যে চিঠি লিখতে নেই!!

শাশ্বতী,
কেমন আছ জানি,ভাল নেই।
ভালবাস কিনা সেটা জানা হল না।বিশ্বাস করি ভালবাস। তবু মাঝেমাঝে জানতে ইচ্ছে হয়।কিন্তু জেনে ফেললেই তো সেটা আর বিশ্বাস থাকল না; বাস্তব,সিদ্ধ সত্য হয়ে গেল।
তাই থাকুক কিছু সংশয়।
সংশয়ে থাকুক বিশ্বাস,বিশ্বাসে ভালবাসা।
ভাগ্যিস বলে দাও নি! বলে দিলেই সিদ্ধ হয়ে যেত!
যেমন; “সূর্য পুবে ওঠে ” তেমনি “শাশ্বতী আমাকে ভালবাসে, অথবা বাসে না!

বিস্তারিত»

জাতীয় অস্ত্র ককটেল, পেট্রোল বোমা ও আমরা মা নু ষে রা

 

 

এই মুহুর্তে বাঙলাদেশের অন্যতম প্রতীক হচ্ছে ডিব্বা
249194_540077009407371_342259381_n

হরতাল করা, বাসে-সিএনজিতে আগুন দেয়া এখন নাগরিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে।
অতীতের বিভিন্ন দলের পালন করা হরতাল, নাশকতার উদাহরণ টেনে এনে হালাল করা চেষ্টা চলছে আজকের এই নারকীয় হত্যাকান্ড, জনজীবনে ত্রাস সৃষ্টি করা, যানবাহন ধ্বংশ করার মহোৎসব।
আর গান্ধীবাবা তো হরতাল করেই গেছেন। তার শেখানো আর দেখানো পথে আমরা বঙ্গপুঙ্গবেরা চলিবো না তো যদু-মধু চলিবে!

বিস্তারিত»

সোমেশ্বরী

নিশুতি নির্জন জোছনার রাতে আবছা আলোছায়ায়
শুয়ে রুপালি বালির বুকে যে সোমেশ্বরী বয়ে যায়
তুমিতো এখনো দেখনি কখনো সে মৃতের বিবর্ণতা
মিষ্টি ঘ্রাণে স্রোতের উজানে শালুকের নির্জনতা।

ভাদ্র মাসের আর্দ্র রোদে তাই একলা বিকেলে হেঁটে
লতাগুল্মের ঝোপে তোমার স্বপন বোনা ক্ষেতে
থেমে যাওয়া সোমেশ্বরী আর মৃত ভালবাসাটি খুঁজো
কোনদিন যদি না পাও তারে নিভৃতে দুচোখ মুছো।।

[সোমেশ্বরী নদীটি বিরিশিরি বিজিবি ক্যাম্পের পেছন দিয়ে নির্বিবাদে কাউকে কিছু না বলে চুপিচুপি বয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

আর কত?

বেশ কিছুদিন আগে কোন এক টক শোতে( মনে নেই কোন চ্যানেল) একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি (উনার নাম ও আমার খেয়াল নেই)  আমাদের দেশের দুই নেত্রীকে মায়ের সাথে তুলনা করেছেন । উনার এ কথা নিয়ে অনেক সুক্ষ বিতর্কের সুযোগ আছে আমি জানি। আমি সে বিতর্কে যাবনা । আমি শুধু আমার মতামত প্রকাশ করতে চাই। আমার এক আত্মীয় আছেন ,যাকে কীনা আমি পৃথিবীর সবচেয়ে দায়িত্বহীন মা হিসেবে চিহ্নিত করেছি ,

বিস্তারিত»

অনেকটা পথ

অগাস্টের কোন এক ভোর রাতে জাতির রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের লাশ পরে থাকবে সিঁড়িতে, কয়েকজন খুনি মেজররা দেশ দখল করে ফেলবেন, একজন মেজর ডালিমের গলা ভেসে আসবে বেতারে। দেশের ভেতরে আলীম বেশে লুকিয়ে থাকা রাজাকার, আল-বদরেরা উঁকি মেরে তখন গলা উঁচু করবে, স্লোগান বানিয়ে গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসবে-
“আলীম মারলো জালিম
জালিম মারলো ডালিম”

সকালের খাবার খাবার সময়ে গুলিতে ঝাঁঝরা হবেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তম্ভ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ,

বিস্তারিত»

মন রে, তুই মুক্ত হবি কবে? (১)

আমাদের বাড়ী জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার একটা গ্রামে। আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যাধিক্যের কথা। স্বাধীনতার আগে তারাই প্রধান ছিল, কি ব্যবসায়, কি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে, কি রাজনীতিতে। আমাদের গ্রামের পাড়াগুলোর নাম শুনলেও এটা বোঝা যাবে- ঘোষপাড়া, গোয়ালপাড়া, মালিপাড়া, দাসপাড়া, সাহাপাড়া, কৃষ্ণনগর, ইত্যাদি। বর্তমানে কোন পাড়াতে চার/পাঁচ ঘরের বেশি হিন্দু নেই, অধিকাংশই মুসলমান অধিবাসী। এখন সেসব পাড়ায় গেলে বোঝার উপায় নেই যে,

বিস্তারিত»

কেন আমি আত্মহত্যা করবো??

কয়েক মাস আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম ছুটিতে। আব্বুর সাথে কী একটা কথা বলতে বলতে হঠাৎ বললেন, “ইমন মারা গেছে জানো?”

আমি- “কোন ইমন?”

আব্বু- “তোমার আফতাব চাচার ছেলে”।

আমি- “কিভাবে মারা গেছে?”

আব্বু- “সুইসাইড করেছে”।

আমি- “কেন?”

আব্বু- “খারাপ ছেলেদের সাথে মিশতো নাকি, ড্রাগ নেয়া শুরু করেছিল। একটা মেয়ের সাথে নাকি সম্পর্ক ছিল। শেষের দিকে কেমন যেন হয়ে গিয়েছিল।

বিস্তারিত»

আইরিশ বুল, রেহমান সোবহান আর মুরাদ টাকলা

আমাদের বাড়িতে ছোট্ট একটা বাগান ছিল। একবার অনেক  যত্নে ফুটল  সাদা, গোলাপী, লাল, কমলা আর হলুদ গোলাপ । আমরা সবাই খুব খুশি হলাম। কিন্তু বাংলার পাঁচ (আমার ভাইয়ের এক বন্ধু)-এর মন্তব্যে রাগে পিত্তি জ্বলে গেল। সে নিউমার্কেটে খুব সুন্দর কাগজের গোলাপ দেখেছিল, আমাদের বাগানের গোলাপগুলো নাকি সেই রকম সুন্দর। আসল জিনিসকে নকলের মত সুন্দর বললে কার রাগ হবে না ? বাংলার পাঁচ সাহিত্য চর্চাও করত।

বিস্তারিত»

১৫ ই আগষ্ট ১৯৭৫ – প্রেক্ষাপট

হাতে লিখতে সময় লাগবে তাই বইটি সরাসরি তুলে দিলাম। লেখক লে কর্নেল (অবঃ) এম এ হামিদ, পিএসসি। বই- তিনটি সেনা অভ্যুথ্বান ও কিছু না বলা কথা। বইটি শিখা প্রকাশনি থেকে প্রকাশ করা হয়েছিলো। প্রথম প্রকাশকাল ১৯৯৩।

 

a b c d e
0 1 2 3 4 5 6 7

 

বিস্তারিত»

কিছু প্রশ্ন

হুমায়ূ্নের মেজর জিয়াঃআমার ভুল সুপারহিরো লিখাটা পড়লাম। আমি লিখা নিয়ে কোন মন্তব্য করব না। তোমার মত আমারও কিছু প্রশ্ন আছে। সেগুলো অনেকটা এরকমঃ
১। আমাদের যে সেনাবাহিনীতে আজকে যে শৃঙ্খলা বিরাজমান ১৯৭৫ সালে এর কতটা ছিল?
২। যখন ভাবি সেনানিবাসের ভিতর রাজনৈতিক নেতাদের অবাধ বিচরন এবং তারা সৈনিকদের সাথে অবাধে মিলামিশা করছেন আর সেনাবাহিনীর অনেক দৈনন্দিন কার্যক্রমের ব্যাপারে তার নাক গলাচ্ছেন তখন ব্যাপারটা কেমন হয়?

