১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩।
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জন্মদিন পালন করতে যাচ্ছি।বানেশ্বরে কলেজ বাসে উঠতেই এক সিনিয়র ভাই জিজ্ঞেস করলেন কোথায় আছ ? কি কর ? লজ্জার সাখেই বললাম পুঠিয়া উপজেলায় আছি, সমাজসেবায় চাকরী করি।সমাজসেবা ! এটা আবার কোন এনজিও ? খালি ঋণ দাও? না কি আরও কিছু কর ? উপজেলা গুলোতে আসলে কী হয় ? তাকেঁ আমাদের অফিসের কাজের সাথে সাথে আরও কয়েকটি অফিসের কাজের কথা বললাম।তিনি বললেন, ‘জানতামই না তোমরা এত কাজ কর। এসব অন্যদেরও জানা দরকার।’ তাঁর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের কয়েকটি কার্যক্রম সম্পর্কে সিসিবির মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই।আজ বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম দিয়ে শুরু করছি। তবে তার আগে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের জন্মদিনের কেকটা দেখুন।
বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমঃ বাংলাদেশের অসহায় ও দুঃস্থ্য বৃদ্ধ/বৃদ্ধাদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান এবং পরিবারে সম্মান বৃদ্ধির জন্য ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই যুগান্তকারী কার্যক্রম শুরু হয়। বয়স্ক ভাতা পাবার জন্য ন্যুনতম বয়স পুরুষদের জন্য ৬৫ বছর এবং মহিলাদের জন্য ৬২ বছর। ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে প্রাথমিক ভাবে ভাতাভোগী বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত তালিকা উপজেলা/পৌরসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়।হিসাব রক্ষণ অফিস হতে তালিকাভুক্তদের নামে ভাতা বহি পাশ হবার পরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় প্রত্যেক ভাতাভোগীর নামে একাউন্ট খুলতে হয়।মাত্র ১০ টাকা দিয়ে খোলা এসব একাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ভাতা পরিশোধ করেন।এসব একাউন্ট হতে কোন প্রকার ভ্যাট, ট্যাক্স, লেভী কর্তন করা হয় না।বাংলাদেশে বর্তমানে ২৪ লক্ষ ৭৫ হাজার বয়স্ক ব্যক্তি ( ১২,৭২,৫৫২ জন পুরুষ এবং ১২,০২,৪৪৮ জন মহিলা ) মাসে ৩০০/-টাকা হারে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।
বয়স্কভাতাভোগীদের বিভাগ্ওয়ারী সংখ্যা নিম্নরুপ-
বয়স্ক ভাতা কার্যক্রমের শুরু খেকে চলতি অর্খ বছর পর্যন্ত বছরভিত্তিক বাজেট নিম্নরুপ
গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষ এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হচ্ছে।একটি দরিদ্র দেশ হওয়া সত্বেও বাংলাদেশ কল্যাণ রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
::salute::
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ রাজীব 😀
তোমার জন্য :teacup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল