১
আকাশ যত অন্ধকার, তারারা ততই স্পষ্ট। এটি একটি পারসিয়ান প্রবাদ। মন খারাপের মুহূর্তে এরকম কিছু শুনতে ইচ্ছে করে। তারপরও মনে হলো এটি ঠিক মতো বুঝতে পারছি না। এর সঠিক অর্থটা কী? যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখনই আমরা জ্বলে উঠি নাকি অন্ধকার সময়েই দূরের আলোরা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হয়তো শেষেরটা। একবার আর্ট কলেজে গিয়েছিলাম একটি চিত্র প্রদশর্নী দেখতে। সেখানে একটি ভাষ্কর্যের সামনে অদ্ভুত একটি নাম দেখে তার মর্মার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। হঠাৎ দেখি সেই ভাষ্কর্যের স্রষ্টা রাসা আমার সামনে দাঁড়িয়ে। তাকে গিয়ে মানে জিজ্ঞেস করলাম। ভদ্রলোক অর্থ উদ্ধারে সাহায্য করার বদলে অনেক তিরস্কার করলেন। বললেন মাথা খাটিয়ে অর্থটা আমারই বের করা উচিত ছিল। আসলে সব সময় পারা যায় না। বোঝা যায় না। বিশ বছর আগের কথা বললাম। তখনও অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারতাম না। এত বছর হলো এখনও অনেক শব্দ বা শব্দ বিন্যাস হিব্রুর মতো মনে হয়। তখন একজন বোবার কষ্ট বুঝতে পারি। সে তো কত কিছুই বুঝতে পারে না, বোঝাতে পারে না – রাগে দুঃখে গোংগাতে থাকে। বোবা না হয়েও আমাদেরও মাঝে মধ্যে সময় অতিক্রম করতে হয় এই গোংগানীর মধ্যে দিয়ে। তখন আমাদের চারপাশ অন্ধকার। আর তখনই কিনা দূরের তারারা সবচেয়ে উজ্জ্বল। কিভাবে সম্ভব? কিভাবে দেখতে পাব সেই উজ্জ্বল তারাদের? কিভাবে করবো তাদের মর্ম উদ্ধার?
২
প্রতি বছরই আমার অন্তঃত একজন নতুন মানুষের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়। গত বছর বন্ধুত্ব হলো লিজের সাথে। পুরো নাম এলিজাবেথ কাসা। খুব ছোট্ট বয়স্যা বাবা-মায়ের সাথে ইথিওপিয়া থেকে অ্যামেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল। আমার সমবয়সী। আমার মতোই স্বামী আর দু’সন্তানের পরিবার। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবে সে অসম্ভব ধার্মিক। ক্যাথলিক। ওর গাড়িতে উঠলে ইঞ্জিল চলার সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় ওয়াজ-মাহফিল। তবে এই মাহফিল একটু অন্যরকম। জীবনকে পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য উপযোগী তালিকার বয়ান। ওর কাছ থেকে শিখছি ভালবাসা আর সম্পর্কের মূল্য। মানুষের প্রতি ওর ভালবাসা সত্যিই আমাকে খুব মুগ্ধ করে। আমি ওকে জিজ্ঞেস করি, লিজ তুমি এতো ভালো কেন? ও উত্তর দেয়, মারা যাবার পরে গডের কাছে আমাকে প্রথমেই কৈফিয়ত দিতে হবে আমি কী মানুষকে যথেষ্ট ভালবেসেছিলাম? মনে মনে ভাবি কী মজার ধর্ম তো। ভালবাসতে বলছে, ঘৃণা করতে বলছে না। ভার্জিনিয়া শহরটা যে এখনও চার্চে ভরপুর তার একটা প্রধান কারণ ধর্মটাকে ওরা সময়ের সাথে সাথে বিবর্তিত করতে পেরেছে বলে। এখানে চার্চগুলোর আঙিনায় ক্যানভাস টাঙ্গিয়ে সেখানে প্রবেশের আমন্ত্রণ জানায়। সেই জানানোর মধ্যেও অনেক নতুনত্ব আছে। কোনটাতে লেখা, হে তরুণ তোমার কথা কেউ শুনছে না, এখানে এসো – প্রাণ খুলে বলে যাও তোমার কথা। আরেকটি চার্চের সামনে