শুরুর আগে
সিকি শতাব্দী আগের কথা। এফসিসি থেকে বেরিয়ে আমরা মেডিকেল কলেজে ঢুকেছি। অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রির বুট ক্যাম্প চলছে প্রতিদিন। ডিসেকশন হলের ঝাঁঝাল-মিষ্টি, “একবার শুকলে ভোলা যায়না” গন্ধ গায়ে মেখে বাসায় ফিরি। রাতে অন্য মানুষের হাড় গোড় বিছানায় নিয়ে ঘু্মিয়ে পড়ি। পরদিন ভোরে আবার লাল চোখে ঝিমাতে ঝিমাতে আইটেম পরীক্ষা দিতে হাজির হই। প্রাণান্তকর অবস্থা!
শুরু
দীর্ঘ সময় চাপের ভেতর থাকলে প্রাকৃতিক নিয়মেই আত্মরক্ষার জন্য মানুষ ডাইভারশন খুঁজে নেয়। এ কারণেই বোধ হয় আমাদের কলেজে সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতির জোয়ার বয়ে যেত। বার মাসে ছাব্বিশ অনুষ্ঠান লেগেই আছে। সেই ঢেউ আমাদের গায়েও এসে লাগল। যে যার সুবিধামত মননশীল কাজে বা অকাজে ব্যস্ত হয়ে উঠল। বন্ধু নূপুর প্রথমেই নাম লিখিয়ে ফেলল কবির তালিকায়। সেই সাথে গান, কবিতা পাঠ, উপস্থাপনা— কোনটাই বাদ গেল না। সমস্যা হল আমাকে নিয়ে।
কবিতা পড়তে গেলেই আমার মাথায় জট লেগে যায়, লেখা তো দূরের কথা। জাতীয় সংগীত ছাড়া অন্য কোন গান কেউ পেটে ছুরি ধরেও গাওয়াতে পারবে না। নাচ? ব্যান্ডের কনসার্টে যে দুই একজন না লাফিয়ে চুপচাপ বসে অন্যদের পাগলামি দেখে আমি তাদের অন্যতম। করতেসি, পড়ে ফেলসি, দেখতেসিলাম ধরণের কথা ছাড়া তিনটি বাক্যও বলতে পারি না। সব মিলিয়ে, মঞ্চ আমার জন্য না। কোনই যখন গতি হচ্ছেনা তখন এক বড় ভাইএর ফটোগ্রাফী প্রদর্শনী দেখে মনে হল এই কাজটাই সহজ হবে। সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ক্যামেরা তুলে বোতাম চাপলেই ছবি! এ আর এমন কি? বড় বোনের কল্যাণে পাওয়া একটা ইয়াশিকা এফএক্স সেভেন নিয়ে মাঠে নেমে পড়লাম।
শুরুর পরে
নূপুরের কবিতা অচিরেই ব্যাচের গন্ডী ছাড়িয়ে ক্যাম্পাসের সম্পদ হয়ে উঠল। ক্যাডেট কলেজের ছয় বছর এই প্রতিভা কোথায়, কেন লুকিয়ে ছিল কে জানে!
ফটোগ্রাফী ব্যাপারটা যতটা সহজ ভেবেছিলাম বাস্তবে ততটাই কঠিন প্রমাণিত হল। মনের চোখে যা দেখি, অপদার্থ ক্যামেরা তার কিছুই ধরতে পারে না! আর খরচের কথা না বলাই ভাল। কোনমতে ছত্রিশ ফ্রেমের একটা ফিল্ম কিনি। অনেক হিসেব করে, বেছে বেছে ছবি তুলে সেটা শেষ করি। তারপর আরেক গুচ্ছের টাকা ঢেলে ডেভেলপ আর প্রিন্ট করাই। মাঝে মধ্যে ঝড়ে বক দুই একটা লেগে যায় বটে। কিন্তু বাকিগুলোর দিকে তাকানো যায়না। প্রাণে ধরে ফেলেও দিতে পারি না! বাতিল ছবির স্তূপ জমতে লাগল।
নতুন কিছুর শুরু
এদিকে নূপুরের কবি মন সারাক্ষণ নিশপিশ করে। খাতা পত্র , টুকরো কাগজ, বই-এর মার্জিন ভরে ওঠে তার ছন্দময় রচনায়। এক মহাক্ষণে তাঁর হাতে পড়ল আমার অতি সাধারণ এক ছবি। কিছুক্ষণ তাঁকিয়ে থেকে সে ঝরঝর করে লিখে ফেলল টানটান এক কবিতা। আমি তো রীতিমত মুগ্ধ… যতটা না তাঁর কাব্য প্রতিভা দেখে তার চেয়ে বেশী আমার ছবির অন্তরনিহিত গূঢ় অর্থ উপলদ্ধি করে! বাহ, কবিতার পাশাপাশি এখন তো বেশ ভালই লাগছে ছবিটা!
