আমরা তখন ক্লাস নাইন এ পড়ি। আমাদের বন্ধু জিনিয়াস জিন্নাত প্রতি সপ্তাহে এক একটি নতুন ঘটনার জ়ন্ম দিত,বড়ো ভাইদের সাথে ছিল ওর অদ্ভুত রকমের সখ্যতা। ওকে জ়িনিয়াস বলার কারণ অন্য আর একদিন লিখব। ক্লাস নাইন মানে বিশাল ব্যাপার,শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের এক অদ্ভুত অধ্যায়ের সূচনা। আর ক্যাডেট হলে তো কথাই নেই। নিজেকে তখন JASON BOURNE এর মত মনে হতে থাকে। হাটা চলা,কথা বলা, রিএক্ট করা সব কিছুতেই এক একজ়ন অন্যজনের চেয়ে আলাদা। যাদের মধ্যে এই পরিবর্তন চোখে পড়তো না তারাও আপ্রাণ চেষ্টা করত কিভাবে নিজেকে একটু আলাদা প্রমাণ করা যায়। তবে জিন্নাত ছিল স্বভাবসুলভভাবেই ব্যতিক্রম। ওকে রুমমেট হিসেবে পাওয়া ছিল আমার সৌভাগ্য। আমরা দীর্ঘদিন রুমমেট ছিলাম।
একদিন আমাদের তিতাস হউসের জুনিয়র প্রিফেক্ট এক ভাই ওকে বাথরুমের সামনে খেপে গিয়ে থাপ্পর মারলে ও ভাইয়ার হাত ধরে জোরে চিতকার করে বলে,
-আমার গায়ে হাত তুলছেন কেন, আমার বাপ মাও কোন্ দিন আমার গায়ে হাত তুলে নাই,
এরপরে ভাইয়া ওকে শাউট করে থামাতে গেলেই ও উলটা জ়োরে শাউট করে অজ্ঞান হয়ে গেল।আমরা সবাই তার প্রতিবাদ করে হাউস থেকে শাউট করে ওকে নিয়ে হস্পিটালে রওয়াণা দিলাম, ততক্ষ্ণণে পুরা হাউস, কলেজ কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত খবর হয়ে গেল। আমদেরকে থামাতে ক্লাস টুয়েল্ভ এর প্রিফেক্টরা ছুটে এলো। হাউস এর সামনে আমরা হৈ চৈ করছি, ভাইয়ারা সবাই শাউট করছে আমাদের ফ্রন্টরোল শুরু করার জন্য,কে কার কথা শুনে, এমন সময় আরিফ ভাই আমাদেরকে এক্টা গাছের ডাল নিয়ে মারতে আস্লেন।ইতিমধ্যে আমাদের হাউস স্টাফ এনামুল চলে আস্লেন,আরিফ ভাই যেই আমাদের কাছে আসলেন মারার জন্য তখুনি এক টা চিতকার ভেসে আসলো দূর থেকে,
-আরিইইইইইফ, আইন কে আপনি নিজের হাতে তুলে নিবেন না, আরিফ আমি বলছি আপনি আইন কে নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না,
আরিফ ভাই বললেন,- প্লিজ স্টাফ,আপনি আমাকে বাধা দিবেন না…
স্টাফ এর সেই একই ডাইলগ ,……………
-না আরিফ, আমি কিছুতেই আইন কে আপনার নিজের হাতে তুলে নিতে দিতে পারি না……
সেই থেকে আইনের লোক এনামুল স্টাফ।
এই সংলাপ টা কলেজে অনেকদিন খুওব হিট ছিলো।
জটিল...
১। ক্লাস নাইন মানে বিশাল ব্যাপার,শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের এক অদ্ভুত অধ্যায়ের সূচনা।....... কথা ঠিক, কথা ঠিক।
২। জিন্নাত ভাইয়ের চোখগুলো আর হাসিটা এখনো মনে পড়ে।
৩। স্টাফ ওনাকে আপনি করে বললো কেন?
খাইছে! এইখানে মেলা নতুন নতুন শব্দ শিখতেছি। 🙂 প্রিফেক্ট মানে বুঝি নাই। শাউট মনে হচ্ছে শ্লোগান! 😐
প্রিফেক্ট মানে ছাত্রনেতা; ডাকসু, চাকসু'র ভিপি টাইপ।
(আপনার জন্য পরামর্শঃ
ব্লগের পাশাপাশি মাঝে মাঝে ডিকশনারিতেও ঘাঁটাঘাঁটির অভ্যাস করুন।
সেটা ঝামেলা মনে হলে আমাদের মাশরুফের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।)
cadet college e jara porenai tader jonno eishob na jana ta oshavabik kichuna...
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
Rashed vai, prefectship jinishta cadet college er khub important ekta role. onekta vp GS type eri jinis.
ar shout bolte slogan na. Army non commissioned stuff ra kokhono shoja vabe dakte parena. jarei dake chillaya chillaya dake. oitai hoiilo shout. 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ভাই তুমিও মাসরুফের মত ইংরেজিতে বাংলা লেখা শুরু করলা? জানইতো পড়তে কষ্ট লাগে...
তুমিতো আমাদের স্বনামধন্য মডারেটর। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায়...!
আশাকরি "আইন কে আপনি নিজের হাতে তুলে নিবেন না।"
ji na vai. ami j pc te oitay bangla nai. bipod ta eikhanei..
ain to ami nijei, hate tule nibar ki ase?? 😉
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তাইলে আইনের ও ফাঁক আসে?
;;; আছেই তো দেখা যাচ্ছে ;;;
থ্যাঙ্কস জিহাদ জানানোর জন্য। 🙂
@ মাহমুদুল আলম...জ্বি! আজকেই একটা অক্সফোর্ড ডিকশনারি কিনে ফেলবো! আনঅ্যাব্রিজডটা লাগবে নাকি নরমালটাতেই হবে? জানাইয়েন!
"আনঅ্যাব্রিজডটা " মানে কি? মঙ্গল গ্রহের ভাষা?
আমি ভাই পৃথিবীতে থাকি। আপনি কোতায় তাকেন?
hahahahahahahahahahahahaha......goragori diya hashtesi....
জটিল হইসে । সাইফ উদ্দীন মমতাজ নাকি??
oi Ch**dna Aloimma.......tui ki amare pochanor try dili naki re?Kacha khaya falamu koitasi.....
চরম হইছে।
হো হো হো !!!!!! =))
ধুর নওরীনাপ্পু এখন আর আসেননা 🙁
হাসতে হাসতে খাবি খাইতেছি। :))
বেশি খাইস্না, বধজম হৈবার্পারে।
আলদিন...একটা কথা মিস করেছিস...আরিফ ভাই এর উত্তর ছিল "প্লিজ স্টাফ,আপনি আমাকে বাধা দিবেন না। আমি প্রশাসনের ই একটা অংশ" 😀
অনেক মজার হয়েছে লিখাটা...এভাবেই লিখতে থাক দোস্ত...
দোস্ত,এত আগের কাহিনি সব কি আর মনে থাকে।এক্টু রিমিক্স হবেই,so pl bear with that