প্রথম পর্ব থেকে…
বছর শেষে নতুন বছর আসলো তাকে হাই দিলাম
ক্লাস এইটের হাতটা ধরে সেভেনকে গুডবাই দিলাম।
ঘাম ঝরানো একটা বছর ক্যামনে যে শেষটায় এলো
গান্ধা থেকে ক্যাডেট হবার প্রাণান্ত চেষ্টায় গেলো।
এইটে এসেও হয়না তো শেষ ক্লাস সেভেনের সীনগুলো
চলছে টু বি কন্টিনিউড ঘাম ঝরানো দিনগুলো।
অষ্ট প্রহর কষ্ট করে বেগার খাটি কামলাতে
অলস সময় ব্যস্ত কাটে সব সিনিয়র সামলাতে।
অমুক ভাইয়ের হাঁক শুনে তাই still চিল্লাই-“খাইসে,ম্যান!
পোড়া কপাল ভাল্লাগেনা ,আয় জুনিয়র,আয় সেভেন!!
দিনটা শুভ এলোই তবে,নিউয়েস্ট ব্যাচের আবির্ভাব
রঙচঙা হয় ক্যাডেট লাইফ,সংগে খবরদারীর ভাব।
সেই ভাব এ তে দাপড়ে বেড়াই পালটে যাওয়া কলেজটায়
রেড সিগন্যাল pass করা হয় ক্লাস সেভেনের নলেজটায়।
আমরা ব্যাটা কষ্ট করে একটা বছর পার হ্লাম
স্মার্টনেস সব শিকেয় তুলে সিনিয়রের ভাড় হলাম।
এবার বাছা তোদের পালা হও রেডী হও shame নিতেই
না হলে কী ক্যাডেট কলেজ নাম হয়েছে এমনিতেই??
যে ছেলেটা ক্লাস সেভেনে বলতো মোটেও “করবোনা”
সেভেন এলে একটা ভুলও ভুলেও আমি ধরবোনা।
তাকেই এবার ফ্রন্ট লাইনে সবার আগে যায় পাওয়া
সেভেন আসার কদিন বাদেই “ত্রাস” হিসেবে রায় পাওয়া।
দেখতে তো বেশ ভালোই লাগে লুকডাউনের face গুলো
তৃপ্তি নিয়ে দেখতে থাকি ক্লাস সেভেনের কেস গুলো
বদলেছে কি? এক বছরে? দুঃখ এবং সুখগুলো?
সেভেন লাইফ একই আছে, পাল্টেছে জাস্ট মুখগুলো।
অতর্কিতে ক্লাস সেভেনের রুমগুলোতে দেই রেইড
না হলে কি চলবে নাকি? আমরা এখন ক্লাস এইট।
পান থেকে চুন খসলে পড়েই এক্কেবারেই সর্বনাশ
জুনিয়রের কোয়াইট আওয়ার,রেস্ট আওয়ারের পর্ব নাশ।
এরম করেই দিনগুলো যায়, সেই সাথে যায় রাত খানি
সামনে ডাকে নতুন বছর ক্লাস নাইনের হাত ছানি
এই পর্বটা অনেকটা তাড়াহুড়ো করে লেখা। অনেক কিছুই আরো লেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু অলসতার জন্য হয়ে ওঠেনি। বোধহয় ক্লাস এইটের ব্যপারগুলো এই জন্য ঠিক ঠাক ফুটিয়ে তুলতে পারিনাই। 🙁
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কে বলছে? খুব ভাল ফুটাইছো!
"যে ছেলেটা ক্লাস সেভেনে বলতো মোটেও “করবোনা”
সেভেন এলে একটা ভুলও ভুলেও আমি ধরবোনা।
তাকেই এবার ফ্রন্ট লাইনে সবার আগে যায় পাওয়া
সেভেন আসার কদিন বাদেই “ত্রাস” হিসেবে রায় পাওয়া।"
মারহাবা কবি মারহাবা।।
ভাই, আমারে আপনের যা ইচ্ছা হয় তাই কন। কিন্তু কবি কইয়েন না। এই শব্দটার উপর আমার এলার্জি আছে...
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তুমি তো দেখি খুবই দুষ্ট প্রকৃতির ক্যাডেট ছিলা।
জ্বীনা ব্রাদার। আমি খুবই ভদ্র গোছের ছিলাম। এই ছড়া পর্বটা আসলে নিজের মত করে সবার ব্যাপারগুলো তুলে ধরার দুঃসাহস আর কি... 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
অতর্কিতে ক্লাস সেভেনের রুমগুলোতে দেই রেইড
না হলে কি চলবে নাকি? আমরা এখন ক্লাস এইট।
:)) ...ওই তুই কি দিয়া ভাত খাস? এমন ছন্দ মানুষে মিলায় কেমনে?
এখন হাত দিয়ে খাই। তয় কলেজে থাকতে কাটা চামচ দিয়া খাইতাম ;))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ছন্দের জাদুকর..............
ছন্দের জাদুকর... সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ( শূণ্যস্থান পূরণ করলাম 😀 )
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
অতি চমৎকার ছন্দময় ছড়া।
ওই বেটা তুই কি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের আত্মীয়-টাত্মীয় নাকি??
সত্যি করে বল।
জ্বী, উনি আমার মানব সম্পর্কিত ভাই হন। :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
পুরা গুল্লি হইছে ছড়টা...
সা. ইন. এ তোমার একটি পোস্টে এই ব্লগসাইটটা সম্মন্ধে জানলাম। খুব ভালো হয়েছে। ক্যাডেট জীবনের আনন্দ-বেদনা্র কাব্য, আমরা ক্যাডেটরা ছাড়া এর আস্বাদন আর কে নিতে পারে? পিটি-প্যারেড, ওস্তাদ বা স্টাফদের ডলা আর ক্লাস এইটের সিনিয়র হয়ে উঠার স্মৃতি বুকের গভীরে, প্রতিনিয়ত বন্ধুদের অতি নিকটাত্ত্বীয়তে রূপান্তর। অনন্তকাল ধরে চলছে, আমাদের সময়ে, তোমাদের সময়ে। নিয়মিত ঢুঁ দিয়ে যাবো। ভালো থাকো।
ভাইয়া শুধু ঢূঁ মারাটা তো অন্যায় হয়ে যাবে রীতিমত। রেজিস্ট্রেশন করে আমাদের সাথেও আপনাদের সময়টাকে শেয়ার করুন না। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
নতুন ছোবি আপ্লোড কর্লাম, কিমুন লাগে দেক্তাছি।
কুত্তিডারে দেক্তে হ্যাব্বি লাগতাশে
ক্যাডেটে টিকি নাই, অ্যাডমিশন টেস্টেই বাদ। আমার বাপে যেই ফায়ার হইছিলো! আমি কই আল্লাহ বাঁচাইছে। 🙂
হ, দোয়া করি আল্লাহ আরো বাঁচায়া রাখুক।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
Rashed Bhai....Bhaggish Allah amagore bachay nai!toy college e thakte khali koitam...ei shalar Cadet e poira sukh ase naki bairer polapain kotto masti kore....
মাসরুফ ভাই,
রাশেদ ভাই হইতেসে সামহোয়ার ইন এর চরম পপুলার ব্লগার । বস পাবলিক। তার পালানোর কোন উপায় নাই। যে খানেই যাক খুঁজে বের করা যাবো। কাজেই পঁচাইয়া পালাবে কোথায়?? ধরে ফেলমুনা?? :))
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ভুই পাইচি! ব্যান কইরা সা.ইনের উপর থেকে আমার মন অর্ধেক উঠাই দিছে। 🙁 এখন খালি যাই অনেকের সাথে খাতির হয়ে গেছে তাই। 🙂
হা হা! মাইন্ড খাইয়েন না। হুদাই কমেন্ট দিছি। পচানোর জন্য না। 🙂
মাস্তি সব জায়গাতেই আছে। ক্যাডেটের মাস্তিও আলাদা মজার। বিড়ি খাওয়া নিয়াই যে কত কাহিনী শুনছিলাম। মজাই লাগতো।
আর কিছু হুনেন নাই ওস্তাদ? 😉
ওইগুলা কইলে এই সাইট থাইকা আমারে ব্যানাইবে! 🙁
=))
আপনাকে :salute:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
মামা,চরম হইছে।
সাবাস দোস্ত।
ভাল কবিতা। অনেক :salute: