প্রথম ব্লগেই এত্তো ভালো ভালো কমেন্টস তাই মনে হয় বদহজম হয়ে গেসে! ঘুম আসছিলোনা, আর সেই চিন্তাতেই কলেজে ক্যাডেটদের ঘুমের বিভিন্ন কায়দা কানুন মনে পড়তে লাগলো। আইডিয়াটা না আবার বেমালুম গায়েব হয়ে যায় তাই চটজলদি লিখে ফেলা-
আমাদের অনেক সকালে বিছানা ছাড়তে হতো বলেই যেন ঘুমটা আমাদের ঠিক বিছানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো না। প্রায়ই বিছানার গন্ডি ছেড়ে আরো বিভিন্ন জায়গায় নিদ্রাদেবী আমাদের চোখে ভর করতেন।
মনপুরা
ডিসক্লেইমারঃ দয়া করে সিনেমাবোদ্ধারা দূরে থাকুন। এইটা কোন চিন্তাশীল রিভিউ না
দয়া করে কেউ মনপুরা দেখতে যায়েন না। পরিচালককে খামচি দিতে ইচ্ছা করবে। 😡
ফাল্গুনের প্রথম দিনে আমরা অনেক মজা করি, আমাদের ডিপার্টমেন্টের রেওয়াজ এইটা। আর কিছু না হলে, অন্তত হলুদ কমলা ছড়াছড়ি থাকে ক্যাম্পাসে। জুটিরা পাশাপাশি বসে ফিসফাস করে… এটা ওদের মজা, আমরা দূর থেকে ওদের গালাগালি করি… এটা আমাদের মজা।
একজন পর্দা নিয়ন্ত্রকের পারফর্মার হয়ে ওঠা
মূলতঃ ক্লাস সেভেনের ট্যালেন্ট শো থেকেই শুরু হয় ক্যাডেটদের ষ্টেজ পারফর্মেন্স। ওই সময় থেকেই প্রায় নির্দিষ্ট হয়ে যায় ব্যাচের কালচারাল প্রোগ্রাম হলে কোন দায়িত্ব কাকে নিতে হবে। দায়িত্ব ভাগাভাগির সেই মাহেন্দ্রক্ষণ থেকেই আমার বন্ধু ‘পর্দা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে ব্যাপক নাম করে ফেলল। প্রায় সব শাখায় জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেও বিফল আর ওয়াশ-আউট হয়ে শেষ পর্যন্ত ‘পর্দা নিয়ন্ত্রন’কে সে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গেল। কিন্তু অবস্থার উন্নয়নের চিন্তা যেহেতু সার্বজনীন,
বিস্তারিত»ভাগ্যবানের দূঃখ
একটা নূতন গল্প বলব বলে আজ খুলে বসলাম আমার খেরোখাতা,
বহুদিনের অব্যাবহারে জমে গেছে ধূলোর আস্তরণ।
প্রাপ্তির হিসেব মিলাতে গিয়ে আজ নিজেকে বড় ভাগ্যবান মনে হয় –
মনে হয় এত দ্রুত সব পাবার ছিল না।
আজ কেন যেন নিজের গল্প শোনাতে ইচ্ছে করে না আর,
শীতনিদ্রার সুখ খুঁজে পেয়েছি, নীরবতাই আজ পরম আরাধ্য।
হেলো এভ্রিওয়ান
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমি এই লাইন-এ নতুন। আমার এক জেসিসিয়ান বন্ধু সাজেস্ট করল আসতে, তাই এলাম। শুনেছি খুব ইন্টারেস্টিং প্লেস এটা। দেখি কেমন… যদিও আমি বিশ্বাস করি এটা অবশ্যই ইন্টারেস্টিং; ক্যাডেট-দের কোনকিছু ইন্টারেস্টিং না হয়ে যায়না!