সেই শুরু আমাদের ছবির কবিতা, যার এখন সুন্দর নাম হয়েছে ছবিতা!
শেষের আগে
বছর গড়াতে লাগল। অ্যাকাডেমিক চাপ কমলো না ঠিক, কিন্তু আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠলাম। কতদিন আর টেনশন করা যায়? ছবি আর কবিতা পুরোদমে চলতে লাগল। এর মধ্যে বড় বোন একটা নাইকন এফএম টেন স্পন্সর করেছে। শখের ফটোগ্রাফার বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়াই… শহরের আশপাশ, উত্তর বঙ্গ, সুন্দরবন, ভারত। ঘরে বাইরে কিছু কিছু এক্সিবিশনে ছবি সুযোগ পাচ্ছে টুকটাক। নূপুর ব্যস্ত তার কবিচক্র নিয়ে। জাত কবির মতই সে লেখে এক ছদ্মনামে। এখানে সেখানে প্রকাশনা তো আছেই, আলিওন্স ফ্রঁসেজে তাঁরা করে ফেলেছে অভিনব এক “কবিতা প্রদর্শনী”। অন্য মাত্রার ব্যাপার-স্যাপার! এর মধ্যেই মাঝে মাঝে আমার এলেবেলে ছবি নিয়ে লিখে ফেলে একেকটা মাস্টারপিস। আমরা ভাবি বেশ কিছু জমলে একটা ছবি-কবিতার প্রদর্শনী নামিয়ে দেব…নতুন কিছু একটা হবে।
শেষ
কিন্তু সময় ফুরিয়ে গেল। এক বড় ভাই ডাক্তার হবার পর ‘প্রাক্তন-ফটোগ্রাফার’ হয়ে গিয়ে বলেছিলেন “জীবনের কাছে শিল্প পরাজিত”। নিজেরা ডাক্তার হয়ে সেই মহান বাণীর মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পেলাম! আরো পড়া লেখা করতে দুইজন গেলাম দুই দেশে। ছবি, নেগেটিভ, আর এখানে সেখানে অবহেলায় লেখা কবিতাগুলো কোথায় গেল কে জানে! তাতে অবশ্য কারো বিশেষ কিছু ক্ষতি হল না। বড় বয়সের বাস্তবতায় অল্প বয়সের খেয়াল নিয়ে কেই বা মাথা ঘামায়? মাঝে মাঝে শুধু এক সাথে হলে দুঃখ বিলাসে বলাবলি করি “আহা কি দিন ছিল!”
শেষের পরে
কিছুদিন আগে দেশে গেলাম এক সপ্তাহের জন্য। ধূলো জমা জিনিষ পত্র দূর করে বাসাটাকে একটু খোলামেলা করার চেষ্টা করছিলাম। আব্বার কাছ থেকে চাবি নিয়ে ঠিক পনের বছর আগে বন্ধ করা একটা ড্রয়ার খুলেছি। ভুলে যাওয়া এলোমেলো অনেক জিনিষের মধ্যে হাতে উঠল এক চিলতে কাগজ। এক দিকে টুকে রাখা কে জানে কার ফোন নাম্বার, আর এক বন্ধুর ঘোষণা — “খাতাটা নিয়ে গেলাম”। উলটো পাশে রীতিমত গুপ্তধন— একদম প্রথম দিকের এক ছবির কবিতা!
