আহসান ভাই ও আমার প্রথম ব্লগ

সিসিবি তে এটাই আমার প্রথম লেখা। প্রায় নিয়মিত ব্লগগুলো দেখা হলেও সাধারণত কি লিখব কি লিখব করে লিখা হয় না।আজ আপাতত ১ টা ঘটনা দিয়েই শুরু করি।

**তখন ক্লাস এইটের শেষ টার্ম। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সোহরাওয়ার্দী হাইজের ১১ নং রুমে থাকি। রুমে সাৱির ভাই,মুশফিক ভাই এর কল্যাণে গিটার ও ড্রামস শেখার হাতেখরি। রাতদিন (দুখিঃত..কোয়াইট আওয়ার,গেমসের পর,রাতে থার্ড প্রেপের পর..) চলত আমার মিউজিসিয়ান হওয়ার অক্লান্ত সাধনা।

বিস্তারিত»

আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

কলিকালের দিনলিপি

আমার এই মুহুর্তে এই ব্লগটা লেখার কথা ছিলোনা। লিখতে চেয়েছিলাম খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে। যে আমার উষ্ণ অনুভূতিগুলোর খুব কাছাকাছি থাকে সবসময়। কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি আমি তাকে কতটা ভালবাসি। কিন্তু তা’ আর হলো কই। আমার সব ব্যাপার কিংবা ভাবনাগুলোই অনেকটা এরকম। প্রথমে ভাবি এক কিন্তু পরে হয়ে যায় অন্য কিছু। অনেকটা সিসিবির অনেক পোস্টের মত। হয়তো লেখা হয় সিরিয়াস কিছু ভেবে আর শেষ হয় মাস্ফু ভাইয়ের “আমিও কেক খাপো”তে গিয়ে।

বিস্তারিত»

আচার ০১০: পরবাসীর রোজনামচা

গত বছর সেইন্ট জন’স-এ বরফ পড়া শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। আমার প্রথম শীত ছিল সেটা কানাডায়, আর প্রথম বরফ দেখা তো বটেই। বরফ পড়া তিন রকম দেখেছি- ফ্লারিজ, ব্লিজার্ড আর ফ্রোজেন রেইন। ফ্লারিজ হলো সবচেয়ে স্বপ্নীল তুষারপাত, আকাশ থেকে পেঁজা তুলার মতো বরফ পড়ে। দেখতে ভালোই লাগে। তাপমাত্রাও থাকে সহনশীল পর্যায়ে, শূন্যের দু’এক ডিগ্রী নিচে। বরফ পড়ার এই দৃশ্যটা মাথায় ছিল আগে থেকেই। বাসায় পুরোনো বইয়ের গাদা থেকে একটা বই পেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»

উচ্চতা বিভ্রাট

কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই,

বিস্তারিত»

একটি সিরিয়াস পোষ্ট দেবার এখনি সময়

আমার নিজের লিখা ব্লগের ঝুলিতে সিরিয়াস টাইপ পোষ্টের বড় অভাব। খুব সিরিয়াস একটা বিষয় নিয়ে লিখব লিখব করেও লিখা হচ্ছে না। ‘এখন যৌবন যার, একটা সিরিয়াস পোষ্ট দেবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ … যৌবন পার হবার আগেই তাই …

ঋণী হবার গল্প …
২০০৪ সালের জানুয়ারি। বাস্কেটবল খেলতে গিয়ে এ্যাঙ্কেল টুইস্ট করে আমি হাসপাতালে ভর্তি। ভিজিটিং আওয়ারে, শুভাকাঙ্খীদের দেখে খুব ভাল লাগে। এমনি একদিন,

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা

গলায় ঝুলে থাকা গামছাটাকে কষে মাথায় বেঁধে ক্ষেতের আলের উপর বসে পড়েন আজিজ মিয়া। হাত বাড়িয়ে মাটিতে পড়ে থাকা হুক্কাটাকে তুলে সুড়ুক সুড়ুক করে টান দেন তিনি। এক গাল ধোঁয়া ছেড়ে ক্ষেতে হাল ধরে থাকা ছেলে রহমানের দিকে তাকিয়ে হাঁক দেন।

“চোখ কান খুইলা রাখিস রে রহমান, ওরা যে কোন সময় আয়া পড়তে পারে।”

ছেলেটার দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ কোমল হয়ে আসে তার।

বিস্তারিত»

আচার ০০৯: গ্যালাহাডের পুনরুত্থান

আই ইউ টির সেকেন্ড ইয়ারে মনে হয় প্রথম কম্পিউটার কিনি। উদ্দেশ্য ছিল শুধুই গেম খেলা। গেম খেইলা খেইলা কত দিবস রজনী পার কইরা দিছি তার ইয়ত্তা নাই। ক্লাসও ফাঁকি মারতাম প্রায়ই। গেমের স্বপ্নীল জগতটাতে হারিয়ে যেতে যে কি ভালো লাগত। আর আমার গেম খেলার মেশিনটাকে আদর কইরা নাম দিছিলাম গ্যালাহাড। এই বিতিগিচ্ছিরি নামটার আদি মালিক ছিলেন কিং আর্থারের রাউন্ড টেবিলের একজন নাইট। স্যার ল্যান্সেলটের জারজ সন্তান।

বিস্তারিত»

আচার ০০৮ : পরবাসীর রোজনামচা

কিংকু মেইল দিয়েছিল কয়েকদিন আগে একটা। তার পরিচিত এক ইন্ডিয়ান মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার আছেন যিনি কিনা আমার ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছেন। তার পরিচিত কেউ সেইন্ট জন’স – এ নাই, তাই আমি যেন তার সাথে দেখা করে এখানকার কমিউনিটির লোকজনের সাথে আলাপ করিয়ে দেই। একজনের উপকারে আসা যাবে ভেবে আমিই তাকে ইমেইল দিলাম। ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে দেখা করলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাফেতে বসে কফির চুমুকে চুমুকে অনেক কথা হলো।

বিস্তারিত»

মুক্তিযুদ্ধ আমার অজ্ঞানতা

অনেকদিন ধরে লেখা পরেই যাচ্ছি, কিছু লেখা আর হচ্ছেনা । আলসেমি কাজের চাপ বলতে গেলে কেন যেন হয়ে উঠছিলনা । আজকে মাস্ফুর পোস্টটা পরে কিছু লিখতে ইচ্ছ করছে । মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধ , বংগবন্ধু , জিয়া ,আওয়ামী লীগ, বি এন পি, রাজাকার, এরশাদ সবকিছু নিয়ে কম বানিজ্য হ্য়নি । মুক্তিযুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার এবং আরো অনেকেরই সম্যক ধারনা নেই ।

বিস্তারিত»

ভগি জগি পোষ্ট …

১। কত জায়গায় কত আড্ডা দিলাম, কিন্তু একাডেমিক ব্লকের টয়লেটের আড্ডার স্বাদ আর পেলাম কই। টয়লেটের ভেতরের লাইট বন্ধ করে দিয়ে সুইচ গুলির ‘জয়স্টিক’ ভেঙ্গে এমন করে রাখতাম যে শক্ত, সূক্ষ্য কিছু দিয়ে অনেকক্ষণ খোঁচাখুঁচি না করে লাইট জ্বালানো ছিল অসম্ভব। সেকেন্ড প্রেপ চলছে, আমরা ছয় জন টয়লেটে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ ভিপি জি,সি, বড়ুয়া’র আগমন। উনি উনার স্থূল আঙ্গুলের সাহায্যে লাইট জ্বালাবার অনেক চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়ে হুঙ্কার দিলেন,

বিস্তারিত»

সুগন্ধির খোঁজে…

দরজাটা খুলে বাইরে বেরুতেই ঠান্ডায় হি হি করে উঠল রনি। এখনো নভেম্বর মাস শেষ হয়নি, জাঁকানো শীত পড়ে গেছে এর মধ্যে। আজ অনলাইনে পত্রিকা পড়তে গিয়ে হালকা মেজাজ খারাপ হয়ছে, ৩৫ সেমি তুষার নিয়ে মৌসুমের প্রথম ঝড় আসলো বলে। জ্যাকেটের কলার উপরে তুলে দিয়ে তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করল ও স্টুডেন্টস’ রেসিডেন্টের দিকে। হাঁটার সময় এই এক অভ্যাস রনির, দুনিয়ার হাবিজাবি জিনিস নিয়ে আকাশ পাতাল চিন্তা করা চাই।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন(শেষ পর্ব)

[পর্ব-১] [পর্ব-২]
ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর আলাদা হয়নি আমরা একেবারে। বের হয়ে ঢুকে পড়লাম বুয়েট কোচিং এ।কেউ গেল মেডিকেল কোচিং কেউ আই বি এ আবার কেউ বা আর্মি।তাতে কী?সবার কোচিং সেন্টারই ছিলো ফার্মগেট।ফল দাড়াতো এই আমরা কোচিং করতাম এগারোটা পর্যন্ত তারপর সারাদিন আড্ডা মারতাম ডিব্বা নামক এক জায়গায়।সেটা অবশ্য কোচিং করতে আসা সকল ছেলেরাই চিনতো।সেই দিন গুলো কেটে যেত বৈচিত্র‌হীন অথচ আনন্দময়।প্রতিদিন শেষেই মনে হত যেন এমনভাবে দিন কেটে যেত অনেকদিন -অসীম সময়।

বিস্তারিত»

আচার০০৭ : অবিবাহিতের অভিজাত পেটপূজা

২০০৬ সালের অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের শুরু। বাংলাদেশে তখন ক্ষমতার মসনদ নিয়ে দুই দলের শকুন শেয়ালের টানাটানি চলছে। কোরবানী ঈদের পরপরই আমার বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকা আসতে হলো। ঢাকায় তখন থাকি নিকুঞ্জে, ব্যাচেলারদের মেস বাসায়। বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যান, আমরা খাই। ঈদের ছুটিতে সবাই যে বাড়ি গিয়েছিল, ফেরেনি তখনো কেউ, বুয়াও ফেরেননি। আমি একলাই ফিরে আসলাম এবং মাইঙ্কা চিপায় ধরা খেলাম। ঢাকার ভেতরের দিকে তখন চরম গন্ডগোল,

বিস্তারিত»

আচার০০৬ : বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার

ব্লগ বলতে আমি শুধু বুঝতাম টেকি ব্লগ, টেকনোলজিক্যাল কোন সমস্যায় পড়লে যেখানে সমাধান পাওয়া যায়। বাংলা ব্লগিং কি জিনিস জানতামই না। বাংলা ব্লগিং-এর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কানাডায় আসার পর। এক বন্ধু ফেসবুকে একটা লিংক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের আরেক বন্ধু যে ব্লগ লিখে তা জানি কিনা। সত্যি বলতে কি ব্লগিং শব্দটার মানেই তখন আমার কাছে পরিস্কার ছিল না। যাহোক লিংক ধরে চলে গেলাম সেই বন্ধুর ব্লগে,

বিস্তারিত»