কল্পনার এপিটাফ

ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলে চাইলাম,
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার, ছন্দপতনহীন নীরবতা মাঝে।
যখন জেগে ছিলাম মূমুর্ষূ আমার চারপাশে ছিল কত কি!
মা, বাবা, আত্মাহীন আত্মীয়,
ফিনাইলের গন্ধ, সাদা চাদর, নিষ্প্রাণ ডাক্তার
আর ছিল শুকিয়ে যাওয়া কালো গোলাপ, সাদা রজনীগন্ধা।

বিস্তারিত»

ফালতু কবিতা এ্যাক্রস্টিক … কাম ব্যাক পোষ্ট

অস্তগামী সূর্য্যটাকে আজ বড় বিষন্ন, বিধ্বস্ত লাগছে।
রুদ্র প্রখর দিন পেরিয়ে রাতের করুণ আধারে হারাবার কালে
নিস্ব, রিক্ত মনে হচ্ছে
মাত্রাতিরিক্ত মন খারাপ আজ সুর্য্যের

আমার মনটাও আজ কেন জানি বারবার
মিলেমিশে একাকার হয় আধার কালো বিষাদের রঙে

তোমাকে কাছে পেয়ে প্রখর সূর্য্যালোকের মত তারুন্যের স্পর্শ পেয়েছিলাম
মাত্র ক্ষণকাল স্থায়ী হল সে অনুভব, তারপর
কেমন করে বিষন্নতা আমাকে গ্রাস করল,

বিস্তারিত»

একটি সাধারণ গল্প

[সামুতে প্রকাশিত এই লেখার আইডিয়া ঝিনাইদহের ইব্রাহীমের। এই আইডিয়াতে ও একটি গল্প লিখেছিল কোন এক আড্ডায়। সেই লেখা হারিয়ে যায় কিন্তু প্লট ব্যবহার করে আমি সামুতে লিখি। তাই ট্যাগে ঝিনাইদহ দিলাম। সামুর লেখাটাকে ঘষামাজা করে আজকে সিসিবিতে দিলাম। ]

– আয়নাটা ভালো করে ধর। অনেকটা আদেশের মত শোনাল বিল্লালের গলাটা। আর তা রঞ্জিতের কানে সূচের ফলার মত তীক্ষ্ম হয়ে বিধে আঘাত ছড়িয়ে দিল সারা গায়।

বিস্তারিত»

আচার ০১৭: চার অংকের সংখ্যাগুলো

শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্য- মানুষের বেড়ে ওঠার এই সময়টাকে একসাথে অনেকে ছোটবেলা বলে ডাকেন। আমিও ডাকি। কি সময় ছিল! কল্পনার লাগাম ছিল না কোন। চোখের পলকে হয়ে যেতে পারতাম অন্তরীক্ষের নভোচারী বা সাগরতলের ডুবুরী। বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চোখের পলকে নিজেকে পালটে নিতে পারতাম। কিন্তু আজ যৌবনে এসে কি থেকে কি হয়ে গেল, কল্পনাগুলো বাস্তবের চোখ রাঙানিতে চুপসে যায় নিমিষে। বাড়তে পারে না, বুক চেরা দীর্ঘশ্বাসই সম্বল।

বিস্তারিত»

একবিংশ শতকের ডারউইন

আগামী ১২ই ফেব্রয়ারি সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের ২০০তম জন্মবার্ষিকী এবং তার সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ “অন দি অরিজিন অফ স্পিসিস” এর ১৫০তম প্রকাশবার্ষিকী। বিবর্তনবাদ নিয়ে আজ পৃথিবীর কোন জীববিজ্ঞানীর মধ্যেই সংশয় নেই। তবে এর প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় আছে। সেটা নিয়েই বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীরা এখন সবচেয়ে বেশী গবেষণা করছেন। এই প্রেক্ষিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা “সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান” তাদের জানুয়ারি ২০০৯ সংখ্যাটি বিবর্তনবাদ নিয়ে করেছে।

বিস্তারিত»

