একাডেমি ব্লকের সামনে বিশাল গোলচত্বর। তার একেবারে মাথায় লেখা “শিক্ষা ভবন”। এটাকে জিরো পয়েন্ট ধরছি। সাত দিনের পথের দূরত্ব মাপার জন্য। ইলেভেনের এক্সকারশন, যাত্রা শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। ফিরেও এসেছি এখানে। মাঝখানে সাতটা দিন, সরণ শূন্য, কাজ শূন্য, কিন্তু অনুভূতি অসীম। সেই অসীম শূন্যতার কথা লিখতে বসেছি। সেই অনুভূতির কথা যার জন্য ক্লাস সেভেন থেকে ইলেভেন পর্যন্ত পাঁচটা বছর অপেক্ষা করেছি, যেটা শেষ হয়ে যাবার পর মনে হয়েছে কলেজ ছেড়ে অচিরেই চলে যেতে হবে।
বিস্তারিত»অনেক পুরোনো একটা প্রেমে পড়ার গল্প
ভালবাসা নিয়ে ছোট বয়সে একটা ছোটগল্প লিখেছিলাম। কালের অতলে হারাবার আগেই, তোমাদের জন্য –
বেশ কয়েকদিন ধরে ভালবাসা নিয়ে ভাবছি, কিন্তু কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিনা । আমাদের কলেজে বৃষ্টি পড়ে। বৃষ্টি রহমান সুন্দরী এবং কিছুটা রহস্যময়ী।
ওর সাথে এতদিন মিশেও ওর মনের কোন কিনারা পাইনা, কোথায় যেন ওকে বুঝতে পারিনা।যদিও সবার সাথে ওর ব্যবহার খুব সাবলীল। সবার!!
সবার মানে আমি, নাফিস আর বাকিরা গুরুত্বহীন।
অন্যরকম ক্যাডেট কলেজ – ২
[এই ধারাবাহিক উপন্যাসের একেক পর্ব একেকজন লিখবেন। যে কেউ লিখতে পারেন। কেউ যদি পরের পর্ব লিখতে চান তাহলে তাকে এই পর্বে মন্তব্য করে তা বলে দিতে হবে। যিনি আগে বলবেন তিনিই লিখবেন পর্বটি।]
<< গত পর্ব
পাঁচঃ
পরদিন সকাল আটটা নাগাদ একাডেমি ব্লকের সামনে সিআইডি’র গাড়ি এসে থামলো। খুনের একমাত্র পরোক্ষ উইটনেস আব্দুল গাফফারকেই প্রথমে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল।
বিস্তারিত»জীবনের প্রথম অবস্ট্যাক্ল
কলেজে সর্বসাকুল্যে পাঁচবার অবস্ট্যাক্ল কোর্স করতে হয়েছে। কোন অবস্ট্যাক্লে যে কি কাহিনী ঘটিয়েছিলাম কিচ্ছু মনে নেই। কাহিনী অনেকই মনে আছে কিন্তু কোনটা কোন বছরের তা বের করাটা সহজ না। ক্লাস টুয়েলভের টাও তেমন মনে পড়ছে না। কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে ক্লাস এইটে করা জীবনের প্রথম অবস্ট্যাক্লের কথা। কারণ তো বোঝাই যাচ্ছে, ব্যতিক্রমী কিছু ঘটেছিল। সে কাহিনীটাই বলতে চাচ্ছি এবার।
জীবনের সবচেয়ে জটিল রোগগুলো হয়েছিল ক্যাডেট কলেজে থাকতেই।
বিস্তারিত»ধন্যবাদ…এবং… শুধুই ধন্যবাদ
কয়েকদিন ধরেই ভাবছি কিছু একটা লিখবো।কিছু একটা লিখবো।কিন্তু হয়ে উঠছিলোনা নানা কারণে।কারণগুলোর মধ্যে ব্যস্ততা যেমন আছে, আছে অলসতাও।
ইদানীং আমাদের ব্লগটা সেইরকম জমজমাট হয়ে উঠেছে।দেখে মনে হচ্ছে বৃহস্পতিবারের আড্ডাটা এখন সপ্তাহের সবগুলো দিন জুড়েই আসর জমিয়ে রাখছে।পুরোনো বন্ধুগুলোর পাশাপাশি আরো নতুন অনেক মুখ এসে জড়ো হয়েছে,হচ্ছে।দেখে ভাল লাগে।একটু তৃপ্তিও লাগে।এমন কিছু একটা করার পেছনে নিজের একটু আধটু ভূমিকার কথা ভেবে বোধহয় একটু গর্বও লাগে।আজ আর কলেজের কথা নয়।বরং ভার্চুয়াল জীবনে নতুন কলেজ খোলার অভিজ্ঞতার কথাই বলি…
ডায়লগ মাসালা (মেড ইন কুমিল্লা)
