আচার০০৪ : কি করুম আপনারাই কন…

খাওয়া নাই, ঘুম নাই, খালি মাথা গুঁজিয়া কাজ করিয়া যাওয়া। লক্ষ্য একখানা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। এতোই ব্যস্ততা যে ইদানীং সিসিবিতেও আসিতে পারি না। আজকাল যাহা করিতেছি তাহা হইল সরঞ্জামীকরণ পরিকল্পনা, উহাই করিতেছিলাম খানিক আগে পর্যন্ত। কাজের মাঝে অকস্নাৎ টিং শব্দ করিল আমার বজ্রপাখি, তড়িৎডাক আসিয়াছে। পড়লাম সেই তড়িৎ ডাক, হাসিব নাকি গলা ছাড়িয়া কাঁদিব বুঝিতে পারিতেছি না। আপনাদের সহৃদয় বিবেচনার জন্য নিম্নে তড়িৎডাকখানি হুবুহু তুলিয়া দিলাম।

বিস্তারিত»

হিয়ার লাইজ দ্যা গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

১।
ব্ল্যাকবোর্ডে নাম লিখার সময় ক্যাডেট অনেক সময়ই ঐচ্ছিক-অনৈচ্ছিক ভুল করে ফেলতো। ‘ক্ষুরসিধা বানু’, ‘ষাঁড়মীণ’ লিখে বেদম পিটন খেয়ে পুনঃ যেই লাউ সেই কদুই …… অতিষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত এই ভুল গুলিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতেই দেখা হোত।
২।
রাতজেগে আড্ডাচ্ছি, হঠাৎ পাশের হাউজ থেকে ক্লাসমেট এসে খুব ডাকাডাকি, ‘দোস্ত দেইখা যাও, তাড়াতাড়ি’। কি এমন জিনিস যে কাল সকালে দেখা যাবে না? প্রশ্নের উত্তরে বলল ‘সকালে সুইপার আসার আগেই দেখতে হবে’।

বিস্তারিত»

রিভিউ পাড় হওয়া বুঝি হোলনা আমার

১।
ধুপীতে কাপড় দেয়ার কি চমৎকার সিস্টেম ছিল কলেজে আহারে। ধুপীতে আন্ডি গেঞ্জি ধুইতে দিয়া ক্লাস সেভেন-এর এক ক্যাডেট বেদম প্রহার খাইলো। ক্লাস এইট-এর রুম লিডার প্রহারের ফাকে জিজ্ঞাসা করলো ‘ধুপী’র চিট-এ কোথাও তো আন্ডি আইটেম টা নাই, তাও তুমি দিলা ক্যান ?’ ক্লাস সেভেন-এর উত্তর ‘নতুন সিরিয়াল নম্বর দিয়া হাতে লিখা দিছিলাম আন্ডারওয়্যার এ্যান্ড স্যান্ডোগেঞ্জি’।

২।
কেমিস্ট্রি ক্লাসে ম্যানা মিন মিন করে কি যে বলতো,

বিস্তারিত»

অতি উৎসাহিত হইয়া তৃতীয় ব্লগ

১।
যখনকার সময়ের কথা বলছি, তখন ‘ফিট ইতনা মাস্ত, নো এ্যাডজাষ্ট’ আন্ডি বাজারে অতটা এ্যাভেইলেবল ছিল না। সারাদিন আন্ডি এ্যাডজাষ্ট করতে করতে কারও কারও নামই হইয়ে গেলো ‘স্ক্র্যাচার’। লাইভ অভিনয় ব্যাতিত ‘স্ক্র্যাচার’এর অভুতপুর্ব স্ক্র্যাচিং টেকনিক বর্ণনা করা ডিফিকাল্ট। তিনি ক্লাস চলাকালিন সময় পুরোটাই ব্যাস্ত থাকতেন ওই কাজে। কখনও পকেটে হাত দিয়া, কখনও ফুটবল খেলার আগে ওয়ার্ম-আপ করিবার ভংগিতে হাটু ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া, কখনও বা সরল মনে লোকলজ্জা বা ক্যাডেটলজ্জা ভুলে ফ্রি-ফ্র্যাঙ্ক হাত চালাইয়া।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কাহন

১।
সায়েন্স, আর্টস টেস্ট পরীক্ষার পর আমাদের মাত্র চারজন আর্টস পেয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন, যার স্বপ্ন ছিল এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হবার, বেদম বিমর্ষ হয়ে গেলো। ফস্ ছিলেন ওই পরিক্ষার ইন-চার্য। একমাত্র ফস্-ই পারেন তাকে সায়েন্স দিতে। পোলাপানের বুদ্ধিতে জুম্মার নামাযে ফস্ এর পাশে বসে অনেক দোয়া দরুদ পরে ক্যাডেট তার মনবাঞ্ছা প্রকাশ করলে ফস্ বল্লেন ‘তুই এয়রোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইংলিশে বানান কর, যদি পারস, প্রিন্সিপালের হাতে পায়ে ধইরা হইলেও তোরে সায়েন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করবো’।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ শিক্ষক কাহন …

ক্যাডেট কলেজ়ের স্যারদিগকে লইয়া লিখিতে গেলে পাতার পর পাতা লিখা যাইবে। যেই পরিমান শ্রম তাহারা আমাদের পিছনে দিয়াছেন তা বলিয়া শেষ করা যাবে না। আবার তাদেরকে নিয়া আমাদের অনেক মজার স্মৃতিও আছে। আমার জীবনের প্রথম ব্লগ তাই মির্জাপুরের আমাদের সময়কার স্যারদিগকে লইয়াই লিখিব। তবে তার আগে বলিয়া রাখি ইহা শুধুমাত্র কিছু মজার স্মৃতিচারন। অন্য কিছু নয়। শিক্ষকরা সবসময়ই শ্রদ্ধাভাজন।

চর্চার অভাবে স্মৃতির গর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে অনেক স্যারের আসল নাম।

বিস্তারিত»

সোফির জগৎ

সোফির জগতের কথা প্রথম শুনেছিলাম ২০০৪ সালে। এক শনিবার, এসেম্বলিতে প্রিন্সিপাল তার বক্তৃতায় বলেছিলেন। নরওয়েজীয় ভাষায় মূল বইটির নাম “সোফিস ভার্ডেন”, লেখক ইয়স্তেন গার্ডার। পলেট মোলারকৃত ইংরেজি অনুবাদের নাম “সোফিস ওয়ার্ল্ড”। আর ইংরেজি থেকে বাংলা করেছেন জি এইচ হাবিব, নাম দিয়েছেন “সোফির জগৎ”। জি এইচ হাবীব আমাদের কলেজের (মির্জাপুর) প্রাক্তন ছাত্র, প্রথমে মনে হয়েছিল বিশেষভাবে এই বইয়ের নাম বলার কারণ বোধহয় এটাই। পরে কলেজ লাইব্রেরিতে বই হাতে নিয়ে দেখি,

বিস্তারিত»

পাবলিক এক্সজামিনেশনঃ ক্যাডেট কলেজ ভার্সান

এইচ.এস.সি.

আমাদের এইচ.এস.সি. পরীক্ষার সময় এডজুট্যান্টের শুরু হইল বিরাট তৎপরতা। চারিদিকে কড়া নজরদারি, ক্লাস টুয়েলেভের পোলাপান কই যায়, কি করে। আমাদের সিনিয়ার ব্যাচের কয়েকজন এইচ.এস.সি.-র সময় কলেজ পালাইছিলেন। চোর পালানোর পরে বুদ্ধি বাড়ে কিনা, এডজুট্যান্ট স্যারেরও বাড়ছিল। ফলাফল হইল গিয়া, আমাদের বিড়ির সাপ্লাই গেল বন্ধ হয়া। বই ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারুম, বিড়ি ছাড়া অসম্ভব। প্রিপারেশন নিমু ক্যামতে! আল্লাহ চান নাই আমাদের পরীক্ষা খারাপ হোক,

বিস্তারিত»

দুই প্রজন্মের গালগল্প

বোডেন্‌সে হ্রদটা জার্মানি, সুইজারল্যান্ড আর অস্ট্রিয়া, এই তিন দেশেরই কিছু জায়গা নিয়ে নিয়েছে। ইংরেজিতে এটাকে “লেক কনস্টান্স” ডাকা হয়। বিশাল এই হ্রদের একটা দ্বীপই আমার এ লেখার বিষয়বস্তু। কথাটা পুরো ঠিক হল না! আসলে আমি শুধু লিন্ডাউ দ্বীপের একটা উৎসব নিয়ে লিখবো, বিজ্ঞান উৎসব। উৎসবের নাম “লিন্ডাউ নোবেল সম্মেলন”। এই বিষয় বেছে নেয়ারও কারণ আছে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে তিনজন এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন যাদের মধ্যে একজন হলেন আমাদের “ওমর ভাই”

