( এখানে পোস্ট দিতে গিয়ে সামুতে প্রকাশিত লিখতে লিখতে বিরক্ত হয়ে যাই। এই লেখাটা সিসিবি ছাড়া কোথাও প্রকাশিত হবার চান্স নেই। মন খারাপ ভাব কাটাতে একটু হালকা ধর্মী পোস্ট। কারো ভালো না লাগলে আমি দায়ী নই। )
১
ক্লাশ নাইনে পাক্ষিক পরীক্ষার কথা। সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষার বিষয় ছিলো ইতিহাস। সবাই পরীক্ষায় লিখতে লাগলাম। এক্সট্রা পেজ নেয়াও হলো প্রায় সবারই। লিখে গেলাম সবাই যে যত পারি।
স্বপ্ন ! শেষ পর্ব।
আগের পর্ব গুলির জন্য এখানে দেখুন।
৯
এখন বিকাল ৫’টা বাজে। আকাশ অফিস থেকে বাড়ী ফিরছে।
আজ দাদী’র আসার কথা। ওনার শরীরটা ক’দিন ধরে ভাল যাচ্ছে না। আকাশের বিয়ে’র কথা চলছে -জানতে পেরেই তিনি একদম অস্থির হয়ে উঠলেন ঢাকা আসবার জন্য। দাদীকে আনবার জন্য সকালে একটা মাইক্রোবাস পাঠানো হয়েছিল টাঙ্গাইলে।
আকাশ বাড়ীতে ঢুকেই বুঝতে পারে, পুরা বাড়ীতে একদম উৎসবের আমেজ চলে এসেছে।
বিস্তারিত»স্বপ্ন ! পঞ্চম পর্ব।
৭
আজ শুক্রবার। ক্যালেন্ডারে মার্চের প্রথম সপ্তাহ চলছে। ঝকঝকে একটা সকাল। ছুটির দিনের আয়েশী প্রাতঃরাশ শেষে, বারান্দায় বসে আকাশ খবরের কাগজ দেখছিলো। অধিকাংশ খবরই মনটা খারাপ করে দেয়। চারিদিকে অপরাধ, নৈরাজ্য, হতাশা, নিরাশা আর অজস্র লোক দেখানো কারবার। আসলে সঠিক জায়গায় সঠিক লোক সঠিক সময়ে থাকে না বলেই আমাদের আজ এই অবস্থা। আর দিন দিন এ অবস্থা অস্বচ্ছ হয়ে উঠছে…।
স্বপ্ন ! চতুর্থ পর্ব।
৬
ক’দিন হলো, অফিসে কাজের চাপ বেড়েছে। আকাশে’র দুইটা প্রজেক্ট ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাওয়ায় ও এখন পুরা দৌড়ের উপর আছে। প্রজেক্ট দু’টি হচ্ছে- ধানমন্ডিতে একটা তিন তালা বাড়ী আর বনানীতে একটি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স। ব্যস্ততার যাতাকলে – পেরিয়ে গেল গোটা এক পক্ষ। এ সময়ের মধ্যে সেই বিশেষ দিনটি মনের আয়নায় যে আচড় কেটেছিল, ঐ দিকে তাকানোর আর সু্যোগ আকাশে’র হয়ে উঠলো না ।
আমার (প্রায়)নির্বান লাভ
ডানপাশে ঊড়ুক্কু পলিথিনের ব্যাগ হাওয়ার নিঃশ্বাসে ফুলছে ফাপছে, বাতাসে কর্কশ ধূলো ,নিশ্বাসে রিসেশনের দুর্যোগকালীন দামী জ্বালানীর পোড়া সৌরভ, শাহবাগের মুড়িভর্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম বিশাল এক টসটসে টোপ হয়ে। চারপাশের নাগরিক মাকড়শার জালে আটকানো ,কুকড়ানো নষ্ট আকৃতির জীবনটা ফেরি ঝুলিয়ে ধেয়ে আসছে টোপ গেলার জন্যে। পাকস্থলীর জারক এনজাইমে সাতড়ানো অবস্থায়ই সাধারনত আমার দুঃস্বপ্ন গুলো শেষ হয়। সেদিন শেষ হল নারী দেহের বক্র অনুপ্রবেশে। হতাশ ভাবে ভাবলাম “মেয়েমানুষ!!
বিস্তারিত»জেসাস ক্রাইস্ট কি ঐতিহাসিক চরিত্র-১
১.
দশ হাজার বছর আগেই মানুষ বুঝেছিল পার্থিব জীবনে সূর্যের ভূমিকা। সূর্য মানুষ্কে শুধুই আল দিত না, সাথে সাথে নিরাপত্তার বোধ, উষ্ণতা ইত্যাদিও দিত। সেকারনেই প্রাচীন সভ্যতাগুলতে সূর্যকে আলাদা মর্যাদায় দেখা হত। তারা বুঝে ছিল সূর্য ছাড়া শস্য ফলবে না, পার্থিব জীবন টিকে থাকতে পারবে না। এই সত্য গুলোই মানুষকে ধাবিত করেছে সূর্যকে সবচেয়ে সম্মানিত একটি নিমিত্তে পরিণত করতে।
মানুষ আকাশের নক্ষত্র সম্পর্কেও ভালোই জানত।
বিস্তারিত»ধর্মীয় অন্ধতা এবং আমাদের বানরায়ন -১
১.
চারদিকে অন্ধতার পরিমান এত বেড়েছে,কোনোওভাবেই আর সত্যের দেখা পাওয়া যায় না ।আমি কোনো অবিশ্বাসী মানুষ না,কিন্তু তাই বলে চোখ বন্ধ করে থাকতে জানি না
এইসকল অন্ধতার একটা প্রধান ধারা হচ্ছে ধর্ম ।ধর্মের অপব্যাখ্যায় চার দিক ছেয়ে গেছে ।মুক্ত মনের চর্চা হয় না কোথাও ।বিদায় নিয়েছে বিজ্ঞানমনস্কতা,এবং অন্যান্য বুদ্ধিমত্তার উপহার ।মানুষ থেকে বিবর্তনের ধারার উল্টা পথে মনে হয় যেতে আর বেশী নেই ।পচা নোংরা বানরের দলে পরিনত হচ্ছি আমরা ।
বিস্তারিত»একটি উঠোন একটি বাগান আর একজন ক্ষুদ্র মানবের শৈশব
(মন অনেক খারাপ কিছুদিন যাবৎ। সামুতে প্রকাশিত এই লেখাটি আমার নিজের সবচেয়ে প্রিয় আবেগ গত কারণে। সিসিবির সবার সাথে শেয়ার করলাম। )
খুব ছোট একটা বাড়ি।শহরের সীমানা ছাড়িয়ে মফঃস্বলের সূচনা যেখানে কিংবা মফঃস্বল নয় কিছুটা শহর কিছুটা মফঃস্বল।সেখানকার ছোট্ট একটি বাড়ি।সাধারণ মানুষের কাছে সেটা বিশেষ কিছু মনে হবে না শুধু মনে হবে শুধুই আরেকটি বাড়ি।সেটার কী বিশেষত্ব তা বুঝা যাবে না কারো কাছেই।শুধু সে ব্যতীত।তার বাড়ি তার আঙিনা তার খেলাঘর।সে এক শিশু শুধুই শিশু।তার চোখে রাজ্যের বিস্ময়।সবকিছুই সে েখে সবকিছু সে শুনে আর জানতে চায় তার অদেখাকে।তার খুব প্রিয় এই উঠান এই আঙিনা।কতটুকু হবে সেটা ।খুবই ছোট।৩০ ফুট বাই ২০ ফুট-কিন্তু এই ছোট জায়গা ধরে আছে তার জগতের অনেকাংশকে।উঠানের পাশের খোলা বারান্দায় বসে থাকে।বসে থাকে সে রাজ্যের বিস্ময় চোখে নিয়ে।
একজন পর্দা নিয়ন্ত্রকের পারফর্মার হয়ে ওঠা
মূলতঃ ক্লাস সেভেনের ট্যালেন্ট শো থেকেই শুরু হয় ক্যাডেটদের ষ্টেজ পারফর্মেন্স। ওই সময় থেকেই প্রায় নির্দিষ্ট হয়ে যায় ব্যাচের কালচারাল প্রোগ্রাম হলে কোন দায়িত্ব কাকে নিতে হবে। দায়িত্ব ভাগাভাগির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ থেকেই আমার বন্ধু ‘পর্দা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে ব্যাপক নাম করে ফেলল। প্রায় সব শাখায় জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেও বিফল আর ওয়াশ-আউট হয়ে শেষ পর্যন্ত ‘পর্দা নিয়ন্ত্রন’কে সে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গেল। কিন্তু অবস্থার উন্নয়নের চিন্তা যেহেতু সার্বজনীন,
বিস্তারিত»মেঘ পিয়নের চিঠি
সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে।
বিস্তারিত»একডজন অণূকাব্য … অনেকগুলা কম (নামকরণের কপিরাইটঃ টিটো)
১।
দখিনা বাতাসে তার এলোচুল উড়ে যায়
উড়ে যায়
উড়ে যায়
ছুয়ে যায় আমার বুকের তপ্ত বালুচর
নিঃস্বঙ্গ মরুকে যেমন অকস্মাৎ ছুয়ে যায়
সাইমুম ঝড়
কল্পনার এপিটাফ
ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলে চাইলাম,
নিশ্ছিদ্র অন্ধকার, ছন্দপতনহীন নীরবতা মাঝে।
যখন জেগে ছিলাম মূমুর্ষূ আমার চারপাশে ছিল কত কি!
মা, বাবা, আত্মাহীন আত্মীয়,
ফিনাইলের গন্ধ, সাদা চাদর, নিষ্প্রাণ ডাক্তার
আর ছিল শুকিয়ে যাওয়া কালো গোলাপ, সাদা রজনীগন্ধা।
ফালতু কবিতা এ্যাক্রস্টিক … কাম ব্যাক পোষ্ট
অস্তগামী সূর্য্যটাকে আজ বড় বিষন্ন, বিধ্বস্ত লাগছে।
রুদ্র প্রখর দিন পেরিয়ে রাতের করুণ আধারে হারাবার কালে
নিস্ব, রিক্ত মনে হচ্ছে
মাত্রাতিরিক্ত মন খারাপ আজ সুর্য্যের
আমার মনটাও আজ কেন জানি বারবার
মিলেমিশে একাকার হয় আধার কালো বিষাদের রঙে
তোমাকে কাছে পেয়ে প্রখর সূর্য্যালোকের মত তারুন্যের স্পর্শ পেয়েছিলাম
মাত্র ক্ষণকাল স্থায়ী হল সে অনুভব, তারপর
কেমন করে বিষন্নতা আমাকে গ্রাস করল,
একটি সাধারণ গল্প
[সামুতে প্রকাশিত এই লেখার আইডিয়া ঝিনাইদহের ইব্রাহীমের। এই আইডিয়াতে ও একটি গল্প লিখেছিল কোন এক আড্ডায়। সেই লেখা হারিয়ে যায় কিন্তু প্লট ব্যবহার করে আমি সামুতে লিখি। তাই ট্যাগে ঝিনাইদহ দিলাম। সামুর লেখাটাকে ঘষামাজা করে আজকে সিসিবিতে দিলাম। ]
– আয়নাটা ভালো করে ধর। অনেকটা আদেশের মত শোনাল বিল্লালের গলাটা। আর তা রঞ্জিতের কানে সূচের ফলার মত তীক্ষ্ম হয়ে বিধে আঘাত ছড়িয়ে দিল সারা গায়।
বিস্তারিত»আচার ০১৭: চার অংকের সংখ্যাগুলো
শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্য- মানুষের বেড়ে ওঠার এই সময়টাকে একসাথে অনেকে ছোটবেলা বলে ডাকেন। আমিও ডাকি। কি সময় ছিল! কল্পনার লাগাম ছিল না কোন। চোখের পলকে হয়ে যেতে পারতাম অন্তরীক্ষের নভোচারী বা সাগরতলের ডুবুরী। বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চোখের পলকে নিজেকে পালটে নিতে পারতাম। কিন্তু আজ যৌবনে এসে কি থেকে কি হয়ে গেল, কল্পনাগুলো বাস্তবের চোখ রাঙানিতে চুপসে যায় নিমিষে। বাড়তে পারে না, বুক চেরা দীর্ঘশ্বাসই সম্বল।
বিস্তারিত»