১২ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…

মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার

জ্ঞান হবার পর থেকেই
আমার ছোট্ট পৃথিবীতে
রাজ্যের দুষ্টুমি আর
ছেলেমানুষির একান্ত সহচর
আমার প্রিয় বন্ধু তুই একজন।

স্কুলে পাশাপাশি বেঞ্চিতে বসে
অংক স্যারের ক্লাসে আমার খাতায়
তোর আঁকা দুর্দান্ত সব স্কেচ গুলি
আজও এতোটাই জীবন্ত যে
মাঝে মাঝে ভুলতে বসি
ক্যালেন্ডারে সময়ের হিসাব।

হাই স্কুলে পা দিয়েই লুকিয়ে
আমাদের প্রথম সিগারেটে টান,

বিস্তারিত»

আচার-০০১

ক্যাডেট জীবনের প্রথম স্টেজ কম্পিটিশানে গিয়া বিরাট পঁচাইলাম, এইরকম পঁচানি যে আকাশ বাতাস গন্ধে ত্রাহি ত্রাহি করতে লাগল। সেইটা ছিল ইংরেজি এল্যুকিউশান। আমি নেহেরুর বক্তৃতা মুখস্থ কইরা না গিয়া, দেইখা দেইখা পুরাটা বইলা আসলাম। ফলাফল, যা হওয়ার তাই হইল। আমি হইলাম লাড্ডুগুড্ডু। আমাদের হাউস কালচারাল প্রিফেক্ট সেইদিন কোন কারণে যায় নাই অডিটরিয়ামে, তাই ভাবছিলাম বাইঁচা যামু এইবার। কিন্তু, মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। আমাদের তৎকালীন হাউস মাস্টার রফিক নওশাদ স্যারের জিগরে বড়ই চোট লাগল তার হাউসের এক ক্যাডেটের এই রকম ন্যাক্কারজনক পারফর্মেন্সে।

বিস্তারিত»

অবস্ট্যাকল কোর্সের উপকারিতা

ক্যাডেট কলেজে যে ট্রেনিং পাইছিলাম তা জীবনে অনেক কাজে লাগছে। মাগার, অবস্ট্যাকল কোর্সের ট্রেনিংটা এই সেদিন পর্যন্ত কোন কাজে লাগাইতে পারি নাই। এই সেদিন পর্যন্ত বললাম কারণ, সপ্তাহ খানেক আগে সেইটাও কাজে লাইগা গেছে। কেমতে লাগছে, তার বেন্তাত্ত বলতাছি। আমার বর্তমান ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট, মানে মাস্টার্স আর পি এইচ ডি-র স্টুডেন্ট আছে ১৭০০, তাদের দেখভালের জন্য আছে জি এস ইউ (গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন)। জি এস ইউ –

বিস্তারিত»

সিসিবির ব্যাক হওয়ার খুশিতে আবোল তাবোল ব্লগ

(ব্লগ চালু হইছে। লেখা দেয়া দরকার, কিন্তু রোজা রাখছি দেইখা বিতলামি মার্কা লেখা দিমু না ঠিক করলাম।)

১…

মামা হইলাম এই প্রথম। কিন্তু, মামা হইবার খবর এইখানে কেন, আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। যদি এসে থাকে, তার উত্তরে বলছি, আমার ভাগ্নে, রাকসান আল ইসলাম-এর মা, মামি এবং মামা এক্স ক্যাডেট। সুতরাং এই ব্লগে এতো এতো খালা,

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ৩

(শুরুতে নাম ছিল ‘প্রথম দিন…প্রথম মাস…প্রথম টার্ম’। পরে দেখলাম যেভাবে লিখতেছি তাতে টাইটেলটা ঠিক যাচ্ছে না। তাই নাম পালটে দিলাম।

এই লেখাটা আগেই লেখা। পোস্ট করতে গিয়ে দেখি সিসিবি ডাউন…যেদিন আপ হলো অফিসে দেখলাম কিন্তু লেখা সাথে ছিলো না, বাসায় এসে পোস্ট করতে গিয়ে দেখি সিসিবি আবার ডাউন! লাভের লাভ হলো এখন আপ হবার পর এডজুট্যান্ট বাদে প্রথম লেখাটা আমিই দিলাম……হেহ হেহ…)

আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর –

বিস্তারিত»

আমাদের খেলা দেখা ও রোমাঞ্চকর এক রাত

***এই লেখাটাও আমার সামহোয়ারইনে লেখা একটি পোস্ট। এক রোমাঞ্চকর রাতের অনুভুতি শেয়ার করলাম। দুটি চরিত্র বাদে সব চরিত্রই বিভিন্ন জনের স্বভাবের মিক্সচার। তবে কাহিনীটা পুরোপুরি সত্য।

২০০১ সাল,সোহরাওয়ার্দী হাউস,মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ

রাত দশটা ,পোর্চ

সারাদেশে ক্রিকেটের জোয়ার চলছে। কয়েকদিন আগে মাত্র বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। ক্রিকেটিয় উম্মাদনার আচড় থেকে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও বাদ যায়নি। আর এইসব উম্মাদদের মধ্যে বদ্ধ উম্মাদ
তারা দুইজন পিয়াল আর পুলক।

বিস্তারিত»

আমার লেখালেখির গল্প……..

**ব্যস্ততার কারণে আলমকে নেয়া সিরিজটা আগাতে পারছি না। এই ফাকে সামহোয়ারের আমার এই লেখাটা দিলাম। এটা পুরোটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে না হলেও বেশিরভাগ অংশই ক্যাডেট কলেজের গল্প।দেয়াল পত্রিকার জন্য রাত জাগা সকল ক্যাডেটকে লেখাটা উৎসর্গকৃত।

লেখালেখি করিবার সাধ ছোটবেলা হইতে আমার ছিল এমন দাবি করাটা বোধ করি অযৌক্তিক।আমার লেখালেখি করিবার অনুপ্রেরণা বলিতে আমার এক ফুফা।তাহার কথা ভাবিলে অবশ্যি ভারী চশমা মোটা গোফের কোন গম্ভীর চেহারা কল্পনার নয়নে আসিয়া উপস্থিত হয় না।

বিস্তারিত»

চুম্বনঃ ব্রোকব্যাক মাউন্টেনের আইডিয়া যেভাবে নাজিল হইছিল

ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস কইরা আমি মমুসিং-এর পোলা চইলা আসলাম ঢাকা, “নেকাপড়া” করতে। ঢাকায় আসার পর রাস্তায়, অলিতে-গলিতে বহুসংখ্যক এবং বহুধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখছি (দেশ আগায়া যাইতাছে, আমাদের বাবাদের আমলে ঢাকা ভার্সিটিতে মেয়েদের সাথে কথা বলতে নাকি ডিপার্টমেন্টের পারমিশান লাগতো, সত্য মিথ্যা জানি না, শোনা কথা।) এইসব চুম্বনকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়- ছোবল চুম্বন আর খাইছি তোরে চুম্বন। ছোবল চুম্বন করে ভীতু জুটিরা,

বিস্তারিত»

জীবিতদের গালগল্প

তখন আমরা বসে আছি ঢাকা মেডিকেলের লাশকাটা ঘরের সামনে। ভেতরে লাশ হয়ে পড়ে আছে আমার বন্ধু, আমাদের বন্ধু -আলম। ওর বুক আর করোটি ফুড়ে দিয়ে গেছে যে বুলেট দুটো, ডাক্তাররা তার খোঁজ করছেন ওর শরীরের ভেতর হাতড়ে হাতড়ে। আমি ভেতরে যাই না, বুকে জমে থাকা ভালো লাগা অজস্র স্নৃতির ভীড়েই থাকুক ও, লাশকাটা ঘরে শুয়ে থাকা চিরে ফেলা শরীরটাকে ওই স্নৃতিগুলোর সাথে নাই বা যোগ করলাম।

বিস্তারিত»

স্বাগতম পর্যন্ত পইড়া ফেলছি… :-)

পড়া শুরু করছিলাম রাত তিনটায়, এখন বাজে ৬ টা ৪০ (সকাল), একটানে ব্লগের সবগুলান লেখা পইড়া ফেললাম। প্রবাস জীবনের যেদিন শুরু হইছে এর পর থাইকা মনে হয় এত অল্প সময়ে এতবেশি হাসি নাই।

ধন্যবাদ ব্লগের উদ্যোক্তাদের এবং লেখকদের আমাকে এত সুন্দর একটা সময় উপহার দেয়ার জন্য। ভবিয্যতে লিখব, এখন ঘুমাতে যাই, খালি হাই উঠছে।

-নন্দঘোষ

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ২

(ঠিক করেছিলাম শুধু প্রথম দিন, প্রথম মাস আর প্রথম টার্মের কথা লিখবো। পরে ভাবলাম…ক্যাডেট কলেজ ব্লগে আজকাল অনেক কম লেখা পড়ছে সবার…আরেকটু সূচনা দিয়ে এটাই আরেকটু টেনে নিয়ে গেলে কেমন হয়… তাই এই লেখা)

আগের লেখাঃ
আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম…এবং অতঃপর – ১

২. ভর্তির আগের গল্প
আমাকে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করার শখটা আমার আব্বার। দুই খালাতো ভাইয়ের একজন ছিল রংপুর ক্যাডেট কলেজের ফার্স্ট ব্যাচের কলেজ প্রিফেক্ট…যে কিনা পরে আর্মির মেজর,

বিস্তারিত»

আমি যেভাবে ক্যাডেট হইলাম……এবং অতঃপর -১

১. কথাবার্তা
সব ক্যাডেটের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাগুলো অনেকটা একই রকম। কিছুটা ভয় ভয়, অনেকটা অনিশ্চয়তা আর তার সাথে সাথে বাবা মাকে ছেড়ে আসার কষ্টকে মেশানো অদ্ভুত একটা অনুভুতি। আজকে হঠাৎ ভাবতে বসলাম…আমার নিজেরটা কেমন ছিল? অন্যদের চেয়ে কি আলাদা ছিল? ভাবতে গিয়ে দেখি অনেক কিছুই মনে পড়ে না। অনেক কিছুই মনে পড়ে পড়ে ভাব হয়। খারাপ লাগলো খুব। কলেজ থেকে বেড়িয়ে এসেছি আজ ৬বছর হলো প্রায়।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২-অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন (পর্ব ২)

পাঁচ…..

ক্লাশ নাইনে সময় অদ্ভুত দ্রুত কাটতে লাগল।সময়টাকে আমার এখনও মনে হয় বড়ই মধুর।আমি দেখতে থাকি আমার বন্ধুদের চিঠি চালাচালি।এখন ই মেইলের যুগে হারিয়ে যাওয়া চিঠি তখন ছিল অদ্ভুত শিহরণ সঞ্চারী।যখনই কারো চিঠি আসত আমরা ছুটে যেতাম কোথা থেকে এল দেখতে।গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে আসা চিঠিগুলো অবশ্যি দেখলেই বুঝা যেত।কেননা ওদের হাতের লেখা গুলো যেন একই রকম ছিলো।তা আলমের কাছে যে চিঠি আসত তা দেখার সুযোগ হতো আমার।শাহরুখ নামধারী কোন মেয়ের কাছ থেকে আসত চিঠিগুলো।আর আলমের চিঠি গার্লস কলেজে যেত রুশি নামের মেয়ের পক্ষ থেকে।ক্যাডেট কলেজের স্যারদের সন্দেহের হাত থেকে বাচার এই পদ্ধতি বোধ করি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছিলো।তাই স্যাররা বুঝে না বুঝার সুনিপুন অভিনয় করত যা পত্রপ্রেরক এবং প্রাপক দুই পক্ষকেই উৎসাহিত করত।রুশি-শাহরুক কিংবা রুশো-শাখরুনার এই অভিনয় চলতে থাকে পুরো ক্লাশ নাইন জুড়ে।প্রেম ভালোবাসা নামক সূক্ষ্ম মানবিক আবেগগুলোকে আমি চিনতে শুরু করি প্রিয় বন্ধু আলমকে দেখেই।পরের বন্ধে ম্যাবসে পড়তে যাওয়ার আগ্রহও বাড়তে থাকে এভাবেই।

বিস্তারিত»

সাত দিনের পথ – নিরাময় পর্ব

মন খারাপ থাকাটা কোন রোগ না। খারাপ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। আমার তো প্রায় সব সময়ই মন খারাপ থাকে, হটাৎ হঠাৎ ভাল হয়ে যায়। যাহোক, মন খারাপ যদি কোন রোগ না হয় তাহলে এই পর্বের নাম নিরাময় দিলাম কেন? যেখানে নিরাময় সেখানেই তো রোগ। তেমন কোন কারণ নেই। তবে নিজে নিজে একটা কারণ বানালাম, সাত দিনের পথ যে বিষাদ পর্ব দিয়ে শুরু হয়েছিল তাতে মন খারাপটা রোগ হিসেবেই দেখা দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট নম্বর 1862- অসময়ে হারিয়ে যাওয়া অতি আপনজন…….

এক…..

অনেক ধরেই ভাবছিলাম ক্যাডেট কলেজের ঘটনা নিয়ে লিখব।ব্যস্ততা আর আলসেমি দুয়ে মিলে তা সম্ভব হচ্ছিল না।তারপরও আজ না বসে পারলাম না। এর কারণ একটি বিয়ের দাওয়াত। অনেকেই চমকে উঠতে পারেন,ক্যাডেট কলেজের সাথে বিয়ের দাওয়াতের আবার সম্পর্ক কি এই ভেবে। সম্পর্ক এজন্য দাওয়াতটি সেনাকুঞ্জে। সেনাকুঞ্জ নামটি আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিচ্ছে এই লেখা।কারণ এই সেনাকুঞ্জেই তার বিয়ে হবার কথা ছিল। সে বলতে ক্যাডেট নম্বর ১৮৬২।

বিস্তারিত»