নতুন উৎসাহে আরেক জায়গায় ফেলে রাখা ছবির স্তূপ ঘেটে উদ্ধার করলাম কবিতার পেছনের ছবিটাও। ম্লান, দাগ পড়া সেই প্রিন্ট হাতে নিয়ে মনে হল, আহা কি দিন ছিল!
নূপুরকে বলছিলাম আবিষ্কারের কথা। কথায় কথায় বের হল আদিকালের আরেকটা ছবিতা সে প্রায় পুরোপুরি মনে রেখেছে এবং সেই ছবিটাও আমার কাছে আছে! ভাবলাম আবার হারিয়ে ফেলার আগেই লিখে ফেলি আমাদের এই ছবির কবিতার গল্প।
ভাই, দারুন লাগল! 😀
ফরমালিনের এই গন্ধ সাথে আরও কিছু ছোট-খাট কারণ মিলিয়ে সপ্তাহ দুয়েক ক্লাস করার পর মেডিকেল ছেড়ে দিয়েছিলাম।
আমার জীবনের এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত! 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত জুনায়েদ। আর কিছুদিন থাকলে চিরতরে ফেঁসে যেতা। আমাদের "পড়াশোনা" এখনো শেষ হল না!
করসিস কি।
সব কিছু ফাঁস।
তবে বেশ কিছু জায়গায় ভালোই চাপা মারসিস -- উপস্থাপনা, গান ইত্যাদি ইত্যাদি; আমার কবিতার ক্যাম্পাসের সম্পদ হয়ে ওঠা।
মামা এইটা কি বললি রে। =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
তবে কোঁচকানো কাগজটা দেখে আর প্রদর্শনীর ভাঁজপত্র দেখে নষ্ট লজিকে বিলকুল আক্রান্ত হলাম দোস্ত। নাহ, দিনগুলা ভালোই ছিল, কী বলিস?
সেকালের সেলফিতে তোর আর গ্রে-গাইটন-ফিমারের সঙ্গে আমার শিশুতোষ চেহারা দেখে মনে হচ্ছে না কি ইন্নোছেন ছিলাম? 😀 😀 (সম্পাদিত)
আমি চাপা মারসি? মূল লেখা ছোট রাখতে গিয়ে কিছুই তো বলতে পারলাম না! এখন খ্যাপাস না... কমেন্টে সব ঝেড়ে দেব কিন্তু 🙂
ইন্নোছেন "ছিলাম"? আমরা তো এখনো তাই আছিরে!
কবিতা তো অনেক হলো সিসিবিতে। আগামী অডিও ব্লগে আমাদের কবির কন্ঠে গান শুনতে চাই। নূপুর, তানপুরা হাতে গলা সাধতে বসে যাও এখনই!
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
:chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :chup: :gulli2:
আপা,
একটা খুব মজার কবিতা শেয়ার করছি। সৈয়দ শামসুল হকের
---------------------------------------------------------
রবীন্দ্রনাথের গান তুমি ভালোবাস। তাই সম্প্রতি
লেখাপড়া, ঘুম, সংসার, স্বজনের প্রতি
আমার মনোযোগ নেই। নিজের ভীষণ ক্ষতি
হচ্ছে, তা হোক;
একে যদি কেউ বলে রোগ
বা পাগলামো, বলুক, বাথরুমে আমি শিখছি রবীন্দ্র সঙ্গীত!
কারণ তুমিই তো আমার ভবিষ্যৎ, বর্তমান, অতীত।
জানি, সেই গান কখনো আসবে না আমার গলায় --
তবু সাধি বারবার। বন্ধুরা হাসে! আমার কি উপায়?
'মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে চলে --'
ফস্কায় আমার পা কণ্ঠের শ্যাওলা-পেছলে।
শুনেছি প্রেমিকার অনুরোধে
খ্যাপা এক অধ্যাপক হামা দিয়ে রোদে
বিকট মোরগের ডাক দিয়েছিল, দিতে হয়েছিল তাকে।
ভালোবেসে এই বৈশাখে
আমাকেও সে রোগ
পেয়েছে। হয়ত দেরী নেই, আমাকেও হতে হবে করুণ মোরগ ।।
জগতের সব করুণ মোরগকূলের ওপর বিধাতার কৃপাময় দৃষ্টি পড়ুক, কবি। কে না জানে, এভরি কক ইজ প্রাউড অন হিস ওন ডাংহিল!
দিনশেষে অধ্যাপক বলো কিংবা বরাহ অথবা সারমেয়শাবক কিন্তু যে যার খোয়ারে ফিরে যাবে ঠিকই। কাকেরও তো ময়ুরপুচ্ছ পরতে সাধ হয় ভারী! তুমিই কেবল ন আনা ছ আনা সব কবিতা লিখে আমায় বুঝ দিতে চাইছো হে!
কবিতা যতই আওড়াও কবি, গানের দাবী ছাড়ছি না মোটে!
ওয়েল সেইড।
অনবদ্য স্মৃতিচারণার কথাগুলো আমারও স্মৃতির ঝাঁপির ডালাটা উস্কে দিয়ে গেলো যেনো।
আর দুটো মানুষের সাথে তাদের স্মৃতির সময়ে ঘুরে আসা হলো। ভালো।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের ছোটবেলার গল্প শোনাবেন সময় করে?
তোমার এই নূপুর যে আমাদের ভেরি ওন নূপুর সেটি বুঝতে সময় লাগলো খানিক। ওকে আমি মাষ্টারমশাই কি আর এমনি বলি! আলাভোলা কবিটি চিরকাল কবিই থেকে যায় বোধকরি! এফসিসি কি করে এই রত্নটিকে খুঁজে পায়নি সেটি ভেবেই খুব অবাক লাগছে।
মুখ ও মুখোশ অসাধারণ লাগলো, ভাইয়া। সেকালের সেলফি তো দেখি ফাটাফাটি। আলাভোলা কবিটির ইয়া বড় চশমায় ঢাকা মুখখানি অথবা ফলক দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ!
মালিকানা নিয়ে টানাটানি দেখি! আচ্ছা, শেয়ার করতে আপত্তি নাই 😛
ছবি ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগল আপা।
অফিসে আসতে আসতে মোবাইলে পড়ে শেষ করলাম। এক নিঃশ্বাসে। চমৎকার
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
ধন্যবাদ সাইদুল ভাই।
আগে নিউ ইয়র্কে ছিলাম। সাবওয়ে, বাসে, লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক পড়া হোত। এখন নিজেই নিজের ড্রাইভার--- কম্যুটের ঝটিকা পাঠগুলো মিস করি।
নস্টালজিক।
হঠাৎ আমিও অনেক পিছনে ফিরে গেলাম।
আসলেই তো, "আহা কি দিন ছিল!"
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আপনাদের সেই সব দিনের কথা শুনতে চাই।
লুৎফুল ভাইকেও তাই বললাম...
আপনারা যখন আয়নার সামনে সেলফি তুলেছেন তখন সেটার মাঝে আবিষ্কারের নেশা ছিল। ছিল কৌতূহল।
নূপুরদা যেদিন প্রথম রাগ বাজিয়ে রেকর্ড করে ব্লগে পোস্ট করলেন আমাকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করেছিল উনি কি পারেন না সেটা জানা দরকার? আপনাদের ছাত্রজীবন নিয়ে লিখা পড়লে কি পরিমাণ আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমার বাবা বুয়েটের তড়িতকৌশলের ছাত্র ছিলেন। উনার ছাত্র জীবনের দুই-এক টুকরো নতুন তথ্যের হদিস পেলেই মুখস্থ করে ফেলি। আপনারা হয়তো অনেক পরের কিন্তু তারপরেও দশকের হিসেবে সেই রেট্রো ভাবটা আমি পাই। ছবি গুলোর কথাই চিন্তা করুন। একএকটি ছবির পিছনে শ্রম, ভাবনা, চিন্তা অনেক দিয়েছেন। ছিলোনা চোখ ধাঁধানো পোস্ট প্রসেসিং কিংবা সহজ প্রিসেট। আপনার একএকটি ছবি যেন সেই সময়ের টাইম ক্যাপস্যুল। চমৎকার ভালো লাগা কাজ করলো। চমৎকার। :hatsoff:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বায়োলজির নুরুল হক সারকে একবার পোলাপান বলছিল--- "সার আপনি তো এভারগ্রীন, এখনো কেমন ফিট আছেন।" তো তিনি বিন্দুমাত্র "তেলিত" না হয়ে বললেন, "তোমরা কি আমাকে বুড়ো বানিয়ে দিচ্ছ নাকি?" তুমি দেখি আমাদের রেট্রো বানিয়ে দিলে হে :))
যা বলেছ, যে সব মানুষদের সিরিয়াস বড় চেহারাটাই শুধু দেখেছি তাঁরাও যে এক সময় আমাদের মতই "interesting times" কাটিয়ে এসেছেন ভাবতেই কেমন লাগে! তাঁদের গল্প শুনতে পারলে তো কথাই নেই।
ছবি পছন্দ হয়েছে শুনে খুশি হলাম। দেশ থেকে একগাদা পুরান ছবি নিয়ে এসেছি। স্ক্যান করে ঘসামাজা করার ইচ্ছা আছে। কিন্তু এত সময় লাগে!
নূপুরদা'র কথা আর কি বলব...
ভারি সুন্দর লেখা! সবাই শেষমেষ পেশাদার হয়, ছাত্রজীবনের গুনপনা ভুলে যায়- তবু ওই সময়ের কাজ অকাজ এসব খুবই দরকার। নইলে বাকি জীবনে বলাত মত থাকে কি?
একদম ঠিক বলেছেন ভাই! যা কিছু বলার মত সব দেখি সেই সময়ের। এখন তো থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়।
ছবি গুলিও চমৎকার হয়েছে।
🙂
ইস সত্যজিতের তোলা একটা সেলফি আছে। সেইটা ফলো করলে পারফেক্ট হইতো। (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ছবিটা দাওতো রাজীব। এখন নাহয় আরেকবার তুলি!
খুবই চমৎকারভাবে অতীতকে পরিবেশন করা হলো। সেকালের সেলফি আর 'মুখ ও মুখোশ' ছবিতা খুব ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ খায়রুল ভাই!
খুব ভালো লাগলো ভাই। পড়তে পড়তে নিজের মনের অলিগলি ঘুরে সুদূর অতীত ভ্রমন করে আসলাম। ইয়াশিকা দিয়ে আমারও শুরু হয়েছিল। শখটা এখনও আছে, কিন্তু সুখটা কেন জানি নেই। আরও আরও লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ইয়াশিকা ভাল ক্যামেরা বানাত।
শখটা ধরে রাখাই যথেষ্ট। সুখ ফেরত আসবে সময় মত । আমি দেশ ছাড়ার পর প্রথম আট বছর ছবি তুলি নাই!
আমাদের কবির পেন নেইমখানা বের করতে শেষ অবধি শালর্ক হোমসের শরনাপন্ন হতে হলো৷!
ওখানে তো আপা তিনটা নাম। আমাদের কবি কোন জন কিভাবে বুঝলেন!
কবি যে সকলের মধ্যমণি হয়ে থাকবেন এটি বুঝতে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয়না, ভাইয়া!
:clap: :clap: :clap:
(এটা সাবিনা আপার গোয়েন্দা প্রতিভার জন্য! ঠিক জায়গায় জবাব না দিয়ে কমেন্টে দিয়ে ফেলেছি।) (সম্পাদিত)
🙂 🙂 🙂 🙂
খুবই চমৎকার স্মৃতিচারণ ব্লগ, সাদিক ভাই। সাদাকালো স্মৃতির সাথে ছবি জুড়ে দিয়ে পুরো ব্যাপারটা আরো চমৎকার আর রঙিন হয়ে গেছে!
নূপুরদা তো পুরাই এভারগ্রীণ। এখনো তারে দেখতে প্রথম বর্ষ না হলেও চতুর্থ বর্ষের মত লাগে 😀
এই ব্লগ লিখে প্রত্যাশা কিন্তু বাড়িয়ে দিলেন। সামনে আরো এরকম মচমচে, কুড়মুড়ে ব্লগ পাওয়ার আশা জানিয়ে রাখলাম।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
উতসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ জিহাদ। দেখি, মাথায় কিছু আসলে লিখে ফেলব...
এবার তোর ছবিতোলা নিয়ে কিছু লেখা দে।
'ছবিতা' এক্সপেরিমেন্টে ফিরে ফিরে আসা যাবে।
"কবিতা যতই আওড়াও কবি, গানের দাবী ছাড়ছি না মোটেও!"
একা একা গাইতে যদি সংকোচ হয় তো চলো আমি শুরু করছি।
এই গানটার একটা ইতিহাস আছে। সেটা পরে বলছি। আগে গান হোক। কেমন?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
গল্পটা হলো এই:
একবার আমার এক স্টুডেন্টের সাথে একাডেমিক কি একটা বিষয় নিয়ে ফোনে দীর্ঘ আলাপ হলো।
আলাপের শেষ দিকে সে বললো,
- স্যার একটা কথা বলি? কিছু মনে করবেন না তো?
- না বল কি?
- স্যার, আপনি কি গান করেন?
- জীবনেও করি নাই।
- স্যার চেষ্টা করে দেখেন। আমার মনেহয় আপনি চেষ্টা করলে গাইতে পারবেন।
- আচ্ছা।
এরপর বেশ কিছু গান শুনে এটা বাছাই করলাম। লিরিকস নামিয়ে ইউটিউবের সাথে গেয়ে গেয়ে একটা অবস্থায় পৌছে রেকর্ড করলাম।
গত কনভোকেশনে আমার স্টুডেন্ট ও সেলিব্রিটি সিঙ্গার কর্নিয়ার সাথে দেখা।
ওকে বললাম, একটা গান পাঠাবো। শুনে বলবা, জনসম্মুখে গাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে কি না?
ও শুনলো এবং টেক্সট করলো "Josssss sir"
এরপর সিসিসিএল-এ ২১শে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে একপর্যায়ে আহবান করা হলো কেউ নিজে থেকে গান গাইতে ইচ্ছুক কিনা?
আমি গেলাম এবং জীবনে প্রথম অডিয়েন্সের সামনে এই গানটা গাইলাম হাত পা কাপাকাপি করে।
এই হলো একজন নব্য গাতকের আত্মকথা...
🙂 😛 😀 😛 😉 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:clap: :clap: :clap:
:clap: :clap: :clap: :clap:
🙂 🙂 🙂 🙂
২৫ মে রাতে পোস্ট করলাম, আজ ২৮ সকাল।
আড়াই দিন হয় হয় অথচ ব্লগাত্মীয়গনের কারো সারা শব্দ নাই।
ভাবছিলাম, এতই কি পচা হলো যে সবাই আমাকে ত্যাজ্য করে চলে গেলে?
আজ সকালে হীট-কাউন্টার ও ইমো দেখে বুঝলাম, নাহ্ যাও তো না ই, শুনেছও।
অনেক ধন্যবাদ, সব্বাই কে...
🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কবিতা আর গান শুনতে এতো বিভোর ছিলাম যে মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলাম, ভাইয়া! তোমার সাহস আর এনাজর্ির কাছে আমরা বরাবর হেরে যাই! 🙂 🙂
:shy: :shy: :shy:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কান কাটা রমজানের খুব বিখ্যাত একটি ডায়লগ ছিল, আমি তো জমি কিনি না, কিনি পানি! তারপর কী যে একটা হাসি হাসতো সে! মনে পড়ে?
রমজানের মত বলতে মন চাইছে, আমি তো গান শুনি না, ভাইয়া! তোমার সাহস আর প্রানশক্তি দেখি অবাক হয়ে!
জয়তু! :boss:
কী যে বলি?
