শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।
জীবন এমনই , এত হাসি এত কথা এত চিন্তা এত কল্পনা এত ভাবনা শেষ হয়ে যায় হঠাৎ করেই। জানিনা ” মরন কি টেনে দেবে অন্ধ আবরন” – উপলব্ধি থেকে কত কবিই তো কত কিছু লিখে গেছে। শেখ আমিন চলে গেলো, আমরাও যাবো কিন্তু মনে হয় জীবন এমনি মাতাল যে এত কাছে থেকে ও আমাদের একটু সময় হয়না কাছে বসার , কথা বলার , হাসি ঠাট্টায় কাটাবার। বৈষয়িক মতর্্য এমনই নিরেট শুধু চিন্তার কপিকলে টানে কি হলো না , কি করিনি সম্পদ সহায়ের কুন্ডলিতে। সবাই জানি তো চলে যাবো খালি হাতে, তবু হাত কেন যে খালি করতে পারিনা – এ সংকীণর্ হৃদয় যা শৈশবে যৌবনে পারতো তা ও পারে না আজ বিষয় বৈভবের স্তুপে।
আর তো দেখা হবে না, নুরুলের ছেলের বিয়েতে, জাকারিয়ার বাড়ীতে, জেক্সার কোন অনুষ্ঠানে, সদা হসি ভরা মুখে ঠাট্টায় ডাক্তারদের নিয়ে উষ্মায় সম্মোধন করে হাত বাড়াবে না , দুই মেয়ে বউ এর সংসার এ স্বপ্নের জাল আর বুনবেনা। চোখ ছেপে আসে জলে , বুকের গভীরে ব্যাথা মোচড়ায়, তবু কান্দতে পারিনা শব্দে – বড় অসহায় সময়।
বন্ধুদের ভালবাসা থাক , থাক স্ত্রী কন্যার অশ্রু ভেজা বেদনা মন্থিত নিগুর ক্রন্দন আর কালের বুকে সমস্ত স্মৃতির মঞ্জুরি। অপার শান্তিতে ঘুমিয়ে থাক কোলাহল ক্রন্দন থেকে বহুদূরে শান্তিতে।
ওবায়দুল্লাহ। ক্যাডেট ২৬৯। জেসিসি।
এমনই ... দৃশ্যের আড়ালে দৃশ্য জুড়ে আঁকা থাকে প্রস্থানের শেষাংক ... আমরা চেনা অচেনা এক এক স্টেশনে থামি ... কেউ কেউ নেমে পড়ে ... বাকীরা তখনো ঠায় বসে ... ট্রেনটা চলছে তো চলছে ... চলতেই থাকে ...