জীবনের জার্নাল – ৫

যেদিন আমার ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হবার কথা, ঠিক তার আগের দিন আমার এলো গা ফাটা জ্বর, সাথে প্রচন্ড মাথাব্যথা আর বমি। এর একদিন আগে ভরদুপুরে প্রচন্ড রোদে খেলতে নেমেছিলাম। ঘরে ফিরে গায়ের ঘাম না শুকোতেই তরিঘরি করে গোসল করেছি, এটাই জ্বরের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার এবং আমাকে দোষারোপ করার চেষ্টা চলছিলো। কারণ যাই হোক, আমি চাচ্ছিলাম মাথাব্যথাটা অন্ততঃ দ্রুত কমে যাক, জ্বর থাকলেও থাকুক।

বিস্তারিত»

বিচ্ছেদ মানেই বিচ্ছেদ নয়

বিচ্ছেদ মানেই বিচ্ছেদ নয়
—— ড. রমিত আজাদ

বিস্মিত চোখে অপলক আমি,
বোধহীন স্থবির বৃক্ষ হলাম যেন,
স্তব্ধ করতলে আঁকড়ানো চিঠিটির ভাব আর ভাষা বুঝি,
ভাসালো আঁধারে আমার মধুময় কয়েকটি বসন্তের লালিত স্বপ্ন।

সে এক গ্রীস্মের পড়ন্ত বিকেলে,
ভূর্জবৃক্ষের কাষ্ঠে নির্মিত কেদারায় বসে তুমি পড়ছিলে
আল খোয়ারিজমির ‘কিতাব আল জাবির’
অথবা আল হাইয়ামের ‘কিতাব আল মানাজির’।

বিস্তারিত»

এস.এম.এস.-এ পাঠানো ঈদ মুবারক

এস.এম.এস.-এ পাঠানো ঈদ মুবারক
————– ড. রমিত আজাদ

পাঞ্জাবীতে নতুন কাজের নকশা কাটা জরীর সুতায় ঝলোমলো,
ঈদের খুশী উড়ছে দেখো সাদাকালো মেঘের ডানায় এলোমেলো।
রাত পোহালে ঈদের হাসি, নিদ কেড়ে নেয় চোখের পাতার, কন্ঠে বাহে,
খোকা-খুকুর পরম মিতা ঈদের ফিতা কাটবে এসো ঈদের গাহে।

আকাশ থেকে আসলো নেমে ঈদের চাঁদের বাঁকা হাসি,
চাচা-মামা, খালা-ফুপু, বন্ধুসকল, আত্মীয়কূল রাশি রাশি,

বিস্তারিত»

ঘুমন্ত-স্বপ্ন-সুন্দরী

একসাথে অনেকগুলো বই কিনে ফেলার অনেক হ্যাপা। কোনটা ছেড়ে যে কোনটা পড়ব তা কিছুতেই মনঃস্থ করে উঠতে পারি না। একাঝাঁক সুন্দরী ললনা চারদিক ঘিরে লীলারত। কাকে ছেড়ে কাকে প্রেম দেব?

অমিতাভ রায়ের ভাষান্তরে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস-এর গল্পসমগ্রটি কেনার পর সেটি একরকম অবহেলা অনাদরেই সেলফের এককোণে পড়ে ছিল। আজ সময় হলো হাতে তুলে নেবার। শুরুতেই একটি চমৎকার গল্প! বাংলা ভাষান্তরে ‘সুপ্ত সুন্দরী ও বিমান’ আর মূল স্প্যানিশে ‘El avión de la Bella Durmiente’ এর নাম।

বিস্তারিত»

দর্শন ও বিজ্ঞান

এক সময় বিজ্ঞান আর দর্শন আলাদা কিছু ছিল না। স্কুলে পড়েছি, মহামতি অ্যারিস্টোটল বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখার জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু আদতে তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক। এই যে দর্শন থেকে বিজ্ঞানের আলাদা হয়ে যাওয়াটা, এটা কিন্তু খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। এর আগ পর্যন্ত যিনি বিজ্ঞানী ছিলেন, মোটামুটি ধরে নেয়া যায় তিনি দার্শনিকও ছিলেন। তবে আমি ইতিহাসের দিকে যাচ্ছি না এখানে।

এখন কথা হল, বিজ্ঞান দর্শন থেকে কীসের ভিত্তিতে আলাদা হল?

বিস্তারিত»

কোর্টের রাণীঃ স্টেফি গ্রাফ!

১৯৯৫ সাল। উইম্বলডন,লন্ডন। প্রমীলা টেনিসের দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ খেলা চলছে! সার্ভ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্টেফি গ্রাফ।

-স্টেফি, আমাকে বিয়ে করবে?
দর্শকের সারি থেকে কে যেন হঠাৎ চিৎকার করে উঠল।

কয়েক সেকেন্ডের জন্য নীরবতা। প্রতিপক্ষের উপর থেকে চোখ না সরিয়েই স্টেফি গ্রাফ প্রশ্নকর্তার দিকে পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন,
-কত টাকা আছে তোমার??!!

দর্শক থেকে শুরু করে উপস্থিত সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল!

বিস্তারিত»

যুক্তির নিরিখে বিজ্ঞানমনস্কতা, সত্যজ্ঞান ও প্রগতিশীলতার বিষয়ে আমার ভাবনা

বিজ্ঞানমনস্কতা আজকাল ভার্চুয়াল বাংলা জগতে স্মার্টনেসের নির্দেশ করার সাথে সাথে বিজ্ঞানমনস্কতার দাবিদার ব্যক্তিকে অন্যান্য সকলের থেকে আলাদা এবং প্রাগ্রসর হিসেবে চিহ্নিত করার অন্যতম পরিমাপক হয়ে উঠেছে। ব্লগে, ফেসবুকে, এমনকি টিভির টকশো’তেও কেউ কেউ নিজেদের বিজ্ঞানমনস্কতার দাবি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটা বিশেষ ধারার জ্ঞানচর্চাকে প্রগতিশীল আর বাদবাকিগুলোকে প্রতিক্রিয়াশীল/পশ্চাৎমুখী/গোড়া ইত্যাদি বর্গে ফেলছে। মানুষ হিসেবে অগ্রগতি আমরা সকলেই চাই। আর এ’ পথের পাথেয় হিসেবে বিজ্ঞানমনস্কতাও একটা অতি প্রয়োজনীয়,

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ জেনারেল উবাচ

“দ্যাশের অবস্থা খুব খারাপ। সাবধানে যাও ব্যাটা। বিজয়ী হয়া ফিরি আসো। যদি খারাপ অবস্থা চলতেই থাকে বা আরো অবনতি ঘটে, আয়সো না।ইচ্ছা করলে বিয়া করি ওখানে থাকতে পারো। তুমার মা, ভাই বোনদের লিয়া ভায়বিনা। অরে আমি দেখি রাখব।” কথাগুলো বলছিলেন আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমাণ্ডার মতিউর রহমান সরকার।অনেক কষ্টে মানুষ করা প্রথম সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানর সময়।

তখন মে মাস, ১৯৭১ সাল।ফুফাতো ভাই রফিক মাসখানেক আগেই ভারতে চলে গেছে।

বিস্তারিত»

রাধাকথন – ১৩

আসবার কথা ছিল
এই পথে,
সোনালী রথে?
জলের নীল বেয়ে
তরী কি আসে
ধীরে,সঘন উদ্ভাসে
দূরের গান হয়ে!

আ হা
দিনগুলি কেবলি
দিন গুনে যায়;
কী বলি?
কী যে বলি!
কাঁচেরো মন ভেঙ্গে যায়
প্রার্থনার
মৌনতায়
জানলা কাঁপে,
সুরেলা দ্বিধায়
দরোজায়
প্রবল জ্বর

মাঝি আইলা?

বিস্তারিত»

ঈদ মুবারক!

না, মানে- সেই দুই হাজার নয় সাল থেকেই ঈদের দিন সিসিবির ইঞ্জিনটা চালু রাখার দায়িত্ব আমার উপর কিনা, তাই আজকে সুদূর টোকিও থেকেই ইঞ্জিন চালু রাখলাম আরকি 😉

ঈদ মোবারক!

বিস্তারিত»

ঈদ ইন সিঙ্গাপুর

ঈদ মুখে সিঙ্গাপুর এসে স্বস্তি পাচ্ছিলামনা। দেশের বাইরে এ’টি আমার চার নম্বর ঈদ। তিন নম্বরটা গত বছর দিল্লীতে করেছিলাম হামিদ( এমসিসি ৭৬-৮২) আর আইভী ভাবীর বদান্যতায় ঈদটি খারাপ কাটেনি। ইন্টারনেটে সিঙ্গাপুরের ঈদের আয়োজনকে জমকালো মনে হলেও গতকাল আধাবেলা পর অফিস ছুটি হবার আগ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ঈদ ঈদ ভাবটা আসেনি। যে সব বাঙালি পরিবারের সাথে জানাশোনা আছে, তাদের ঈদের কেনা কাটা হয়েছে বাংলাদেশে। ঈদের জামাতের সময় না জেনেই রাতে ঘুমোতে গিয়েছি।

বিস্তারিত»

কমন সেন্স, দ্যা আনকমন

কমন সেন্স, দ্যা আনকমন

আনেক বছরের পুরোনো ঘটনা মনে হঠাত উঁকি দিলে কেমন লাগে? তাও যদি তা আবার হয়, কোন এক বিরক্তিকর মুহূর্তে! বহু বছর আগের কথা, প্রায় ১৫-১৬ বছর হবে হয়তোবা, ক্লাসে একদিন এক স্যার হাস্যরসের ছলেই বলেছিলেন, “কমন সেন্স ইজ একচুয়ালি আনকমন”। মজা পেয়েছিলাম কথাটাতে, কোন সন্দেহ নেই। তিনি হাসির ছলে আরো কিছু ‘তিতা কথা’ বেশ মধুর করে বলতেন, যেমন – “ইউ আর রেগুলারলি ইররেগুলার” কিংবা “ইউ আর টূ আরলি ফর দ্যা নেক্সট ক্লাস”।

বিস্তারিত»

সবুজ প্রজাপতি (প্রথম পর্ব)

লোকটা ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই আমার চোখে পড়লো তার চেহারা বেশ সুদর্শন । শুধু সুদর্শন না, ফিল্মি হিরো মার্কা সুদর্শন। প্রথম দেখায় ভেবেছিলাম সদ্যই তিরিশের কোঠায় পা দেয়া, কিন্তু চল্লিশের ঘরে তার বয়স; সেটা পড়ে জেনেছি। বয়সের ছাপ পড়েনি মোটেও। ফিটফাট একহারা গড়ন। নিয়মিত শরীরচর্চার নিদর্শন হয়ে আছে মেদহীন শরীর। হালকা লেমন-গ্রীন পোলোর হাফ-হাতা আস্তিন কেটে সুগঠিত পেশী বের হয়ে আছে। ঢেউয়ের মতো অল্প কোঁকড়া লম্বা ধূসর চুল।

বিস্তারিত»

১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৭ (ফকক)

২৮ বছর অনেক সময়, কিন্তু মনে হচ্ছে এইতো সেদিন। প্রায় ১২ বছর বয়সী একদল কিশোরের যাত্রা শুরু ক্যাডেট কলেজ জীবনের। দিনটা ছিল ১৭ই এপ্রিল, ১৯৮৭ আজ থেকে ঠিক ২৮ বছর আগের একদিন। আমিও ছিলাম তাদের একজন। আমার মেঝ ভাই আমার প্রায় ৬ বছর বড়। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ আমাদের চট্টগ্রামের বাসা থেকে ৭ মাইলের মত দুরে। ১৯৮১ সালে আব্বা বললেন, ভাইয়াকে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াবেন।

বিস্তারিত»

ছন্দে আনন্দভ্রমণ ৩

ছন্দে আনন্দভ্রমণ ১ (ভূমিকা ও মাত্রাবৃত্তের আলোচনা)
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ২ (মাত্রাবৃত্তের উদাহরণ)

এই পর্বে স্বরবৃত্ত নিয়ে আলোচনা করবো। সাধারণত ছড়া লিখতে স্বরবৃত্ত ছন্দ ব্যবহার করা হয়। স্বরবৃত্তে মুক্তদল (open syllable), রূদ্ধদল (closed syllable) উভয় সিলেবলই পাবে ১ মাত্রা।

তোমরা যখন শিখছো পড়া
মানুষ হওয়ার জন্য,
আমি না হয় পাখিই হবো,
পাখির মতো বন্য।

বিস্তারিত»