কথা

#
“স্যার, বাইরে একজন মহিলা বসে আছেন। উনাকে কি ভেতরে আসতে বলব?” এই নিয়ে তিনবার তার বস, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহিদুল হাসানকে বলল । প্রায় দুই ঘণ্টা হয় প্রৌঢ়া মহিলাটি বসে আছেন। বস জাহিদুল হাসান ভাল মনের একজন মানুষ । গতানুগতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মত ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউকে বসিয়ে রেখে নিজের পদের ভার বুঝানোর চেষ্টা করেন না। আজকে বসের রুমে কেউ নেই তারপরেও বস কেন যে মহিলাকে ভেতরে ডাকছেন না কে জানে।

বিস্তারিত»

মেঘ হও! মেঘ হও!

সামনে পরীক্ষা। তাই ঘুরাফিরা,খেলাধুলা, কাজকর্ম সব বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন গায়ে রোদ জড়ায়ে সারাদিন বসে থাকি আর সিগারেট ফুঁকি। ঘুম থেকে উঠে গোসলের আগ পর্যন্ত,আবার গোসলের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। নিয়মিত দুই বেলা। গত দুইদিন রোদ নেই, তাই মনও ভাল নেই।

আজ রোদ উঠেছে, পরীক্ষা উপলক্ষে একটা ঘড়ি কিনে দিয়েছে বন্ধু পলাশ। আনন্দ সীমা অতিক্রম করার কথা। অথচ মন ভাল নেই। অনেক দূর থেকে ভেসে আসা একলা পাখিটার ডাকে ঘুম ভেঙেছে।

বিস্তারিত»

দোলাচলে

 বিশাল বিশাল দু’টো গামলায় লুচির পাহাড় জমে উঠেছে। চপলাদি দ্রুত হাতে লুচি বেলে দিচ্ছে আর মা দু’ ঘন্টা যাবত অম্লান বদনে লুচি ভেজে যাচ্ছেন। দু’ লিটার তেলের বোতল লুচি ভাজতেই খালি। রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে সূচনা বলে, ‘ মা! তুমি পাগল হলে নাকি!এত লুচি কে খাবে !’

‘ গরম গরম লুচি একবার খাওয়া শুরু করলে কখন শেষ হয়ে যাবে টেরও পাবি না !

বিস্তারিত»

স্ট্যাটাসসমগ্র-১

(অনেক দিন সিসিবিতে কিছু লেখিনা। জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লুর মত এককালের ডাকসাঁইটে(!?) জন্মদিন প্রিফেক্ট এখন অবসরে। তবে ফেসবুকে গরম গরম স্ট্যাটাস দেয়া চলছে।আজ সক্কাল সক্কাল উঠেই প্রিয় ছোটভাই এবং ভবিষ্যৎ এ্যাডমিরাল নাফিস উজরাতের খোঁচা খেলাম-” কি ভাইজান, সিসিবিতে লিখা দিতে ইচ্ছা করেনা, তাইনা??” ওর এই খোঁচা থেকেই স্ট্যাটাসসমগ্রের জন্ম। পুরোন স্ট্যাটাসগুলো দুই তিনটা এক করে প্রথম পর্ব আজ শুরু করছি। দায়দায়িত্ব এবং গালাগালির দায়ভার সম্পূর্ণ এ্যাডমিরালের 😀 )

১।

বিস্তারিত»

পুষ্প তুমি কার

এক.
রাজশাহী। নতুন জায়গা এবং বিরক্তিজনকভাবে প্রচণ্ড গ্রীষ্মপীড়ীত এলাকা। আমার এখানকার কর্মস্থলের প্রথম দিন। প্রচন্ড গরম আর এখানকার অফিসের যাচ্ছেতাই অবস্থা আমার মেজাজটা এমনিতেই অনেক গরম করে রেখেছে। মানুষ হিসেবে আমি যথেষ্ট রূঢ় প্রকৃতির বিশেষত যখন আমার মেজাজ অনেকটা চড়ে থাকে। হয়ত আজকে একটু বেশিই হয়ে গেছে। অফিসের কম্পিউটার সেকশনের মেয়েটা নাকি আমার ঝাড়ি জাতীয় কথাগুলো শুনে তার টেবিলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। খুব একটা খারাপ হয়েছে ব্যাপারটা তা আমার মনে হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

দিঘি

হৃদয় সমীপে এই আবেদন থাক
দেখতে দিও তোমার পেটের বাঁক
সে যেন এক কামনা নদীর ঢেউ
আমার আগে দেখেনি যা আর কেউ

সে জলের বেগ তোমার নাভীর কাছে
পৃথিবীতে শুধু একটি দিঘিই আছে
আমিই প্রথম পেয়েছি তার খোঁজ
শাড়ির আঁচলে রাখতে যা ঢেকে রোজ

নদী যখন সমুদ্রের কাছে যায়
ঢেউ ওঠে যেন উদ্দাম কামনায়
তেমনি তোমার স্পর্শ যদি পাই
সে সুখের যেন পরিসমাপ্তি নাই

