আমার ক্যাডেট বেলা -৪ (ক্লাস এইট পর্ব)

প্রথম পর্ব থেকে…

বছর শেষে নতুন বছর আসলো তাকে হাই দিলাম
ক্লাস এইটের হাতটা ধরে সেভেনকে গুডবাই দিলাম।
ঘাম ঝরানো একটা বছর ক্যামনে যে শেষটায় এলো
গান্ধা থেকে ক্যাডেট হবার প্রাণান্ত চেষ্টায় গেলো।
এইটে এসেও হয়না তো শেষ ক্লাস সেভেনের সীনগুলো
চলছে টু বি কন্টিনিউড ঘাম ঝরানো দিনগুলো।
অষ্ট প্রহর কষ্ট করে বেগার খাটি কামলাতে
অলস সময় ব্যস্ত কাটে সব সিনিয়র সামলাতে।
অমুক ভাইয়ের হাঁক শুনে তাই still চিল্লাই-“খাইসে,ম্যান!
পোড়া কপাল ভাল্লাগেনা ,আয় জুনিয়র,আয় সেভেন!!
দিনটা শুভ এলোই তবে,নিউয়েস্ট ব্যাচের আবির্ভাব
রঙচঙা হয় ক্যাডেট লাইফ,সংগে খবরদারীর ভাব।
সেই ভাব এ তে দাপড়ে বেড়াই পালটে যাওয়া কলেজটায়
রেড সিগন্যাল pass করা হয় ক্লাস সেভেনের নলেজটায়।
আমরা ব্যাটা কষ্ট করে একটা বছর পার হ্লাম
স্মার্টনেস সব শিকেয় তুলে সিনিয়রের ভাড় হলাম।
এবার বাছা তোদের পালা হও রেডী হও shame নিতেই
না হলে কী ক্যাডেট কলেজ নাম হয়েছে এমনিতেই??
যে ছেলেটা ক্লাস সেভেনে বলতো মোটেও “করবোনা”
সেভেন এলে একটা ভুলও ভুলেও আমি ধরবোনা।
তাকেই এবার ফ্রন্ট লাইনে সবার আগে যায় পাওয়া
সেভেন আসার কদিন বাদেই “ত্রাস” হিসেবে রায় পাওয়া।
দেখতে তো বেশ ভালোই লাগে লুকডাউনের face গুলো
তৃপ্তি নিয়ে দেখতে থাকি ক্লাস সেভেনের কেস গুলো
বদলেছে কি? এক বছরে? দুঃখ এবং সুখগুলো?
সেভেন লাইফ একই আছে, পাল্টেছে জাস্ট মুখগুলো।
অতর্কিতে ক্লাস সেভেনের রুমগুলোতে দেই রেইড
না হলে কি চলবে নাকি? আমরা এখন ক্লাস এইট।
পান থেকে চুন খসলে পড়েই এক্কেবারেই সর্বনাশ
জুনিয়রের কোয়াইট আওয়ার,রেস্ট আওয়ারের পর্ব নাশ।
এরম করেই দিনগুলো যায়, সেই সাথে যায় রাত খানি
সামনে ডাকে নতুন বছর ক্লাস নাইনের হাত ছানি

পরের পর্ব

২,২১০ বার দেখা হয়েছে

২৯ টি মন্তব্য : “আমার ক্যাডেট বেলা -৪ (ক্লাস এইট পর্ব)”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    এই পর্বটা অনেকটা তাড়াহুড়ো করে লেখা। অনেক কিছুই আরো লেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু অলসতার জন্য হয়ে ওঠেনি। বোধহয় ক্লাস এইটের ব্যপারগুলো এই জন্য ঠিক ঠাক ফুটিয়ে তুলতে পারিনাই। 🙁


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. আলম (৯৭--০৩)

    "যে ছেলেটা ক্লাস সেভেনে বলতো মোটেও “করবোনা”
    সেভেন এলে একটা ভুলও ভুলেও আমি ধরবোনা।
    তাকেই এবার ফ্রন্ট লাইনে সবার আগে যায় পাওয়া
    সেভেন আসার কদিন বাদেই “ত্রাস” হিসেবে রায় পাওয়া।"

    মারহাবা কবি মারহাবা।।

    জবাব দিন
  3. সা. ইন. এ তোমার একটি পোস্টে এই ব্লগসাইটটা সম্মন্ধে জানলাম। খুব ভালো হয়েছে। ক্যাডেট জীবনের আনন্দ-বেদনা্র কাব্য, আমরা ক্যাডেটরা ছাড়া এর আস্বাদন আর কে নিতে পারে? পিটি-প্যারেড, ওস্তাদ বা স্টাফদের ডলা আর ক্লাস এইটের সিনিয়র হয়ে উঠার স্মৃতি বুকের গভীরে, প্রতিনিয়ত বন্ধুদের অতি নিকটাত্ত্বীয়তে রূপান্তর। অনন্তকাল ধরে চলছে, আমাদের সময়ে, তোমাদের সময়ে। নিয়মিত ঢুঁ দিয়ে যাবো। ভালো থাকো।

    জবাব দিন
  4. হা হা! মাইন্ড খাইয়েন না। হুদাই কমেন্ট দিছি। পচানোর জন্য না। 🙂

    মাস্তি সব জায়গাতেই আছে। ক্যাডেটের মাস্তিও আলাদা মজার। বিড়ি খাওয়া নিয়াই যে কত কাহিনী শুনছিলাম। মজাই লাগতো।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।