দেখলাম লেখা আছে জাতপাত, ধর্ম-অধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য দরজা খোলা। অতি ধার্মিক লিজ আবার খুব ফ্যাশনেবল। মিনি স্কার্ট, স্লিভলেস টপস সবকিছুই পরছে। তার একটাই সমস্যা। কারোও সাথে পরিচয়ের কিছুদিন পরে সে তার ধর্ম পরিচয় জানতে চায়। কেউ যদি জানায় সে নাস্তিক তাহলে তাকে লিজ নিজ দায়িত্বে নসিহত করার চেষ্টায় থাকে। লিজকে যে এড়িয়ে যাবে তাও সহজ নয়। কারণ সে ইথিওপিয়ান কালচারাল ফুড খাইয়ে, মাতৃস্নেহে এমনটাই আপন করে ফেলে যে আজকের বিশ্বে এই স্নেহটুকু সহজে কেউ হারাতে চাইবে না। একদিন লিজ আমাকে মন খারাপ করে বলল, “জান ব্রেকরুমে আজকে একজন প্রাক্টিসিং মুসলিমের সাথে পরিচয় হলো। সে আমাকে খৃষ্টান ধর্মের কনফেশনের সমালোচনা করলেন। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন গড ছাড়া তোমরা কেন আর অন্য কারও কাছে কনফেশন করো?’’ ভদ্রলোককে আমি চিন্তে পারলাম। আমাদের বুয়েটের শিক্ষক ছিলেন। এখন হালাকা পার্টির একজন নিয়মিত বক্তা। সেইদিন উনার একটা বক্তব্য ছিল এরকম যে মাত্র পাঁচশ আরবি শব্দ শিখলেই কোরান শরিফ পড়লে বোঝা যায়। কিম্বা মাত্র ২০০ আয়াত জানলেই মুসলিমদের জীবনবিধান সম্পূর্ণভাবে জ্ঞাত হওয়া যায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ আলোচনাটা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ। ঠিক ভদ্রলোকের নিজস্ব জীবনের মতো। একটি আউটস্ট্যান্ডিং একাডেমিক ক্যারিয়ার নিয়েও ভদ্রলোককে এখনও নিজের পরিবারের অর্থনীতি নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হয়তোবা ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞানের সাথে জীবনবিধান পদ্ধতি ১৪০০ বছরের পুরনো রাখতে চাচ্ছেন বলে এমনটা হচ্ছে। এখন যার ওনার মতো একাডেমিক অর্জন নেই কিন্তু জীবনবিধান পদ্ধতি ১৪০০ বছরের পুরনো রাখতে চান তার কী হবে? প্রবাসে এসে দেখলাম হালাকা পার্টিটি ক্রমশ নিজেদের একঘরে করে ফেলছে। অনেকটা অ্যামিস সম্প্রদায়ের মতো। এটি ঠিক যে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এরা খুব ফোকাস। তাই লেখাপড়ায় খুব ভালো করছে। কিন্তু আবার এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে থাকার জন্য স্বভাবে আন্তর্জাতিক বা স্মার্ট হয়ে উঠতে পারছেন না। সেটি মানসিক বা সামাজিক দু’ক্ষেত্রেই। এতে পরবর্তীতে মেইনস্ট্রীম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হচ্ছে। একবার আমি এরকম একজন হালাকা লিডারকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘স্বয়ং স্রষ্টাই তো তাঁর নবী-রাসুলদের মাধ্যমে ক্রমশ আপডেটেড বার্তা পাঠিয়েছে। প্রতীটি নবী-রাসুলই সমাজ পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। অর্থাৎ বাবা-চাচা-মামারা যা করছেন তা করা যাবে না। নতুন জীবনবিধান প্রবর্তন করতে হবে। তাহলে আপনারা কেন বর্তমান সমাজে কী কী পরিবর্তন আনা উচিত এসব নিয়ে কথা বলছেন না?’ ফলাফল হল সেই ভদ্রলোক এরপর আমাকে দেখলেই এড়িয়ে গেছেন। কে’ই বা চায় চোথার বাইরে প্রশ্নপত্রের মুখোমুখী হতে?
