অনেকটা ঝোকের মাথায় আগের পর্বটা পোস্ট করে দিয়েছিলাম। খুব একটা চিন্তা ভাবনা না করেই সামনে যা চোখে পড়েছিল তাই নিয়ে কিছু একটা লিখে দিয়েছিলাম। আজ আরেকটা উইকেন্ড শেষ হওয়ার পথে। যথারীতি কিছুই করা হয়নি এই দুইদিনে। শনিবার সারাদিন গিয়েছে ফুটবল খেলা দেখে। মাদ্রিদ ডার্বি তে ১৪ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদের পরাজয়ের ধাক্কা সামলাতেই আমার ঐদিন কেটে যায়। আর আজ লম্বা ঘুম দিয়ে বেলা করে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠেই ভাবলাম, আরো কয়েকটা ছবি নিয়ে আরেকটা ছবিব্লগ দিয়ে দেই না। ব্লগে এখন উর্বর মৌসুম চলছে। নতুন , পুরাতন অনেক মুখের দেখা মিলছে। বেশ ভালোই লাগছে। মনে হলো এটাই উপযুক্ত সময়।
১) আগের পর্ব শেষ করেছিলাম মুড়ি পার্টির একটা ছবি দিয়ে। সংবাদপত্রের উপর মাখানো মুড়ি আর সবাই হাত ভরে মুড়ি নিয়ে খাচ্ছে। কিছুটা ক্ষুধা উদ্রেককারী একটা ছবি। যেখানে শেষ করেছিলাম , আজ সেখান থেকেই শুরু করলাম। মুড়ি পার্টির প্রিপারেশনের একটা ছবি দিলাম। মুড়ি পার্টির পিছনে অনেকে অনেক শ্রম দিতো। পেয়াজ,মরিচ কাটা, তেল লবন সঠিক অনুপাতে মেশানো ইত্যাদি। আগেই বলেছি আমি একজন খাটি ডজার টাইপের ক্যাডেট ছিলাম। তাই এই ধরণের কাজ একটু কৌশলে এড়িয়ে যেতাম। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বন্ধু ইসতিয়াক আর সানি র হাতে ডায়নিং হল থেকে আনা কাঁচা সবুজ মরিচ শোভা পাচ্ছে। মরিচ ও পেয়াজ কাটার জন্য সাধারণত আমরা এন্টি কাটার ব্যবহার করতাম। আর প্লেটের বদলে থাকতো পুরোনো সংবাদ পত্র।
২) ২০০৭ সালের কথা। কলেজ পিকনিক। সাভার ডেইরী ফার্ম। তখন আমরা ক্লাস টেনের শেষদিকে। রক্ত গরম সকলের। নিয়ম নীতি কে সব জায়গায় বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর একটা অভ্যাস সবাই গড়ে তুলেছি বেশ সফলতার সাথে । তো পিকনিক স্পটে ঘন্টা খানেক সময় কাটানোর পর ই বন্ধুরা এই সীদ্ধান্তে উপনীত হলো যে এখানে থেকে সময় অপচয় করার কোনো মানে নেই। জায়গাটা বোরিং , তেমন কিছু করার নেই। ক্লাস সেভেন, এইট রা ফুটবল, ভলিবল খেলছে। তাই এখানে আমাদের ওদের সাথে থেকে মান ইজ্জত খোয়ানোর কোনো মানে নেই। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমরা পিকনিক স্পট ছেড়ে পালাবো ও লাঞ্চের আগেই আবার ফিরে আসবো। যেই ভাবা সেই কাজ। বেশ কয়েকজন মিলে বের হয়ে গেলাম ঐ জায়গা থেকে। আশপাশটা পুরোই গ্রাম। কিছুই করার নেই। তবুও কিছু তো করতে হয়, কারন আমরা ওল্ড ক্লাস টেন। ব্যাগে ২/৩ টা টিশার্ট ছিল। ওগুলো ভাগাভাগি করে পরে নিলাম। টং এর এক দোকান থেকে দুটো গোল্ডলিফ সিগারেট কিনে রোটেশন করে টানতে লাগলাম আর গ্রামের পথ ধরে হাটতে থাকলাম। আর মাঝখানে কোথা থেকে জানি একটা রিক্সা থামিয়ে বন্ধুরা মিলে পোজ দিলাম। নিচের ছবিটা হলো সেই পোজ দেওয়া ছবি।
৩) বছরের শেষের দিকে এথলেটিক্স এর সময়টার জন্য সারাবছর ধরে অপেক্ষা করতাম। সেই সময় সারাদিন ধরে কম্পিটিশন, হাউজের ভিতর ও বাইরে পেইন্টিং আর রাতের বেলা মুভি শো , মোটকথায় জমজমাট একটা সময় যেত। দুপুর বেলা লাঞ্চের পরের সময়টুকু ছিল কিঞ্চিত বিষণ্ন। কারনটা কখনো ভেবে দেখিনি। ক্লাস টুএলভ এর এথলেটিকসে হাউজ ও বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তবুও আনন্দ ফুর্তি ছিলো বন্ধুদের প্রায়োরিটি লিস্টের সবার উপরে। একদিন লাঞ্চের পর হাউজের দিকে ফেরার সময় দেখি ধোপা থেকে লোক এসে লন্ড্রির জন্য ভ্যানে কাপড় তুলে ভ্যান টা রেখে কোথায় যেন গিয়েছে। তো সাথে সাথে একঝাক ইলেভেন, টুএলভ এর ক্যাডেট ঝাপিয়ে চড়ে বসলো ভ্যানে। একজন হয়ে গেল ভ্যান ড্রাইভার। তারপর হাউজের সামনে শুরু হলো লন্ড্রি ভ্যান ট্রিপ। একেক ট্রিপে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাডেট। সেই কোনো এক ট্রিপের মাঝখানেই বোধহয় ছবিটা তোলা হয়েছিল। ছবিতে জোবায়েরকে ভ্যানচালকের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। আর পিছনে লন্ড্রি কাপড়ের উপরে বসে আছে আরো একঝাক পোলাপান। সানি , তারিক,রাশেদ, টিপু ও শাদমান।
৪) এথলেটিক্স প্রসঙ্গ যখন এসেছে , তখন ফাইনাল ডের রাতের পার্টির কথা বাদ দেই কিভাবে। ফাইনাল ডে তে পুরস্কার দেওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যেত তান্ডবলীলা। সেই তান্ডবলীলার প্রথম ভিক্টিম সবসময় ই ছিল হাউজ টেন্ট গুলো। এরপর চলতো ভিক্টরি ল্যাপ। আর যদি ওই সময় হাউজ কম্পিটিশন নিয়ে আন্ত হাউজ তিক্ততা থাকতো তাহলে তো ব্যাপার স্যাপার আরো এক্সট্রিম লেভেলে চলে যেত। সবশেষ করে হাউজে এসে উপরের কমন রুমে চলতো আরেক পার্টি। সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটি ভুলে যেতাম সবাই কিছুক্ষণের জন্য। বালতিতে মাখানো মুড়ি, সেভেন আপের বোতল, স্পিকারে উচ্চস্বরে বাজানো মিউজিক, আর সব ক্যাডেট এর তাল বেতাল ছাড়া উন্মাতাল নাচ। আর এর ফাকে ফাকে চলতো সিনিয়র ধোলাই। মনে আছে জুনিয়র লাইফে সবাই এই দিনের জন্য অপেক্ষা করতো। কাঙ্খিত সিনিয়রটাকে পাকড়াও করে দু এক ঘা দেওয়ার এই একটাই সুযোগ ছিল সারা বছরে। নিচে আমাদের সেই পার্টির কিছু ছবি দিয়ে দিলাম।
