মসৃণ শব্দের চাদরে লুকায়ে রেখেছ তোমার লালায়িত
বাসনাগুলো,
উপপত্নীর গর্ভে নিজের ঔরসজাত জারজ সন্তানটির
মত!
স্বীকারও কর না,অস্বীকারও করতে চাও না!
ভয় পাও,পাছে লোকে পচা বলে!
দুয়ে দুয়ে চার বল না তুমি কখনও,
বল “তিনের চেয়ে এক বেশি অথবা পাঁচের চেয়ে এক কম,
তাকে তোমরা চার বল অথবা ষাঁড় ;
অবস্থানে কোন ছাড় নেই আমার!”
আমরা বলি নাই বা হল চার,
তিন মহারথির পতন
২০০৮ এর ২৯ শে ডিসেম্বর এ অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশ কিছু মহারথী ছিটকে পড়ে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ থেকে। এবং বলা বাহুল্য গত পাঁচ বছর এরাই টিভি, টকশো, রাস্তা মাতিয়ে রেখেছেন। বিষয়টা এতোটাই আমোদের যে সবার সাথে শেয়ার করতে মন চাইলো।
বিভাগওয়ারি ফলাফল


পাই চার্ট


একাধিক আসনে
চট্টগ্রাম ১৪ তে অলি আহমেদ জামাতের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
মাহমুদ ভাইয়ের সাথে কয়েকদিন
এই ব্লগটা লিখছি কারন হাসান মাহমুদ ভাইকে (ককর) কথা দিয়েছিলাম।
উনি সবসময় আমাকে ব্লগ লিখতে বলতেন। উনার লস আঞ্জেলেস থেকে জাপান যাওয়ার আগে আমি বললাম
“ভাই,আমি ব্লগের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ রাখবো, আপডেট জানাবো।”
আমার মতো অলসের ঐ কথাতেই শেষ। চেয়েছিলাম ফোন করবো কিংবা স্কাইপে কথা বলবো,প্রবাস জীবনের নানা বাস্তততার কারনে ওইগুলোও হচ্ছে না। এদিকে বাঁচাল এ ছোটভাই প্রিয় ভাই-ভাবির সাথে কথা না বলতে পেরে পেট ফেটে যেন মরেই যাচ্ছে।
চা দেয়া ছেলেটিকে লেখা (বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে পোস্ট)
এই ছেলে, এদিক এসো_
নাম কী তোমার, কেমন আছো ?
একটু হাসো, পাশে বসো,
বল খেলতে কেমন পারো ?
বিস্কুট খাও, চা কি খাবে ?
কাজ করতে তোমার কেমন লাগে ?
বাবা-মা কোথায় ?
কেমন আছেন তারা ?
মালিক কি ডাকছে তোমাকে ?
আমি দিয়ে দেবো তোমার বসে থাকার ভাড়া।
বিস্তারিত»অথঃবিড়াল সমাচার
দুইটা বিড়াল মিলিয়া এক টুকরা কেক চুরি করিল। কিন্তু কে কতটুকু খাইবে ঠিক করিয়া উঠিতে পারিল না। শুরু হইল ঝগড়া,মারামারি,হরতাল ,গাড়ি ও মানুষ পুড়ানো।
পাশের উঁচু গাছের ডালে বসিয়া এক চালাক বানর দেখিতেছিল সব।ঝগড়া নয় কেকের লোভে নামিয়া আসিলো সে।
গম্ভির চালে বলিল-এই, তোরা ঝগড়া থামা।আমি আসিয়াছি দ্বি পাক্ষিক মীমাংসার জন্য।শীর্ষ হইতে বৈঠকে নামিয়া।
কেক যার হাতে ছিল সেই বিড়াল বলিল-এই কেক আমার পূর্ব পুরুষ এবং আমার স্বপ্ন ।
অন্তর্নিহিতা
টিএসসির গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। কলাভবনের কাজটা শেষ করে সারিনি মাহিরের সামনে পড়লাম। আর তার কোথা রাখতে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকা। শালা মানুষ হলো না। সেই কলেজ লাইফ থেকে শুরু করেছে। তার যেন কোন অন্ত নাই, নাই বিরক্তি। ছোটবেলা থেকে খাতার পাতায় অযথাই আঁকিবুঁকি করার একটা বদ অভ্যাস ছিল। আর আলপনাও মোটামুটি আঁকতে পারতাম। তাই যখন আমার টেনেটুনে করে পরীক্ষার পাশে কোথাও চান্স পেলাম না,
বিস্তারিত»ডার্টি সিক্স
[ ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট স্যারের কাছে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ডার্ট পোস্ট করার জন্য । স্যার যদি খাতির করেন তাহলে চা খাওয়াব ]
এক সময় কাসিম হাউসের ছয় নম্বর রুমে ছিলাম। ঐ রুমে বসবাসকারীরা ঐতিহ্যগতভাবে নোংরা ছিল। নোংরামিটা বেশি ছিল মোজা নিয়ে। মোজা কাচতে ভীষন অনীহা। একজন তো মোজা খুলে কৌটায় রাখতো। জুনিয়রদের জন্য ঐ কৌটাবদ্ধ মোজার গন্ধ শোঁকা ছিল মেজর পানিশমেন্ট। আর একজন জাংগিয়া কাচতো না,
ভুত কথন
অনেক রাত একা চাঁদ
পথে একা ডাকছে কাক
ভুতের গন্ধ পাচ্ছে নাক
রহস্য সব চাঁপা থাক।
জানালা থেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
মনে হাল্কা ভয়ের সৃষ্টি
মৃদু আলোয় যথা শব্দ
সন্দেহ চোখে মন যব্দ।
পিছে আছে কিছু একটা
মিথ্যে বিশ্বাস তৈরি চেষ্টা
গলা শুকিয়ে পাচ্ছে তেষ্টা
যেন স্পর্শ কালো দেশটা।
বিস্তারিত»অব্যক্ত ভালোবাসা
রাত্রি ১১.৩০ মিনিট। ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে মোবাইলের ডিসপ্লেতে আলো জ্বলে উঠলো। অচেনা নাম্বার। কিছুটা ইতস্তত ভাব, ধরবে কি ধরবে না? অবশেষে পরিচিত কেউই হয়তো নাম্বার পরিবর্তন করেছে ভেবে ধরলো। তারপর যা হলো তার জন্যে হয়তো রুদ্র প্রস্তুত ছিলো না।
ফোনটার কলার ছিলো একটি মেয়ে। রুদ্র তার নাম জানেনা। তাকে চিনেও না। তবে মেয়েটির কন্ঠে এমন কিছু একটা আছে যা রুদ্রকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে।
বিস্তারিত»জাঙ্গিয়া নাম্বার ওয়ান
১.
আজ আকস্মিকভাবে নিজ হস্তে ক্রয়কৃত প্রথম জাঙ্গিয়ার কথা স্মরণ করিয়া স্মৃতিকাতর হইয়া পড়িলাম। তাহার সহিত আমার ঘনিষ্ঠতা অধিক দিনের ছিল না। তবে অতি অল্প দিনেই সে আমার মন জয় করিয়া নিয়াছিল। আজ তাহাকে ক্রয় করিবার বৃত্তান্ত লিখিতে মন চাহিতেছে।
সপ্তম শ্রেণি অতিক্রম করিয়া সবেমাত্র অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হইয়াছি। ক্যাডেট কলেজ জীবনের কেবলমাত্র প্রথম বৎসরটি সমাপ্ত হইয়াছে। এমতাবস্থায় সপ্তাহ দুয়েকের ছুটি পাইয়া পিত্রালয় চট্টগ্রামে আগমন করিলাম।
বিস্তারিত»তবু কী?
হে আমার তারুণ্য, তোমায় আকন্ঠ পান করেছি-
প্রিয় কোন জলের মতো
তোমায় দিয়েছি বিলিয়ে আমার সকল পিপাসা।
হে আমার উচ্ছ্বাস, তোমায় তুমুল বাজিয়েছি-
একান্ত নিজস্ব বাদ্যের মতো
তোমায় সঁপেছি আমার সকল প্রকাশের ভার।
হে আমার আশা, তোমায় বারে বারে ভেবেছি-
ভীষণ প্রিয় কোন মুখের মতো
তোমার ঢেউয়ে ভাসিয়েছি আমার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ভেলা।
হে আমার উদ্যম, তোমায় নিয়ে চলতে শিখেছি-
খুব আপন কোন বন্ধুর মতো
তোমায় দিয়েছি আমার সকল বেদনা মোছার অধিকার।
রাধাকথন-৮
ও কি ও হে কলংকিনি রাধা
কদমগাছত উঠিয়া আছে
কানু হারামজাদা
মাই তুই জলে না যাইও..
বারাইতে না করসিলো হ্যারা –
তোর লিগা তবু ছ্যারা
রুটি বেলছি আরো দুইখান
মারে আরাল দিয়া
কাজল দিছি,
লিপিস্টিকের বদ্লে খিলি পান
আতখা মোড়ে
তর টেম্পো
আতখা যমুনাত
ঢেউ দিছে,
রাধাচূড়াত কম্প
এক আওয়াজ এমুন সোমায়
পানের খিলি টিফিনবাটি
গড়াগড়ি খায় –
মেঘের ‘পরে বসত তোমার
একলক্ষ বছর অপেক্ষার পর সাব্যস্ত হবে, তুমি আমার কিনা?
ওসব কথা এখন থাক।
এখন চলো মিকির পাহাড়ে বুনো কুল পেকেছে
চলো খেয়ে আসি।
লাল রুখু চুল
সূর্যাস্তের মধ্যে
অর্কিডের উজ্জ্বল শিকড়ের মত উড়ছে
-দেখি দেখি, তোমার তামাটে মুখখানি দেখি!
সূর্য এখনি অস্ত যাবে। পশুর মতো ক্ষীণ শরীরে
আমারা হাঁটু পর্যন্ত জলস্রোত পেরিয়ে চলেছি
জলস্রোত ক্রমশ তীব্র…………………কনকনে।
বিস্তারিত»অতি দূর থেকে দেখা একজন হুমায়ুন আহমেদ
অতি দূর থেকে দেখা একজন হুমায়ুন আহমেদ
——————————————— ডঃ রমিত আজাদ
হুমায়ুন আহমেদ নামটার সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে আমাদের পারিবারিক লাইব্রেরীতে। তিন জেনারেশন ধরে গড়ে তোলা মোটামুটি বড়সড় একটা লাইব্রেরী ছিলো আমাদের বাড়ীতে। ছোটবেলা থেকেই এই লাইব্রেরীটি ছিলো আমার জ্ঞান আহরণ ও বই পড়ে আনন্দ পাওয়ার একটা ভালো যায়গা। প্রায়ই অবসর সময়ে ওখান থেকে কোন একটা বই টেনে নিয়ে পড়তাম। একদিন সেখান থেকে টেনে নিলাম একটা বই,
বিস্তারিত»প্রশ্ন
কতটা পথ হাঁটলে পরে মানুষ বলা যাবে ?
আর কত সাগর পাড়ি দিয়ে গাংচিল ঘুমাবে ?
কত গোলা দাগলে পরে কামান নষ্ট হবে ?
কত বছর টিকবে পাহাড়
ধূয়ে যাবার আগে ?
মুক্ত হবার আগে মজলুম
ক’বছর বাচেঁ, বল ভ্রাতা ?
অন্ধ হবার ছল করতে
ক’বার ঘোরাবে মাথা ?
ক’বার উপরে তাকালে পরে
আকাশ দেখা যায় ?