৩
ডঃ স্টিভ ম্যার্যাবলির একটি বই পড়ছি – অ্যানঅ্যাপোলোজেটিক্যালি ইউ। বইটি অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যায়। পড়ে দেখতে পারেন। এখানে মন ভালো করে দেবার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা আছে। তবে একটি অনুচ্ছেদে আমার চোখ আটকে গেছে। সেটি অনুবাদ করছিঃ
‘আইডিয়া এবং ফিলসফির একটি নিজস্ব জীবন আছেন। তাদেরকে অবশ্যই টাটকা রাখতে হবে নইলে তারা পচে যাবে। এটি না করলে যে আইডিয়া এবং ফিলসফি একদিন আপনাকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল তা’ই আবার আপনাকে বিষাক্ত বা অসুস্থ করে দিতে পারে। নিজেকে যদি আমরা তরতাজা রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই নতুন নতুন আইডিয়া আর ফিলসফির সাথে আমাদের পরিচয় ঘটাতে হবে। যে পুরনো আইডিয়া একটা সময় আমাকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল, আয়ু ফুরিয়ে গেলে সে আইডিয়াই আবার বুমেরাং হয়ে আমার ক্ষতি ক্ষতি ঘটাতে পারে।’
৪
কমবেশি আমরা সবাই মনে মনে একজন নেতা খুঁজি। তারপর সেই লিডারের কথা মতো চলতে পছন্দ করি। কিন্তু সমস্যা হলো সেই লিডার যদি ফার্স্টবেঞ্চার হয় তাহলে তার কথা কিন্তু মিডলবেঞ্চার বা লাস্টবেঞ্চারদের খুব একটা কাজে লাগবে না। আবার লাস্টবেঞ্চার হোলে তা ফার্স্টবেঞ্চারের কাজে লাগবে না। এই জীবনভ্রমণটা আসলে একান্তই আমার। আবার যতই আমি আমার পারিপার্শ্বিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবো ততই আমার উত্তরণ। অতএব, ভ্রমণটা উপভোগ করুন – খুঁটি গেড়ে নয়, দু’হাতে পাখা লাগিয়ে।
চমৎকার লেখা ...
" এই জীবনভ্রমণটা আসলে একান্তই আমার " এই সাধারন কথা বুঝতে প্রায় পুরোটা জীবন পার হয়ে যায়।
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
আসলে কালচার্যালি আমরা অতোটা সাহসী হয়ে উঠতে পারিনি। একদিন আসবে সুদিন ...
ধন্যবাদ ভাইয়া।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
লাইনে আসুন।
ট্র্যাকে গাড়ি চালান।
বুয়েটের তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম দেখে অবাক হতাম
এখন কি অবস্থা জানি না।
মাঝে মাঝে মনে হয় এস এস সি র ভ্যাকেশনে আমার চিল্লায় যাওয়া দরকার ছিলো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
গ্যালা না কেন?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বয়স কম ছিলো তো আপা তাই বুঝি নাই।
আর ঐ সময়ে বন্ধুদের পাল্লায় পইড়া টোফেল করছিলাম।
হইছে বাবা-মার টাকা নষ্ট আর আড্ডা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
খ্রিষ্টান, বিশেষ করে ক্যাথলিক দের ধর্ম প্রচারের ব্যাপারটা, তাবলিগ জামাতের ওয়েষ্টার্ন ভার্শন বাইরে না আসলে বোঝা যায় না।
আমার বাসায় দুই গ্রুপ আসে দাওয়াত দিতে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ওরা আসলে মমি পিকটা দেখায়ে দিও।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
রামেসিস এর ছবি দেখলে বা এমনিতেই কথা শুইনা বুঝে ইজি পিক।
ইষ্ট লন্ডনে থাকি। ভাবতেছি গাড়ির ভিতরের আয়নায় একটা তসবি ঝুলাবো।
ঐদিন এখানকার বাংলাদেশি কমুনিটি তে জয়েন করলাম। জিজ্ঞাসা করলো নতুন আসছি নাকি এই এলাকায়।
বললাম ২০০৯ থেকে আছি।
সেও বুঝলো, আমিও বুঝলাম মসজিদে যাই না বলে চেনে না।
তবে জয়েন কইরাই বোর্ডের আরবি ইংলিশ লেখা সরাইয়া সেটায় বাংলা আনছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রায় পুরো লিখাটাই কোট করার মত। শেষে এটা বেছে নিলাম, সবচেয়ে মজার - এই বিচারে...
"কে’ই বা চায় চোথার বাইরে প্রশ্নপত্রের মুখোমুখী হতে?"
আরও অনেক অনেক "টুকিটাকির" অপেক্ষায় থাকলাম...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আরেকটি সুন্দর কমেন্ট।
এখন যেহেতু আমার পড়া কম হয় তাই টুশ করে নিজের লেখা পোষ্ট করতে খারাপ লাগে। এইটা একটা ফেজ। এরকম ফেজ আগেও আসছিল। নইলে তো অনেক টুকিটাকি লিখতে ইচ্ছে করে ...
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বেশ কিছুদিন হলো, আমিও পড়ায় অনিয়মিতই।
তাই দুষতে পারছি না।
পড়ায় এখন না হয় হলামই একটু অনিয়মিত, তাই বলে লিখেও পোস্ট না করে থাকি ক্যামনে?
জানি আবার নিয়মিত হয়ে যাব, তাই আঙ্গুল গলে বের হওয়া লিখাটাকে বঞ্চিত করতে চাই না।
হোক পাঠক কম, তবুও তা আলোর মুখ তো দেখুক.........