৫) অবস্ট্যাকল কোর্স। বছরের শুরুর দিকে হতো। স্পোর্টস এ সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলেও আমি খুব একটা এথলেটিক টাইপের ছিলাম না, তাই এই কম্পিটিশন কে কখনোই আমার ভালো লাগেনি। সত্যি কথা বলতে কি যে কম্পিটিশনে আমি পার্শ্বচরিত্র বনে যেতাম , সেই কম্পিটিশন কে আমি মনে প্রাণে ঘৃণা করতাম। জানিনা সবার এটা হতো কিনা, তবে আমার ক্ষেত্রে এটা সত্য। স্বীকার করতে কোনো কুণ্ঠা নেই। তবুও একাদশ শ্রেনীর সেই কম্পিটিশন টার কথা এখনো মনে করি মাঝে মাঝে। উচ্চতায় খাটো হওয়ার কারনে ৯ ফুট লম্বা এই দেয়ালে উঠা আমার মতো খাটো মানুষের জন্য একটু দুরুহ ব্যাপারই ছিল। যারা পারতো তারা প্রথমে গিয়ে দেয়ালের নিচে গিয়ে দাড়াতো , এরপর আমরা যারা উঠতে পারতাম না তারা ওদের কাধে পা দিয়ে উঠে যেতাম। আর একজন আগেই দেয়ালের উপরে বসে সবাইকে টেনে তুলতো। সবাই কে উঠিয়ে তারপর সেই বন্ধুরা নিজে নিজে দেয়ালে উঠে যেত স্পাইডারম্যানের মতো করে। টিম ওয়ার্কের এরচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কি হতে পারে? কোনো পাঠ্যবই এর নীরস প্রবন্ধ আমাদের এই শিক্ষা দিতে পারবেনা। এ শুধু ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব।
৬) এথলেটিক্স এর সময় চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে হাউজের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন নতুন ও পুরোনো আল্পনা ও ছবিতে রং করা হতো। আমাদের হাউজ প্রতীক ছিল ঈগল। হাউজের সামনে বড় একটা ঈগলের ছবি আকা ছিল। প্রতিবছর বছরের শেষ দিকে সেই ঈগল টাকে রং করা হতো। দুটো ছবি পেলাম সেটার, তাই দিয়ে দিলাম নিচে।
রঙ করার সময়:
রঙ করার পর :
৭) এর আগের পর্বে টিভি রুমে চুরি করে খেলা দেখার কিছু কাহিনী বলেছি। টিভি দেখার একটা ছবিও দিয়েছিলাম। আজ একটু পেছনের ঘটনায় যাই। আমরা যখন ক্লাস টুএলভ এ তখন হাউজের সব তালা একবার কোনো এক কারনে পরিবর্তন করা হয়। তখন খেলা দেখার একমাত্র উপায় ছিল তালা কেটে ভেতরে ঢোকা। সবশেষে ডিসিসন নেওয়া হলো যে , আমরা তালা কেটেই ভেতরে ঢুকবো। পৃথিবী উল্টে যেতে পারে, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লীগের খেলা মিস দেওয়া সম্ভব না। কোথা থেকে একটা তালা কাটার হেক্সো যোগাড় করা হলো। বাসা থেকে একটা নীল রঙের চার্জার নিয়ে গিয়েছিলাম রাতে পড়াশুনা করার জন্য। যতদূর মনে পরে , সেটার একমাত্র ব্যবহার হয়েছিল এই তালা কাটা মিশনেই। বেশ কয়েকটা ছবি আছে। দিয়ে দিলাম নিচে।
শুরু হলো তালা কাটার প্রাথমিক মিশন:
কাজ চলছে পুরোদমে। বেশ পরিশ্রমের কাজ। ৫ মিনিট করে করে ঘষা হতো আর হেক্সো হাতবদল করা হতো।