বিস্তারিত»

আমলাতন্ত্রঃ সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া – ৩

অধ্যায় একঃ ১ম পর্ব, ২য় পর্ব
গত পর্বের পর

সরকারের তিনটি বহুল পরিচিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কাজকর্মের পার্থক্যের আলোচনা দিয়ে এই বইটি শুরু করা হয়েছে। এখানে পার্থক্য বলতে তাদের গঠনগত ও আমলাতান্ত্রিক পার্থক্যের কথা বোঝানো হয়েছে। এই তিনটি উদাহরণের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা দেখবো কেন একই ধরনের কাজের দায়িত্ব থাকা সত্বেও এই সংস্থাগুলো ভিন্ন আচরণ করে থাকে (বিশেষ করে কার্ভার হাইস্কুল কিভাবে আচরণ পরিবর্তন করে থাকে।)

কিভাবে সেনাবাহিনী,

বিস্তারিত»

হরতনের রাজা- ইশকাপনের রানী


গ্লাসের বরফটা বারবার গ্লাসের দেয়ালে ঠোকাঠুকি করে অধাতব শব্দ করছে, তাতে সের্গেই এর চিন্তায় বাঁধা পরছে না। কয়েকশো প্রজাপতি হৈ হুল্লোড় করে ওঠে তলপেটে, বুকের কাছটায় হামাগুড়ি দেয় একটা পাখা ভাঙা ডাহুক। ওলগা তবে এমনটা করেই যাচ্ছে, শেষ রাতে ফোনে আসা মেসেজগুলো তাহলে ইনস্যুরেন্স আর ট্যাক্সি কোম্পানির প্রমোশন নয়, বরং একজন সাশা এর সাথে দেখা করার সময় ও ভেনুর আপডেট। সেদিন ভুল করে এপার্টমেন্টের চাবি গাড়িতে ভুলে যাওয়াতে হাতড়াতে হয়েছিল ওলগার হ্যান্ডব্যাগ,

বিস্তারিত»

মেজর জিয়াঃআমার ভুল সুপারহিরো

খুব ছোটবেলা RAY-BAN এর সানগ্লাসের সাথে সাদা গেঞ্জি পড়া কোদাল হাতে মেজর জিয়ার ছবি দেখে আমার দুই মামার মতো আমিও মুগ্ধ হয়েছিলাম।আম্মা বলেছিল তার মৃত্যুতে নাকি ৪০ দিন শোকের মাতম উঠেছিল সারা দেশে,এই কথা শুনে আমার মুগ্ধতা আরও বেড়ে গিয়েছিল। বিএনপি আমলে যখন বারবার বিটিভিতে বঙ্গবন্ধুর নামটুকু বাদ দেয়া জিয়ার কণ্ঠ শুনতাম তখনও মুগ্ধ হতাম। মামারা বিএনপির রাজনীতি করায় তার খাল কাটা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা শুনে আমি তো জিয়াকে রিয়েল লাইফ সুপারহিরোই ভাবতাম,ম্যাকগাইভার,হারকিউলিস বা রোবোকপ এর মতো।

বিস্তারিত»

আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়

শীতের শুরুর দিকে দাদুবাড়িতে চলে যেতাম। সেই ছোটবেলায়। ধানকাটার মৌসুম চলতো তখন.. বাড়তি কাজের লোক নিয়োগ করা হতো সব ধান কাটা শেষ করার জন্য। স্পেশাল এই মূহুর্তে একটু বিশেষ তদারকি করতে আব্বু ,আম্মু র সাথে আমিও চলে যেতাম দাদুবাড়িতে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার কাকরকান্দী ইউনিয়নের বরুয়াজানি গ্রাম। বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে ইন্ডিয়ান বর্ডারের ওপাশের মাথা উচু করে থাকা বিরাট উচু তুরা পাহাড় দেখা যায়.. আর দুই তিন মাইল গেলেই আমাদের সীমান্তবর্তী পাহাড় গুলো। 

বিস্তারিত»

কাল্পনিক (১)

ডাকটা ঠিক কোথা থেকে আসছে আবীর তা বুঝে উঠতে পারল না। এই রকম মিষ্টি একটা গলায় কে ডাকে তাকে এই খোলা রাস্তায়? আর গলাটাও কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে তার। অনেক আগে শুনেছিল ,এখন ঠিক মনে করতে পারছে না। মুহূর্তের মধ্যেই এতসব ভেবে উল্টো ঘুরতেই যা দেখল তাতে তার চোখদুটো আপনাআপনি বড় হয়ে গেল আবীরের। রাস্তা দিয়ে একরকম  দৌড়েই তার দিকে আসছে একটি মেয়ে। একটি মেয়ে বললে অবশ্য ভুল হবে,

বিস্তারিত»