দিন কয়েক আগে আবিষ্কার করলাম যে আমার HTC Desire 626x দিয়ে আগের মতো sharp ছবি তোলা যাচ্ছে না। মন-মেজাজ খারাপ। কারন মোবাইল সেটটা তো একেবারে জলের দামে কিনিনি। দোকানদার এক গাল হেঁসে আমাকে অভয় দিয়ে বলল যে, “ভাইয়া মাত্র ৮০০.০০ টাকা। লেন্স কভারটা পাল্টে দেই”। আমিও পাল্টা কাষ্ঠ হাঁসি হেসে দোকানিকে ভাব দেখালাম যেন আমি কত্ত বেরসিক। বললাম, “মোবাইলে কিই বা ছবি তুলি আজকাল (যেন ডি এস এল আর ক্যামেরা ছাড়া আমার চলেই না), ছবি ঘোলা হলেই বা কি?” পরক্ষনেই দোকানির দিকে আড়ঁচোখে এক নজর দিতেই মনে হলো সে যেন এক ফুৎকারে এই মাত্র নিভিয়ে দেয়া কোন এক জ্বলন্ত, উজ্জীবিত মোমবাতি।
বাসায় এসে WHIZZ গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করলাম। এতে করে আমার মোবাইলটা থেকে ভুর ভুর করে সুগন্ধই বের হলো কেবল, ভালো ছবি আর বের হলো না। এরপর সাবান পানি, লিক্যুইড হ্যান্ড ওয়াস (যেহেতু জিনিষটা কড়া) দিয়ে ঘষা আবার অ্যালকোহল আছে বলে একটু সাহস করে পারফিউমও লাগালাম ওতে। কিন্তু ঐ ঘুরে ফিরে লেজ বাঁকা হয়ে থাকে কেবল, সোজা আর হয় না।
এরপর নেটের XDA-FORUM এ গেলাম। সেখানকার পন্ডিতগন কহেন উহাতে টুথপেষ্ট লাগাও, সাফল্য একশত ভাগ সুনিশ্চিত (ভাগ্যিস ঝামা পাথর ঘষিতে কহেন নাই)। লাগাইলাম। কিন্তু তাহাতেও আমার মোবাইল সুন্দরীর (পারফিউম এস্তেমালের পর উহাতে টুথপেষ্ট প্রয়োগ করিবার পর উহাকে সুন্দরী বলিব না তো কি বলিব?) ঘোলা চক্ষু পরিষ্কার হয় নাই।
মন তো মানে না। HTC র মতো একটা সেটের লেন্স কভার ছ’ টি মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ঘোলা হয়ে যাবে, এক্কেবারেই মানতে পারছিলাম না। মনে মনে পুরানো বাংলা সিনেমার ভিলেনের মতো হাসি দিয়ে বললাম “ছানি পড়া লেন্স কভার নিয়ে পালাবে কোথায় তুমি ছু ছু ছুন্দরী….”। এবার ওটার ফেসিয়াল করানোর জন্য কোমর বেঁধে নামলাম। বিশ্বাস করেন আর নাই করেন। PONDS NOURISHING FACIAL SCRUB আঙ্গুলের ডগায় একটুখানি নিয়ে সাবধানে আস্তে আস্তে কভারটায় ঘষতে থাকলাম। স্থায়ীভাবেই লেন্স কভারে দাগ পড়ে গেলো কিনা সেই দুশ্চিন্তা নিয়েই টিস্যু পেপার দিয়ে কভারটা পরিষ্কার করার পর দেখলাম ঘোলাটে ভাবটা অনেকটাই নেই। এরপর আরেকটা সেশানেই বাজিমাৎ। Click করতেই আগের মতো ঝকঝকে ছবি। Facial এর মাধ্যমে অবশেষে আমার মোবইলটার একটা successful face-lift.
সতর্কীকরণঃ যেকোন ধরনের PONDS NOURISHING FACIAL SCRUB বা এ জাতীয় দ্রব্যের অতিব্যবহার বা অপব্যবহারের কারনে মোবাইল ক্যামেরার বারোটা বাজালে আমাকে দায়ী করা যাবে না। সুতরাং নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করবেন।
অনেকদিন পর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মোবাইল ঠিক করার ছুতাতেই নিয়মিত হ।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পড়াশুনা করি কম, যেটুকু পড়ি তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করি আরো কম আর ঐটুকুন চিন্তা-ভাবনা করার পর সে অনুসারে কাজ করি আরো আরো কম। তাই এই মোটা মাথা থেকে নিয়মিত অন্যরকম কিছু বের হয় না দোস্ত।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:khekz: :khekz:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল