দরজাটা খুলে বাইরে বেরুতেই ঠান্ডায় হি হি করে উঠল রনি। এখনো নভেম্বর মাস শেষ হয়নি, জাঁকানো শীত পড়ে গেছে এর মধ্যে। আজ অনলাইনে পত্রিকা পড়তে গিয়ে হালকা মেজাজ খারাপ হয়ছে, ৩৫ সেমি তুষার নিয়ে মৌসুমের প্রথম ঝড় আসলো বলে। জ্যাকেটের কলার উপরে তুলে দিয়ে তাড়াতাড়ি হাঁটা শুরু করল ও স্টুডেন্টস’ রেসিডেন্টের দিকে। হাঁটার সময় এই এক অভ্যাস রনির, দুনিয়ার হাবিজাবি জিনিস নিয়ে আকাশ পাতাল চিন্তা করা চাই।
বিস্তারিত»ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন(শেষ পর্ব)
[পর্ব-১] [পর্ব-২]
ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পর আলাদা হয়নি আমরা একেবারে। বের হয়ে ঢুকে পড়লাম বুয়েট কোচিং এ।কেউ গেল মেডিকেল কোচিং কেউ আই বি এ আবার কেউ বা আর্মি।তাতে কী?সবার কোচিং সেন্টারই ছিলো ফার্মগেট।ফল দাড়াতো এই আমরা কোচিং করতাম এগারোটা পর্যন্ত তারপর সারাদিন আড্ডা মারতাম ডিব্বা নামক এক জায়গায়।সেটা অবশ্য কোচিং করতে আসা সকল ছেলেরাই চিনতো।সেই দিন গুলো কেটে যেত বৈচিত্রহীন অথচ আনন্দময়।প্রতিদিন শেষেই মনে হত যেন এমনভাবে দিন কেটে যেত অনেকদিন -অসীম সময়।
আচার০০৭ : অবিবাহিতের অভিজাত পেটপূজা
২০০৬ সালের অক্টোবরের শেষ অথবা নভেম্বরের শুরু। বাংলাদেশে তখন ক্ষমতার মসনদ নিয়ে দুই দলের শকুন শেয়ালের টানাটানি চলছে। কোরবানী ঈদের পরপরই আমার বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকা আসতে হলো। ঢাকায় তখন থাকি নিকুঞ্জে, ব্যাচেলারদের মেস বাসায়। বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যান, আমরা খাই। ঈদের ছুটিতে সবাই যে বাড়ি গিয়েছিল, ফেরেনি তখনো কেউ, বুয়াও ফেরেননি। আমি একলাই ফিরে আসলাম এবং মাইঙ্কা চিপায় ধরা খেলাম। ঢাকার ভেতরের দিকে তখন চরম গন্ডগোল,
বিস্তারিত»আচার০০৬ : বাংলা ব্লগোস্ফিয়ার
ব্লগ বলতে আমি শুধু বুঝতাম টেকি ব্লগ, টেকনোলজিক্যাল কোন সমস্যায় পড়লে যেখানে সমাধান পাওয়া যায়। বাংলা ব্লগিং কি জিনিস জানতামই না। বাংলা ব্লগিং-এর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কানাডায় আসার পর। এক বন্ধু ফেসবুকে একটা লিংক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আমাদের আরেক বন্ধু যে ব্লগ লিখে তা জানি কিনা। সত্যি বলতে কি ব্লগিং শব্দটার মানেই তখন আমার কাছে পরিস্কার ছিল না। যাহোক লিংক ধরে চলে গেলাম সেই বন্ধুর ব্লগে,
বিস্তারিত»আমার বন্ধু ভাগ্য
এই ব্লগের একটা লেখা নতুন আরো কয়েকটা লেখার উপজীব্য বলেই বোধহয় ব্লগটি মন্ত্রমূগ্ধতায় পুর্ণ। একেকটা লেখা পড়ি আর নিজের অজস্র স্মৃতির মধ্যে ডুবে যাই। অমোঘ এক চক্রে ঘুরপাক খাই, লেখা পড়লেই লিখতে ইচ্ছে হয়। রেডবুকের ‘কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি’ নীতি আর মাথায়ই থাকে না।
যারা অসাধারণ বন্ধু ভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে, তারাই ক্যাডেট কলেজে উত্তীর্ণ হয় বলে আমার ধারণা। নইলে কি আর সিনিয়র, জুনিয়র,
বিস্তারিত»অখ্যাতের আত্মকথন
আমি সেই সব মানুষের দলভুক্ত নই যাদের আত্মকথন লোকে সময় নিয়ে পড়ে। তবুও এই অখ্যাতের আত্মকথনের দুঃসাহস পেলাম এই ভেবে যে আমাদের ক্যাডেটদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন ঘটনা, কারো না কারো সাথে মিলে যায়ই।
সুসন্তান জন্মদানের গর্বে গর্বিত হবার আনন্দটা উপভোগ করার জন্য আমার বাবাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেকগুলি বছর। তিন মেয়ের পর সর্বকনিষ্ঠ একমাত্র ছেলের প্রতি তার প্রত্যাশা দিগন্ত ছুয়ে যেত। তিনি শুধু গর্বিত হতে চেয়েছিলেন,
বিস্তারিত»মাতু রোগ
হোসেন ভাইয়ের এই ব্লগটা দেখে এক কাহিনী মনে পড়ে গেল। তাঁর ব্লগেই কমেন্ট দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল, কিন্তু বেশী প্রচারের লোভ মৃত্তিকার তৈরী আমি সামলাইতে পারলাম না।
গ্রোয়েন স্ক্র্যাচিং ডিজিজ (ভালো নাম জানি না 😛 ) ক্যাডেট কলেজে অল্পবিস্তর সবারই হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাচে সবার প্রথম হইছিল যার, তার নাম ধরা যাক মধু। ঢুলুঢুলু চোখে জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলত বলে তার নিকনেম ছিল মাতাল।
বিস্তারিত»আচার ০০৫: পরবাসীর রোজনামচা
ল্যাপটপের কোনার ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে সকাল ৭ টা বেজে ০৪ মিনিট। গতরাত ঘুমাইনি। একটা ছোট ডাইনামোমিটার ডিজাইন করেছি, এখন কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট জোড়া লাগানো। কিছু কিনে এনেছি আর কিছু বানাতে হচ্ছে মেশিন শপে আর র্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে। রাতে দুটো জিনিস বানাতে দিয়েছিলাম র্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে এবং আরও কিছু কাজ ছিল। কখন সকাল হয়ে গেছে টের পাইনি। র্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনটাকে আমার চমৎকার লাগে। মেশিনের কম্পুটারে আপনি যে জিনিস বানাতে চান তার ক্যাড মডেল দিতে হবে,
বিস্তারিত»ছোট ছোট ঘটনা – দুই
এক.
এবারো সময় ক্লাশ সেভেন, স্হান ফজলুল হক হাউস । যান বাঁচানো ফরজ তাই সংগত কারণে ঘটনার নায়কের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম । ক্লাশ সেভেন থেকেই আমাদের জনৈক বন্ধু স্ক্র্যাচিং এ পারদর্শী্ ছিল । আর মাঝে মাঝে স্হান কাল পাত্র ভুলে মনের আনন্দে গীটার বাজাতো । একদিন তখনকার কলেজ গেমস প্রিফেক্টের রুমে তার ডাক পরল । খেলাধূলার কোন একটা ব্যাপারে তাকে নসিহত করা হচ্ছে ।
ছোট ছোট ঘটনা – এক
এক.
সময় ক্লাস সেভেন 2য় টার্ম । সোহরাওয়ার্দী হাউসের দোতলার তের নম্বর রুমে নাদান আমরা সবাই থাকি । আমাদের পাশের রুমেই অল্টারনেট সিনিয়রদের রুম । নেমপ্লেট দিয়ে দেয়ালে বারি দিলেই ছুটে যেতে হয় ফাই ফরমাস খাটার জন্য । বন্ধু মাহমুদ হোসেন, আর সবার মত কলেজে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে । ঘটনার শুরু একদিন রাতে আফটার লাইটস আউট সে রুমে এসে দেখে বন্ধু জান্নাতুল ওর বেডে ঘুমিয়ে আছে ।
আর্টসফিকশন
বিকেলের প্রেপ।
কোয়াইট আওয়ারের ঘুমটা আসতে আসতে বড় দেরী করেছিল বলেই হয়ত মেজাজটা চড়েই ছিল। হাউজ বেয়ারা আউয়াল ভাইয়ের উপর দিয়ে তাই ছোট্ট একটা ঝড়ও বইয়ে দিয়ে এসেছি। আজ বই নিয়ে বসার প্রশ্নই ওঠে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে একাডেমিক ব্লকের বারান্দায় দাঁড়িয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল। বাসন্তি শাড়ী পরে একাডেমিক ব্লকের সামনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে একটা গাঁদা ফুল ছিড়ে খোঁপায় গুজলেন তিনি। শুরু হল আমার বুক ধড়ফড় আর শূণ্যতা’র অনুভূতি।
বিস্তারিত»দশ বছরের ক্যাডেট জীবনঃ বিদায়বেলার কথা
আইইউটি-তে ‘০৫ ব্যাচে আমরা মির্জাপুরের ৬ জন আছি। কলেজে ছয় বছর কাটিয়ে আসার পর কখনও ভাবিনি আবার একই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবো। অন্তত আমি ভাবিনি। প্রথম আইইউটি-তে এসে যখন ইমন আর তুহিনকে দেখলাম তখন কেমন অনুভূতি হয়েছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। তিনজনে মিলে এক রুম নিয়ে নিলাম। পরে দেখলাম আমাদের কলেজের আরও তিনজন আছে: শামীম, জিহাদ আর মামুন। এ বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ ছিল না যে,
বিস্তারিত»আমরাই পারি বনাম আমরা পারিও
১। কলেজে ফল বলতে ম্যাক্সিমাম সময়-ই দিতো কলা। কালে-ভদ্রে অন্য ফল দিত। সেই রকম এক কালে-ভদ্রে লাঞ্চে ‘আম’ দিয়েছে। ডিউটি মাস্টার সেইদিন কেমিষ্ট্রির ম’আলি। তিনি আবার খুবই পরিপক্ক প্রোনান্সিয়েশানের সহিত ইংলিশে টক করতেন। ডাইনিং-এ ঢুকে তিনি বীকট শব্দে ঘন্টা বাজায়ে ঘোষনা দিলেন ‘জেন্টেলমেন, ম্যাংগো হ্যাজ বিন গিভেন। পার ম্যাংগো, ওয়ান ম্যান’।
২। ভূগোল ক্লাসে ফয়জুল হাসান স্যার কে ধরে রাখা যেত না। শুরু ভূগোলে হলেও তিনি কোথায় যে শেষ করতেন।
বিস্তারিত»তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে
১। মাইয়ার নাম মম। বাবার নাম প্রিন্সিপাল স্যার। দেখতে ক্যামন ছিল মনে নাই। অবশ্য ওই সময় মন অতো সুন্দরীও খুজতো না …… ‘অতেই চলবে’ টাইপ ছিলাম। আমাদের গেমস শেষ হবার পর টারজান স্যুইং এর রোপের নীচের মোটা গিট্টুটার উপর বইসা মম দোলা দোলা খেলতো। গিট্টুটার উপর ক্যামনে যে বসতো, আহারে। কত পোলাপাইনরে দেখছি ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে অথবা ছুটির দিনে ওই গিট্টু নিয়া তফসরা (গবেষণা) করতেছে।
বিস্তারিত»আমার প্রথম প্রেম
আমরা সেভেন-এ জয়েন করার কিছুদিন পর এক ম্যাডাম জয়েন করলেন। দেখতে শুনতে আল-হামদুলিল্লাহ। আমি কিছু বুঝে না বুঝেই তার প্রেমে পরে গেলাম। সেই রকম প্রেম, রাতে ঘুম হয় না টাইপ, আমার প্রথম প্রেম। তখনকার টুয়েল্ভ-এর এক ভাইয়ের বড় ভাই যিনি নিজেও আমাদের কলেজেরই এক্স-ক্যাডেট, উনার সাথে পরে তিনার বিয়ে হয়ে যায়। দুঃখ পাইলেও কষ্ট পাইনাই এই ভেবে যে ‘যাক, ফ্যামিলিতেই তো রইল’।(এই ম্যাডামকে লইয়া আমার অনেক অম্ল মধুর গল্প আছে।
বিস্তারিত»