বিস্তারিত»

বর্ষ শুরু সংখ্যা

নতুন বছরের শুরুতে দেখা যাচ্ছে সিসিবির উর্বরতা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছ। একের পর এক নতুন লেখা আসছে, তারচেয়ে বড় কথা ভাল মানের লেখা আসছে। ব্লগে ঢুকলে মনটাই ভাল হয়ে যায়। লেখার সাথে সাথে আনাগোনাও প্রচুর বেড়েছে, সবসময়ই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য আর অতিথিদের অন প্যারেড দেখি। তবে এর মাঝে হালকা মন খারাপের বিষয় হলো এত আনাগোনার তুলনায় মন্তব্য করার হারটা একটু কমই। আমরা যারা লেখা পড়ছি তারা যদি একটু কষ্ট করে পোস্টটাতে আমাদের ভাল লাগা,

বিস্তারিত»

আমেরিকার পথে পথে – ১

প্রথম ব্যাপারটা মাথাচাড়া দিয়েছিল গত জুন মাসে। কোনো এক মধ্যরাতে  Into the wild মুভিটা দেখে বিমোহিত হয়ে গেছিলাম। অন্য কোন মুভি দেখে আমি এতোটা প্রভাবিত হয়েছিলাম কিনা মনে পরে না.. মুভির নায়ক জীবনের প্রতি ব্রীতশ্রদ্ধ হয়ে একদম কপর্দকহীন অবস্থায় বেড়িয়ে পরে আমেরিকার পথে পথে.. ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ফেসিনেটিং মনে হয়েছিল। এতই বেশি রকম ভাবে যে , বিষয়টা একদম মাথায় খুটি গেড়ে বসেছিল।

বিস্তারিত»

গরম মশল্লা ( গুড়া)

ছোট ক্লাসে পড়া রসগোল্লা গল্পটির কথা হয়ত আমাদের অনেকেরই মনে আছে, মুজতবা আলীর এ গল্পটি আক্ষরিক অর্থেই একটি রসগল্প।
ইতালির এক কাস্টমস অফিসার বাঙালি ব্রাহ্মণ সন্তান ঝাণ্ডুদার মিষ্টান্নের প্যাকেট খুলতে বলায় এবং ঝাণ্ডুদা তার বন্ধুর মেয়ের জন্য তা লন্ডনে নিয়ে যাচ্ছে বলে খুলতে রাজি না হওয়ায় চুঙ্গিওয়ালা কোনো যুক্তি না মেনে তা খোলাতে বাধ্য করল। ঝাণ্ডুদা তাতে ক্ষেপে গিয়ে একটি রসগোল্লা চুঙ্গিওয়ালার নাকে-মুখে প্রবিষ্ট করিয়ে দিয়েছিল।

বিস্তারিত»

আমি

হোয়াই অলয়েজ মি? কেউ কি দয়া করে ব্যাখ্যা দেবেন আমার সাথেই কেন এমন হয়? আমি জানি আমার দুঃখের কথা আপনাদের কাছে প্যানপ্যানানি লাগবে। প্যানপ্যানানি হবেই বা না কেন? যে তীব্র অনুভূতির সাথে নিজের কোন যোগ নেই সেটা কেন যেন সহানুভূতির চেয়ে আমাদের মনে বিরক্তি বা হাসিরই উদ্রেক করে বেশী।

 

ছোটবেলা থেকে আশেপাশের মানুষের ঘৃণাটাই বেশী পেয়েছি। চেহারাটা তেমন একটা সুবিধার নয় বলে।

বিস্তারিত»

দ্য ফোর্থ ডাইমেনশন

“এইপ, কথা বলছিস কেন? বকবক করছি ভাল লাগে না?”আচমকা ফিজিক্স স্যারের ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে গেল কুদ্দুস।স্যার কি পড়াচ্ছে টা ও শুনছিল না।ওর মাথায় গিজগিজ করছে হাজারটা প্রশ্ন।কে তার উত্তর দেবে? “নিউটন বলেছেন ,প্রত্যেক বলের একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, অর্থাৎ আমি আবারও বলছি”…… “স্যার আমার একটা প্রশ্ন ছিল” , হঠাৎ ব্রেক কষা গাড়ির মত স্যারের কথা থামিয়ে দিল কুদ্দুস। মোটা ভুরু দুইটা কুঞ্চিত করে স্যার বললেন,

বিস্তারিত»

লেডিজ ফার্স্ট!!!

