গত বুধবার (জুলাই ৮, ২০১৫) সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শেখ সামিউল আলম রাজনকে খুঁটির সাথে বেঁধে ক্রমাগত পিটিয়ে হত্যা করে তিন যুবক। আর এই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করে তাদেরই একজন। রাজনের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান পেশায় মাইক্রোবাসচালক। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে রাজন বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা রাজন সবজি বিক্রি করত।
বিস্তারিত»পুলিশ প্রশাসনের এ’কি হাল?
আজকের (জুলাই ১৪, ২০১৫) বাংলা পত্রিকাগুলোতে চোখ বুলাতে গিয়ে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে গেল দৈনিক আমাদের সময়ের একটা সংবাদে যেখানে বলা হয়েছে যে, সিলেটের রাজন-হত্যার প্রধান আসামী কামরুলকে জনতা হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ঘুষের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিলে সে সৌদি আরবে পালিয়ে যায়।- পুলিশ যে ঘুষের বিনিময়ে বড় বড় আসামীকে ছেড়ে দেয় এমন দু’একটা সংবাদ মাঝেমধ্যেই সংবাদপত্রে আসে। আর এমন দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হাজার হাজার পুলিশের মধ্যে দু’একজন ঘটাতেই পারে।
বিস্তারিত»নেশা – শেষ পর্ব
সকালে টুকটাক কিছু জিনিষ পত্তর নিয়ে কাউকে কিছু না বলেই কমল অফিসে চলে গেলো । কান্ট্রি ম্যানেজারের সাথে দেখা হল লাঞ্চের আগে। তিনি বললেন, ভাবীর সাথে কথা হয়েছে?
– হ্যা, ওর দিক থেকে কোন সমস্যা নেই, আমি রেডি হয়েই এসেছি। আপনি বললে লাস্ট ফ্লাইটেই চলে যেতে পারি।
হক সাহেবকে খুব আন্তরিক মনে হল। ‘বড় একটা দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচালেন।
বিস্তারিত»ছন্দে আনন্দভ্রমণ ২
ছন্দে আনন্দভ্রমণ ১ (ভূমিকা ও মাত্রাবৃত্তের আলোচনা)
ছেলেবেলায় সারাক্ষণ আমার মুগ্ধতাকে ছুঁয়ে ছিল দুটি বই, ‘নন্দিত নরকে’ আর ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। যখন রূম ইন্সপেকশন হতো আমার সেলফে রাখা পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি শোভা পেত ওই বই দু’খানাও। সে বয়সে ‘নন্দিত নরকে’-র প্রচ্ছদ আমার চিত্তে কিছুটা কিশোরসুলভ লজ্জ্বার লাল ছিটিয়ে দিত বলেই হয়তো সেটিকে ঢেকে রাখতাম ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’-র খোলসে।
বিস্তারিত»পারিজাত
” শিউলি ফুল, শিউলি ফুল, কেমন ভুল, এমন ভুল॥
রাতের বায় কোন্ মায়ায় আনিল হায় বনছায়ায়,
ভোরবেলায় বারে বারেই ফিরিবারে হলি ব্যাকুল॥
কেন রে তুই উন্মনা! নয়নে তোর হিমকণা।
কোন্ ভাষায় চাস বিদায়, গন্ধ তোর কী জানায়–
সঙ্গে হায় পলে পলেই দলে দলে যায় বকুল”
পারিজাতের গল্প বলবো।পারিজাতের সাথে আমার পরিচয় বছর দুয়েক। এইতো সেদিনের কথা। আলিয়াস ফসে’স এর ক্যাফেটেরিয়ায় পড়ন্ত এক বিকেলে বসে কফির পেয়ালায় কেবল এক কি দুই চুমুক দিয়েছি।
বিস্তারিত»শর্টকাট ভাইরাস মোকাবিলার তিন তরিকা
পেন ড্রাইভ কিংবা স্থানান্তরযোগ্য ফ্ল্যাশ ড্রাইভের বহুগামীতার ফলে আগত ভাইরাস এর জালাযন্ত্রণা কোন সংক্রামক রোগজীবানুর চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। খুব দরকারের সময় দেখতে পেলেন আপনার দরকারী ফাইল কিংবা ছবি বা ভিডিও নাই। এক গাদা শর্টকাট তৈরী হয়ে আছে। সেখানে টোকা দিয়ে কিছুই পাবেন না।মেজাজ খারাপ করে শাপ-শাপান্ত করবেন কাউকে ।
রাগে চান্দি গরম করে অন্য সমস্যা হওয়াটাও অসম্ভব নয়। ২০১৫ সালে এসে এই শর্টকাট ভাইরাসের জ্বালায় বড্ড মুশকিলে পড়েছি।
ইপসা
যদি বাসবি ভালো গহন ঘন
মেঘ মাখা ঐ চন্দ্র আলো দেনা মেলে দে,
যদি চাইবি চোখে পাপড়ি মেলে
শেওলা জলে ঐ শীতলে নে না কোলে নে।
যদি জোৎস্না ঝরে আকাশ ভেঙে
তিমির রাতের কৃষ্ণ কালো দে না মুছে দে,
যদি তেষ্টা জাগাস এই পরানে
ঝণর্া ঝরা ওষ্ঠ দুটি দে না ছুয়ে দে ।
যদি বষর্া নামে অঝোর ধারায়
চৈত্র খরার নিদাঘ দাহ দে না ভিজে দে,
ফাঁকিবাজি ছবি ব্লগ -পার্ট ৩ ( ক্লাস ১২ এর গল্প)
ফাঁকিবাজি সিরিজের দুইটা পোস্ট দিয়েছিলাম অনেকদিন আগে। কেন এটাকে আমি ফাঁকিবাজি পোস্ট বলি তার পেছনে একটা কারন আছে। এধরণের পোস্ট লিখতে খুব একটা মাথা খাটাতে হয়না। রেডিমেড ছবি , এরসাথে স্মৃতি থেকে কিছু লিখে দিলেই হয়। বাড়তি ঝামেলা কম। এধরণের স্মৃতিচারণা মূলক লেখা লিখতেও আরাম লাগে। হাতে কিছু সময় পরে আছে.. ফেসবুক এর নিউজফিডে ও নতুন কিছু নেই। তাই ভাবলাম হাবিজাবি কিছু লিখে ফেলি আর কি !
বিস্তারিত»নেশা ২
সেই থেকে কমল সাবধান হয়েছে। বাসায় তো অনেকদিন আগেই খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলো অফিসেও দু’একটির বেশি খায়না। অফিস থেকে আসার আগে ভাল করে ব্রেথ ফ্রেশনার মুখে দিয়ে বাসায় ফেরে।
বউ যদিও পুরোপুরি বিশ্বাস করেনা। তারপরও বাসায় এ নিয়ে ঝামেলা আগের মত হয় না। মেয়েরা বড় হচ্ছে, তাদের সামনে এসব বিষয়ে কথা বলেনা পারুল। সন্দেহ হলে কথা বন্ধ করে দেয়।
অডিও ব্লগঃ সরষে ফুলে মৌমাছি
সরষে ফুলে মৌমাছি
কথাঃ টিটো মোস্তাফিজ
কণ্ঠঃ কাজী পারভেজ
ঝাপসা মোটেই নয়কো বাতাস
মাঘের শীতে কনকনে
রোদের আলোয় পষ্ট বটে
নয়তো মোটেই গনগনে।
আমোদেতেই আছেন তারা
আলসে মোটেই নয়কো যারা
নাই অজুহাত
মাঘ বোশেখে
কাঠফাটা রোদ
কিংবা শীতে
চপল হিমে
কিংবা ঘামে
সদাই যেন চনমনে
জানতে পেলুম গুঞ্জনে।
অন্ধ প্রেমিক।
নদীর জলে ভিজাইনি পা
পুকুর জলে গা
সাঁতার যখন শিখিনিকো
নাইতে নামি না।
ডাক দিয়েছ ইশারাতে
বুঝতে পারি নি
ফুলের বুকে এত মধু
ভাবনা আসেনি।
হাত ধরেছ অন্ধকারে
শিউরে উঠেছি
পথ চলেছি নিশি রাতে
পিছলে পরিনি।
চোখ রেখেছ চোখের পরে
পলক ফেলিনি
আলতা রাঙা কপোলেতে
নকশা আকিনি।
অন্য সুর
অন্য সুর, অন্য সুর,
শুনি শুধু অন্য সুর।
উদাসী ঘুঘুর ডাক,
স্তব্ধ করে দেয় দুপুর।
অলস মগনে শুনি,
কেবলি এক অন্য সুর!