বিস্তারিত»

আচার০০৩: ফটোব্লগ

নিউফাউন্ডল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় তোলা। লেখালেখির মাঝে দেখা যাক আলোকচিত্র বৈচিত্র্য আনতে পারে কিনা। ভালো থাকবেন সবাই।

বিস্তারিত»

ডায়েরীর পাতা থেকে

কলেজ ছেড়েছি বহু বছর হয়ে গেল । অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু আমার ডাইরীটা আছে । ডাইরীতে আমার সব বন্ধু কিছু না কিছু লিখেছে । প্রবাসের সদা ব্যস্ত জীবনে যখন কিছু ভাল লাগেনা, ডাইরীর পাতা উল্টাই । আমার আত্মার ছোট ছোট অংশ গুলো ছুঁয়ে দেখি । আমি কবিতা তেমন বুঝিনা । তবে এই কবিতাটা আমার অনেকবার পড়া । কামরুল তুই কি এখনো কবিতা লিখিস??

এই কবিতার কোন নাম নেই,

বিস্তারিত»

আচার০০২: অণুকাব্য

বুকের ভেতর জমাট জল,
অকস্নাৎ নিহারকণা…
পাঁজরা ভাঙে, পাঁজরা ভাঙি।
টুপটাপ, তারপর নৈঃশব্দ।
ভীষণ ধ্বংসস্তূপের উদর হতে
বেরিয়ে আসেন কালপুরুষ।
গায়ে মেখে নয়া রোদ,
আবার গড়েন, হার না মানা,
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে অবোধ।।

(আমার সিরিজটার নাম তারেক ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করা। যখন শুরু করেছিলাম তখন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়নি, এখন করছি, ধন্যবাদ সহ।)

বিস্তারিত»

ভালো আছি, ভালো নেই….

আজকাল কীবোর্ড, মনিটর টেনে (??) তেমন একটা লিখতে ইচ্ছে করেনা। খালি আলসেমি লাগে। তাই বলে বলবোনা আমি দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি। কারণ সেটা আগে থেকেই ছিলাম। এখন শুধু ধারাবাহিকতাটা বেশ যত্ন করে বজায় রাখছি। এরমধ্যেই দেখতে দেখতে আঠারোটা রোজা কেমন করে চলে গেল। টেরও পেলাম না। শুধু বিকেল হতে হতে পেটের ভেতর কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কি যেন নেই, কীসের যেন অভাব।তাছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।

বিস্তারিত»

১৯ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…

মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার!

সে আমার বন্ধু ছিল।

তার নামে উঠতো গেয়ে নাম না জানা পাখি,

তার টানে রঙ্গীন ফুলে বসতো যে প্রজাপতি।

তার পানে চলতো ধেয়ে চঞ্চলা স্রোতস্বিনী,

তার ধ্যানে ঘন অরন্যে চলতো কানাকানি ।

তার ছন্দে ঝংকারিতো পায়ের নুপুর রিনিঝিনি,

তার ইশারায় ব্যক্ত হতো এ জীবনের হাতছানি…।

সেই যে আমার বন্ধু ছিল।

বিস্তারিত»

আমার প্রথম ভালোবাসা

(শুরুর কথাঃ ক্যাডেট কলেজের প্রাতঃরাশে মাথাপিছু পরোটা বরাদ্দ থাকত তিনটা। ক্লাস সেভেনে লিকেলিকে শরীরের পেটরোগা আমি সবগুলো খেতে পারতাম না। ২৯ তম ব্যাচের শ্রদ্ধেয় বড়ভাই ও তৎকালীন টেবিল লিডার আবুল হোসেন ভাই ব্যাপারটি খেয়াল করলেন। ফরমান জারি করলেন, এখন থেকে আমার চারটা খেতে হবে, তার একটা সহ। আমার ভালোবাসার শুরু এখানেই।)

সকালবেলা পিটির পর গোসল সেরে যখন খাকি ড্রেসটা পরতাম মনে হত, দুনিয়া খেয়ে ফেলি।

বিস্তারিত»