# “পাখিটাকে কি বাতাস খাওয়াচ্ছো?”
-রাজ্জাক স্টাফ জনৈক ক্যাডেটের প্যান্টের জিপার খোলা দেখে
# “এই ছেলেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছো? ব্যাগের উপর বাস উঠাও।”
-রসায়নের রফিক স্যার
স্বপ্নহন্তা
ক্লাস নাইনে উঠেছি কেবল। জানুয়ারি মাস হবে। বুঝলাম আমাকে কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এক অল্টারনেট সিনিয়রের কাছে। বুঝতে হল কারণ, কোন প্রমাণ ছিল না। কেউ জানে না কে বলেছে, কিন্তু আমাদের হাউজের জনৈক অল্টারনেট সিনিয়র জেনেছেন, আমার হাতের লেখা নাকি ভাল। অল্টারনেট সিনিয়ররা তখন এসএসসি ক্যান্ডিডেট। পরীক্ষার চাপ আর রচনা নোট করার কাল। নোটের কাজটা আমাকে দিয়ে সারিয়ে নিতে মনস্থ করলেন তিনি। একটা বড় সাইজের কলেজ খাতা ধরিয়ে দিলেন,
বিস্তারিত»যে হাসি ঠোঁটেই শুকিয়ে যায়
নাম ছাড়া কোন মানুষ হয়না। যেমন হয়না বিশেষত্ব ছাড়াও। ক্যাডেট কলেজের টীচারদের দেখলে সেটা আরো ভাল করে বোঝা যায়। বিশেষত্ব অনুযায়ী নামকরণ ক্যাডেট কলেজে অনেকটা ফরজের পর্যায়েই পড়ে। সেই সব বিশেষণ একত্রিত করা হলে দুই তিনটা বাংলা গ্রামার বই মার্কেটে ছাড়া কোন ব্যাপারই না।উপযুক্ত নামকরণের বেলায় কারো ছাড়ন নাই। সে রাশভারী চেহারার কোন শিক্ষকই হোক কিংবা পাশের বেড এর জিগরি দোস্তই হোক।
ক্লাস ইলেভেন এর কথা।হঠাৎ শোনা গেল আমাদের ভিপি স্যার(ভাইস প্রিন্সিপাল) বদলি হতে যাচ্ছেন।
বিস্তারিত»কিছু চিঠি… আর… কিছু স্মৃতি
“Cadet no-1976, Fall Out….”
আমার ছয় বছরের ক্যাডেট জীবনে শুনতে চাওয়া সবচেয়ে প্রিয় এবং আকাঙ্ক্ষিত শব্দগুলোর মধ্যে এটি লিস্টির একেবারে উপরের দিকেই লটকে থাকবে।
আমি ছেলে হিসেবে খুব বেশি সাহসী নই।অতি নিরীহ জীব। কারো সাতেও নাই,পাঁচেও নাই।আর সব ডেয়ারিং ক্লাসমেট এর মত বেসম্ভব মাইর কিংবা পানিশমেন্ট খেয়ে কিছুই হয়নাই এমন ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারিনাই কোনদিন।জানালার পাশের বেড পাওয়ার সৌভাগ্য আমার জুনিয়র ক্লাস থেকেই বাড়াবাড়ি রকমের ছিল।সেই অনুযায়ী আমার সিনিয়রদের ডাকাডাকি শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে যাবার কথা।কিন্তু কোন কারণে তা’
বিস্তারিত»কেন আমি ঋণী?