সৈকতে যে ঢেউ আসে,
সেখানেও অন্য সুর।
দু’পায়ে পরশ বুলায়,
দু’কানে সুর শোনায়,
মিলিয়ে যায় বহুদূর,
বাজিয়ে দিয়ে অন্য সুর।
ধারাপাত বদলে গেছে,
সাথে সুর নামতারও।
হিসেবের মুদ্রা উধাও,
জীবনের জার্নাল – ৩
এর কিছুদিন পর আমার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবিটা আব্বা সেই পূরণকৃ্ত ফরমটার উপর আঠা দিয়ে সেঁটে দিয়ে ফরমটা আমাকে পড়তে দিলেন। তখনই প্রথম ক্যাডেট কলেজ কথাটার সাথে পরিচিত হ’লাম। আগে ক্যাডেট কলেজ সম্বন্ধে আমার কোন ধারণা ছিল না. পূরণকৃ্ত ভর্তি ফরমটা পড়ে বুঝলাম, এটা আমার স্কুলের চেয়েও উন্নত মানের কোন প্রতিষ্ঠান হবে। তবে উন্নত নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা ভেবে পুলকিত হবার চেয়ে আমার ভালো লাগার পুরনো স্কুলটিকে ছেড়ে যাবার বেদনাই আমাকে বেশী আচ্ছন্ন করে রাখলো।
বিস্তারিত»পরম্পরার খোঁজে
পিপাসা তোমার মিটবে কি আস্বাদে
সেই ভেবে ভেবে গোধূলি থিতোয় সাঁঝে
রঙিন মুখোশ ছুঁড়ে ফেলে নীল খাদে
জন্মালে ফের ক্লেদজ কুসুম মাঝে
চিবুকে তোমার আবীরের রাঙা লাল
ক্ষণিকের সুখে মেলে ধরে হিল্লোল
শিকে ঝলসানো মাংসের মতো কাল
পুড়িয়েছ যত বুড়ো কবিতার লোল
দ্যোতক-দ্যোতিত মিলে মিশে একাকার
তোমার পাত্র ছেঁড়াখোঁড়া তলাহীন
দেরিদা সেখানে হেবারমাসের সাথে
বিরোধাবসানে কাটায় রাত্রিদিন
শাশ্বতের বুকে ছুরি মেরে কে আবার
ক্ষণিক তৃপ্তি টেনে তুলে মায়া ফাঁদে
কালাহারি বুকে না পাওয়ার হাহাকার
থেমে থেমে রোজ একটু আধটু কাঁদে
আলস্যভরে আঁখি মেলে মাঝে মাঝে
মরা চোখে চাখো ফিকে নীলিমার নিশা
প্রাণের পেয়ালা লহমায় করে খালি
ঢেলে রাখো তাতে মিশকালো ঘন তৃষা
গাজোয়ালি ঢঙে লিখে রাখো ধারাপাতে
কতটা এগুলো সময়ের চ্যারিয়ট
বীতাধুনিকের আকাঙ্ক্ষা দিনে-রাতে
চুমুকে চুমুকে ভিজিয়ে নিচ্ছে ঠোঁট
বহুবাচনিক আহ্লাদে গড়ো যাকে
তাকে ভেঙে ফের টুকরো টুকরো করো
যে কুঁড়ি জেগেছে ফুকোর শিশ্ন-রসে
অবলীলাভরে গলা তার টিপে ধরো
ব্যাধের মতো ধেয়ে এলে পরিণতি
তোমাকে বাঁচাবে অলস আত্মরতি ?
অধ্যায় : তুমি
তোমার নিঃশ্বাসে আমার নির্ভেজাল অধিকার,
তোমার আলিঙ্গনে আমার মুক্তির স্বাদ –
প্রজাপতির পাখার স্মৃতি।
তোমার পদশব্দে সাত-সমুদ্র-তের-নদির ওপারের হাতছানি,
তোমার কণ্ঠ যেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’।
তোমার কপালের ভাজে আমাদের আগামির চিহ্ন –
ভ্রু-যুগলের প্রশ্রয়ে আমার যত ছেলেমানুষি,
গ্রীবার কাঠিন্যে নির্ভারতার নির্ভরতা –
আমার অস্তিত্বের সমর্পণ।
তোমার দৃষ্টিতে আমার আনন্দ-মৃত্যু –
তোমার ঠোঁটে আবার ফিনিক্সের মত বেঁচে ওঠা,