- এভাবে ভেবে দেখতে পারো কিন্তু!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সুন্দর কথা। কিছুদিন আগে আমার আরেকটা সিরিজ পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে ৭০% লেখার পর আর শেষ করলাম না। কারণ দেখা যাচ্ছে দেশে এতো বড় বড় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যে সেখানে নিজের লেখার বিষয়বস্তু অনেক অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়। এখন ভাবছি একটা টেকি সিরিজ শুরু করবো। তাহলে লেখায় নিয়মিত থাকতে পারবো। ধন্যবাদ ভাইয়া চিয়ার আপ করার জন্য।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ব্যাপার না লিখতে থাকেন।
আমরা তো আছি ই পড়ার জন্য।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমি জানি। যারা পড়ার তারা ঠিকই পড়ে 🙂
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা,
আপনার জানা একদম নির্ভূল 🙂
পোস্টের বক্তব্যে একমত+দ্বিমত দুইই।
একটু ব্যস্ত আছি। কিন্তু দু'একদিনের মধ্যেই মন্তব্য করবো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখছ মাহমুদ, সেই প্রথম থেকে তোমার আর আমার লেখার পাঠক প্রতিক্রিয়াটা এই একমত+দ্বিমতের মধ্যে আটকে আছে। হয়তো আমরা কেউ'ই বদলাইনি কিম্বা বদলেছি কিন্তু ধারাটি একই আছে। রেল লাইন বহে সমান্তরাল। তবে যথারীতি ভাল লাগলো তোমার মন্তব্য দেখে এবং দ্বিমতের কথা পড়ে। আরও প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় ...
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা,
আমি আপনার সাথে একমত পোষণ করি, আবার দ্বিমতও প্রকাশ করি। এর একটা দুটো কারণ- আপনার লেখায় দুটোই পাই এবং দ্বিমত থাকলে সেটা প্রকাশ করতে স্বস্তি বোধ করি। এই ব্লগ পড়েও একই রকম বোধ হয়েছে। ধর্মকে আশ্রয় করে আমেরিকার অভিবাসীদের মধ্যে বিপরীতমুখী গন্তব্যে যাত্রা বিষয়ক পর্যবেক্ষণের সাথে একমত। আপনি ক্লিয়ারেন্স দিলে দ্বিমত জানাতে পারি 🙂 (সম্পাদিত)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
প্লীজ দ্বিমতটা লেখ। ভাব আদান-প্রদান না হোলে কেমনে কী?
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আমরা সবাই যদি এই সহজ কথাটা সহজে বুঝতাম।
আপা, ভালো লাগল আবার আপনার লেখা দেখে।
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
কথাটি যখন প্রথম পড়ি তখন আমার নিজেরই মনে হয় একদম আমার মনের কথা। এই আমেরিকাতে দেখি অ্যামিস সম্প্রদায় আছে। তারা এখনো প্রি-আরবানিক জীবনযাপন করছেন। এতে কারও তেমন ক্ষতি হচ্ছে না। কারণ তারা তাদের জীবন ব্যবস্থাই সর্বোত্তম বলে মনে করে অন্যদের ব্যাপারে ঘৃণা ছড়াচ্ছে না। কিন্তু অনেক সম্প্রদায় আবার ঘৃণা ছড়ায়। সমস্যাটা সেখানেই। পশ্চিমা বিশ্বে জন্মগ্রহণ করা অনেকেই মনের মধ্যে ঘৃণা নিয়ে বড় হয়। এরাই আবার রিক্রুটেড সন্ত্রাসী।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
একটাই জীবন তাকে আমরা থেকে থেকে যখন তখন ডেকে বুকে হাতে তুলে দেই মরন।
ধর্ম বিশ্বাস আর চর্চা বরাবরই অন্ধ নেতৃত্বের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একদল মানুষের ফন্দি ফিকিরের কব্জায় আঁটকা পড়ে থাকে। যুগে যুগে সকল ধর্মে।
মানবতার ধর্ম মুহুর্মূহু হয়ে ওঠে মানবেতর।
এখনকার বিপ্লবের প্রাচীন রূপটি হয়তো ধর্ম ছিল - কারণ সমাজে তো নাড়া পড়েছিল ঠিকই এবং এক একটা ধর্ম সভ্যতা এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে পৌঁছেছে। তবে এনলাইটেনএর মধ্যে দিয়ে পশ্চিম সমাজ একটা পর্যায়ে এসেছে - সেখানে মানুষ চেরি পিকিংএর মতো নিজের মতো করে বেঁচে থাকতে পারছে। এর ভালো দিকটা হল সৃষ্টিশীলতা, সহনশীলতা, সমৃদ্ধি আর খারাপ দিক হচ্ছে একাকীত্ব। আর তার উল্টো খারাপ দিকটাই বেশি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
মুসলিমদের অন্যতম বিশ্বাস্য বিষয়ই হল-ইসলাম সবসময়ের জন্য জীবনবিধান।