আমার জীবনের সব ইন্টারেস্টিং ব্যাপারগুলো এই ডাক্তারি পড়া খেয়ে ফেলেছে। এত পড়া, এত পড়া… একেবারে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছি। সামনে ফাইনাল প্রফ, সুতরাং বেশী আসা হবেনা।
বিস্তারিত»তোমায় কিছু বলার ছিল
আজ আমি বলবোই। গত তিনদিন ধরে ভেবেছি কয়েকবার এই নিয়ে, ঘুরে ফিরে একটাই জবাব এসেছে- আমাকে বলতেই হবে।
বারবার একটা দুরাশঙ্কায় মন কুকড়ে যাচ্ছে। ‘না’ শব্দটার সাথে আমার আজন্ম বৈরীতা, সেটা যেই বলুক না কেন। তারপরো এক অক্ষরের এই ক্ষুদ্র শব্দটা মাঝে মাঝেই জীবনকে ভীষনভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। আজ যদি ওর মুখ থেকেও না শুনতে হয়, তবে ভার্সিটিতে থাকার কোন ইচ্ছে বা কারণ আর অবশিষ্ট থাকবে না।
বিস্তারিত»প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-৩
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-১
প্রহর শেষের আলোয় রাঙ্গা-২
দুইজনের ছোট্ট একটা গ্রুপ। আর বাকীদেরও ঠিক তাই। কেমিস্ট্রি কোনকালেই আমার প্রিয় বিষয় ছিলনা, ল্যাবগুলো তো না-ই! পিপেট, ব্যুরেট, বীকার, টেস্টটিউব, রাসায়নিক দ্রবণ- এইসব জড় পদার্থের প্রতি উৎসাহের কোন কারণ আছে কিনা আমার জানা নাই, আর কারণ থাকলেই বা আমার কি! প্রথম ল্যাবে স্যার কি কি জানি ইন্সট্রাকশন দিলেন, বুঝলাম না বা বুঝার চেষ্টা করলাম না।
বিস্তারিত»কিছু এক্স ক্যাডেট এর সাক্ষাৎকার
গত দুই/আড়াই মাস ধরে সিসিবির সাথে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয়। সেই সাথে এরই মধ্যে আশেপাশের হাতে গোনা ক’জন এক্স ক্যাডেট এর সাথে সিসিবিকে নিয়ে হয়েছে আমার কিছু কথপোকথন। তারই কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে আমার আজকের এই পোষ্ট…
আরিফ ভাই (সিসিসি, ৯০-৯৬ ব্যাচ)
প্রশ্নঃ স্যার, আপনি কি ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মেম্বার?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আমি তো ওখানে নিয়মিত যেতাম। কেন, তুই মেম্বার না?
একটি জেন্ডার বিষয়ক ম্যাগাজিনের বিজ্ঞাপন
একটা সময় ছিলো যখন আমাদের সমাজে নারীদের প্রতি প্রকট বৈষম্য বিরাজমান ছিলো। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। আমরা বলতে পারি, ভাবতে পারি যে তারাও মানুষ। তারাও পারে ভাবতে। তাদেরও অধিকার আছে। তারাও পারে পুরুষের মত সমাজের সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখতে। কিন্তু তারপরও তাদের বিড়ম্বনা কম নয়। আবার পুরুষরাও যে সবসময় শুধু কাঠগরাতে, তাও নয়। আর এইসব সমস্যা এবং চিন্তাধারা নিয়ে একটা ম্যাগাজিনের আবির্ভাব।
‘শব্দ’
বিস্তারিত»এক্সট্রা ড্রিলের দুষ্ট চক্র
ক্যাডেট কলেজ ভেদে এক্সট্রা ড্রিলের চলনের রকমফের থাকলেও ( আমার জানা মতে) সিলেট ক্যাডেট কলেজের স্টাফ (এন,সি,ও/ওস্তাদ) দের ই,ডির ব্যাপারে উদারতা মোটামুটি ঐতিহাসিক পর্যায়ের। যে কারণে ক্লাস ইলেভেন এক সময় আমরা কজন বন্ধু দেখলাম আসলে এক টার্মে আমারা কদিন গেমস ড্রেসে গেমস টাইমে মাঠে গিয়েছি তা আঙ্গুলে গুনে বলা যায়।
এই ধারাবাহিকতায় আমার বন্ধু সাইফ (১১২২, স্থপতি হতে যাচ্ছে) একটি সুত্র বানিয়ে বসলো!
বিস্তারিত»৪১৩০
ঠাস করে থাপ্পড় মারে সংখ্যাটা, প্রতিবার…যতবার দেখি।…থাপ্পড় খেয়ে আমি আবার কিছু বলি না, চুপচাপ খেয়ে যাই, ভালই লাগে, একটা নিষ্ঠুর আনন্দ হয়।
আর আমি… সেদিন উলটে ফেলেছিলাম বলে, আমার চারহাজার একশ তিরিশ হয়তবা কোনদিন এক বাড়বে, কোনদিন দুই, তারপর তিন, চার করে পাঁচহাজার হবে, কিন্তু আমি প্রতিদিন ঘরেই ফিরবো, আমার নীল নীল সাদা সাদা ঘর, সেখানে স্বপ্নেরা উড়ে বেড়াবে, কিন্তু স্বপ্নগুলো প্রজাপতির মত বসবে না আর কাঁধে,
আজকে কার জন্মদিন ভাই???
প্রায় দশ বছর আগে কুমিল্লার এক গন্ডগ্রামের এক কলেজে ৩জুন তারিখে প্রবেশ করেছিল ঐকলেজের ভবিষ্যৎ এর একজন সুপারস্টার। তাহার পড়াশুনায় ধারে আর রূপ সৌন্দর্যে তখন ডুবিয়াছিল পুরা কলেজ। আমরা তখন তাকে ভয়ে ভয়ে দেখিতাম আর ভাবিতাম আল্লাহ যাকে দেয় ছাপ্পড় মারিয়া দেয়। আমরা যখন বাংলায় কোনমতে পাশ করিতাম তখন এই ব্যাটা হায়েস্ট এর পর হায়েস্ট পাইয়া আমাদের ইজ্জতের ফালুদা বানাইত। x-(
কিন্তু কালেকালে অনেকবেলা তো হল।
ভূত দর্শন!
(হাবিজাবি পোস্টের সাথে বোনাস হিসাবে একটা গল্প দিলাম। হাবিজাবি গপপো 😀 ) পরপর দুইটা পোস্ট দেয়ার জন্য ক্ষমা চাই 🙂 )
যখনকার ঘটনা বলছি তখন আমার বয়েস সাতাশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্সটা শেষ করে চাকরিতে ঢুকেছি। কলাবাগানের মোড়ে এখন যে বড় মার্কেটটা উঠেছে তার সামনেই অফিস। অফিস মানে একটা কাঠের চেয়ার আর একটা টেবিল। নতুন চাকুরি জীবন। একটা উত্তেজনা কাজ করত সবসময়। মাসের শুরুতে মাইনে নিয়ে নাকের সামনে ধরতে অন্যরকম একটা আনন্দ হতো।
বিস্তারিত»হাবিজাবি: স্পেশাল ডিনার!
বিষ্যুদবার। বৃহস্পতিবার।
ইংরাজিতে থার্সডে। সন্ধ্যে নামার অনেকক্ষণ আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষা শুরু হতো। আজ ডিনারে কে কার কাছ থেকে কাস্টার্ড পাবে- কে কাবাবের সাথে স্যুপ অদলবদল করবে অন্য কারো সাথে। এসব আলোচনা শুরু হতো পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা কলেজটায় – আমার প্রানের কলেজটায় সন্ধ্যে নামার অনেক আগে!
টিভি রুমের ভিসিডি শোতে সামনের চেয়ারে কে বসবে এসব নিয়ে খুনসুটির মাঝপথে যখন ডিনারের হুইসেল বাজতো- আমরা য়খন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন সাথে সাথে ছুটতাম ফলইনে।
বিস্তারিত»মেঘ পিয়নের চিঠি

সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে।
বিস্তারিত»