এর কিছুদিন পর আমার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা আব্বা সেই পূরণকৃ্ত ফরমটার উপর আঠা দিয়ে সেঁটে দিয়ে ফরমটা আমাকে পড়তে দিলেন। তখনই প্রথম ক্যাডেট কলেজ কথাটার সাথে পরিচিত হ’লাম। আগে ক্যাডেট কলেজ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা ছিল না. পূরণকৃ্ত ভর্তি ফরমটা পড়ে বুঝলাম, এটা আমার স্কুলের চেয়েও উন্নত মানের কোন প্রতিষ্ঠান হবে। তবে উন্নত নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা ভেবে পুলকিত হবার চেয়ে আমার ভালো লাগার পুরনো স্কুলটিকে ছেড়ে যাবার বেদনাই আমাকে বেশী আচ্ছন্ন করে রাখলো।
তখন আমরা স্কুল পড়ুয়া,
তোমার ভাই আর আমি সতীর্থ ছিলাম,
পড়ালেখায় দুর্দান্ত শত্রু ছিলাম আমরা দুজন!
কে কাকে হারিয়ে ফার্স্ট হবো,
এই নিয়ে চলতো প্রবল প্রতিযোগিতা।
এভাবে ঝগড়া করতে করতে,
হঠাৎ একদিন আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম।
আমার বাবা মায়ের সংসার জীবন প্রায় তেত্রিশ বছরের, এই তেত্রিশ বছরে একটা দিনও বাবাকে মায়ের সাথে কোনদিন একটা জোরে কথা বলতে শুনিনি| বরং উল্টোটা হয়, কর্মক্ষেত্রে বিশাল ডাকাবুকো আমার বাবা জুতো না খুলে বা পাপোষে পা না মুছে ঘরে ঢুকলে মায়ের বকুনি খেয়ে চুপসে যেতেন প্রায়ই| আমার আর আমার পিচ্চি বোনের কাছে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বলতে বোঝাতো এটুকুই| তবে সত্যিকার অর্থে এটা এ্যাবিউজ নয়, বরং এ্যাবিউজ হচ্ছে ভয়াবহতম একটি ব্যাধি যা এর ভিকটিমের জীবনটিকে শেষ করে দেয়|
শেষ পর্যন্ত একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কমল ।কান্ট্রি ম্যনেজারের রুম থেকে বেরিয়ে তার মনে হল এই একটি পথই খোলা আছে। টানা তিন বছর প্রেম করার পর পারুলের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। প্রেম করার সময় থেকেই সে সিগারেট খেত। সেই সময় অনেক ধরনের আবেগের ব্যপার ছিলো। সে ভাবতো পারুল যদি তাকে ছেড়ে দিতে বলে, তাহলে সে দেখিয়ে দিতে পারবে পারুলের কথার গুরুত্ব তার কাছে কত খানি।
মনেপরে, একবার এক হালকা আলাপে বলেছিলে:
“যেকোন বিচ্ছেদই কষ্টের।
তবে এক একটা সময় আসে –
যখন সম্পর্কে থাকাটাও হয়ে পড়ে আরও কষ্টের।
বিচ্ছেদের কষ্টের চেয়েও সেই সম্পর্কে থাকার কষ্টটা
যখন বড় মনে হয়, তখন বিচ্ছেদই হয়ে দাঁড়ায় কল্যানকর!”
হতে পারে আমাদের সম্পর্কটাও
সেই রকমের একটা ক্রান্তিকালে পৌছে গিয়েছিল।
হতে পারে তুমি তা বুঝতে পেরেই “কল্যান”-এর স্বার্থে
বিচ্ছেদের জানান দিয়েছিলে।
যে চোখ দিয়ে তোমার আঁধার রাতে জোনাক পোকাদের উৎসব দেখো সেই চোখ দুটো দেখতে বড় ইচ্ছে করে, অধরা! দুপুরের রোদের ঝিলিক কমে আসতেই রংবাহারী প্রজাপতিদের উড়ে ঘুরে বেড়ানোর বাহানা দেখি আমার কাঁচের জানালায়!
লালচে খয়েরী আর বাদামী নীলের পাখনা মেলে তারা উড়ে বেড়ায় পাতায়, ডালে আর ফুলের রেনুতে। বাগানের কোণে ফুটে থাকা ক্রিসেনথিমামের শোভা দেখতে দেখতে দূরদ্বীপবাসিনীর একজোড়া চোখ ভাসে আমার চোখের আয়নায়।
[এই ব্লগে আমার বয়সে বড় অনেক আপু ও ভাইয়ারা আছেন সবাইকে আগেই গল্পের বিষয় বস্তুর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।গল্পের উপস্থাপন ও ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমি আমার সর্বোচ্চ সাবধনতা অবলম্বন করেছি তার পরও কোন বাহুল্যের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আর একটি কথা আমি চিটাগং এর ছেলে না তাই আঞ্চলিক ভাষা ব্যাবহারের ক্ষেত্রে ভুল হলে,সংশোধন করতে সাহায্য কামান করছি।]
রেডী হই লন………কথাটা বলেই মোবাইলে কল জুড়ে দিল।আমার চতু্র্দিক কেমন জানি অন্ধকার হয়ে আসছে,মাথা ঝিমঝিম করছে।