আমার ডায়েরীর মলাটে লুকানো তুমি

আমার ডায়েরীর মলাটে লুকানো তুমি
————– ড. রমিত আজাদ

তখন আমরা স্কুল পড়ুয়া,
তোমার ভাই আর আমি সতীর্থ ছিলাম,
পড়ালেখায় দুর্দান্ত শত্রু ছিলাম আমরা দুজন!
কে কাকে হারিয়ে ফার্স্ট হবো,
এই নিয়ে চলতো প্রবল প্রতিযোগিতা।
এভাবে ঝগড়া করতে করতে,
হঠাৎ একদিন আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম।

তোমার ভাই বললো,
“চল তোকে আমাদের বাড়ী নিয়ে যাই।

বিস্তারিত»

গ তি ও গ ম ন

~ এ ক ~

খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে দু’পাশের গাছ, পাখি, নদী ও সবুজ। পথের দু’পাশের সময়ের স্মৃতিবহ সুবিশাল বৃক্ষরাজির শাখা-প্রশাখা চূড়োরা মিলেমিশে তৈরী করেছে যেন অবিরাম সবুজের এক অন্তহীন সম্ভাষণ তোরণ। দুর্বিনীত এই ছুটে চলার মাঝে অপসৃয়মান সবুজের ফাঁক গলে তীরের ফলার মতোন ধেয়ে আসছে অসংখ্য আলোর রেখা। অবিরাম সবুজ এই তোরণের সুদূর সীমান্তে অত্যুজ্জ্বল আলোর বন্যায় অপেক্ষমান বিদায়ী সূর্য। যেনো বসিয়েছে এক সোনালী স্বাগত সভা।

বিস্তারিত»

দি সাইকেল অফ এ্যাবিউজ বা নিপীড়নের দুষ্টচক্র: আপনি কি এ্যাবিউজড???(প্রথম পর্ব)

আমার বাবা মায়ের সংসার জীবন প্রায় তেত্রিশ বছরের, এই তেত্রিশ বছরে একটা দিনও বাবাকে মায়ের সাথে কোনদিন একটা জোরে কথা বলতে শুনিনি| বরং উল্টোটা হয়, কর্মক্ষেত্রে বিশাল ডাকাবুকো আমার বাবা জুতো না খুলে বা পাপোষে পা না মুছে ঘরে ঢুকলে মায়ের বকুনি খেয়ে চুপসে যেতেন প্রায়ই| আমার আর আমার পিচ্চি বোনের কাছে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বলতে বোঝাতো এটুকুই| তবে সত্যিকার অর্থে এটা এ্যাবিউজ নয়, বরং এ্যাবিউজ হচ্ছে ভয়াবহতম একটি ব্যাধি যা এর ভিকটিমের জীবনটিকে শেষ করে দেয়|

একটু বড় হয়ে জানলাম,

বিস্তারিত»

নেশা ১

শেষ পর্যন্ত একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কমল ।কান্ট্রি ম্যনেজারের রুম থেকে বেরিয়ে তার মনে হল এই একটি পথই খোলা আছে। টানা তিন বছর প্রেম করার পর পারুলের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। প্রেম করার সময় থেকেই সে সিগারেট খেত। সেই সময় অনেক ধরনের আবেগের ব্যপার ছিলো। সে ভাবতো পারুল যদি তাকে ছেড়ে দিতে বলে, তাহলে সে দেখিয়ে দিতে পারবে পারুলের কথার গুরুত্ব তার কাছে কত খানি।

বিস্তারিত»

তানভীরের “তুমি রবে নীরবে” পড়ার পর

মনেপরে, একবার এক হালকা আলাপে বলেছিলে:
“যেকোন বিচ্ছেদই কষ্টের।
তবে এক একটা সময় আসে –
যখন সম্পর্কে থাকাটাও হয়ে পড়ে আরও কষ্টের।
বিচ্ছেদের কষ্টের চেয়েও সেই সম্পর্কে থাকার কষ্টটা
যখন বড় মনে হয়, তখন বিচ্ছেদই হয়ে দাঁড়ায় কল্যানকর!”

হতে পারে আমাদের সম্পর্কটাও
সেই রকমের একটা ক্রান্তিকালে পৌছে গিয়েছিল।
হতে পারে তুমি তা বুঝতে পেরেই “কল্যান”-এর স্বার্থে
বিচ্ছেদের জানান দিয়েছিলে।

বিস্তারিত»

কি বিষ রেখেছ ঢেলে কোমল অনলে!

কখনো কি ভালোবাসা জীবনের কানাগলি দিয়ে
ভুল করে হেঁটে যাবে পথ?
কোথাও ধুসর দূরে…
ঝাঁক বেঁধে নামে যদি
নম্র-নীল আলোর কপোত!

নিশি পাওয়া মানুষের মতো
ভুল ঠিকানায় কড়া নেড়ে নেড়ে…
খোয়া গেলে আরো কিছু কাল
রক্তে বৈদগ্ধ যদি মেশে;
প্রাচ্যের বেশে তবু প্রতীচী আবেশে!

তবু আমি দেখে যেতে চাই
ওই নীলে, নোনা-নীল জলে..

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ নিশিরাতে কে গান শোনাতো

যে চোখ দিয়ে তোমার আঁধার রাতে জোনাক পোকাদের উৎসব দেখো সেই চোখ দুটো দেখতে বড় ইচ্ছে করে, অধরা! দুপুরের রোদের ঝিলিক কমে আসতেই রংবাহারী প্রজাপতিদের উড়ে ঘুরে বেড়ানোর বাহানা দেখি আমার কাঁচের জানালায়!

লালচে খয়েরী আর বাদামী নীলের পাখনা মেলে তারা উড়ে বেড়ায় পাতায়, ডালে আর ফুলের রেনুতে। বাগানের কোণে ফুটে থাকা ক্রিসেনথিমামের শোভা দেখতে দেখতে দূরদ্বীপবাসিনীর একজোড়া চোখ ভাসে আমার চোখের আয়নায়।

বিস্তারিত»

চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী – পর্ব ১

চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী – পর্ব ১
———————- ড. রমিত আজাদ

প্রোথিত হৃদয়ের কথা
——– ড. রমিত আজাদ

কি উজ্জ্বল সুন্দর এই নীল আকাশ!
কেমন ঝলমলে রোদ তাকে আলোয় উদ্ভাসিত করে!
কেমন দুঃসাহস নিয়ে উড়ে যায় শঙ্খচিল!
নির্ভয় বিহঙ্গ ঐ আকাশ করবে জয়!

নীলিমার নীল গায়ে মেখে
ধ্যানমগ্ন পর্বতের নিশ্চল উপবেশন,
হঠাৎ ঝলকে ওঠে কপোতাক্ষের অবিরাম ধারা,

বিস্তারিত»

জননী মম।

গ্রন্থিত কাহিনীর কোন পৌরানিক গল্প নায়ক নাকি ?
নাকি কল্প জঠরে জনম বিভূষিত সত্য স্পশর্ালোক সপ্নদ্রষ্ট বাস্তব সত্বা
সত্য আমি বুঝি কি?
গুহার নিকষ বূহ্য বহির্ভেদি কৃষ্ণ পক্ষ জাতক ,
নাকি শানিত কৃপাণ ক্ষত রক্তস্নাত বেদনার বষর্িত ফলন শ্রান্ত রমনীর ,
বুঝতে পেরেছি কি?
বহতা জনম বহে তথা আমি বুঝি নি।
সূযর্াস্ত কালাধিকাল , অমোঘ মহাকালের অনন্ত গর্ভলীন সমস্তই ,

বিস্তারিত»

তুমি রবে নীরবে

[এই ব্লগে আমার বয়সে বড় অনেক আপু ও ভাইয়ারা আছেন সবাইকে আগেই গল্পের বিষয় বস্তুর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।গল্পের উপস্থাপন ও ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি আমার সর্বোচ্চ সাবধনতা অবলম্বন করেছি তার পরও কোন বাহুল্যের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আর একটি কথা আমি চিটাগং এর ছেলে না তাই আঞ্চলিক ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ভুল হলে,সংশোধন করতে সাহায্য কামান করছি।]
রেডী হই লন………কথাটা বলেই মোবাইলে কল জুড়ে দিল।আমার চতু্র্দিক কেমন জানি অন্ধকার হয়ে আসছে,মাথা ঝিমঝিম করছে।

বিস্তারিত»

গোলাপের রঙ (শেষ পর্ব)

গোলাপের রঙ ১
গোলাপের রঙ ২

একটানা কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন হাসান ভাই। বললেন, ‘দেখেনতো গল্প করতে করতে আসল কথাই বলা হয়নি। আপনারা খেয়ে এসেছিলেন?’ আমি বললাম আপনি ওয়েস্টার্ণ কালচারের লোক, আপনি তো সন্ধ্যায় খান ।
– তা, খাই। কিন্তু আজ আপনাদের সাথে খাবো ভেবেছিলাম।
– এখন খাবার পাওয়া যাবে কোথাও?

অন্য সবাই তখন গল্পের গভীরে ঢুকে গেছে।

বিস্তারিত»

তোমার চোখ

চঞ্চলা চপলা তুমি কখনো ছিলেনা,
সেও ছিলনা কোন ডানপিটে ডাকু।
তোমার টানা চোখ দুটোকে কখনো
ডাগর আঁখি বলে তার ভ্রম হয়নি।
পটলচেরা চোখও ভাবেনি কখনো।
তারপরও তার খুব, খুবই প্রিয় ছিল,
তোমার ঐ কাজল টানা চোখ দুটো।
সন্তরণপ্রিয় ডুবুরীর মত অবলীলায়
সে তোমার চোখের গহীনে কি যেন
খুঁজে বেড়াতো, ডুবসাঁতার দিয়ে
যখন তখন। আর ভাবতো,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২

তখন সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলের প্রদ্গান শিক্ষক ছিলেন জনাব বজলে কাদের। বেশভূষায় তিনি অত্যন্ত পরিপাটি ছিলেন। দূর থেকে দেখা, তাই এর চেয়ে বেশী আর কিছু মনে নেই, তবে এটুকু বুঝতাম যে স্কুলে এবং স্কুলের বাইরেও তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। খুবই রাশভারী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। এয়াকুব আলী চৌধুরী স্যার বাংলা পড়াতেন, হোম ওয়ার্ক এর ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস ছিলেন। পরে শুনেছি তিনি খিলগাঁও হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

প্রেম

কোন কালে’
প্রেম নেবেনা বলে কি
তারা আক্ষেপ
নিয়ে জানলায়
দিয়েছিল টেপ
ভালো করে,
‘আলো ভরে
চাই না কিছু’
তারস্বরে
স্বরলিপি ধরে
প্রতিদিন
গেয়ে গেছে গান;
অথচ যেদিন এলো সে
অপরিচিত
চশমাপরা
গোবেচারা মুখোশে

দোঁহে
কি মোহে
পরিধেয় ভেবে
প্রেম পরে নেয়
প্রেম খুলে ফেলে
আর সব
দূ উ রে
সুদূরে ঠেলে

বিস্তারিত»

বৈ শা খী

~ এ ক ~

এই ঢলঢলে জামাটাকেই সব চাইতে প্রিয় মনে হয় ওর। গা জ্বালা করা গরমে এর চেয়ে আরামদায়ক কোন জামা মেয়েটি আর কখনো পরেনি। জামাটার পিঠের দিকটা ঘাড়ের পাশাপাশি বড় বৃত্তে এগিয়ে কাঁধ পেরিয়ে প্রান্তের দিকে সরে এসেছে বেশ অনেকখানি। সামনের দিকে গলাটা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকখানি বড়। ওর চেয়ে স্বাস্থ্যবতী, বড় সড় আর সুখী কোন একটা শরীরের জন্য কখনো তৈরী হয়েছিলো এটা।

বিস্তারিত»