ক্যাডেট কলেজের কাছে ঋণের কথাই বলছি। গত কয়েক দিন ধরে ভেবে বেশ কিছু কারণ বের করলাম যার জন্য আমার আজীবন ঋণী থাকা উচিত, ক্যাডেট কলেজের কাছে। ব্যাপারগুলো মোটেই হালকা নয়। ভেবে দেখলাম, ক্যাডেট কলেজে না গেলে আমার জীবন একেবারে অন্যরকম হয়ে যেতে পারত এবং সেই জীবন আমার পছন্দ হতো না। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, আমার যে সেই জীবন পছন্দ হচ্ছেনা তা তখন আমি বুঝতেও পারতাম না।
বিস্তারিত»ডায়লগ মেলোডি ১.১ (মির্জাপুরিয়ান ভার্সন)
once upon a time অর্থাৎ একদা এক সময় আমরা যখন বাংলা মিডিয়ামে পড়তাম তখন দৌর্দন্ড প্রতাপশালী শিক্ষকদের বাক্যের কারুকার্য দেখাতে তেমন একটা কষ্ট পেতে হতোনা।মাতৃভাষায় মনের মাধুরী মিশিয়ে ভাষার নানা কারুকার্য তারা আমাদের অর্থাৎ ক্যাডেটদের মাঝে উপস্থাপন করতেন। শিক্ষকদের সেই সোনালী সময় থেকেই শুরু করি।
বিস্তারিত»তত্ত্বাবধায়ক সরকারে এক্স-ক্যাডেট তামিম
গত ৯ তারিখ বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চারজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। ১০ তারিখ ৫ জনকে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কে কে উপদেষ্টা হল তা দেখার জন্যই বিবিসি’র বাংলা ওয়েবসাইটে গেলাম। গিয়ে দেখি ৫ জন উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি আরও ৩ জনকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই তিন জন হলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মালেক মোল্লা, চাকমা রাজা এবং পাব্যর্ত শান্তি চুক্তির অন্যতম সংগঠক ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও বুয়েটের অধ্যাপক ড.
বিস্তারিত»চাচা কাহিনী (মাত্র শুরু)
গতকাল বাজারে গিয়েছি। হঠাৎ চাচার ফোন।আমিতো অবাক। চাচারতো এমন সময়ে ফোন আসার কথা না।তারচেয়ে বলা ভাল চাচা যেখানে আছে সেখান থেকে এখন ফোন করতে পারার কথা না।যাইহোক কিছুটা কৌতূহল নিয়েই ফোনটা ধরলাম।
– আরে চাচা, কেমন আসো??
-ভালা,তোমার খবর কি?
-এইতো।তুমি কোথায়?কেমনে ফোন করলা??অইখানে তো নেটওয়ার্ক থাকার কথা না।
অবশেষে জানা গেল চাচা খাগড়াছড়ির কোন একটা পাহাড়ের উপরে।নিচে নেটওয়ার্ক নাই দেখে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে হলেও গ্রামীনফোনকে তার টাকা দেয়া চাই।আজকালকার জামাইরাও মনে হয় শ্বশুরবাড়িতে এত আদর পায়না।সবশুনে ভাবি এই না হলে চাচা।পাহাড়ের চুড়ায় ঊঠেও অনেক নিচে থাকা আমার কথা যত্ন করে মনে রেখেছে।মনটা খুশি খুশি হয়ে ওঠে।
ভিন্ন রকম
সবার শেষে কোনমতে শার্ট ইন করতে করতে একাডেমি ব্লকের দিকে ছুটছি। সেকেন্ড প্রেপ শুরু হতে কোন সময়ই আর বাকি নেই। আমি অবশ্য একা নই। সাথে আহসান। ডিউটি মাস্টার ব্লকের সামনে দাড়িয়ে না থাকলে সে যাত্রা বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ছিল। উপরন্তু, বেল পড়ার ইমেডিয়েট পড়ে ডিউটি মাস্টার একটা রাউন্ডে যায় প্রায়ই। কিন্তু ভাগ্য যতোটা খারাপ হওয়া সম্ভব তোতাটাই। ব্লকের ১০০ গজ সামনে থাকতেই বেল দিল এবং ব্লকে ঢুকে সরাসরি ডিউটি মাস্টারের সাথে মোলাকাত।
বিস্তারিত»না বলে চলে যাওয়া এক প্রিয় মানুষের কথা
কিছু কিছু মানুষ চলে যাবার পরেও চলে যেতে অনেক সময় নেয়। কিছু কিছু মানুষ আবার আরেকটু বেশি ত্যাদোড় টাইপের। নিজে চলে গেলেও ছায়াটুকু কখন যেন পেছনে ফেলে যায়। বাস্তবতার কড়া রোদে পুড়েও পুরোপুরি তা’ মুছে যায়না। সময় অসময়ে, রাতে বিরাতে মনের দরজায় এসে খট খট করে শুধু। বয়স কতইবা হল। সবে মাত্র একুশের নৌকায় পা ডুবিয়ে বসে আছি। এমন বয়সে চলে যাওয়া মানুষের চেয়ে কাছে আসা মানুষের মুখচ্ছবিতেই পুরো বুক ভরে থাকার কথা।
বিস্তারিত»