অনেক ঘষাঘষি ও পরিশ্রমের পর অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ! পরাজয় মেনে নিলো তালা। জয় হলো আমাদের ফুটবল খেলা দেখার অদম্য ইচ্ছার। ছবিতে হাতিয়ার হেক্সো , আমার সেই কিউট নীল রঙের চার্জার আর পরাজিত তালা কে দেখা যাচ্ছে।
আর ছবি দিবো না আজ। কাল সকাল থেকে আবার সাপ্তাহিক কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে যাচ্ছে। পরশু সুইমিং ক্লাসে ১০ মিটার উপর থেকে জাম্প দিতে হবে। খানিকটা উচ্চতাভীতি আছে, তাই সেটা নিয়ে এখন থেকেই নার্ভাস। ঘুমিয়ে রিচার্জ হওয়া দরকার। আর বন্ধু জোবায়ের ও শাদমান কে অনেক ধন্যবাদ। সব ছবি ই ওদের ক্যামেরায় তোলা। লেখা শুরু করার আগেই ওদের একাউন্টে হামলা করে ছবিগুলো নিয়ে নিয়েছি। কলেজে থাকাকালীন সময়ে আমার কোনো ডিজিটাল ক্যামেরা ছিল না। তাই ছবি খুজতে হলে বন্ধুদের একাউন্টেই ঝাপিয়ে পড়ি ।আর লেখাটা এখন আর ফাকিবাজী লেভেলে নেই। তবুও নাম যখন একবার দিয়ে দিয়েছি তাই ভাবলাম ফাকিবাজী নামই সই। এটা আর বদলাবো না। সবাইকে শুভ রাত্রি/সকাল/ দুপুর/ বিকাল ( যে যে টাইম জোনে আছেন সেই অনুযায়ী তৌফা কবুল করেন)
🙂 :clap: :clap: :clap:
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। আমরা কলেজে (মকক) ছিলাম ১৯৯৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এবং একই হাউস - সহা। তোমার লেখা প্রত্যেকটি ঘটনা যেন আমাদের জীবন থেকে নেয়া।
আমরাও হাউস চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। অনেক রাতে লাইটস আউট এর পরে জানালায় কম্বল টানিয়ে পার্টি করা ছিল এক অসাধারণ সময়।
ঈগলটা আমরা প্রথম হাউস প্রতীক হিসেবে বেছে নিই। এর আগে সহার কোন প্রতীক ছিলনা। আমাদের ব্যাচের জুয়েল প্রথম ছবিটা আঁকে। আমরা চাঁদা দিয়ে কালিয়াকৈর থেকে রং কিনে এনেছিলাম।
আমাদের ব্যাচে একজন তালা বিশারদ ছিল। তার কল্যাণে প্রত্যেকটা তালা যেকোন চাবি দিয়ে খোলা যেত। কলেজ থেকে আসার আগে হাউসকে নতুন ৫টা তালা দিয়ে আসতে হয়েছিল বেয়ারার মুখ বন্ধ করার জন্য।
তোমাকের অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুখ স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আশরাফ ভাই ! আপনাদের ব্যাচ থেকেই হাউজ প্রতীক বেছে নেওয়ার ব্যাপারটা জানা ছিল না.. আচ্ছা ওই সময় কি তিন হাউজ ই তাদের নিজেদের জন্য হাউজ প্রতীক বেছে নেয় ? নাকি শুধু আমাদের হাউজ?
নাফিস, অন্য দুই হাউজের নিজেদের প্রতীক ছিল। আমাদের কেন কোন প্রতীক ছিলনা সেইটা আমারও প্রশ্ন।
৯ ফিট ওয়াল কবে থেকে আসলো? আমাদের সময় ওইটা ৬ ফিট ছিল। 😀
নিশ্চই কোন অতিরিক্ত বুদ্ধিওয়ালা (!) এডজুট্যান্ট এর আবিস্কার।
তোমার লেখার হাত ভাল, চালায় যাও।
ভাল হইছে রে।
:teacup: খা......
