

বুক পকেট

সকাল সাড়ে সাতটা। বিছানায় উপুড় হয়ে ঘুমাচ্ছে সোহেল। সুমন এসে গায়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকে, “এই সোহেল ওঠ, ক্লাসে যাবি না?” সোহেল ঘুমের মধ্যে উত্তর দেয়, ‘‘না দোস্ত, প্রক্সিটা দিয়ে দিস’’। ‘‘ঠিক আছে, তুই ঘুমা শালা’’ বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসে সুমন।

ক্লাস আটটায়। হল থেকে ক্লাসে যেতে সময় লাগে ৫-৭ মিনিট। মাঝখানে ক্যান্টিনে নাস্তা করতে হবে তাই একটু আগেই বের হয় সে। দুটো পরোটা আর একটা ডিম ভাজি দিয়ে নাস্তা করতে করতে সারা দিনের একটা কাজ কর্মের একটা পরিকল্পনা করে ফেলে সুমন।

বিস্তারিত»

একটা কুইক ভিজিট করে আসলাম কলেজে…যা যা দ্যাখলাম

বি এম এ তে যখন প্রথম শুনলাম পোস্টিং কুমিল্লায়…সেরাম মজা পাইসিলাম।সাথে থ্রীল…গাড়ি নিয়ে কলেজে যাবো…ক্লাস সেভেন এইটে যেমন দ্যাখতাম জিডিও যায়,ভাইয়ারা যায়।রেজিমেন্টেশান টাইমে একদিন ডিউটি,রাস্তায় দাড়ায়া আছি,হঠাৎ করে কলেজের বাসটা সামনে দিয়ে চলে গেলো,প্রথম দিনের সেই আবেগটা বোঝানো যাবে না।আজকাল প্রায়ই হয়,কলেজের যারা গ্রাউন্ডস ম্যান,হাউজ বেয়ারা,হয়তো রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে,দূর থেকে দেখে ডাক দেয়,শাহরিয়ার ভাই কেমন আছেন?আমিও ডাক দেই “আরে,আক্কাস ভাই না”…ভাল্লাগে খুব…রি-ইউনিয়নের পরে আর নানা ব্যস্ততায় যাওয়া হয় নাই।মাঝে মাঝে প্ল্যান করি,এত কাছে কলেজ,না গেলে পরে আফসোস হবে।সেই মোতাবেক আজকে একটা চান্স পাইসিলাম প্যারেন্টস ডে উপলক্ষ্যে।কিন্তু ফ্রী হইতে হইতে ১ টা বাইজা গেসে।তাই ভাবলাম একটানে একটু ঘুইর‍্যা আসি।তাই একটা কুইক ভিজিট করে আসলাম কলেজে…মেইনলি যা যা দ্যাখলামঃ

১।

বিস্তারিত»

“তেলাপোকা কেন উল্টো হয়েই মরে?”

চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার;  জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ,  আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।

খাটের পাশে রাখা  গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
নিজের অজান্তেই বেজে ওঠে।

বিস্তারিত»

মিশরের পিরামিড

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১ বছর ফিজিক্সের ছাত্র ছিলাম কিনা) পড়ুয়া তিন বন্ধু ফার্মগেটে একটা মেসে থাকতাম। টয়লেটসদৃশ রুমে বন্ধু নিয়াজ, শাকিল আর আমি; তিন বন্ধুর সুখের সংসার।

মেঝের তিন কোনায় পরস্পর সংলগ্ন তিনটি বিছানা, দুইটি টেবিল ফ্যান, খানকয়েক বই (শাকিলের ১০১ ম্যাজিকশিক্ষা, পত্রিকা(?), নিয়াজের জীবনানন্দসমগ্র, আমার কিছু ওয়েষ্টার্ন), একধামা আলুপটল, চাল, এক বোতল সয়াবিন তেল, কিছু কাপড়চোপড় -এই ছিল আমাদের পার্থিব সম্পত্তি।

মাঝেমাঝে ক্লাসে যাই,

বিস্তারিত»

বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমঃ বয়স্ক ভাতা

১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জন্মদিন পালন করতে যাচ্ছি।বানেশ্বরে কলেজ বাসে উঠতেই এক সিনিয়র ভাই জিজ্ঞেস করলেন কোথায় আছ ? কি কর ? লজ্জার সাখেই বললাম পুঠিয়া উপজেলায় আছি, সমাজসেবায় চাকরী করি।সমাজসেবা ! এটা আবার কোন এনজিও ? খালি ঋণ দাও? না কি আরও কিছু কর ? উপজেলা গুলোতে  আসলে কী হয় ? তাকেঁ আমাদের অফিসের কাজের সাথে সাথে আরও কয়েকটি অফিসের কাজের কথা বললাম।তিনি বললেন,

বিস্তারিত»

নিশিকন্যা

কাঁধে রাইফেল, নির্ঘুম লাল চোখ যা অন্ধকার তার হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছে, কোমরে গামছা বাঁধা, খালি পা, পরনে শতচ্ছিন্ন শার্টপ্যান্ট যেটার এখানে ওখানে ফেঁসে গেছে, কাদাপানিতে ভিজে আর রোদে শুকিয়ে খটখটে হয়ে আছে। হাতে পায়ে অসংখ্য কাঁটাছেঁড়ার দাগ, কোথাও কোথাও থেকে রক্তও পরছে। এসব দিকে কারো খেয়াল নেই। উত্তর দিকে একজায়গায় আগুন লেগেছে সবার দৃষ্টি সেদিকেই নিবদ্ধ। সবাই সেখানেই যাচ্ছে।

-আমি সবাইকে ক্যাম্পে জীবিত ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা দিতে পারবো না।

বিস্তারিত»

একটি কোটা আর বাংলালিংক

এইতো গত বছর-

রাজশাহী ভার্সিটি বি বি এ পরীক্ষা, আই বি এর কোচিং করে স্বভাবতই ধারণা জন্মেছিল, ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সেই ভুল পরীক্ষার হলে গিয়ে ভাঙল যখন দেখি পাশের ছেলেটি মহানন্দে দুইটি ক্যালকুলেটর একের পর এক ব্যবহার করে যাচ্ছে। ম্যাথ করতে যেয়েই যত বিপত্তি, এত বড় বড় ম্যাথ কিভাবে করবো? পাশের ছেলেটির ক্যালকুলেটর এর দিকে তাকাতেই সে বুঝতে পারল এবং মহানন্দে দুইটি ক্যালকুলেটর ই অন্যপাশে সরিয়ে রাখল।

বিস্তারিত»

চুপকথা(১-৫)

“চুপকথা” সিরিজের পাঁচটি
কবিতা:

এক.

রাত কেটে যাক চুমোতে
আজ দেবোনা ঘুমোতে

দুই.

অন্য সব ব্যাপারে হলাম না হয় অজ্ঞ
আজ থেকে আমি শুধু তুমি বিশেষজ্ঞ।

তিন.

গালের সাথে গাল মিলিয়ে তালের সাথে তাল
তোমার আমার কাটুক সময় দেখুক মহাকাল।

চার.

পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ
তোমার কপালের টিপ

পাঁচ.

বিস্তারিত»

অদেখা

আজ আবার তোকে দেখতে ইচ্ছে হল,
কেন জানিনা; কিন্তু হল।
শীতের রাতে কিভাবে কুঁকড়ে থাকিস তুই?
কিভাবে নিজেকে আড়াল করিস কম্বলের উষ্ণতায়?
কিভাবে চমকে উঠিস স্বপ্ন দেখে?
আর পরক্ষনেই কিভাবে সামলে নিস নিজেকে-
পরম আত্মবিশ্বাসে?
আচ্ছা তুই কি চুল খুলে রাখিস , না’কি খোঁপা?
আমার কি মনে হয় জানিস?
– তোকে পুতুলদের মত ঝুটি করলেও বেশ লাগবে।

বিস্তারিত»

কিছু কৈশোর… (৩য় খন্ড)

(শিরোনামটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র একটি আত্মজৈবনিক গন্থ হতে অনুপ্রাণিত)

 

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা বা পুরো ব্যাবস্থাটা বাইরে থেকে অনেক আলাদা। কোন সন্দেহ নাই। একটা স্কুল বা কলেজের যে সকল কর্মকান্ড বাইরেও হয় সেগুলোও ক্যাডেট কলেজে একটু অন্যভাবে হয়। তবে কিছু আছে যেগুলো খালি ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব। এমন একটা জিনিস ছিলো কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে বা চলতি ঘটনা প্রদর্শনী। সব কলেজেই এই প্রতিযোগীতাটা হতো।

বিস্তারিত»

.আগামী

 

“ আমি চোর নই,
টোকাই? তাও না।
কিন্তু আমি চুরি করি
রাস্তার ছ্যাঁচড়া ছেলেদের মত দু-পয়সার বাতাসা নয়,
লজেন্স-টফি ও নয়।
কিন্তু তবুও আমি চুরি করি
অন্যদের মত পেটের দায়ে নয়; নিজের দায়ে।
আর কেনই করবনা বল?
প্রতিদিন লাইব্রেরীতে পদার্থবিজ্ঞানের ঐ বিশ্রী বইটা এমন ভাবে পড়তি
আর দুনিয়ার সবটুকু বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতি অর দিকে
আবার কি যত্ন করেই না পাতা ওল্টাতি!

বিস্তারিত»