আজ আবার তোকে দেখতে ইচ্ছে হল,
কেন জানিনা; কিন্তু হল।
শীতের রাতে কিভাবে কুঁকড়ে থাকিস তুই?
কিভাবে নিজেকে আড়াল করিস কম্বলের উষ্ণতায়?
কিভাবে চমকে উঠিস স্বপ্ন দেখে?
আর পরক্ষনেই কিভাবে সামলে নিস নিজেকে-
পরম আত্মবিশ্বাসে?
আচ্ছা তুই কি চুল খুলে রাখিস , না’কি খোঁপা?
আমার কি মনে হয় জানিস?
– তোকে পুতুলদের মত ঝুটি করলেও বেশ লাগবে।
যার সাজ তার অন্তরে-
বাইরের ঠুনকো অলংকারে কি’বা আসে – যায়?
সূর্যের প্রথম কিরন যখন তোর চোখ দু’টি স্পর্শ করে-
তখন কি করিস তুই?
ওদেরকে আলিঙ্গন করিস পরম মায়ায়?
না’কি নিজের অজান্তেই কুঁচকে আসে তোর ভুঁরু?
সেই কুঁচকানো নাকের দৃশ্যটিই যে দেখতে ইচ্ছে করে,
বড় দেখতে ইচ্ছে করে।
দুপুরের ঝড়ো রোদে এক ঝাঁক হালকা বাতাস –
যখন তোর চুল ছুঁয়ে যায়,
তখন তোর ছায়ার সাথে আলোর যুদ্ধ দেখার জন্য-
অদূরে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে,
বিকেলের সূর্যের আভা তোর গালে পড়ে –
কিভাবেই না তোকে মায়াবী করে দেয়!
আর সন্ধ্যার অন্ধকার,
কেমন করেই তোকে আঁধারে ঠেলে দেবার বৃথা চেষ্টা করে।
তোর দেখতে ইচ্ছে হয়না?
আচ্ছা, হাসলে তোকে কেমন লাগে?
আমি বলব?
একেবারে বিচ্ছিরি লাগে, একদম শাকচুন্নির মত…
রাগ করলি ?
দেখলি? ভাল করে মিথ্যাটাও বলতে পারিনা।
কিন্তু যখন কাঁদিস তুই-
গঙ্গার বিশুদ্ধতা ঝরে পড়ে তোর দু’চোখ দিয়ে।
রোজই আমার স্বপ্নে আসিস তুই,
কোথায় দু’চারটে ভালবাসার কথা বলবি?
তা’না।
সেখানেও ধমকাস আমাকে, জোর করে কান মলে দিস।
খুব ব্যথা লাগে জানিস?
কিন্তু খারাপ লাগে না,
তোর স্পর্শ যে দুর্লভ …
তাই রাগলে তোকে কেমন লাগে আমি জানি।
ঠিক যেন প্রাইমারী স্কুলের রাগী মাস্টারনী ,
এখনই যেন তেড়ে আসবি বেত নিয়ে ।
কিন্তু প্রতি মূহুর্তেই তুই সুন্দর ,
যেমনটা আছিস , তেমনটাই সুন্দর।
তাই তো এই অদেখা চির সুন্দরের দর্শনই চাইছি বারেবার।
তোকে নিয়ে ভাবতে পারি,
স্বপ্ন দেখতে পারি, কবিতা লিখছে পারি,
অশ্রুও ঝরাতে পারি,
আর???
আর………………… ভালবাসতে পারি।
নিজের মনেই গুনগুনিয়ে উঠি –
“ কেন তার নির্ঘুম ছুটে চলা আমার শয়নে,
কল্পনায় ভেসে চলা অস্ফুট লাবন্যে।
প্রতিক্ষনে দু’টি কানে তার নূপূরের ঝংকার,
বেদনাহত হৃদয়ে তাকে দেখার হাহাকার ”
নিজের কল্পনাকে ভুল প্রমানিত করতে ইচ্ছে করে,
যখন ও দেখবে তুই কল্পনার থেকেও সুন্দর, তখন ?
তাই তোকে নিজের মাঝেই খুঁজতে ইচ্ছে করে,
শুধুই দেখতে ইচ্ছে করে।
আবেগী......... :clap:
thankxxx vai