চঞ্চলা চপলা তুমি কখনো ছিলেনা,
সেও ছিলনা কোন ডানপিটে ডাকু।
তোমার টানা চোখ দুটোকে কখনো
ডাগর আঁখি বলে তার ভ্রম হয়নি।
পটলচেরা চোখও ভাবেনি কখনো।
তারপরও তার খুব, খুবই প্রিয় ছিল,
তোমার ঐ কাজল টানা চোখ দুটো।
সন্তরণপ্রিয় ডুবুরীর মত অবলীলায়
সে তোমার চোখের গহীনে কি যেন
খুঁজে বেড়াতো, ডুবসাঁতার দিয়ে
যখন তখন। আর ভাবতো,
জীবনের জার্নাল – ২
তখন সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলের প্রদ্গান শিক্ষক ছিলেন জনাব বজলে কাদের। বেশভূষায় তিনি অত্যন্ত পরিপাটি ছিলেন। দূর থেকে দেখা, তাই এর চেয়ে বেশী আর কিছু মনে নেই, তবে এটুকু বুঝতাম যে স্কুলে এবং স্কুলের বাইরেও তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। খুবই রাশভারী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এয়াকুব আলী চৌধুরী স্যার বাংলা পড়াতেন, হোম ওয়ার্ক এর ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস ছিলেন। পরে শুনেছি তিনি খিলগাঁও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন।
বিস্তারিত»প্রেম
কোন কালে’
প্রেম নেবেনা বলে কি
তারা আক্ষেপ
নিয়ে জানলায়
দিয়েছিল টেপ
ভালো করে,
‘আলো ভরে
চাই না কিছু’
তারস্বরে
স্বরলিপি ধরে
প্রতিদিন
গেয়ে গেছে গান;
অথচ যেদিন এলো সে
অপরিচিত
চশমাপরা
গোবেচারা মুখোশে
দোঁহে
কি মোহে
পরিধেয় ভেবে
প্রেম পরে নেয়
প্রেম খুলে ফেলে
আর সব
দূ উ রে
সুদূরে ঠেলে
বৈ শা খী
~ এ ক ~
এই ঢলঢলে জামাটাকেই সব চাইতে প্রিয় মনে হয় ওর। গা জ্বালা করা গরমে এর চেয়ে আরামদায়ক কোন জামা মেয়েটি আর কখনো পরেনি। জামাটার পিঠের দিকটা ঘাড়ের পাশাপাশি বড় বৃত্তে এগিয়ে কাঁধ পেরিয়ে প্রান্তের দিকে সরে এসেছে বেশ অনেকখানি। সামনের দিকে গলাটা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকখানি বড়। ওর চেয়ে স্বাস্থ্যবতী, বড় সড় আর সুখী কোন একটা শরীরের জন্য কখনো তৈরী হয়েছিলো এটা।
বিস্তারিত»ঝিঁঝিঁ মারার সম্ভাব্য ফলাফল
ঝিঁঝিঁ বাঙ্গালদের পাঁড় ভক্ত এই অধম। বিশেষজ্ঞও বটেন। বিশেষ অজ্ঞতার উপর ভর করিয়াই গ্রেগরী বাবার বর্ষপঞ্জীর ২০১৫ অব্দে মাদিবার দেশ হইতে বঙ্গদেশে আগত স্প্রিংবকদের সহিত ঝিঁঝিঁ মারামারির ফলাফল অনুমিত। যাহা নিম্নরুপ-
মারদাঙ্গা অর্থাৎ টি টুয়েন্টি সিরিজ
ব্যাঘ্র ১- স্প্রিংবক ১
সারাবেলা অর্থাৎ এক দিবসীয় আর্ন্তজাতিক ম্যাচের সিরিজ
ব্যাঘ্র ১- স্প্রিংবক ২
সবুরে মেওয়া অর্থাৎ টেষ্ট সিরিজ
ব্যাঘ্র ০- স্প্রিংবক ০
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনন্ত সমস্যায় থুড়ি বর্ষা এবং … কারণে উল্লেখিত ফলাফলের হেরফের ঘটিতে পারে।
বিস্তারিত»নাইরোগংগো
শেষ বিকেলের সূর্য তখন দূর পাহাড়ের কোণে হেলে পড়েছে। দুরন্ত বালকের দল ঘরে ফেরার আগে গোধূলির কমলা রঙে নেয়ে আরো খানিকটা বেলা শেষের খেলা খেলে নিচ্ছিল। ইব্রাহিম সাসা তার কাঠের চকোডুটা* ঠেলে ঠেলে ঘরে ফেরার পথের শেষ চড়াইটা পার হচ্ছিল। পেশল কালো দেহ ঘামে নেয়ে গেছে। বুকটা ওঠানামা করছে হাপরের মতো। ভেতরটা যেন নাইরোগংগোর** জ্বালামুখ। আর একটু উঠলেই বামে বাঁক নিয়ে পথটা নীচে নেমে শেষ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত»(খোয়াবের দেশে নিরুদ্দেশ – স্বপ্নদ্রষ্টা )
স্বপ্নে কেন উকি দিলে অনেক ভোরের বেলা ?
