ভাঙ্গনের সাতকাহন

null
ভালবাসা শ্বাশত, স্বর্গীয়। ভাল লাগা থেকে ভালবাসার সৃষ্টি হয়। ভালবাসার এই জগৎ”টা অনেক রঙ্গীন, অনেক দুরন্তপনায় ভরপুর, অনেক বেশি স্বপ্নময়। ভাল লাগার জোয়ারে ভেসে যায় যেন দুজনে। এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই কাম্য। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের এই দিনে আর দিন বদলের এই সময়ে জগতের সব নয়ম কানুন এ যেন কেমন উল্টেপালটে যাচ্ছে। পৃথিবীর মানুষগুলো হঠাৎ” করেই কেমন যেন জাগোতিক হয়ে উঠেছে। অনেক বেশি বৈষয়িক, অনেক বেশি স্বার্থপর, অনেক বেশিই অধিকার সচেতন। আমি এর কোনোটাকেই খারাপ বলতে চাচ্ছি না। কারণ ভাল খারাপের বিচার করার মত জ্ঞ্যানী এখনো আমি হয়ে উঠেনি, আর এটি আসলেই অনেক আপেক্ষিক একটি বিষয়। কিন্তু সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এত অশান্তি, এত ভাঙ্গন, এত বিচ্ছেদ… আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক বলছে এটা বেদনাদায়ক। কেন এত dissatisfaction? প্রেম-ভালবাসা, বিয়ে-সংসার সবসম্পর্কেই অনেক অস্থিরতা, অনেক অনেক বেশী অসহনিয়তা। নাটক সিনেমাতে দেখেছি প্রেমে পড়ে মানুষ পুরো দুনিয়াকে তুচ্ছ জ্ঞ্যান করে, সুনীল গঙ্গপাধ্যায়ের কোনো এক লেখায় পরেছিলাম “ ভালবাসলে মন হয়ে যায় অন্ধ”। কিন্তু মানুষ আজকাল অনেক বেশি সচেতন, অন্ধ হলে চলবে কি করে? খুবই যুক্তিযুক্ত কথা। মানুষ তার অধিকার নিয়ে, স্বকীয়তা নিয়ে, নিজস্বতা নিয়ে স্বোচ্চার হবে, সচেতন হবে, স্পষ্ট কন্ঠে তার দাবী জানিয়ে আদায় করে নিবে এমন শিক্ষাকে কখনোই খারাপ বলা যাবে না। কিন্তু কখনো কি আমরা কেউ ভেবে দেখেছি যে এই অধিকার আদায়ের বিপ্লবে আমরা আমাদের স্বজন্দের দূরে ঠেলে দিচ্ছিনাতো? ক্ষুদ্র মস্তিস্ক, স্বল্প অভিজ্ঞতা, সীমীত জ্ঞ্যান নিয়ে এক দুঃসাহসী কাজ করতে যাচ্ছি। জীবনের এই অল্প পরিসরে যতটুকুই দেখেছি, এই ভাঙ্গনের পেছনের কারণগুলো সচরাচর কি কি তা তুলে ধরছি। নিতান্তই আমার নিজস্ব দর্শন আর observation.

সম্পত্তি না সম্পদ :
HSC তে আমরা সবাই মনে হয় হৈমন্তি ছোটগল্পটি পড়েছি। সেই সময়ে আমাদের তরুণ মনে বেশ রোমান্সের ভাব উদয় ঘটিয়েছিলো এই ছোট গল্পটি! বিশেষ করে সামসুল আলম স্যার তার ভরাট কন্ঠে আর শব্দের মায়াজাল বিছিয়ে আমাদের সামনে এক প্রগতিশীল ভালবাসার রূপ তুলে ধরেছিলেন। লাইনটি তখন ভাব-সম্প্রসারনের জন্যই পড়েছিলাম, কিন্তু আমাদের মধ্যে খুব কমই আছেন যারা এর প্রকৃত ভাব তাদের জীবনে র্কাযকর করতে পেরেছি, আমার সেই খুব প্রিয় লাইনটি হচ্ছে,
সে আমার সম্পত্তি নয়, সম্পদ।
বিয়ে বা ভালবাসার সম্পর্কের মধ্যে সম্পত্তি জাতীয় অধিকারবোধটা আজকাল খুব বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে।পুরুষ কিংবা স্ত্রী যেই হক না কেন, যাকে ভালবাসবে তাকে সমাদর করা দরকার অমূল্য সম্পদ মনে করে। সম্পত্তি ভেবে ভোগ করা নয়। মুখে বলছি ভালবাসি, অথছ কাজেকর্মে বুঝাচ্ছি তুমি আমার অধিকারভুক্ত সম্পত্তি। দুইজন যখন দুইজনের প্রতি এই মনভাব ত্যাগ করে দুইজন কে তাদের asset বা সম্পদ ভেবে কদর করবে, যত্ন নিবে তখন আমার মনে হয় অনেক ভুল বুঝাবুঝির অবশান ঘটবে।

সন্দেহের ধুম্রজাল:
সব সময় শুনে এসেছি যে, বিশ্বাস নাকি ভালবাসার ভিত। কিন্তু আজকাল couple দের মধ্যে এই ভীষন দরকারী জিনিস টার ভীষন ভাবে অভাব দেখা যাচ্ছে। ভালবাসার মানুষটি যদি বিশ্বাসযগ্য না হয়, তবে তাকে কতদিন সন্দেহ করে আর চোখে চোখে রেখে আটকে রাখা যাবে? যেকোনো সম্পর্কই কিছুটা ছাড় চায়, space চায়। দম বন্ধ করা পরিবেশ কখনই সুখোকর না, স্বাস্থ্যকর না, কোনো সম্পর্কের জন্যই না। যখন দুইজনের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব্যপূর্ন সম্পর্ক হবে, দুইজন দুইজনের কাছে সব বিষয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে তখনি একে একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বলা যাবে। আর এমন সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ অনেক কম। আর কেউ যদি একান্তই বিশ্বাসভাজন না হয় সে তো তবে ভালবাসা পাবার যগ্যতাই হাড়ায়, নয় কি?

স্বাধীন আমি আমাতে পরিপপুর্ন:
ভালবাসা একটা বন্ধনের কাজ করে বলে আমার মনে হয়। দুইটা অপরিচিত ভিন্ন মানুষ ভালবাসার বন্ধনে এক হয়ে যায়। তাদের স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ”, তাদের ভাল লাগা, মন্দ লাগা সব কিছু একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়। আর এ কারণেই হয়তো বিলেতিরা “life partner” শব্দটিকে এতো বেশি প্রাধান্য দেয়। পার্টনার শব্দটির মধ্যেই একরকম ভাগাভাগি করে নেয়ার একটা ব্যাপার আছে যা অনেক স্বাধীনচেতা মানুষের অপছন্দের কারণ হলেও হতে পারে। কারণ এখন আমরা সবাই খুব স্বাধিনতা প্রিয়। একলা একলা চলতে ভীষন ভালবাসি। আর যারা একলা চলতে পারেননা বা চাননা, আমরা তাদের নাম দেই অসহায় বা পরাধীন বা স্বাবলম্বী নন। কিন্তু ভালবাসার সম্পর্ক যেহেতু জয়েন্ট এ্যাকাউন্টের মত, দুজন দুজনকে কেছুটা ওপেন স্পেস দেওয়ার দরকার থাকলেও ভাগাভাগি করে নেওয়া প্রয়োজন অনেক কিছুই। কারণ সংসার কিন্তু একটাই, দুজনের আলাদা কিন্তু নয়।

আধুনিকতার যান্ত্রিকতা:
আমার মনে আছে আমার যখন এই ৩/৪ বছর বয়স, তখন ঘরে ঘরে টেলিভিশনের চল সবে মাত্র শুরু হয়েছে আর যারা একটু বেশি অবস্থাসম্পন্ন ছিল তাদের বাসায় নতুন নতুন ভিসিআর বা ভিসিপি আসা শুরু করল। আর সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া খুব কম লোকের বাড়িতেই ল্যান্ড ফোন থাকতো। আর এখন ঘরে ঘরে এসি, এলসিডি টেলিভিশন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রওয়েভ ওভেন, গৃহকর্তা আরম্ভ করে এমনকি গৃহপরিচারিকা সবার হাতে হাতে সেলফোন… এসব আর এখন কোনো বিলাসিতার বস্তু না। মানতেই হবে আমরা সবাই যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি, অবশ্যই জীবনকে আরো একটু সহজ করে নিতে। কম্পিউটার, সেলফোন, এসব যেমন মানুষের মধ্যেকার দুরত্ব অনেক কমিয়ে এনেছে তেমনি ঘরের পাশে বসা মানুষটিকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে যোজন যোজন দূরে। ফেসবুকে বা ম্যাসেঞ্জারে আমরা আমেরিকায় থাকা বন্ধুটির খবর নিচ্ছি, অথচ ঘরের মানুষটির মনের খবর নেবার সময় আমাদের হাতে অনেক সময়ই হয়ে উঠেনা। সেলফোন কম্পানিগুলো বলছে “কাছে থাকুন” কিন্তু কত ঘর যে এই এদের কারণে ভাংছে তার হিসাব নেই।

গেঁয়ো বনাম শহুরে:
নিউইয়র্ক আর নিউজার্সির চিরায়ত দ্বন্ধ’র মতো ছোট্ট বাংলাদেশেও মেট্রপলিটান আর মফশ্বল শহরের মধ্যে চাপা বিরোধ যেন চিরকালের। পারিবারিক জীবন, কর্মজীবন সবক্ষেত্রেই এরা আবহানী মহামেডান কিম্বা ইন্ডিয়া পাকিস্তানের মতো দুইদুলে বিভক্ত। তারা একে অপরকে কেমন যেনো একটা প্রতিদ্বন্দী মনে করে। সংসার করতে গিয়েও এই জিনিসটা অনেকের মনপীড়ার কারণ হয় অনেক সময়ই। খুব ছোট সামান্য একটা ব্যাপার থেকে ঘর ভাঙ্গার করণ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায়। অথচ আমরা এভাবেও তো দেখতে পার যে কতো ছোট একটা দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ… এর মধ্যে আবার আমরা নিজেদের এভাবে ভাগ করে নিচ্ছি। শহুরে মানেই স্মার্ট, cool আর মফঃশ্বল বা গাঁয়ের ছেলে-মেয়ে মানেই আনস্মার্ট, গেঁয়ো… এই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসাটা খুব দরকার। আজকের বিশ্বায়নের যুগে এই প্রতিদ্বন্দিতা খুবই হাস্যকর।

শেকড় বদলানোর গল্প:
বিয়ের মধ্য দিয়ে দুইটি ভিন্ন পরিবারের দুটি ভিন্ন মানুষ এক হয়ে যায়। অনেক সময়ই তারা ভিন্ন কালচার, ভিন্ন রীতিনীতি, ভিন্ন পছন্দ অপছন্দ, ভিন্ন নিয়ম কানুনে অভ্যস্ত থাকে। সাধারনত স্ত্রীদের অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয় যাহেতু তাকে শশুরবাড়িকে বা স্বামীরবাড়িকেই নিজ ঠিকানা বানাতে হয়। অনেকটা কলম কাটা গাছের মতো। অথবা যে গাছটিকে শেরড়শুদ্ধ মাটি থেকে উপড়িয়ে অন্য মাটিতে লাগানো হয়েছে। সে গাছটিরও কিছুটা যত্নের প্রয়োজন। নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ, নতুন রীতিরেওয়াজের সাথে তাকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় ও সহযোগিতা ভীষন প্রয়োজন। এবং এই সহযোগিতাটা স্বামীর কাছ থেকে আসলে স্ত্রীর মনে স্বামীটির জন্য সম্মান আরো অনেক গুন বেড়ে যাবার কথা। ঠিক একইভাবে স্ত্রীর সহযোগিতাও কাম্য।

আদেশ করেন জাহা মোর গুরুজনে:
বিয়ের পর সাধারনত এক যোগ এক সমান দুই না হয়ে এক হয়, অর্থাৎ” দুইজন মিলে একটি অভিন্ন জীবনে প্রবেশ করে। যেহেতু তারা দুজন মেলে সারাটা জীবন একসাথে পার করার স্বপ্ন দেখে, অঙ্গিকারবদ্ধ হয় সেক্ষেত্রে তাদের এই যৌথ খামারে অন্য তৃতীয় কারও হস্তক্ষেপ অনেক সময়ই সুফল বয়ে আনে না। মাথার উপর গুরুজনেরা আছেন, থাকবেনই সবসময় মমতার ছায়া বেছানর জন্য। মা-বাবার কাছে কিন্তু সন্তান কখনই বড় হয় না, সবসময়ই ছোটই থাকে। আর তাই অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় কন্যার মা-বাবা অথবা পাত্রের মা-বাবার অত্যাধিক ভালবাসা, উপদেশ, হস্তক্ষেপে স্বামী-স্ত্রীর মাঝেই দুরত্ব বয়ে নিয়ে আসে অনেক খানি। কিন্তু আমি শতভাগ নিশ্চিৎ” যে কোনো মা-বাবাই তাদের সন্তান্দের ঘর ভাঙ্গা দেখে সুখী হতে পারে না। তাই কিছুটা দুরদুর্শীতার পরিচয় দিয়ে গুরুজনদের উপদেশের আলোকে নিজেদের জীবন নিজের মত করে গুছানোই শ্রেয়।

আরো নিশ্চই অনেক অনেক প্রেক্ষাপট আছে ঘর বা সম্পর্ক ভাঙ্গার বা দূরত্ব বাড়ানোর পেছনে। আরো অনেক জটিল সমস্যাও থাকতে পারে, তবে দুইজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেগুলো পার করা অসম্ভবও না। তবে যেহেতু একহাতে তালি বাজে না, তাই দুইজনেরই সদিচ্ছার উপস্থিতি থাকতে হবে এবং যতদুর সম্ভব সমস্যা গড়াতেই সমূলে উৎ”খাত করতে হবে। তা না হলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা কেবলমাত্র একটা ভাঙ্গা বা জড়াতালি দেওয়া ঘর রেখে যাব না, বরং ভাঙ্গা একটা সমাজ দিয়ে যাব। একটু গভীরভাবে ভেবে দেখি, আসলেই কি আমরা তা-ই চাই?
null

৫,৮১৪ বার দেখা হয়েছে

৫৮ টি মন্তব্য : “ভাঙ্গনের সাতকাহন”

  1. আন্দালিব (৯৬-০২)

    মনে হয় পৃথিবীর সকল সম্পর্কই আদতে কোন না কোন ক্লিশে অবস্থায় পড়ে যায়। আর আমি নিজে মনে করি, প্রাথমিক আবেগ-উচ্ছ্বাস কেটে যাবার পরে যেটুকু বাকি থাকে সেটা হলো স্বস্তি বা স্বাচ্ছন্দ্য। আমি পাশের মানুষটার সাথে কতটা স্বচ্ছন্দ, সেটাই সম্পর্কের কী-ফ্যাক্টর। এর বাইরে বাকি যা যা প্রয়োজন, সেগুলো পর পর চলে আসে।

    জবাব দিন
  2. তানজিনা মেহেদী অমী (অতিথি)
    ভালবাসলে মন হয়ে যায় অন্ধ
    মুখে বলছি ভালবাসি, অথছ কাজেকর্মে বুঝাচ্ছি তুমি আমার অধিকারভুক্ত সম্পত্তি। দুইজন যখন দুইজনের প্রতি এই মনভাব ত্যাগ করে দুইজন কে তাদের asset বা সম্পদ ভেবে কদর করবে, যত্ন নিবে তখন আমার মনে হয় অনেক ভুল বুঝাবুঝির অবশান ঘটবে।
    ফেসবুকে বা ম্যাসেঞ্জারে আমরা আমেরিকায় থাকা বন্ধুটির খবর নিচ্ছি, অথচ ঘরের মানুষটির মনের খবর নেবার সময় আমাদের হাতে অনেক সময়ই হয়ে উঠেনা
    নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ, নতুন রীতিরেওয়াজের সাথে তাকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় ও সহযোগিতা ভীষন প্রয়োজন

    সহমত :clap:

    জবাব দিন
  3. আপু পুরোটাই সহমত,এখন অবশ্য তোমাদের মত এত অভিজ্ঞতা হয়নি,তবে যেটুকু হয়েছে,তা তে তমার মত বলতে পারি ভালো থাকাটাই আসল কথা,অথবা আন্দালিব ভাইয়ার মত,স্বস্তি বা স্বাচ্ছন্দ্যের উপর সব নির্ভর করে
    শেয়ার করলাম লেখাটা

    জবাব দিন
  4. সামিয়া (৯৯-০৫)
    যাকে ভালবাসবে তাকে সমাদর করা দরকার অমূল্য সম্পদ মনে করে। সম্পত্তি ভেবে ভোগ করা নয়। মুখে বলছি ভালবাসি, অথছ কাজেকর্মে বুঝাচ্ছি তুমি আমার অধিকারভুক্ত সম্পত্তি। দুইজন যখন দুইজনের প্রতি এই মনভাব ত্যাগ করে দুইজন কে তাদের asset বা সম্পদ ভেবে কদর করবে, যত্ন নিবে তখন আমার মনে হয় অনেক ভুল বুঝাবুঝির অবশান ঘটবে।

    অ গেন্দুর বাপ, শুনছনি??
    😛 জোক্স এপার্ট, আপু খুবই সুন্দর হইছে, আমরা সবাই যদি একটু সহনশীল নীতি নেই, তাহলেই কিন্তু জীবনটা সুন্দর চলে যায়।
    আমি বসে বসে ভাবি, আপনি এত গুছায় টুছায় লেখেন কেমনে? :dreamy:

    জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    অনেক গুছানো এবং চমৎকার একটা লেখা। :thumbup:
    আমার মতে, যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই পারস্পরিক বিশ্বাস আর সহনশীলতা (বা কম্প্রোমাইজ করার ইচ্ছা) অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ।

    অফটপিকঃ আপু, বানানের দিকে যদি হালকা মনযোগ দিতেন তাহলে আমাদের মত আমজনতার পড়তে আরেকটু আরাম লাগত। 🙂

    জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    ভীষন জরুরী বিষয়।

    আফসোস আপাতত কাজে লাগাইতে পারতেছি না। 😉


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  7. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    ভাঙন রোধে দুইজনের সদিচ্ছাই যথেষ্ট
    সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে গেলে কোনো সদিচ্ছাই কাম দেয় না(পারস্পরিক চাহিদাবোধ বলি আর শ্রদ্ধাবোধ বলি তা থাকতে হয়)
    আমার তো মনে হয় সম্পর্কে টানা-পোড়েন যত বেশি সে সম্পর্ক টিকে থাকার সম্ভাবনাও বেশি। তবে কিনা টানা-পোড়েন টাও যেন নিয়মিত আর একঘেয়ে হয়ে না যায়.......(প্রায় জ্ঞানের কথা বইলা ফালাইছি...ভাগি)

    দারুণ ও প্রয়োজনীয় পোস্ট :hatsoff:


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  8. জিতু,
    তোর প্রবন্ধ টার টপিক টা খুব সুন্দর. খুব তাড়াতাড়ি করেই পড়লাম. vacation এ আছি ১৫ দিনের...... সমস্ত ইস্ট কোস্ট চষে বেড়াচ্ছি. গতকাল ছিলাম ohio আর আজকে NY তে. বাড়ি ফিরে তোর এইটা মন দিয়ে পড়ব.

    জবাব দিন
  9. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    পুরো লিখাটা মনযোগ দিয়ে পড়লাম।
    গোড়াতেই একটা গলদ চোখে পড়লো।
    "ভালবাসা শ্বাশত, স্বর্গীয়" - এইটা অনেকেই বলে থাকে।
    কিন্তু কথাটা কি আসলেই ঠিক?
    এটা যদি ঠিকই হতো, মানুষ এক স্থবির জীবে পরিনত হতো। তাই এটা কে ভুল ধরেই এগুনো উচিত।

    সাথে সাথে প্রস্তাব করছি, এটা মেনে নিতে যে "সম্পর্কের উলটো পিঠেই লিখা আছে ভাঙ্গন"
    সম্পর্ক আর ভাঙ্গনের মাঝামাঝি কিন্তু কিছু নাই।

    সম্পর্কে থাকা মানুষগুলো এফর্ট দিয়ে তা বাড়াতে পারেন, এক জায়গায় ধরে রাখতে পারেন। কিন্তু পারিপার্শ যদি তার উত্তাপ কমানো শুরু করে, তাঁদের তা অস্বীকার করে, মনে হয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। যা টিকে থাকে তা সম্পর্কের ফসিল কিন্তু প্রকৃত কোন সম্পর্ক না।

    একইভাবে ভাঙ্গন যদি শুরু হয়, যে জন্যই হোক - সেটা থামানোর চেষ্টা কোন কাজের কথা না। অফিশিয়াল ভাঙ্গন হয়তো পেছানো যায়, মনের ভাঙ্গন কি আর তাতে পিছায়?

    দুঃখজনক হলেও সত্যিটা হলো এই যে
    একটা ভালবাসাময় সম্পর্ক গড়তে, তা টিকিয়ে রাখতে দুজন মানুষের যুগপত ইচ্ছা, প্রচেষ্টা তো লাগেই সাথে থাকতে হয় পরিবেশেরও সহযোগিতা।
    অথচ ভাঙ্গন আসতে পারে এদের যেকোন একজনের অনিচ্ছা, অসহযোগিতা, অথবা দায়িত্বজ্ঞানহিনতায়।

    এই যখন অবস্থা, তখন সুস্থ সম্পর্ক টিকে থাকাটা যে ভেঙ্গে যাওয়া থেকে অনেক অনেক কঠিন একটা ব্যাপার, এটা বুঝতে কিন্তু কাউকে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না।

    বরং সুস্থ্য সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এক এক জনকে এক একটা রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হলে অবাক হবার কিছু থাকবে না!!!!!!


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।