আন্দা … গদ্যায়িত পদ্য …

আন্দা’র কবিতা পড়ে পড়ে নিজেকে বড় নিঃস্ব, রিক্ত মনে হয়। শক্ত, কঠিন, রস রসায়িত গদ্যায়িত পদ্য লিখতে উসখুশ করে মন ও মগজ। কলম, কাগজ, কি-বোর্ড আর মাউস বড় বেশি মিছিল, মিটিং আর আন্দোলন করে … তবু … বাঁধাগুলোই যেহেতু চিরজীবন আমার প্রেরনা, বাঁধা গূলোকে বেঁধে লিখতে থাকি … ঋণাত্বক আর ধণাত্বকের কাষ্ঠ্য কোবতে …

হর্ষেরা বিশাদের সাথে ঝগড়া করে
দুঃখকে ভালবাসে সুখ
বিশালত্বকে নিয়ে ক্ষুদ্রের প্রহাস
দেহকে অপ্রাপ্তি দেয় মুখ

শূণ্যতা পূর্ণতাকে অকথ্য ভাষায় করে গালাগালি
ডাকবিভাগের সাথে বাক বিভাগের চিঠি চালাচালি
কাক,

বিস্তারিত»

সাদা কালো ভাবনার রঙ

ক্লান্ত চোখে একটু জমা শিশির
আর পুরোনো লক্ষ জোনাক তারা
ভাবছি বসে নতুন কারা এলো
আর হারালো আমায় ছেড়ে যারা।

যেই দিনটা সারা দুপুর জুড়ে
হাসলো ভীষণ রোদের ছায়ায় মিশে
একটু রাতের আড়াল পেয়েই দেখো
কাঁদলো অঝোর সব হারানোর বিষে।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর -২

সময় হিসেব করে করনীয় আর সব কিছু না করা হলেও সিসিবি’তে ঢু দেয়া বাদ যায়না কখনোই।

আজ সিসিবি’র অতিথি যুবরাজের দুইটা লেখা পড়লাম। সাথে সাথে তার সচলায়তনের ‘লেটার ফ্রম লাইবেরিয়া’ এর পর্বগুলিও পড়ে নিলাম।
শেষ পর্বে খালাম্মার কথা পড়তে পড়তে ভেতরে মোচড় খেলাম।
অনেকক্ষন ঝিম মেরে বসে ছিলাম।
তারপর দেশে কথা বললাম। হঠাৎ ফোন করায় কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেন বাবা- মা দুজনেই।

বিস্তারিত»

সনাতন তথাপি অতি প্রিয় একটি কবিতা এখানে পুনরায় নিবেদিত হলো।

অন্যরকম !

অনেকখানি অনিশ্চয়তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে-
আরও একটি নিশ্ছিদ্র তন্দ্রাচ্ছান্ন রাত্রি পেরুলো।

প্রসন্ন মেজাজে বিছানায় গেলেও জানা ছিল না যে-
আগামী কালের সোনালী রোদ্দুর দেখতে পাব কি না?

স্বপ্নরা ছুটি নিয়ে চলে গেছে-
পরিশ্রমী উচ্চাভিলাষী লোকদের আঙিনায়।
জোছনার আলোর সাথে মিলেমিশে
নানা রঙ নিয়ে খেলা করে তাদের বিছানার চারপাশে।

সত্যি করে বলছি –

বিস্তারিত»

শীত উপেক্ষা করিয়া বৃষ্টি বিষয়ক পুরাতন একটি খোশ মেজাজের গপ্পো।

    বৃষ্টি এবং টেলিপ্যাথী !

অফিস থেকে বাড়ী ফেরার জন্য রাস্তায় নামতেই অনাহুতের মত ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হলো। যাকে বলা যায় একেবারে কুকুর বিড়াল বৃষ্টি । 😐

আমি সাথে সাথে উল্টা ঘুরলাম। এভাবে তো আর যাওয়া যাবেনা।
ফিরে গেলাম আবার অফিসে। কেবিনে যেয়ে বসলাম আবার।
কি করবো ভাবছি। :-/

উঠে যেয়ে কফি মেশিনটার কাছে যেয়ে এক গ্লাস কফি নিলাম।

বিস্তারিত»