আরেকখানা যদু মধু কাহিনী

দেশ দেখি না কতদিন! দেশে দ্রুত ফিরিয়া আসিব বলিয়া খাইয়া না খাইয়া রিসার্চের কাজ করিতেছি। এমনকি প্রাণপ্রিয় সিসিবি হইতেও স্বল্পকালীন অবসর গ্রহণ করিয়া নীরব পাঠকে রুপান্তরিত হইয়াছিলাম। কিন্তু তা আর থাকিতে পারিলাম কই, সিসিবিতে সেইরকম কিছু লেখা পড়িয়া আমারও লিখিতে ইচ্ছা করিল। সু বলিতেছে, যা ব্যাটা থিসিসের কোয়ার্টার্নিয়ন নিয়া লেখাটা এইবেলা সেরে ফেল। আর কু বলিতেছে, কি হইবে থিসিস লিখিয়া, এর চেয়ে বরং একখানা দম ফাটানো হাসির ব্লগ লিখিয়া ফেল।

বিস্তারিত»

একজন বৃহন্নলার আত্মকথন

(সামুতে প্রকাশিত এই লেখাটি ট্যাগ করতে পারলাম না। অবহেলিত একটি সম্প্রদায়ের জন্য অর্থহীন দীর্ঘশ্বাস বলা যেতে পারে একে।)

বিষন্ন নিস্তরঙ্গ জীবন বয়ে চলে নর্দমার জলের মত,
যে জীবনের আগমন এই নিষ্পাপ জীবনের বড় পাপ।
যে জীবনের স্বপ্ন নিঙড়ে গেছে অনেককাল আগে,
আমার জীবন আমাদের জীবনের মত বিবর্ণ ধুসর-
যে জীবন আমার বহুতল বাড়ির ক্ষুদ্র ঘরে বদ্ধ,
যে জীবন আমাকে দেখতে দেয় না কিছুই নিষ্টুর হয়ে বড়
অথবা আমাকে দেখতে চায় না কেউ কিংবা দেখতে চায়-
দেখতে চায় যারা চায় না পৃথিবীকে দেখাতে জীবনের অপমান।

বিস্তারিত»

I wish I were an AngeL…

গানটা যখন প্রথম শুনি তখন মনে মনে বলেছিলাম, আহা! মেয়েটা কত জোস গায়। সেই ভালোলাগার রেশ থাকতে না থাকতেই মেয়েটা সম্পর্কে আরো গভীর কিছু জানার আশায় লাগাইলাম উইকিতে সার্চ। এবং আমাকে বেক্কল বানায় দিয়ে উইকি ঘোষণা দিল – তুমি যাকে এতদিন যাহা ভাবিয়াছো সে আসলে তাহা নয়। মেয়েটা আসলে মেয়ে না। মেয়েটা হলো একটা ছেলে। এবং রীতিমত জুনিয়র গোত্রীয়।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! তৃতীয় পর্ব।

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

বিজ্ঞাপন চিত্রে যেমন বলে-চমকের উপর চমক। সকালে আকাশ যখন অফিসে পৌঁছুলো, ব্যাপারটা অনেকটা সেরকমই ঘটলো। রাতের ঘটনার রেশ নিয়ে অফিসের দরজা খুলে সে দেখলো যে- নানা রংএর বেলুন আর একটা ব্যানারে লেখা-
‘HAPPY BIRTHDAY TO DEAR AKASH’.
কাজটা ওদের বস্‌ এর। এই ভদ্র লোক সব্বার খুঁটিনাটি খবর রাখেন এবং অফিসের working environment টা কেমন সহজ করে রাখেন যে,

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! – দ্বিতীয় পর্ব।

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

রাতের খাবার এর পাট চুকে গেছে বেশ কিছুক্ষন আগে। দেয়াল ঘড়িটা সশব্দে জানান দিল এখন এগারটা বাজে। যাক্‌। শেষ হলো লেখাটা! আকাশ স্বস্তিতে একটা সিগারেট ধরিয়েছে। এরপর শর্ত অনু্যায়ী বাবার কাছে যেতে হবে। দাঁত ব্রাশ করে বেশ আয়োজন নিয়ে সদ্য রচিত লেখাটি নিয়ে সে বাবা’দের রুমের সামনে এসে দাঁড়ালো। দরজায় মৃদু টোকা দিতেই বাবা বললেন,

বিস্তারিত»

শুধুই লেখা অথবা গল্প (শেষ পর্ব)

পূর্ব প্রকাশের পর………
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

ছোট ছোট ভালো লাগা- মিষ্টি করে ভালোবাসায় এগিয়ে যেতে থাকে মানব মানবীর দিন। তাদের একজনের দিন শুরু হত অপরকে দেখার সুতীব্র বাসনা নিয়ে, শেষ হত সারাদিনে যাপিত সময়ের মধুর অতল সমুদ্রের তল ছুঁতে ছুঁতে। প্রতিটি দিন তাদের কাছে নতুন হয়ে আসত – একে অপরের আরও কাছে আসত।

বিস্তারিত»

আচার ০১৬: আবারো কাব্যকথা

[নতুন পোস্ট দেয়ার সময় নাই, তাই পুরোনো একটা কবিতা আবার দিচ্ছি। বাংলা ব্লগ সম্পর্কে তখনো জানি না, চরম বুদ্ধির আধার এই অধম তাই ফেসবুকে ব্লগিং করা শুরু করেছিল। কবিতা লিখে তার স্ক্রিনশট ফেসবুকে আপলোড করে দিতাম। ওটা ছিল আমার প্রথম বাংলা অনলাইন পাবলিকেশন। এর কিছুদিন পরেই বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারি। আমার ওখানের কবিতা এখানে আবার দিলাম।]

ভালোবাসি ততোটাই যতোটা বাসা যায়।
লোবান জ্বেলে রাতের আধাঁর সাজিয়ে
বাতাসের ফিসফিসানিতে বহুবার বলেছি,

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! – প্রথম পর্ব।

আকাশের ঘুমটা আজকেও ভেঙ্গে গেল।
সে ঘড়িতে দেখলো আড়াইটা বাজে। রাতে ও যায় যায় দিন দিন পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তখন জানালাটা খোলা ছিল। এখন বন্ধ। মা নিশ্চয় রাতে বন্ধ করে গেছেন। এ বাসায় সব কিছুই চলে এই মমতাময়ী’র নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়।

আকাশ আজ আবার সেই স্বপ্নটা দেখেছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার এই অদ্ভুত স্বপ্নটা দেখলো সে। কেমন একটা অস্বস্তিবোধ হচ্ছে তার।

বিস্তারিত»

আমার বন্ধু হিমেল -১

ওর আসল নাম জানার আগে আমি ওর টিজ নাম টা আগে জেনেছিলাম। ক্লাস সিক্সের কথা। শাহীন কোচিংয়ে ক্যাডেট কোচিং করি তখন। আমি ছিলাম আবাসিক সেকশনে। আর ও অনাবাসিক এ। এডমিশন টেস্টের কয়েক দিন যখন বাকি তখন থেকে আবাসিক অনাবাসিক মিলে একটা ব্যাচ করা হয়েছিল। “বান্দর” এর সাথে পরিচয় হয় তখনই। কেউ আদর করে ডাকতো। আর কেউ ওর সাথে মারামারিতে না পেরে। আমি অবশ্য কোনটা ভেবেই কিছু ডাকতাম না।

বিস্তারিত»

অর্থহীন বিষণ্ণতা

(কবিতা দেয়ার দুঃসাহস দেখাইলাম। ডরে আছি। )

অর্থহীন বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে আমাকে তার ধূসর আবরণে,
অথবা শুধু ঘিরে ধরে না, গ্রাস করতে চায় আমার সত্তাকে।
আমি তাকে ধরতে পারি না , সে আমাকে ছুয়ে যায়,
আমার বোধ গুলোকে শুধুই এলোমেলো করে দেয়।
অদ্ভুত সে আমাকে আচ্ছন করে ফেলে কোন অজানা মোহে,
আধারের বুকে নিঃসঙ্গ আমার পাশে জেগে রয় পাহারায়।

বিস্তারিত»