আওয়ামী সরকারের যে সব বিষয় বোঝা উচিৎ

সিসিবি তে এটা আমার প্রথম লেখা। যদিও আমার প্রথম লেখা হওয়ার কথা ছিল লিন্ডাও সম্মেলনের ওপর, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার মনে হল এই রকম একটা লেখা দেয়া দরকার।
আমি প্রথমেই বলে নিতে চাই যে আমি কোন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নই, আমি পদার্থবিদ্যার একজন সামান্য ছাত্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক সমীকরণ আইন্সটাইনের ফিল্ড ইকুয়েশন এর চেয়ে কোন অংশে কম জটিল না, ক্ষেত্রবিশেষে আরো জটিল। ফিল্ড ইকুয়েশন সমাধান এর কিছু অভিজ্ঞতা আমার থাকলেও দেশের রাজনীতি নিয়ে কোন লেখা আমি আগে কখনো লেখিনি,

বিস্তারিত»

আমি খুব ভয় পাই

সানা ভাই,তৌফিক ভাই ও মান্নান ভাইয়ের বিদগ্ধ জ্ঞানপ্রসূত আলোচনার পর আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কজাত চিন্তা-ভাবনা এইখানে সবার সাথে শেয়ার করতে বুকটা ঢিব ঢিব করছে।

তার চেয়েও বেশি ভয় পাইছি এবারের নির্বাচনের ফলাফল দেখে। বাঙালী বরই আজিব জাতি! আমি নীতিগত ভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার দলকে সাপোর্ট করি, এবং অবশ্যই হুজুগে নয়। এই ফলাফলে আমার খুব বেশি খুশি হবার কথা।কিন্তু কেন যেন খুশি হতে পারছি না।

বিস্তারিত»

রাজাকারদের বিচারঃ জিজ্ঞাসা ও আশংকা

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেই। আমি এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ নই। তার উপর যে বিষয়ের উপর লিখব, তার জন্য যতোটুকু গবেষণা আর সময় দেয়া প্রয়োজন তাও দেইনি। তবু লিখছি। কারণ, যারা এ ব্যাপারে ভালো জানেন, আশা রাখি, তারা কমেন্টের মাধ্যমে মূল্যবান মতামত দেবেন। আর আমার মতো নাদানেরা শিখতে পারবে। ব্লগ বলার চেয়ে বরং এটাকে থ্রেড ইনিসিয়েশন বলাই ভালো হবে। গৌরচন্দ্রিকার পাট এখানেই শেষ করি, আসুন চলে যাই মূল বিষয়ে।

বিস্তারিত»

একটা ইয়াতো বড় কাহিনী……

আমি তখন ক্যাডেট কলেজে মাত্র আসছি ক্লাস সেভেনে, একদম প্রথম সপ্তাহর কথা। লাঞ্চের একটু পরে পরে কমন রুমের দিকে যাচ্ছিলাম। কে জানি ধোপার কাপড় নিয়ে আসতে বলছিল……। হাউজলীডারের রুমটা ক্রস করে কমনরুমে ঢোকার আগেই তৎকালীন ২৮তম ব্যাচের ডাইনিং হল প্রিফেক্ট আমাদের হাউজের জুলফিকার ভাইয়ের একদম মুখোমুখি পরে গেলাম! উনার সাথে আগে কখনো কথা হয় নাই, সাথে সাথে পাকড়াও করলেন আমাকে……

নাম কী?

বিস্তারিত»

আহসান ভাই রিটার্নস

ভাই,কেউ বলতে পারবেন কি,ব্যাঙের শুক্রাণু আর সাপ এর ডিম্বাণু মিলে যে জীব সৃষ্টি হবে তা কেমন হবে?!? :dreamy:

সেই কাহিনী আজ শুনুন তাইলে……

আমি তখন ক্লাস এইটে।সবেমাএ জীববিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় বুঝতেছি,আর কিছু বিষয় মাথার মধ্যে ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর বেশি তাপমাত্রায় ফুটতো।(বি:দ্র: আমার মাথার গলনাঙ্ক কক্ষ তাপমাত্রার একটু বেশি!)।এর প্রমাণ আমি আমার বালিশ ও হাউজের বাথরুমে পেয়েছি।পাঠকগণ,কথাটাকে প্লিজ অন্যভাবে নেবেন না।মাথার চুল যে হারে উঠছিল,তাতে ঘুম থেকে উঠেই আগে বালিশ ঝাড়তে হত;আর বাথরুমে গোছলের সময় পানি যেন না আটকায় তার ব্যাবস্থা করতে হত।তবে এটুকু ঠিকই বুঝতাম,হাওয়া থেইকা ক্যামনে একটা জ্বলজ্যান্ত প্রাণী(মানুষ,বিড়াল,কুকুর,…প্রমুখ) এই সুজলা সুফলা ধরণীতে আগমণ করে।আর রিসেন্টলি সুকুমার রায়ের হাইব্রিড নামগুলার(বকচ্ছপ,সিংহরিণ…)সংস্পর্শে এসে কোনভাবেই একটা ইকুয়েশন মিলাইতে পারছিলাম না।ব্যাঙের শুক্রাণু আর সাপ এর ডিম্বাণু মিললে কি হবে?ক্লাসমেট প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসা করছি,কিন্তু কারো ‘লিমিটেড ব্যাঙ্ক একাউন্ট’এ আমার এই সহজ সরল চেকটা ভাঙ্গাইতে পারি নাই।অগত্যা,আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাই,আমার জন্ম জন্মান্তরের শুভাকাঙ্খী,আমার সব প্রশ্নের উত্তর জানা একমাএ ‘ওরাকল’,আহসান ভাইয়ের(৩৫তম ইনটেক,মকক) সরণাপন্ন হলাম।তিনি ডাইনিংয়ে আমার বাম পাশে বসেতন।একদিন ডিনারে সবাইকে ডিমের কারি দিছে।কারি বলতে,ঠান্ডা পানির সাথে বিশ্বের তাবৎ মশলার সংমিশ্রণে যে অদ্ভুত যৌগ তৈরী হয়,তা।ডিমটা ফুল সিদ্ধ,গরম তেলে একটু ভাজা।সবার সামনে প্লেট আর প্লেটের বামপাশে হাফপ্লেটে কারি থাকতো।ভেজিটেবল দিয়ে খাওয়া শেষ করে,যেইনা কাটা চামচের মাথা দিয়ে ডিমটা হাফ প্লেট থেকে ফুল প্লেটে ট্রান্সফারের উদ্যোগ নিয়েছি,রাস্তার মধ্যে কোন এক দুর্নিবার আকর্ষণে ডিমটা নিউটনের সূত্যের প্রমাণ স্বরূপ হাফপ্লেটের বুকে যেয়ে পরল।কোন যুবতী মেয়ে আমার বুকে ২০০ কিমি স্পিডে ধাক্কা খাইলেও এতটা ‘ইয়ে’

বিস্তারিত»

ওমের্তা

ইতালির সিসিলির মাফিয়াদের নিয়ে অনেক গল্প-উপন্যাস, চলচ্চিত্র হয়েছে। তবে মাফিয়া সাহিত্যের সবচেয়ে বড় শিল্পী আমার মতে মারিও পুজো। আমেরিকায় অভিবাসী ইতালীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের ছেলে তিনি। লিখেছেন উপন্যাস ও চিত্রনাট্য। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হলো ” দ্য গডফাদার”, সেবা প্রকাশনীর কল্যাণে এর অনুবাদ অনেকেই হয়তো পড়েছেন। তাঁর সেরা চিত্রনাট্য এই উপন্যাসেরই চিত্ররূপ, ফ্রান্সিস ফোর্ড কাপোলা পরিচালিত অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র “দ্য গডফাদার”। অনেকেই এই চলচ্চিত্রটিকে এ যাবৎকালের সেরা চলচ্চিত্র বলে গণ্য করে থাকেন।

বিস্তারিত»

রাজাকারদের না বলুন

কথা নয় আজিকার
দেশে যত রাজাকার
ভোটে, জোটে আছে দল পাঁকিয়ে
আমি, তুমি, তাহারা
ভাই,বোন, মা হারা
দেখবো তা’ শুধু শুধু তাকিয়ে?

বিস্তারিত»

সাইফুল স্যার ও আমার ২য় পোস্ট

সিসিবি তে এটা আমার ২য় লেখা। প্রথম ব্লগ এর অসাধারণ(!) সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজকের লেখার জন্ম। আজও আপাতত ১ টা ঘটনা দিচ্ছি।

**ক্লাস টেন এ তখন। ১৪ নং রুমে থাকি। করিডোর এর সাইডে জানালার পাশেই আমার বেড। গেমস এর পর এসেই ড্রেস চেঞ্জ না করেই সদ্য পাওয়া মাসুদ রানা সিরিজের “নীল ছবি” নিয়ে বসলাম। করিডোর দিয়ে যাচ্ছিলেন হাউজ ডিউটি মাস্টার সাইফুল ইসলাম(ইতিহাস) স্যার।তিনি আমার পড়ালেখা সম্পর্কে ভালই খোঁজ খবর রাখতেন!হঠাৎ কোন পূর্বাভাস ছাড়া রুমে ঢুকেই বললেন,”জাবীর,তুমি তো এত পড়ালেখা সচরাচর করো না!”

বিস্তারিত»

আহসান ভাই ও আমার প্রথম ব্লগ

সিসিবি তে এটাই আমার প্রথম লেখা। প্রায় নিয়মিত ব্লগগুলো দেখা হলেও সাধারণত কি লিখব কি লিখব করে লিখা হয় না।আজ আপাতত ১ টা ঘটনা দিয়েই শুরু করি।

**তখন ক্লাস এইটের শেষ টার্ম। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সোহরাওয়ার্দী হাইজের ১১ নং রুমে থাকি। রুমে সাৱির ভাই,মুশফিক ভাই এর কল্যাণে গিটার ও ড্রামস শেখার হাতেখরি। রাতদিন (দুখিঃত..কোয়াইট আওয়ার,গেমসের পর,রাতে থার্ড প্রেপের পর..) চলত আমার মিউজিসিয়ান হওয়ার অক্লান্ত সাধনা।

বিস্তারিত»

আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না

২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।

বিস্তারিত»

কলিকালের দিনলিপি

আমার এই মুহুর্তে এই ব্লগটা লেখার কথা ছিলোনা। লিখতে চেয়েছিলাম খুব প্রিয় একজন বন্ধুকে নিয়ে। যে আমার উষ্ণ অনুভূতিগুলোর খুব কাছাকাছি থাকে সবসময়। কিন্তু কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি আমি তাকে কতটা ভালবাসি। কিন্তু তা’ আর হলো কই। আমার সব ব্যাপার কিংবা ভাবনাগুলোই অনেকটা এরকম। প্রথমে ভাবি এক কিন্তু পরে হয়ে যায় অন্য কিছু। অনেকটা সিসিবির অনেক পোস্টের মত। হয়তো লেখা হয় সিরিয়াস কিছু ভেবে আর শেষ হয় মাস্ফু ভাইয়ের “আমিও কেক খাপো”তে গিয়ে।

বিস্তারিত»

আচার ০১০: পরবাসীর রোজনামচা

গত বছর সেইন্ট জন’স-এ বরফ পড়া শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। আমার প্রথম শীত ছিল সেটা কানাডায়, আর প্রথম বরফ দেখা তো বটেই। বরফ পড়া তিন রকম দেখেছি- ফ্লারিজ, ব্লিজার্ড আর ফ্রোজেন রেইন। ফ্লারিজ হলো সবচেয়ে স্বপ্নীল তুষারপাত, আকাশ থেকে পেঁজা তুলার মতো বরফ পড়ে। দেখতে ভালোই লাগে। তাপমাত্রাও থাকে সহনশীল পর্যায়ে, শূন্যের দু’এক ডিগ্রী নিচে। বরফ পড়ার এই দৃশ্যটা মাথায় ছিল আগে থেকেই। বাসায় পুরোনো বইয়ের গাদা থেকে একটা বই পেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»

উচ্চতা বিভ্রাট

কলেজে যখন যাই তখন আমার উচ্চতা ছিল সাকুল্যে চার ফুট সাড়ে দশ ইঞ্চি। অন্য কলেজে গাইড বলে, আমাদের বলে স্কড। আমার স্কড ছিলেন রেদোয়ান ভাই। তিনি প্রথম দিন নূর বকস ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, নূর বকস ভাই তো বলেই ফেললেন, এতো খাটো কেনো? রেদোয়ান ভাই আমাকে একটু আড়াল দেবার চেষ্টা করে বললেন, পিটি প্যারেড করলে লম্বা হয়ে যাবে। রেদোয়ান ভাই মনে হয় কথাটা বলেছিলেন বদান্যতা করেই,

বিস্তারিত»

একটি সিরিয়াস পোষ্ট দেবার এখনি সময়

আমার নিজের লিখা ব্লগের ঝুলিতে সিরিয়াস টাইপ পোষ্টের বড় অভাব। খুব সিরিয়াস একটা বিষয় নিয়ে লিখব লিখব করেও লিখা হচ্ছে না। ‘এখন যৌবন যার, একটা সিরিয়াস পোষ্ট দেবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ … যৌবন পার হবার আগেই তাই …

ঋণী হবার গল্প …
২০০৪ সালের জানুয়ারি। বাস্কেটবল খেলতে গিয়ে এ্যাঙ্কেল টুইস্ট করে আমি হাসপাতালে ভর্তি। ভিজিটিং আওয়ারে, শুভাকাঙ্খীদের দেখে খুব ভাল লাগে। এমনি একদিন,

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা

গলায় ঝুলে থাকা গামছাটাকে কষে মাথায় বেঁধে ক্ষেতের আলের উপর বসে পড়েন আজিজ মিয়া। হাত বাড়িয়ে মাটিতে পড়ে থাকা হুক্কাটাকে তুলে সুড়ুক সুড়ুক করে টান দেন তিনি। এক গাল ধোঁয়া ছেড়ে ক্ষেতে হাল ধরে থাকা ছেলে রহমানের দিকে তাকিয়ে হাঁক দেন।

“চোখ কান খুইলা রাখিস রে রহমান, ওরা যে কোন সময় আয়া পড়তে পারে।”

ছেলেটার দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ কোমল হয়ে আসে তার।

বিস্তারিত»