নির্জনতা ভাঙ্গেনি ত’ – হয়নি শুরু মেলা |
কোথায় তুমি জানি না ত’ , জানি আছ যোজন দূরে ;
হয়ত তুমি বন্দী আজো আধার পাতালপুরে |
মোর হিয়াতে ব্যাথা যত শুষে নিলে তুমি,
অবাক আলোর শান্ত ভোরে বিদায় নিলে চুমি |
স্বপ্ন এখন টুটে গ্যাছে,
বিস্তারিত»কবিতা: ভালবাসার বিজয়
কষ্ট দিতে পারবে,
দুঃখ দিতে পরবে
কিন্তু জিততে পারবে না।
আমি কষ্ট পেলে
যদি তুমি আনন্দ পাও
আমি কষ্টটাকেই বেছে নেবো –
তোমাকে আনন্দ দিতে।
আমি দুঃখ পেলে
যদি তুমি সুখি হও
আমি দুঃখটাকেই বেছে নেবো –
তোমাকে সুখি করতে।
ভেবেছো,
তোমাকে না পাওয়ার
কষ্ট ও দুঃখ পেয়ে পেয়ে
আমি হবো পরাজিত?
~ এক রকম জীবনের পোর্ট্রেট ~
হতে পারতো একশো দশটা মাসের পরও সেই
মদির সুরভি পেয়ে গেলে পাঞ্জাবীর শরীর থেকে।
হতে পারতো হাতাটায় যেমন, গোটানো ছিলো ভাঁজ
তেমনি নিপাট পেলে তাকে যত্নের সুরম্য র্যাকে।
হতে পারতো সাতশো তিরিশ দিনের পরও
সেই সুগন্ধি ছড়ালো সাজানো ফুল। যার
দেহের ভেতরে বাইরে আদৌ নেই কোথাও
একাধি বসন্ত হারাবার দীর্ঘ স্মৃতিভার।
হয়তো পৃথিবীর তাবৎ সময় শুধু,
বিস্তারিত»গোলাপের রঙ ২
হাসান ভাই এর গল্প দিয়েই শুরু হল আসর। মাগুরায় জন্ম আমদের মেজবানের। সর্বহারাদের দলে ঢুকেছিলেন সাম্যের রাজনীতিতে অনুপ্রাণীত হয়ে। এর পরের জীবনের কালো অধ্যায় আর মনে করতে চান না। এই ক্লেদাক্ত জীবনকে পিছনে ফেলার চেষ্টাতেই টাকা পয়সা ধার করে এরশাদের আমলে দেশ ছেড়েছেন। প্রথমে ইরাক, তুরস্ক হয়ে গ্রিস, তার পরে ইটালি হয়ে সুইজার ল্যান্ড, আর সব শেষে পায়ে হেটে জার্মানি।
বিস্তারিত»টিকটিকির কাটা লেজ

ছবির এই লোকের নাম আমি জানি না। জানতে ইচ্ছেও হয়নি। কারণ আমি তখন অবাক বিস্ময়ে তাকে দেখছিলাম। তার মুখ দিয়ে গল গল করে ফেনা বের হচ্ছিলো আর সারা দেহ কাঁপছিলো ঠিক টিকটিকির কাটা লেজের মত। টিকটিকির সদ্য কাটা লেজ জীবনে না দেখলে আমি হয়ত এই লোকের কাঁপাকাঁপির কোন উপমা খুঁজে পেতাম না।
এভাবেই সে DMCH এর admin wing এর সামনে মাটিতে পড়ে ছিল।
বিস্তারিত»ছন্দে আনন্দভ্রমণ ১
১
‘আমোদ’ শব্দটি আমার খুব প্রিয়। যে জিনিশ খুব প্রিয় হয় মানুষ সবখানেই তার অবয়ব খুঁজে ফেরে। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যেমন পেয়েছিলেন ‘অভিধানে আমোদ’। আমি তেমনি ছন্দে আমোদ খুঁজি। ইচ্ছে হলে আপনিও আমার এই আনন্দভ্রমণে সাথী হতে পারেন।
ইংরেজিতে ‘ফিকোয়েন্সি’ বলে একটি শব্দ আছে। বাংলায় তার বৈজ্ঞানিক পরিভাষা ‘কম্পাঙ্ক’। আমাদের আনন্দভ্রমণে আমরা এমন কাঠখোট্টা শব্দকে সাথে নেব না। কিন্তু যদি আমাদের নেচে নেচে চলবার সাধ জাগে–সবাই যদি একই তালে নেচে নেচে চলতে চাই–তবে ‘ফ্রিকোয়েন্ট’
বিস্তারিত»অভিমান।
ভুলে ভরা যত কথা থাক না যতনে মোড়া
আর কভু শুধরাবো না,
কষ্ট জরা যত ব্যাথা থাক না হৃদয় জোড়া
আর মুছে ফেলব না,
সবই তো ছিল আমার থাক এখনো আমার।।
বেসুরো যত গান থাক না সুরহীন সাবলীল
না হয় গাইবো না আর,
থাক না কবিতা ছন্দ হীন মুক শব্দ সলিল
না হয় আর লিখবো না ,
পঞ্চ ভৌতুক
[ভৌতুকঃ ছোট সাইজের হাসির গল্প যেমন কৌতুক, তেমনি ভৌতুক হল দু’তিন কথায় ভয়ের অথবা ভুতের অদ্ভুত গল্প]
কলিং বেল
প্রতিদিন বিকেলে কলিং বেল বাজিয়ে ভেগে যাওয়া হতচ্ছাড়াটাকে ধরার জন্য মিতু আজ আট ঘাট বেঁধে বসে ছিল। ঝট করে দরজা খুলে যা দেখল তার জন্য কিন্তু সে একেবারেই তৈরী ছিল না। পাশের ফ্ল্যাটের হারিয়ে যাওয়া বাচ্চাটা হাসতে হাসতে তার চোখের সামনেই হাওয়ায় মিলিয়ে গেল না?
বিস্তারিত»আরেকখানা না-গদ্য, না-পদ্য: ধুমকেতু নারীর জন্য পংক্তিমালা
[এইটা একটা “গদ্য-কবিতা” নাকি “কাব্যধর্মি-গদ্য” তা নিয়ে আমার নিজেরই সংশয় আছে। তবুও স্ট্রাকচারটা যেহেতু কবিতার, তাই কবিতা হিসাবেই ক্যাটাগরাইজ করলাম। নীচে একটি ডিসক্লেইমার আছে। দেখতে ভুলবেন না]
ধুমকেতু নারীর জন্য পংক্তিমালা
প্রতিরাতে ঘুমুতে যাবার আগে
আমার শেষ কাজটি ছিল,
কিছু একটা করে বা লিখে
তা তোমার ইনবক্সে পাঠানো।
কখনো লিখতাম দু’ছত্র অনুভূতি
কখনোবা পড়তাম দু লাইন কবিতা
কখনো আবার নিদ্রা-পূর্ব সেলফি –
এর সবই থাকতো প্রেরন-তালিকায়।