সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায় (৪র্থ পর্ব)
বুন্স আইল্যান্ড (BUNCE ISLAND )
“এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
এল মানুষ-ধরার দল
গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
সভ্যের বর্বর লোভ
নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা”। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০০২ সনের এপ্রিল/মে মাস। ইউনিট অধিনায়ক কর্নেল আসিফের নেতৃত্বে রেজিমেন্টেড জীবন যাপন করতে করতে আমরা ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের অফিসাররা সবাই ইতিমধ্যেই মনে মনে হাঁপিয়ে উঠেছি।প্রত্যহ সকালে সিনিয়রদের দায়িত্বে দল বেঁধে লাল রঙের ধুলা খেতে খেতে দুই/তিন মাইল দৌড়ে যেয়ে ‘লুমলে বিচে’ যাই এবং কিয়দকাল সেখানে অবস্থান এবং কাছিমের মতন নড়াচড়া করার পর সিনিয়দের তত্ত্বাবধানেই ফিরে আসি। সমুদ্রের লবনাক্ত জল এখনো আমাদের হাঁটুর ওপরের অংশকে স্পর্শ করতে পারেনি। ব্রেকফাস্টের পর গাড়ী নিয়ে যার যার অফিসে চলে যাই এবং দুপুরে আবার ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে প্রত্যাবর্তন পূর্বক একসাথে লাঞ্চ করি টিনের ছাদের তৈরি ডাইনিং হলে। রাতের ডিনারের সময়ে আমরা সকল অফিসারবৃন্দ টাই-স্যুট পরে ক্যাডেট কলেজের ছাত্রদের মতন রাতের ডিনার করতে যাই । অধিনায়ক খাওয়া শুরু করলে আমরা খাওয়া শুরু করি এবং তিনি খাওয়া শেষ করার আগেই কাটাচামচ আর টেবিল চামচ পরস্পরের সমান্তরালে রেখে দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ পড়ি ইউনিট মসজিদে এবং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের পর আটলান্টিকের বিরহী বাতাসে বারবি কিউ পার্টিতে মেতে উঠি। ব্যান সিগ-১ থেকে আমরা উত্তরাধিকারসুত্রে কাঠের ডাল দিয়ে ঘেরা একটা প্রস্তরময় ফণীমনসার বাগান পেয়েছি। এই বাগানের বাসিন্দা রবাহূত অথবা উপহারসুত্রে পাওয়া তিনটে চিত্রা হরিন। আরও কয়েকমাস পরে কোন এক অজ্ঞাত কারনে অভিমান করে এরা একযোগে আকাশের দিকে লাফিয়ে আত্নহত্যা করবে! আমরা এই বন্দী হরিণদের চেয়েও অসুখী! আমরা সবাই আমাদের প্রিয় পরিজনদের ফেলে রেখে এসেছি এখান থেকে কয়েক সহস্র মাইল দূরে।
রাতের ডিনারের পর উপ অধিনায়ক, সাইদুল স্যার এবং আমি ‘স্ক্র্যাবল’ খেলতে বসি অধিনায়কের ইচ্ছায়। রাত এগারোটা অথবা বারোটা পর্যন্ত খেলি। বেশীরভাগ সময়ে সাইদুল স্যার অথবা অধিনায়ক জিতেন; উপ অধিনায়ক আর আমি প্রতিনিয়ত তৃতীয় অথবা চতুর্থ হই চার জনের মধ্যে। সাইদুল স্যার মাঝে মধ্যেই ইচ্ছে করে হারেন অধিনায়কের কাছে। তবুও আমাদের বন্দীত্বের আবহ কাটেনা। আমি সাম্প্রতিক অতীতে ফ্রি- টাউনের ভিক্টোরিয়া পার্কের রাস্তার পাশের ভাসমান বইয়ের দোকান থেকে আমি তিনটা বই কিনে এনেছি। একটা লিও টলস্টয়ের ‘ওয়ার এন্ড পিস’, দ্বিতীয়টা সিয়েরালিওনের বিখ্যাত লেখক YEMA LUCILDA HUNTER এর ‘ROAD TO FREEDOM’ – যেখানে উত্তর আমেরিকার NOVA SCOTIA এলাকায় দাসত্ব থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত এবং সিয়েরালিওনের ফ্রিটাউনে পুনর্বাসিত আফ্রিকান-আমেরিকান দাসদের জীবনকে প্রতিবিম্বিত করা হয়েছে। পরের বইটা আমি মুলত কিনেছি ইংরেজি আর সিয়েরালিওনের স্থানীয় ভাষাসমূহের সংমিশ্রণে সৃষ্ট KRIO বা CREOLE ভাষা সম্পর্কে ধারনা নেয়া। এর আগে আমি আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘কর্ণফুলী’ উপন্যাসে চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষার স্বচ্ছন্দ ব্যবহার বা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ‘রসিক’ উপন্যাসে ভারতের মানভূম এলাকার নিম্ন বর্ণের মানুষদের মুখের ভাষার অনবদ্য ব্যবহার দেখে আমি চমৎকৃত ও মুগ্ধ হয়েছি।
গ্রীক ‘অ্যানড্রোপোডন’ শব্দটির অর্থ হল মনুষ্যপদবিশিষ্ট জীব বা মানুষের মতো জীব অর্থাৎ এরা প্রকৃতপক্ষে মানুষ নয়! এরাই হল ক্রীতদাস। অ্যালেক্স হ্যালির ‘রুটস’ উপন্যাস বা সিরিয়ালের কথা নিশ্চয়ই আপনাদের সবার মনে আছে! উপনিবেশকতার শিকার এক সুদূর আফ্রিকান কুন্তা কিন্তে। বাবা-মা আর ছোট ভাইদেরকে নিয়ে ভালোই দিন যাচ্ছিল কুন্তার।কিন্তু একদিন ঢাকের কাঠ খুঁজতে গিয়ে ধরা পড়ে ‘সভ্যজগতের’ ক্রীতদাস ব্যবসায়ীদের হাতে। প্রতিরোধের সব চেষ্টা চালানোর পরেও নির্মমতার সবটা দেখিয়ে জাহাজে করে কুন্তার যাত্রা শুরু হয় ‘সভ্য’ পৃথিবীর পথে! এমন অমানবিক ভাবে হয়ত পশুও পরিবহন করা হয় না। দুঃসহ নরকতুল্য পরিবেশে যোগাড় করা ক্রীতদাসদের অনেকেই জাহাজেই প্রাণ হারায়। আমেরিকার মাটিতে নেমে সাদা মালিকের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া কুন্তার নাম হয়ে যায় ‘টবি’।কিন্তু আটলান্টিকের মুক্ত বাতাস আর পশ্চিম আফ্রিকার স্নেহময় নৈসর্গিক প্রতিবেশের ভেতরে বেড়ে উঠা কুন্তা দাসত্তের জীবনকে মেনে নিতে পারেনা।অবিরত পালাবার চেষ্টা করতে থাকে।প্রতিবারই ধরা পড়ে আর সহ্য করে অমানুষিক নির্যাতন।অবশেষে মালিকের কুঠারের আঘাতে পায়ের পাতার অর্ধেকটা হারিয়ে ‘মুক্তি’ চিরতরে হারায় কুন্তা।এর পরেও প্রতিরোধ শেষ হয় না কুন্তার।নিজের মেয়ে কিসিকে শুনায় আফ্রিকার নিজের গ্রামের গল্প।তার হারিয়ে আসা কৈশোর আর বাবা-মা,ভাইবোনদের গল্প।আশপাশের সবকিছুর নাম শিখায় নিজেদের উপজাতির ভাষায়।সব বাধা আর বিপত্তি এড়িয়ে মেয়েকে বড় করতে চায় আফ্রিকার ঐতিহ্য সচেতন কোন নারীতে। কিন্তু প্রেমিকের জন্য জাল মুক্তিপত্র লিখে দেবার কারনে অন্য মালিকের কাছে বিক্রি হয়ে যায় কিসি। সেইবারই নিজের কন্যার সাথে শেষ দেখা কুন্তার।আমরাও বইয়ের পাতায় হারিয়ে ফেলি কুন্তাকে।এর পরের আখ্যানগুলো কেবলি কিসির আর তার উত্তরসূরিদের।
কুন্তার মতন অসংখ্য মুক্ত মানুষকে সপ্তদশ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে তুলা, আখ এমনকি ধান চাষের জন্যে পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আটলান্টিকের মোহনায় স্থাপিত অনেকগুলো স্লেইভ পোর্ট (SLAVE PORT) এর মাধ্যমে জাহাজে করে আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে ক্রীতদাস হিশেবে বিক্রি করা হত। এর মুল কারন সম্ভবত ইউরোপের শিল্পবিপ্লব। প্রযুক্তির এই মহাযজ্ঞে বলিদান ঘটে কুন্তার মতন লাখো মুক্ত মানুষের। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে আমেরিকায় তুলা ও আঁখ চাষের প্রসার ঘটে। আমেরিকা দেশটি তখনও ব্রিটিশ শাসনাধীন। সেখানকার তুলা এবং আঁখ ইংল্যান্ডের শিল্পে কাঁচা মাল হিসেবে আসতে থাকে। এই যান্ত্রিক বিপ্লবের সীমাহীন চাহিদা মেটানোর জন্যে আমেরিকায় উর্বর জমির কোনো অভাব না থাকলেও অভাব হলো শ্রমিকের। আমেরিকার আদিবাসীরা ব্রিটিশ শাসন মেনে নেয়নি, হয় লড়াই করছে অথবা আরো গভীর জঙ্গল এবং পাহাড় পর্বতের মধ্যে চলে গেছে তাই তাদেরকে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছিলো না। এর সমাধান হিশেবে তারা বনিকদের সাথে সেনাবাহিনী পাঠিয়ে আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম কুলের বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষ্ণবর্ণ মানুষকে জোর জবরদস্তি পাচার করা শুরু করে আমেরিকায়, সেখানকার তুলা এবং আখের খেতে শ্রম খাটবে বলে। একে ঐতিহাসিকরা বলেন ‘দা ট্রান্স আটল্যান্টিক স্লেভ ট্রেড’।১৬৭০ সালে স্থাপিত এবং ১৮০৭ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া বুন্স আইল্যান্ড পোর্ট ছিল প্রধানতম স্লেইভ পোর্ট যার অবস্থান ছিল সেনেগাল থেকে লাইবেরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ‘রাইস কোস্ট’ নামে পরিচিত উপকুলের ঠিক মধ্যবর্তী স্থানে বর্তমান সিয়েরালিওনের রাজধানী ফ্রিটাউন হতে ২০ মাইল উজানে আটলান্টিক মহাসাগর আর সিয়েরালিওন নদীর মোহনার সংযোগস্থলে। জানা যায়, বুন্স আইল্যান্ড এবং এই এলাকার আরও কয়েকটি পোর্টের মাধ্যমে উপরোক্ত সময়কালে আমেরিকায় আনিত সর্বমোট ১২ মিলিয়নের অধিক সংখ্যক বন্দীদের মধ্যে প্রায় ৬ মিলিয়ন বন্দীদেরকে আনা হয়েছিলো। ১৮০৭ সালে যুক্তরাজ্য কর্তৃক ট্রান্স আটল্যান্টিক স্লেভ ট্রেড বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলে বন্ধ হয়ে যায় বুন্স আইল্যান্ডের সকল কার্যক্রম এবং সেই থেকে বর্তমান পর্যন্ত ক্রমাগত বিস্মৃতির আড়ালে হারিয়ে যেতে থাকে ‘বুন্স আইল্যান্ড’। হয়তোবা ইতিহাসের পাতা থেকেও!
আজ আমরা আমাদের ইউনিট অধিনায়ক কর্নেল আসিফের নেতৃত্বে পাড়া বেড়ানোর অংশ হিশেবে যাচ্ছি মহাকাল থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই বুন্স আইল্যান্ডে! ‘লুঙ্গি বিমানবন্দরে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাটালিওন-৭ হতে সকালের নাস্তা সেরে গাড়ীতে করে ক্রমশ সরু হতে হতে সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া একটা রাস্তার শেষ প্রান্ত হতে কয়েকটা স্পিড বোটে করে আমরা মহা সাগরের মোহনা পেরিয়ে যমুনা নদীর মতন বিস্তৃত একটা শান্ত নদীতে এসে পরলাম। এটাই ‘রকেল নদী’ এবং পোর্ট লোকো ক্রিক ( PORTLOKO CREEK) এর সম্মিলনে সৃষ্ট সিয়েরালিওন নদীর মোহনা যা ফ্রিটাউন হার্বার নামেও সমধিক পরিচিত। আরও কিছুদুর উজানে বিন্দুর মতন জলের ওপরে ভাসছে বুন্স আইল্যান্ড! স্পীড বোট দ্বীপের কাছে ভিড়তেই খেয়াল করলাম সবুজ অরণ্যানীতে ছেয়ে আছে স্বপ্নের মতন সবুজ একটা ছোট্ট দ্বীপ যাকে ‘দারুচিনি’ দ্বীপ বলে ডাকলেও অত্যুক্তি হবেনা। প্রথম দর্শনে মনে হবে এখানে অনন্তকাল ধরে কেউ কখনই বাস করেনি। প্রকৃতির এমনই নিবিড়তা ঘিরে আছে ১৬৫০ ফুট দীর্ঘ এবং ৩৫০ ফুট প্রশস্থ এই দ্বীপটিকে কেন্দ্র করে। পাখীরাও এখানে নীরব। একটা পাথরের তৈরি ঘাঁটের কঙ্করময় উঠোনে পা দিতেই মনে হল ২০০ বছর বা তারও আগে সহস্র কালো মানুষের দীর্ঘশ্বাসে আকুল হয়ে উঠেছিল এই বনভূমি যার স্মৃতি রোমন্থন করছে পত্রহীন অতিকায় আকৃতির দুটো বৃক্ষ যার গায়ে কোন মুক্ত মানুষ শেষবার লিখেছিল তার নাম! একটু অদুরেই সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে শুয়ে আছে কয়েকটা শায়েস্তাখানের আমলের কামান। জানা যায়, বন্দীদের মালিকানা দখল করতে প্রায়ই পর্তুগীজ বা ফরাসী জলদস্যুরা হানা দিত এই দ্বীপে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতেই স্থাপন করা হয়েছিল এই কামান গুলো। ফরাসী নৌবাহিনীও নাকি চার বার আক্রমন করেছিল এই দুর্গ রূপী দ্বীপকে বন্দীদের হরন করার জন্যে। দ্বীপের যতই ভেতরের দিকে ঢুকবেন, ততই কোন মুখর নিস্তব্ধতা আপনাকে গ্রাস করতে থাকবে। এখানে আছে ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া নির্মম কুঠুরির অংশবিশেষ যেখানে শিশু ও নারীদেরকে রাখা হতো এবং নির্যাতন করা হতো। এখানে আছে হাজতের মত ভূগর্ভস্থ কুঠুরি যেখানে দশজনের জায়গায় রাখা হত শতাধিক বন্দিকে। উদ্দেশ্য তাদেরকে শারীরিকভাবে নিপীড়ন করে দুর্বল করে দিয়ে তাদের প্রতিবাদ মুখরতাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়া। এই প্রক্রিয়ায় অনেক বন্দীই মৃত্যুবরণ করত যাদেরকে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দেয়া হত হাঙর বা কুমিরের খাদ্য হিশেবে। যারা বেঁচে থাকতো তাদের আবার শুরু হতো দশ সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা অন্ধকারাচ্ছন্ন আমেরিকার উদ্দেশ্যে! বুন্স আইল্যান্ডে কোন কালো মানুষের কবর বা সমাধি নেই। আছে দুই একজন দাস ব্যবসায়ীর সমাধি ফলক। এরা দুর্গকে বাঁচাতে পর্তুগীজ বা ফরাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল।
জলের ভেতরে সবুজে ঢাকা ছোট্ট একটা দ্বীপ। পুরোটা ঘুরে আসতে বেশি সময় লাগেনা। অথচ এই দ্বীপেই রচিত হয়েছে শিল্প বিপ্লব পরবর্তী আমাদের বর্তমান সভ্যতা আমাদেরই মানবিকতার বিনিময়ে!
মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
তৃতীয় পর্বের লিঙ্ক ঃ http://www.cadetcollegeblog.com/asad806/55556
খুব ভাল লাগলো স্যার।
:boss: :boss: :boss:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অনেক ধন্যবাদ পছন্দ করার জন্যে
শিউরে উঠবার সেই ইতিহাসের সাক্ষী জায়গাটাও যেনো ঘোরা হলো। তিবে দৃশ্যপটের বর্ণনা অনুযায়ী দৃশ্যগুলো সাজিয়েছি মনে মনে। গোটা কয় ছবি যদি থাকতো এ লেখার সাথে। তবে তা দারুন রোমাঞ্চকর হতো।
অনেক ধন্যবাদ আসাদ ভাই এমন অনাঘ্রাত স্থান ও সময়ের স্বাদ পাইয়ে দেবার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ পছন্দ করার জন্যে
সদা সুস্বাগত
আমেরিকাতে কালো মানুষদেরকে দাস হিসেবে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ভাগ্যে কি ছিল সেইসব ইতিহাস পড়েছি খানিকটা। সেই ট্রান্সআটলান্টিক দাসব্যবসার আফ্রিকার দিকের খানিকটাও জানা হলো।
আপনার বর্নণার ধরণ বেশ আকর্ষনীয়। পড়ার পড় মনে হয় এখুনি চলে যাই সিয়েরা লিওন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ইতিহাসের এই দিকটা আসলেই চমকপ্রদ কিন্তু নিষ্ঠুর
ভালো লেগেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দারুণ লাগছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাই, একটি অনুরোধ- কষ্ট করে শুরুতে আগের পর্বের লিংক দিয়ে দিন।
তাহলে নতুন বা বিরতি পড়ে যাওয়া পাঠকদের আগের পর্ব খুঁজে পেতে সুবিধে হবে। O:-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