বিশ বছর পর … বিশ বছর আগে …

বিশ বছর আগে …

১। মফস্বল শহরগুলোতে কোন গৃহশিক্ষক একবার কোন পরিবারে ঢুকে গেলে ব্যাস … ওই পরিবারের সবগুলো সন্তান তখন সতীর্থ না হয়ে যায় কোথায়। উপরন্তু সেই গৃহশিক্ষক যদি ডাকসাইটে, স্বনামধন্য কেউ হন তবে তো কথাই নাই। পরিবারের কর্তা, কর্তৃ তখন নিশ্চিন্ত মনে সবগুলো সন্তানকে তার কাছে সপে দিয়ে নিশ্চিন্ত হন। বড় দুই বোন কে পড়িয়ে তিন নম্বর বোনটিকে যখন ডাকসাইটে সেই রকম এক গৃহশিক্ষক গণিত পড়াচ্ছেন,

বিস্তারিত»

কে বলে পাগল … সে যেন কোথায় …

স্কুলে যাবার পথে যেকোন একটা কিছুকে টার্গেট করে ছোট ছোট লাথি দিতে দিতে স্কুলের গেট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া ছিল আমার জন্য প্রতিদিনের ঘটনা। সেদিনও সেই রকমই এক টার্গেট নিয়ে নিমগ্ন হয়ে স্কুলের পথ চলছি, হঠাৎ কে যেন খপ করে আমার ডান হাতের কবজি ধরে ফেলল। তাকিয়ে দেখি পৌনে নগ্ন এক পাগল। (অর্ধ বলার অবকাশ নাই, পুর্ণ বললে কিঞ্চিৎ অতিরঞ্জিত হয়ে যায় … শুধু অল্প কিছু অংশ ঢাকা … তাই পৌনে।) এত কাছ থেকে পাগল দেখে আমি তখন তথদধ … শরীরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে নিঃশ্বাস পর্যন্ত বন্ধ হবার অবস্থা।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রুপকথা : ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ – (প্রথম পর্ব)

[সামহোয়্যারইনব্লগ এ প্রকাশিত…১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৭]
আমার ব্যক্তিগত এই রূপকথার শেষ পর্বটা ‘সামহোয়্যার’ এর পাতা থেকে হারায়ে গেছে…দোষটা আমারই, কোন ব্যাকআপ রাখা হয় নাই…যাইহোক, আপাততঃ পুরান চোথা দিয়াই সিসিবিতে ডেব্যু করি! ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে 😀 …

—‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়’—

ছোট্ট স্টেশন।বালক ট্রেন থেকে নামে; দ্যাখে -প্ল্যাটফর্মের এককোণের বেঞ্চিতে বালিকা বসে আছে..

:পথে কষ্ট হলো?

বিস্তারিত»

রঙীন ঘুড়ির হরেক ভাবনা – ২

আকাশ সকাল সকাল অফিসে চলে এল। জুনিয়র কয়েকজন কলিগ আর মজিদ মিয়াকে গেটের কাজটা বুঝিয়েই ওর চলে যাওয়ার কথা। ঐ ওস্তাদদের আত্মবিশ্বাস দেখে আকাশ দ্বিধায় পড়ে গেল।তাই কাজটা একটু গুছিয়ে দিতে চাইলো ও। আর তাতেই এই সময় ব্যাটা আলগোছে পেরিয়ে গেল অনেকখানি বিনা নোটিশে।

এখন পৌনে বারটা বাজে। ভীড় ঠেলে মগবাজারে যেতে আরও কিছু সময় লাগবে। পথে যেতে যেতে আকাশ ঠিক করে ফেললো যে প্রথমেই যেয়ে লম্বা একটা দুঃখিত দিয়ে বাক্যালাপ শুরু।

বিস্তারিত»

রঙীন ঘুড়ির হরেক ভাবনা – ১

আকাশ আরেকবার হাতঘড়ির দিকে তাকালো –
পৌনে বারটা বাজে।
নীলিমার ওখানে যাওয়ার কথা দশটার দিকে।
এখন ছুটতে হবে সেই মগবাজারে।

নিজের উপর ওর এমন রাগ লাগছে যে আর কি বলবে ! ~x(
ছুটির দিনেও অফিসে এসে জনসেবামূলক কাজ নিয়ে দৌড় ঝাপ করে ঘাম ছুটাতে হলো।
একেই বলে খাল কেটে কুমির আনা। শুধু কুমির আনা পর্যন্ত ব্যাপারটা গড়ালেও চলতো।

বিস্তারিত»

আকাশ তবুও সুনীল থাকে……….

এক

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই তার মনে অদ্ভুত শিহরণ কাজ করছে।কেননা আজ তার জীবনের শেষ দিন।মনে মনে একটু চাপা অস্বস্তিও কাজ করছে।অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার ।আর মাত্র ২৪ ঘন্টা তারপর সে চলে যাবে অজানার দেশে।সকল মানুষের যে অমোঘ নিয়তি মৃত্যু তাকে স্পর্শ করতে চলছে সে।সে চলে যাচ্ছে সব পাওয়ার এই পৃথিবী ছেড়ে।কী যেন অপূর্ণতা রয়ে গেল তার মাঝে।

যে জীবন দোয়েলের,ফড়িংয়ের,

বিস্তারিত»

আচার ০১৪: পরবাসীর স্বগতোক্তি

কাঁপতে কাঁপতে বাইরে এসে দাড়াঁই। ভালো লাগে না। এই সাদা বরফ, মেঘলা আকাশ, ছুরির মতো ধারালো বাতাস- এসবের কোন কিছুই আমার নয়। তবু পরিযায়ী পাখির মতো অস্থায়ী নীড় বাঁধার চেষ্টা। ঘেন্না হয়। বিপন্ন বিস্ময়কে অবহেলে ছুটছি অর্থ আর কীর্তির পেছনে। নিজেকে মাঝে মাঝে গদাম করে লাথি দিতে ইচ্ছে হয়, পারি না।

ক্রমশই বেশি করে আসা শীতে কেমন নেশা ধরে, ভুলে যাই। তবু নিজস্ব আকাশ,

বিস্তারিত»

জীবনের গল্প ! (…আছে বাকি অল্প !!)

জীবনের গল্প !
এ্যাই নৌকা এ্যাই।
কোন নড়াচড়া না দেখে রাতুল গলার স্বর উঁচু করে আবার ডাকলো-
অ্যাই… নৌকা অ্যাই…।
এতক্ষণে নৌকাটি নড়তে শুরু করলো। রাতুল আর কিংশুক শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। নৌকাটি কাছে আসতেই ওরা লাফ দিয়ে উঠে পড়লো। নৌকার মাঝি ধীরে ধীরে তার নৌকা ঘুরিয়ে খেয়াপাড়ের দিকে অগ্রসর হলো।
এরা এখন ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। বিকেলে তারা নারায়নগঞ্জ এর সোনাকান্দায় এসেছিল রেশমার বিয়ের অনুষ্ঠানে।

বিস্তারিত»

ত্রিদেশীয় ভ্রমন -১ ইন্দোনেশিয়া (বালি)

গত অক্টোবরে আমাদের পুরা ফ্যামিলি মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম – তিনটি দেশ। বাবার শখ ছিল অনেক দিনের। আর আল্লাহ তা’য়ালা যখন সুযোগ করে দিলেন – তা হাতছাড়া করি কোন দুঃসাহসে।
প্রথমেই ছিল ইন্দোনেশিয়া’র বালি দ্বীপ।
সেখানে চোখের সামনে ভলক্যানো দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আসলেই দাঁড়িয়ে আছি -এই ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির সামনে !
আজ তবে আপনাদেরকে বলি সেই দিনটির কথা।

বিস্তারিত»

অস্কার প্রেডিকশন

অনেকেই বলেন, ডিরেক্টর্‌স গিল্ড অফ অ্যামেরিকা অ্যাওয়ার্ড যে পায় অস্কারও সে পায়। গত বেশ কয় বছর ধরেই এই নিয়ম খাটছে। গত বছর “নো কান্ট্রি ফর ওল্ড মেন” সিনেমার জন্য জোল কোয়েন এবং ইথান কোয়েনকে সেরা পরিচালকের পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। অস্কারও এই দুই ভাই পেয়েছিলেন। আসলে ১৯৪৮ সালে এই পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পরে মাত্র ৬ বার এই পুরস্কারের সাথে “সেরা পরিচালক হিসেবে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড” মিলেনি।

বিস্তারিত»