বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:
২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।
কিছুক্ষণ নিরিবিলিতে বসে চারপাশটা প্রাণভরে দেখে নিলাম :dreamy:
আমি, জোবায়ের এবং শুভ্র এ্যাডজুটেন্ট স্যারের রুমে গিয়ে কথা বললাম :thumbup:
অনেকক্ষণ গল্প হল কিন্তু ভিপি স্যারের রুমে গিয়েই মাথাটা খারাপ হয়ে গেল 😡
এ কি অবস্থা ! সেই ভিপি স্যার কতটা বদলে গেছেন ।
ভিপি স্যার আমাদের একের পর এক প্রশ্ন করে গেলেন :duel:
তারপর আমাদের পনের মিনিট সময় বেঁধে দেয়া হল সব টিচারদের সাথে দেখা করার জন্য :khekz:
ক্যাডেটদের সাথে একাডেমী ব্লকে দেখা করা নিষেধ আর হাউসে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না ।
কে শুনে কার কথা । ব্লকে সবার সাথে দেখা করলাম ভিপি স্যারের সাথে গোল্লাছোট খেলে ।
ভিপি স্যার লাঞ্চের দাওয়াত দিলেন কিন্তু আমরা বললাম লাগবে না কারণ আর কিছুই না ( বৃহস্পতিবার লাঞ্চে আলুভর্তা আর ডাল ) :((
ভিপি স্যার যখন মিল্ক করার জন্য স্টাফ লাউঞ্জে ঢুকলেন তখন আমরা তিনজন এই ফাঁকে হাউসে চলে গেলাম 😕 সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় মনে হল এইমাত্র ভ্যাকেশন থেকে আসলাম । সেই পুরনো হাউস, আগের মতই আছে, এতটুকু পরিবর্তন হয় নি, নেই শুধু আমরা । জুনিয়রদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম :-B
হঠাৎ গার্ড এসে বলল আমাদের নাকি এ্যাডজুটেন্ট স্যার ডাকছেন :salute:
কি আর করা ! ক্লাস সেভেনে আমরা জামানতের ১০০০ টাকা জমা দিয়ে থাকি সেটা তুলে নেয়ার প্ল্যান ছিল কিন্তু প্রিন্সিপাল স্যার নেই । এই মুহুর্তে টাকাটা পেলে মজা হত কিন্তু কাজ হল না :no:
হঠাৎ পিয়ন এসে জিজ্ঞাসা করল যে ২০৯৩ ক্যাডেট নাম্বার কার :-/
আমি বললাম আমার, ” কেন কি হয়েছে ?”
উনি বললেন ক্যাশিয়ার আমাকে ডাকছেন । একটু খুশিই হলাম কারণ মনে হল ১০০০ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো আছে । রুমে ঢুকতেই ক্যাশিয়ার সাহেব বললেন ১০০ টাকা দিন :-/
আমি আৎকে উঠলাম, টাকা নিতে আসলাম আর আপনি টাকা চাইছেন মানে কি 😡
আপনার জরিমানা বাকী ছিল ১০০ টাকা । পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন :bash:
সবাই একসাথে হেসে উঠলাম 😀
তাড়াতাড়ি মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিলাম । বলে রাখা ভাল পাক্ষিকে আমি প্রায়ই ফেল করতাম । ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে জটিল ছাত্র ছিলাম কিন্তু তারপর যেন কেমন হয়ে গেছি :gulti:
এতদিন পর কলেজে গেলাম অথচ হাউসে যেতে পারব না এটা একটা কথা হল ?
ভিপি স্যারের সাথে গোল্লাছোট খেলে হাউসে যেতে হল :khekz:
এক্স-ক্যাডেটদের অধিকার আসলে কতটুকু ?
আমি আশা করব কোন এক্স-ক্যাডেটকে যাতে আর গোল্লাছোট খেলতে না হয় :just:
গোল্লাছুট খেলায় জয়ী হওয়ার জন্য অভিনন্দন।
প্রথম হওয়ার জন্য আপনাকেও অভিনন্দন............ 😀 😀
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
2য় B-)
আমি কলেজে যাবার পর আমার মনে হয়েছিল ভিপি স্যার একটু পাগলা গোছের। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে অতিষ্ট করে তোলেন।
ভাই কলেজের প্রত্যেকটা ক্যাডেট উনারে পাগল কয় 😛
কোন অধিকার নাই, আবার সব অধিকারই আছে.........।। নিদৃষ্ট করে কিছু না থাকাই ভাল.........।। :awesome: :awesome: :awesome: :awesome:
তাহমিনুল কিন্তু আমার চাইতে অনেক বেশী আরাম পাইছে ভাই। কিন্তু আমি ওর চাইতে বেশী মজা পাইছি :grr:
কারণ ওর অধিকার দেয়া হয়েছিল কিছু কিছু--- আমি বানিয়ে নিয়েছিলাম অনেক... 😀
এইটা ঠিক কইছেন মাহমুদ ভাই 😀
আপনাদের কিরকম সাইজ দিছিল সেইটা তো আপনেও কইছেন আর কলেজের ক্যাডেটরাও কইল :((
ভাই অধিকারের ধার ধারে কে বলেন তো B-)
লেখার স্টাইল দিন দিন সুন্দর হচ্ছে তাহমিনুল...
:boss:
আমরা যেভাবে চিন্তা করি-- ওরকম চিন্তা যদি লেখাতে পাই তাহলে ভালো লাগে---আপন আপন লাগে...
যেমন বলছিস,
আমারো এইরকম মনে হইছিলো...
🙁 🙁
:shy: :shy: :shy: :shy: :shy:
বাহ্! ভালই মজা করলে তাহলে।
বের হওয়ার পর কলেজে যাওয়া সবসময়ই খুব ভাল লাগার মত একটা ব্যাপার।
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
আসলেই জটিল মজা হয়েছে :tuski: :tuski: :tuski:
ওই শুভ্র আর জোবায়ের কলেজে গেছে গিয়ে x-(
আমি এবার রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ দেখতে চাইছিলাম ওরা কইলো আমারে নিয়া যাইবো 😡 😡
আর তোরে কি আমি কখনো দেখসি??
ইয়াহু আইডি দে
তোর নামটা অচেনা মনে হইতেসে ~x(
লেখা ভালো হইসে :hug:
কিন্তু মজা পাইসি যে তুই ও আমার মতো ফেল করতি :grr:
ফেল করতে আমি ভালা পাইতাম 😡
আসলে রাজশাহী যাওয়ার ব্যাপারটি আমরা অনেকটা হুট করেই ফাইনাল করেছিলাম 🙁
এইজন্য মনে হয় জোবায়ের আর শুভ্রর খেয়াল ছিল না 😛
তুই আমারে কখনো দেখছিস কিনা তা বলতে পারব না কিন্তু তোরে মনে হয় কোথায় যেন দেখছি :-/
:boss: :boss: :boss:
ফেল না করলে তো পাশ করার মজা নাই তাই না 😀
rimon_islam39@yahoo.com
এক্স ক্যাডেটরা কলেজে গেলে নানা রকম রেস্ট্রিকশনের সম্মুখীন হন। কিন্তু এতদিন পর কলেজে এসে হাউসে কিংবা অ্যাকাডেমিক ব্লকে যেতে না পারলে খারাপ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক এবং সেই রেস্ট্রিকশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে হাউসে চলে যাওয়াটাকে খুব একটা খারাপ চোখে দেখি না আমি।
কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, কলেজে এই ব্যাপারগুলো করা হয় কিছুটা যুক্তিসংগত কারণে।
অনেক এক্স ক্যাডেট প্যারেন্টস ডে কিংবা এই রকম সাডেন ভিজিটে কলেজে গিয়ে পর্ণ, সিগারেট এমনকি গাঁজা সাপ্লাই দিয়েছিলেন (sorry to say but its true) এবং পরবর্তীতে ধরা খাবার পর প্রেজেন্ট ক্যাডেটরা অথরিটির চাপে সুন্দর করে সেই এক্স ক্যাডেট এর ঘাড়ে সব দোষ চাপায়।
আমাদের কলেজে এমন একটা ঘটনার পর অথরিটি তক্কে তক্কে ছিল এর পরের প্যারেন্টস ডে তে। সেদিনও সেই এক্স ক্যাডেট একই কাজে কলেজে এসেছিলেন, এবং তাকে হাতে নাতে ধরা হয়।
আমাদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস রেখেই কলেজ অথরিটি এক জন এক্স ক্যাডেটকে সাডেন ভিজিটে হাউস, অ্যাকাডেমিক ব্লকে যাবার অনুমতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু অথরিটির সেই বিশ্বাসের মর্যাদা না দিতে পারার ঘটনা নেহায়েত কম নয়।
ছয় বছরের কঠোর শ্রম ও অধ্যবসায়ের পর যদি এক জন এক্স ক্যাডেট এর কাছ থেকে এরকম কিছু পাওয়া যায়, তবে কলেজ অথরিটি কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ এজন্য আমরা এক্স ক্যাডেটরাই দায়ী।
কলেজে যাবার পর সেই চিরচেনা হাউস, ডাইনিং হল, অ্যাকাডেমিক ব্লকে যেতে না পারলে খারাপ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। আমি কখনোই পারব না। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে প্রেজেন্ট ক্যাডেটদের ভালর জন্য।
তবে মাঝে মাঝে কলেজে গেলে এক্সক্যাডেট দের প্রতি কলেজ অথরিটির বিমাতাসুলভ আচরণ মাঝে মাঝে মাত্রা ছাড়িয়ে যায় (মাহমুদের মত এই রকম আরো অনেক ঘটনা আছে)। অথরিটির উচিত সেদিকটার দিকে লক্ষ্য রাখা। গুটিকয়েক অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বাকি সবার সাফার করা উচিত নয়।
:thumbup: :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
প্রতিটি কথাই যুক্তিপূর্ণ বলেছিস বন্ধু।
সহমত
:thumbup: :thumbup:
:thumbup: :thumbup:
:thumbup: :thumbup:
:clap: :clap: :clap:
তুহিন ভাই ভাল বলেছেন কিন্তু কি করব বলেন মন তো মানে না 🙁
তাহমিনুল
এতদিন কলেজে ছিলাম তোর সিনিয়র-- জেপি, প্রিফেক্ট...
আমার দুঃখ তোরে সিনিয়র গো লগে ব্যবহার শিখাইতে পারিনাই।
দেখা করবি। তোর লগে আমার ডিটেইল কথা আছে...
আপাতত মেসেঞ্জারে আয় :grr: :grr:
তোমার লেখা পড়ে আমরা আমাদের মতো ইমো সাইনগুলো কল্পনা করে নিব সেইখানেই মনে হয় তোমার স্বার্থকতা তুমি নিজেই যদি এতোগুলো ব্যবহার করো তো লেখার সাবলীলতা অনেকটা ম্লান হয়ে যায় মনে হয়। এ বাদ দিয়ে লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। আমিও তুহিনের কথাগুলোর সাথে একমত।
ওহ তারিক হাউসের নাম দেখলাম ট্যাগে 😀