সিসিবিতে তো আর কিছু খাইতে দেয়া যায় না... কি আর করা।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
চা গ্রহণ করলাম ! 🙂
কপাল ভাল ৯ ফিট দেয়াল পাই নাই আমরা! ইজ্জতের হরিলুট হইতো! 😕 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সহজ ছিল.. একজন আরেকজনের কাধে পা রেখে উঠে যেতাম। ভালোই লাগতো ! পারতেন শিউর ! 🙂
অবস্টেকল আর গ্রামান্তর দৌড় আমার জন্য বিভীষিকা! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সিনিয়র গ্রুপের ক্রস কান্ট্রি ! ঝোল বের হয়ে গিয়েছিল একেবারে 🙁
আমি তো সিনিয়ার গ্রুপের শেষে আইসা পইড়া গেলাম টেন্টের সামনে্। এ্যাজমা এ্যাটাক। মোটামুটি গেসিলাম গিয়া। পোলাপান কইসিল মেডিক্যাল অফিসার স্যাররে সেইদিনের আগ পর্যন্ত কোনদিন এত টেন্সড হইতে দেখে নাই। ভয় পাইসিলো। পরে ভিপি বিশ্বাস স্যার প্রাইজ গিভিং সেরেমোনিতে আমার হাউজের প্রতি আনুগত্যের প্রশংসা করলেন। "নিজের শারিরীক অবস্থার তোয়াক্কা না করে এভাবে নিজের সর্বোচ্চ টুকু ঢেলে দেয়ায় মোকাব্বির নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।" :shy: 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আপনারে তো এক্কেবারে হিরো বানাইয়া দিছিলো 😀
১০ নং ছবি'র হাত টা চেনা চেনা লাগে।।। 😛 ।। :))
নিজের হাত চিনবি না মানে ? 😛
জীবনে প্রথম কারো ফাঁকিবাজি প্রমোট করছি... 😛
এই রকম পোস্ট আরো চাই... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আরো দেবো সময় সুযোগ করে.. 😛 আমি নিজে লিখেও মজা পেয়েছি !
খুবি ভাল্লাগতেসে নাফিস। তোমার কলুয়াণে কালকে রাত জেগে বসে বসে অনেক পুরনো লেখা রিভাইস দিলাম। আশরাফ ভাইয়ের কথা কোট করিঃ
অবস্ট্যাকলেরটা ছাড়া প্রতিটা ঘটনা খুব চেনা। কোন না কোন ভাবে কোন না কোন সময় এই ছবিগুলো আমাদেরও আছে। এই ভ্যান, তালা খোলা, মুড়ি, সিনিয়র ধোলাই... আহহ কি সব দিন। ভাল্লাগতেছে। 🙂
তোমার লেখাও খুব চমৎকার। ফাঁকিবাজী পোস্ট আরও চাই। 😀
বিগলিত হইয়া গেলাম আপু ! 😀 ধন্যবাদ! ফাঁকিবাজী পোস্ট আরো দিব সামনে ! উত্সাহ পাচ্ছি।
আমাদের সময়ে তো ডিজিটাল ক্যামেরা ছিলোনা। সেসব দিনের কিছু কিছু ছবি ওঠানো হলেও আজ হাতের কাছে একটিও নেই।
তোমার এই ছবি, গল্প সঅব একই রকম আছে -- নিজের সময়ের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছি। এতবছর পরেও ফিরে ফিরে আসছে -- তোমার লেখা/ছবি ফিরিয়ে আনছে।
হাজার বছর ধরে ! 🙂
স্মৃতি শেয়ার করার অভিনব উপায়! তালা কাটার ছবিগুলো এক কথায় অসাধারণ। কপিরাইট আইনে যদি মামলা না করেন তাহলে আপনার আইডিয়াটা ব্যবহার করতে পারি।
সিউর ! গো এহেড।
ধন্যবাদ ভাই। সামনে আরো ফাঁকিবাজীর অপেক্ষায় রইলাম।
হাউস প্রতীক ঠিক করা হইলো; বুঝলাম না।
আমাদের হাউস কালার আর প্রতীক তো কলেজ প্রতিষ্ঠার সময়ই ঠিক কড়া হইছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