তবে আমার কিন্তু ধারনা, তুমিসহ এখানে যারা যারা আছে, লিখতে আসে, সবারই সাহস আর প্রানশক্তি অতুলনীয়।
আর এতজনের সাহস আর প্রানশক্তি দেখে তা দিয়ে সংক্রামিত না হওয়াটাই তো বরং অন্যয়, তাই না?
এই যে আমরা সবাই সবাইকে তুলে ধরি, ধরছি - এটার কিউমিলেটিভ ইফেক্ট, সিনার্জি কিন্তু দারুন।
প্রশংসনীয়।
এভাবেই দেখতে চাই, থাকতে চাই......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বাংলা কী-বোর্ড থেকে দূরে ছিলাম কিছুদিন। তাই গান শুনেও আওয়াজ দিতে পারি নাই সাথে সাথে।
স্বেচ্ছায় জনসমক্ষে গান গেয়ে ফেললেন?!!! আপনি তো ডেঞ্জারাস মানুষ ভাই। হাজার সালাম!
ওই সংলাপ সেলিম আল দীনের ভাঙ্গনের শব্দ শুনি সিরিজ নাটকে ছিল। ফরিদিকে প্রানপনে নকল করতাম। তাই শুনে বার্ষিক নাট্য উৎসবের আগে মাহবুবুল আলম সার আমাকে ডেকে পাঠালেন। অভিনেতা নির্বাচন হবে। তো- দু একবার সংলাপ আউড়ে শোনালাম। সরাসরি বাতিল। 😀 ভালই হলো।
কান কাটা রমজান আরো পরে, সংশপ্তক নাটকে। ফরিদীর অভিনয় আসলেই অনবদ্য ছিল।
এখন টিভিতে নাটকের বন্যা, দেখতে ইচ্ছা করে না। কালে ভদ্রে মঞ্চে যাই।
পারভেজের সাহস নিয়ে বলার কিছু নাই- ওর দ্বারা সবই সম্ভব। আমার ধারনা ওর সবচেয়ে ভালো হাত কবিতা এবং নাটকে। আফসোস, ওই দুটোই অবহেলা করে সে প্রবন্ধ নিয়ে মেতে আছে।
সাহসের প্রশংসা করতেই হয়!
অনেক ধন্যবাদ, খায়রুল ভাই।
😀 😀 😀
আর নূপুর, ধরো দেখি একটা কিছু - আমরা আমরাই তো......... (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বস, লাভ নাই। পারবেন না। 😀
এই গানটা কলেজে কে যেন গাইতো- অলক ভাই না? গান টা শুনতে শুনতে আমি চলে গেছি ঢোল সমুদ্রের পাড়ে। নাকি আমঝুপি!
একটু আগে আমাদের সদা লাজুক কবি নূপুর একখানি দীজেন্দ্রগীতির অন্তরা শুনিয়ে বলেছেন, এটি চলবে তো সিসিবিতে? মুগ্ধ বিষ্ময়ে আমি শুনলাম, সুখের কথা বলো না আর, বুঝেছি সুখ কেবল ফাঁকি! কী যে চমৎকার কন্ঠের কারিগরি তার, কি বলবো!
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, পারভেজ ভাইয়া.... তোমার হাকাহাকিতেই সিসিবি পেতে যাচ্ছে একজন সম্ভাবনাময় গায়ককে! স্টে টিউনড।
জয়তু, সিসিবি!
আপা,
তোমাকে যে রেকর্ডিংটা পাঠালাম ওটাই না হয় পোস্ট করে দাও!
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
আমি বললাম, সম্ভব না।
তুমি শুনলে সম্ভাবনা
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
🙂 🙂 🙂 🙂
সকল সম্ভব না এর মাঝে সম্ভাবনা খুঁজে বের করাই তো আমার কাজ! বড় ভাইয়ার থেকে কিছু তো শিখবে, কবি! আমি জানি, নিজেকে অন্যদের মতো প্রমোট করতে তুমি চাওনা। আমিই সেটি করে দিবো, ভেবোনা!
তোমার পাঠানো রেকডর্িংটাকেই অডিও ব্লগে দেবো! অটগ্রাফখানা আগেই পাঠিয়ে দিওহে, পরে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে!