শিকির হাইকু ও লুটেরা

Evening Snow falling,
A pair of mandarin ducks
On an ancient lake.
-Masaoka Shiki

রাতে টিভিতে লুটেরা দেখছি।পশ্চিম বঙ্গের জমিদার বাড়িতে তুষারপাত হচ্ছে দেখে আমি অবাক।তবে শেষ পাতার ব্যাপারটা ভাল লাগলো।মনে পড়ল টিআইসি অর্থাৎ টোকিও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার এর লবি।জাইকা আয়োজিত যুব আমন্ত্রণ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশীদের চায়ের কাপে ঝড়।আঁতেলেকচুয়াল রকিব শিকির কবিতা ডাউনোলোড করেছে।খুব খারাপ।এত খারাপ কথা দিয়েও কবিতা লেখে।সে আবার জাপানের একজন বিখ্যাত কবি।আসলে কবি সাহিত্যিকরা একটু হারামি টাইপের হয়।দেখি দোস্ত,কেমন কবিতা ?

বিস্তারিত»

বাঘ

একবার একটা বাঘ তার একমাত্র ছেলে মাইকেলকে নিয়ে গেল হরিণ শিকার করতে। মাইকেল হরিণ শিকারে তার বাবা টমাসের থেকেও অনেক বেশি দক্ষ ছিল। বাপ-বেটা দুজন সুন্দরবনের হিরন-পয়েন্টে ঘাসের মধ্যে ভাল একটা ঘনঝোপ ঠিক করে শিকারের পজিশন নিয়ে হরিণের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।

বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে তারা দুজন দেখতে পেল যে, কিছু হরিণ-হরিণী তাদের ছানাপুনা নিয়ে মনের আনন্দে সেই ঘন ঘাসের দিকে আসছে তাদের পেটপূর্তি করতে।

বিস্তারিত»

টুকরো বিনোদন

ক্যাডেট কলেজে অনেক ঘটনাই হটাত হটাত ঘটে যায় যা পরে মনে করে অনেক হাসি পায়। তেমন কিছু টুকরো ঘটনা এবং কিছু বোরিং জোক্স নিয়ে হাজির হলাম। এর মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা নিজের অভিজ্ঞতা আর কিছু অন্যের কাছে শোনা।

 

১/ ইসলাম শিক্ষা খাতায় সব সময়ই সবার মুল লক্ষ্য থাকে কিভাবে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়ানো যায়। এর বাইরে মুল লক্ষ্য হল নীল কালিতে আলাদা কোটেশনে হাদিস/ কোরানের আয়াত লেখা যার অধিকাংশই ছিল নিজের মন গড়া।

বিস্তারিত»

ইডি সমাচার

ইডি খাওয়া ক্যাডেটদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ। তবে কারো কারো জন্য তা হয়ে ওঠে অতি-প্রাত্যহিক। ক্যাডেটদেরকে নিয়মিত ইডি লাগানোর মত কষ্টসাধ্য কাজটি সাধারণত স্টাফরাই করে থাকেন (ক্ষেত্রবিশেষে অতি-কর্তব্যপরায়ণ শিক্ষক ও ক্বচিৎ অ্যাডজুটেন্ট-প্রিন্সিপ্যাল)। ইডি লাগানোও যে একটি শিল্প হতে পারে মাঝে মাঝে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী স্টাফ ও স্যারেরা তা দেখিয়ে দেন। এবারে থাকছে চমকপ্রদ কিছু ইডির বৃত্তান্ত। (* চিহ্ন সংবলিত ইডিগুলো বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের যোগ্যতা রাখে।)

এক্ষেত্রে হাউস মাস্টার অফিস থেকে ইডির নোটিস সময়মত হাওয়া করা এবং আমাকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় তাশরীফ মাহমুদ (ফকক,

বিস্তারিত»

আমার দার্শনিক সাজার বারোটা বাজা ও কিছু স্মৃতি

গতকাল রাত থেকে স্মৃতিকাতর হয়ে আছি।
গোফ-দাড়ি দুটোই স্বাভাবিক নিয়মে বাড়ছিলো। মাস দুই এর কম না।
চেহারায় কেমন একটা দার্শনিক দার্শনিক ভাব চলে আসছিলো। যদিও দুর্জনেরা নানান আকথা কুকথা বলে আমাকে খোচানোর চেষ্টা করেছেন। আমি তো আয়না দেখতে জানি। জানি আমাকে বেশ লাগছিলো দেখতে। কিন্তু অন্যদের তা সইবে কেনো!
যুগ চেঞ্জ হয়ে গেছে এখন পুরুষেরা গোফ-দাড়ি তো রাখেই না, বরং অনেকে বুকের লোম ও কামায়।

বিস্তারিত»

একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন

বি.দ্র. এই পোস্টের লেখক “সত্য কোন দিন চাপা থাকে না” টাইপের ফালতু তত্ত্বে বিশ্বাসী। অতএব কাহিনীটি একটি সত্য ঘটনা থেকে প্রণোদিত। যতটুকু প্রকাশ করলে শুধু স্যারদের উপর দোষ চাপানো যায় ততটুকুই দেয়া হল। নামগুলো কাল্পনিক। কারোর সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়।

সন্ধ্যা ৭টা। ইভনিং প্রেপ চলছে। এখন আবার থার্ড টার্মের টার্ম-এন্ড পরীক্ষা। আমি পড়ি ক্লাস এইটে। আগের দুই টার্মে মাশাল্লাহ(!) রেজাল্ট করায় সায়েন্স পাওয়ার জন্য একটু সিরিয়াসলি পড়ছিলাম।

বিস্তারিত»

নির্বাচন সংলাপ

পোলিং এজেন্টরা এদিকে আসেন।এই যে এই বুথের ব্যালট বক্স।স্বচ্ছ, তবু উল্টা করে দেখাচ্ছি।দেখেন, কিচ্ছু নাই।এই যে ঢাকনা।এতে চারপাশে আর মাঝখানে ফুটা আছে। এখন ঢাকনাটা বক্সে লাগাই।এই যে লক।প্লাস্টিকের তৈরী।বক্স আর ঢাকনার ফুটাতে লকটা লাগিয়ে দিলাম টাইট করে।এটা আপনাদের সামনে এই টেবিলে থাক।ঢাকনাতে শুধু উপরের ফুটাটা খোলা থাকল ব্যালট পেপার ঢুকানর জন্য।ওহ্যাঁ, ব্যালট বক্স আর চারটা লকের সিরিয়াল নম্বর বলছি লিখে নেন। আর একটা কথা।এই লকটা একেবারে ওয়ান টাইম।এটা শুধু ছিড়েঁই খোলা যাবে।

বিস্তারিত»

কলকাতার চিঠি

নিউমার্কেটের বাসে উঠেই বুঝলাম পূজার সিজনে বের হওয়া মোটেও উচিৎ হয়নি। অসম্ভব ভীড় আর গরমে দাঁড়িয়ে আছি (আমার সিট ভাগ্য খুব খারাপ) , এদিকে উচ্চতা কম বলে উপরের রডও নাগাল পাইনা, তাই হাতের ছাতা ব্যস্ততার সাথে ব্যাগে ঢুকিয়ে দুই সিট ধরে দাঁড়িয়ে গেলাম।
যে সিটের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম তাতে দুই বোন বসে ছিল, বড় বোন ছোট জনের চেয়ে খুব বড় না হলেও বুঝদারের মত জানালাটা তুলে দে,খুব রোদ,

বিস্তারিত»

দিন যায় কথা থাকে-২

ততদিনে আমাদের সুদিন চলে আসছে। কোন জায়গায় চান্স না পাওয়ার সামাজিক,মানসিক গ্লানি কাটিয়ে ততদিনে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছি। “ক্যাডেট কলেজে পড়লেই কি সবাই ভাল জায়গায় চান্স পায়” বলা নিন্দুকের মুখে তখন “জানতাম এই ছেলেই একদিন…” বানী শোভা পায়।

শীতের কোন কোন কোন সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে চলে আসে নাসিম। আমরা সারাদিন সারা টাঙ্গাইল চষে বেড়াই। শহর পেড়িয়ে,নদী পাড় হয়ে চলে যাই কোন এক চরের গ্রামে।

বিস্তারিত»

কিভাবে অনলাইনে “ভালো ছেলে” ইমেজ গড়বেন

প্রতেকই লেখার পিছনে একটা গল্প থাকে, এই লেখার পিছনের গল্পটি খুবই দুঃখজনক। ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে ঢুকে রাফায়েত আলভীর এই পোস্টটি চোখে পরল।
null
চিত্র- দুঃখী বালকের গল্প

২৬ বছরের মানে জীবনের অর্ধেকটা পার করে দেয়া, এতটা বছর একজন বন্ধু না পেয়ে ছেলেটি হতাশ হয়ে শেষ পর্যন্ত পত্রিকায় চিঠি লিখেছে। একবার চিন্তা করে দেখুন ২৬ টি বসন্ত পার হয়ে যাবার পরেও একজন বন্ধু জোটেনি হতভাগার।

বিস্তারিত»

বৃহঃস্পতি রহস্যের সমাধানঃমহা লাল বিন্দু এখনও কেন দৃশ্যমান?

সৌরজগতের ঘটে যাওয়া সবচেয়ে রহস্যজনক ঘটনাগুলোর একটি হল বৃহঃস্পতির এই মহা লাল বিন্দু। এটি মূলত একটি অতি শক্তিশালী ঝড় যা সপ্তদশ শতাব্দী থেকে একটানা বয়ে চলেছে বলে ধারণা করা হয়। বৃহঃস্পতির বায়ুমন্ডল বিভিন্ন অক্ষাংশে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত যেগুলো বেশ সহজেই চোখে পড়ে। এ কারণে একটি ব্যান্ডের সাথে অন্য আরেকটি ব্যান্ডের সংযোগস্থলেএরকম ঝড়-ঝঞ্ঝাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে।এই ভয়াবহ আকৃতির ঝড়, যা হতে বিজ্ঞানীরা ফ্লুইড ডাইনামিকসের নানা খুঁটিনাটি জানতে পেরেছেন,

বিস্তারিত»

ইনসমনিয়া

দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, মরবিড শীতের রাতের কার্নিশে
পাপ জমে তিলেতিলে শিশিরের মত অসহায় ঘাসে।
ভেন্টিলেটরে জেগে ওঠে স্টুপিড চড়ুইয়ের প্রলাপ
অপসৃয়মান রাতের ছায়া,চড়ুই আর আমাতে জমে ওঠে আলাপ।
ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দে পুরনো চেয়ারটা হিঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে যাওয়া,
অতঃপর বাসি তামাকে সূর্যের বিপরীতে নাচে নীলচে রঙের ধোঁয়া!!
“তোমাদের শোক যখন আমার কবিতার পুঁজি
তখন আমি একফালি রোদের বিলাসিতা খুঁজি।
বহুদিন আগে ছায়াদের দেশ থেকে চুরি করে আনা রোদ,

বিস্তারিত»

বৃষ্টি

মেঘে ঢাকা লস আঙ্গেলেস

বৃষ্টি হচ্ছে লস আঞ্জেলেসে ।
আকাশ মেঘে ঢাকা। দূর পাহারগুলোকে ও মেঘ ঢেকে দিয়েছে ।জানালা দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে না যে বৃষ্টি ।
বাংলাদেশের সাথে তুলনা করলে এটা ইলশে গুড়ি। না ইলশে গুড়ি বল্লে ভুল হবে। আর ও কম।
বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তায় গাড়ি চলাতে এক ভেজা আওয়াজের হচ্ছে । এই আওয়াজ ও জানালার পাশ দিয়ে পানি পড়ার আওয়াজ।

বিস্তারিত»

নৌ-অবরোধ এবং পাইপের শহর

আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি বলিষ্ঠ সমর্থন যুগিয়েছিলো বিভিন্ন রাষ্ট্র, ব্যক্তি বা সংগঠন।কোন কোন রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন না করলেও তাদের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিলো।এমনই একটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে।আবার এই দেশেরই সাধারণ মানুষ আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে নানা ভাবে। পন্ডিত রবি শংকর এবং ‘বিটলস’ এর বিখ্যাত শিল্পী জর্জ হ্যারিসন কর্তৃক আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর কথা আপনারা সবাই হয়তো জেনেছেন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির কল্যাণে।

বিস্তারিত»

ঘাপলা যখন নাম নিয়ে…

বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর অনেক বালক-বালিকারই নাম নিয়ে ঘাপলা হয় হলের লিস্টে। বেশ কয়েকজন বালকের ক্ষেত্রে দেখেছি এই সমস্যা। কোন বালিকার ক্ষেত্রে হয়েছে কিনা জানা নাই। তবে যেহেতু ছাত্রী হলও বুয়েটেরই হল, ঘাপলা হওয়ারই কথা।

আমার জন্মের পর বাপ-মা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নাম রাখলো “মোঃ সামিউল ইসলাম”। স্কুল, কলেজ কোন জায়গায় নাম নিয়ে কোন ঝামেলা হয় নাই। যদিও ক্যাডেট কলেজে আমার লকারে আমার নাম “SAMI”র বদলে “SHAMI” লেখা ছিল।

বিস্তারিত»