সে বহুকাল আগের কথা।এক দেশে ছিলো এক প্রেমিক-যুগল।তারা একে অপরকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসত।একদিন ছেলেটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে চৌধুরী সাহেব,তথা মেয়ের বাবার নিকটে গেলো।কিন্তু চৌধুরীসাহেব তাকে ভাগিয়ে দিলেন।

প্রেমিকযুগল ঠিক করলো,এই জীবন আর রাখবে না তাঁরা।পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করবে।মিলন হবে জাহান্নামে।সেই মোতাবেক তাঁরা গেলো পাহাড়ের চূড়ায়।জীবিত অবস্থায় শেষবারের মত প্রেমিকাকে চুম্বন করে ছেলেটা বলল,”সোনা,আমি যাচ্ছি,তুমিও আস।”বলেই সে লাফ দিলো।

মেয়েটা চুম্বন শেষে চোখ খুলে দেখে ছেলেটা নেই,নিচে তাকিয়ে দেখে,তার এক্স-বয়ফ্রেন্ডের দলা পাকানো শরীর দেখা যাচ্ছে।মেয়েটা ছুটে বাসায় চলে গেলো।বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে কয়েকবার বমি করলো।অতঃপর ফেস-ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।ঘুমানোর আগে সে তার আরেক গুণমুগ্ধ ভক্তের কাছে খুদে-বার্তা পাঠালো,”তুমি না ডিনার করাতে চাইছিলা???আজকে যাবা???

বিস্তারিত»

আবোল তাবোল ২

আগের পর্বের লেখাটা বেশ বিরক্তিকর হয়েছিল এটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি । তাই ভেবেছিলাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ আমার উপর রাগ করেছে । কারন আমি অনেক চেষ্টা করেও লেখা সাবমিট করতে পারছিলামনা । বেশ চিন্তিত হয়ে গেলাম । কী হল ? পরে দেখলাম ক্যাডেট কলেজ ব্লগ নয় , দোষ আমার নিজের । আমি যে ছোট একটা ভুল করছিলাম সেটা আমি খেয়াল করিনি । এজন্য একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম ।

বিস্তারিত»

দুই তলা একটা বিল্ডিং …

দুই তলা একটা বিল্ডিং, লাঞ্চের পর ফ্লরে ঘামের টপটপ ফোটা,তার গন্ধ,ভয়ংকর সিনিয়রগুলা,তাদের কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাওয়ার
ফন্দি আটা, যেমন খুশি তেমন খাটানো জুনিয়র,নিজের অবাধ স্বাধীনতা,আড্ডা,মুরি,কাঠাঁলের ঘ্রাণ,স্যার দের সাথে লুকোচুরি,মাঠে বাঘের
গতিতে ছুটে চলা, অডিটোরিয়াম জয় করা,৬ টি বছর,৭২ মাস, ২১৬০ দিন,অভাবনীয় ভালবাসা,আমার মা। আমার মত যাদের ছোট ভাই
ছিল না,যারা উপদেশ দেয়ার প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকলেও!! ছোট পোলাপান খুঁজে পেতেন না,কিংবা,যাদের পরীক্ষার আগের রাতে মাথায় হাত
বুলিয়ে দেওয়ার কেউ ছিল না তারা নিশ্চয়ই আমার মত একটা নতুন “মা”

বিস্তারিত»

এইচএসসি’র পরেঃপর্ব ১

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃএকান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।

কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে তার পরের কয়েক মাস।এই সময়েই নির্ধারিত হয়ে যায়,কার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।অনেকে সাবলীল্ভাবে পার করে দেয় এই সময়টা,অনেকে পিছিয়ে পড়ে।এই লেখায়,আমি আমার এই সময়টার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

বেশিরভাগ বন্ধুই কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে ঢাকায় তাদের সাময়িক নিবাস নিয়ে ব্যস্ত,আমার বাসা ঢাকায় হওয়ায়,আমার সেই চিন্তা ছিলো না।ওদের ছিলো খাওয়ার কষ্ট,পানির কষ্ট,যাতায়াতের কষ্ট,টিপে টিপে খরচ করার কষ্ট।আর আমার ছিলো একা থাকার কষ্ট।থাকতাম বারিধারা ডিওএইচএসে।আশেপাশে ব্যাচমেট তো দূর কি বাত,পরিচিত কেউই ছিলো না।উদ্ভাস থেকে দেওয়া লেকচার শীট পড়তে বসলে মনে হত,না বুঝলে বুঝায়ে দেওয়ার মত কেউ আশে-পাশে নেই,পড়ে লাভ কি???কম্পিউটারে বসলে ঘুরে-ফিরে চলে যেতাম সেই ফোল্ডারে,যেখানে আছে আমার কলেজ লাইফের সব স্মৃতি।সেই ছবিগুলো দেখে বুকে মোচড় দিত।অদ্ভুত একটা ফিলিংস।একই ফিলিংস হয়েছিলো সেইসব দিনের অনেকদিন পরে।১৫ জানুয়ারী ২০১২ তে।ডিপার্টমেন্টে প্রথম ক্লাস করতে যেয়ে একটা মেয়েকে দেখেছিলাম।ক্লাস শেষের পরে তাকে তার বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে চলে যেতে দেখে।আজব না???দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা,অথচ কষ্টটা এক।

বিস্তারিত»