বুলু! আমার বুলু!

তখন কেবল নতুন নতুন পড়া শিখেছি। “অ তে অজগর আসছে তেড়ে”। “আ তে আমটি আমি খাব পেড়ে”। প্লাস্টিক বইয়ের পাতার রঙিন ছবিগুলো, শব্দগুলো, আর এলোমেলো অক্ষরগুলো নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছিল আমার মস্তিষ্কের অন্তর্জালগুলোতে। অনুভূত পৃথিবীটাকে, আশেপাশের কাছের-দুরের মানুষগুলোকে, অনুভূতিগুলোকে ধীরে ধীরে প্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করছি। এমন সময় জানলাম, বাসার চিরচেনা জগতটাকে পাশে রেখে, প্রিয়জনগুলোর সান্নিধ্য ছেড়ে কোন এক জায়গা, স্কুলে নাকি যেতে হবে। ছোট্ট আমি,

বিস্তারিত»

পৃথিবীতে একদিন… [ পর্ব: ৩ ]

একঃ

ইলেকট্রিসিটি একবার ড্রপ করতেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২য় জেনারেটর চালু হয়েছে। টেকওভার করার আগে এত নিখুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নেয়ার পরেও কিভাবে এমন অঘটন ঘটলো কারো মাথায় আসছে না। জ্বালানী হিসেবে এখনকার আধুনিক যানগুলোতে টেনটিনাম-৩ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানে আমাদেরটায় টেনটিনাম-৫ ক্যাটাগরি ব্যবহার হচ্ছে। এত সহজেই ফুরিয়ে যাবার কথা না।

 

 

প্রফেসর সাইফুনো সবাইকে অভয় দিয়ে বললেন,

বিস্তারিত»

পৃথিবীতে একদিন…! [ পর্বঃ ২ ]

সবকটা জানালার কাঁচ কালো কাগজ দিয়ে ঢেকে দেয়া।

জানালার কপাটও ভেতর থেকে পুরোপুরি লক করা হয়েছে কিছুক্ষণ আগে।

ছাদ বরাবর ছোট্ট ভেন্টিলেটরটা দিয়ে সামান্য যা একটু আলো এসে পরছে, তাতে পুরোপুরি লাভ না হলেও অন্ততঃ ঘুটুঘুটে অন্ধকার ভাবটা কিছুটা দূর হয়েছে।

 

তিতিনা, জ্যাকি আর নিনি হাটু ভেঙে মাথা গুজে উপুড় হয়ে বসে আছে একটা কোনায়। এদিকের বেডের সাথে হেলান দিয়ে আছে নিহাদ,

বিস্তারিত»

পৃথিবীতে একদিন…! [পর্বঃ ১]

ভ্রু কুচকিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে ইভানা। কোথাও কোনও প্রাণের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। সাধারণ স্পেস-শীপ গুলোর থেকে এই শীপটা একটু আলাদা। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হাজার হাজার বাটন-এর ঝামেলা নেই, টাইটেনিয়াম কেব্‌ল, উপরে নিচে চতুর্দিকে এটা সেটার রেগুলেটর সুইচ, কিংবা জায়গায় জায়গায় মনিটরেরও বালাই নেই।

বিস্তারিত»

ভালোবাসি……জনম জনম

কি আশ্চর্য!! বাসে উঠেই আমি ভিমড়ী খেয়ে গেলাম। আজ সিট খালি দেখা যাচ্ছে। যাই হোক, সাত-পাঁচ না ভেবে বসে পড়লাম মাঝামাঝি একটা সিটে। কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে ব্যস্ত শহর দেখতে দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু কি অদ্ভুত, কোথাও ব্যস্ততার লক্ষন মাত্র নেই। খেয়াল করে দেখলাম, রাজলক্ষ্মী থেকে বনানী পর্যন্ত চলে এসেছি কিন্তু কোথাও যানজট এ বাস আটকা পড়েনি!! যোগাযোগ মন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হওয়াকে মনে মনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম।

বিস্তারিত»

এক টেরোরিস্টের জন্ম

ভূমিকা

প্রায় তিন বছর আগে একটি খবর ও কয়েকটি ছবিতে দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছিল। পাইলট বিহীন ‘ড্রোন’ বিমানের বোমা বর্ষনে আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত শাহ ওয়ালীকোট নামের এক স্থানে এক বিয়ে বাড়িতে অন্তত ১০ জন মহিলা, ২৩ জন শিশু এবং ৪ জন পুরুষ মারা গেছে এবং আরো ৩০ জন আহত হয়ে মত্যুর সাথে যুদ্ধ করে চলেছে। আহতদের মধ্যে বিয়ের কনেও এক জন। সুন্দর চেহারা ঝলসে গেছে বোমার বিস্ফোরনের আগুনে।

বিস্তারিত»

রাজাকার

স্বপ্নে এক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বর্তমানের এক তরুণের দেখা। প্রথমজনই কথা শুরু করলেন।

-রাজাকার কারা?
-একাত্তরে যারা রাজাকার দলের সদস্য ছিল তারা।
-রাজাকাররা কি ঘৃণ্য?
-অবশ্যই, কারণ তাদের কোন আদর্শ ছিল না; দশজনের কথা ভাবার আগে তারা নিজেদের কথা ভেবেছে; নিজের স্বার্থ আদায়ের ক্ষেত্রে তারা হিংস্রতার নিম্নতর স্তরে পর্যন্ত গিয়েছে; সম্পদ লুট করেছে; সাধারণ মানুষ হত্যা এমন কি ধর্ষণ করতেও বাঁধেনি তাদের।

বিস্তারিত»

আমার ছোট বেলা-তিন “অদ্ভুতুড়ে গল্প”।

“নাপিতের ভিটা” নিয়ে অনেক ভয়াবহ গল্প আছে । বহু মানুষের চাক্ষুষ প্রমান সমৃদ্ধ গল্প।তার মধ্যে একটা না বলে পারছিনা। চাঁদ রাত। পরের দিন সকালে ঈদের নামাজ পরে দু-চার শ ‘সমাজই-জমাতি’ মানুষ ক্ষীর পায়েস খাবে।তাই হ্যাজাক লাইট জ্বালিয়ে দালান বাড়ির উঠানে বড় কাচাঁরি ঘরের সামনে মণই ডেকচা তে কলস কলস দুধ ঢালা হচ্ছে ঘন মিষ্টান্ন করার উদ্দেশ্যে ।

“সমাজই- জমাতি” মানুষ হচ্ছে,

বিস্তারিত»

আমার ছোট বেলা-দুই “অদ্ভুতুড়ে গল্প”।

 

আমাদের বয়স ১০/১১ হবে।সবে মাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। গ্রামে আছি মাস কয়েক ধরে অর্থাৎ সেই যে ১৩ই ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পালিয়ে চলে এসেছি , তার পর রয়েই গেছি গ্রামে।গ্রামের নাম জয়পারা।

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কলাকোপা-বান্ধুরা।ওখান থেকে নৌকায় দোহার। শহর কেন্দ্র থেকে ৫০ মাইলের মধ্যে হলেও বর্ষায় মোটর লঞ্চে শাত/আট ঘণ্টার নদী পথ, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ঈছামতি পেরিয়ে নৌকায় আড়িয়াল বিল এর প্রচণ্ড ঢেউর নাচনে প্রাণটা যখন হাতের মুঠায়,

বিস্তারিত»

অতঃপর…

আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে বিন্দারের ফোনে। যারা আমার আগের লেখাগুলো পড়েছেন, তারা বোধহয় আমার এই ভাগিনাকে ভাল করে চেনেন। বিন্দারের ফোন মানেই সেখানে বিশেষ কিছু থাকবে। সেই বিশেষ কিছু টা কী হতে পারে আমার ধারনার বাইরে। আমি যদিও বিন্দারের মামা, তারপরও আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এই শিশুর কাছে আমি কিছুই না। বাঁদরামি ব্যাপারটাকে বিন্দার রীতিমত আতংক বানিয়ে ফেলেছে। আর ভয়টা সব সময় আমারই বেশি।

বিস্তারিত»

আমাদের ছেলেবেলা।

কলেজের কিছু ঘটনা বলি। এটাও মনে হচ্ছে বাজাজ টেলিফিল্ম এর সিরিয়াল গুলার মত হবে। এত ঘটনা। এর বেশ কিছু ঘটনা জায়গায় উপস্থিত ছিলাম না তাই ডায়লগ চেঞ্জ হতে পারে কিন্তু মূল ঘটনা অপরিবর্তিত।

 

১) ক্লাস সেভেন। প্রথম প্যারেন্টস ডে। আমার আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসে নাই। মন খারাপ। আর এক জনের মন খারাপ।সে ক্লাস টুয়েলভের সারোয়ার ভাই। উনার ও কেউ আসে নাই।

বিস্তারিত»

বিন্দারের জন্মদিনের গিফট অথবা একটি সিরিয়াস গল্প।

গত এক ঘণ্টা ধরে ইশিতার জন্য অপেক্ষা করছি। বেইলি রোড জায়গাটা অপেক্ষার জন্য খারাপ না। প্যারিস যদি প্রেমের নগরী হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের বেইলি রোডও ঢাকার বুকে এক খণ্ড প্যারিস। সকল প্রেমিকপ্রবরদের তীর্থস্থান। ঢাকার মেয়রের উচিত বেইলি রোডকে ‘প্রেমের অভয়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করা। গত এক ঘণ্টায় আমি এক এলাকার প্রেমাক্রান্ত ছেলে মেয়েদের নিয়ে মোটামুটিভাবে একটা গবেষণা করে ফেলেছি। সবাই একধরনের সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ। শেষকক্ষপথে ইলেকট্রন শেয়ারের মত এরাও একে অন্যের হাত শেয়ার করছে।

বিস্তারিত»

ছোটগল্প: আমাদের মায়াবতীর একজোড়া কাজলকালো চোখ ছিলো

আমাদের গল্প শুরু হয় না শেষ হয় না কখনো। কেবল বৃত্তায়িত ভাবে ঘুরপাক খায় আমাদের বিকালের পুকুরপাড়ের আড্ডায়। মফস্বল এলাকার খবর হওয়া সব ঘটনাই উঠে আসে আমাদের আড্ডায় জোরেসোরে। এর মাঝে এখন মায়াবতীর গল্প কেউ ভুলক্রমে তুলে ফেললে আমরা না শোনার ভান করে এড়িয়ে যাই। তারপরেও হয়তো চোরা চোখ চলে যায় কোন এক সবুজের দিকে। বিকালের সূর্য আটকা পড়ে তার ক্লান্ত কক্ষপথের কোন এক চোরা গলিতে।

বিস্তারিত»

চড়ুই পাখি আর বেলী ফুলের গল্প।( শেষ পর্ব)

প্রথম পর্ব

বর্ষাকাল মানেই একটা প্রেম প্রেম ব্যাপার থাকবে। এই কথা আমি যেমন জানি, শাহ্‌বাগের ফুলওয়ালা মামারা আমার চাইতেও ভাল জানে। বেলী ফুল খুঁজতে আমাকে খুব বেশি একটা দৌড়াতে হয় না। নয়টার আগে শাহবাগ মোড়েই বেলীফুল পেলাম। ১০ টাকা বেশি দিয়ে দুইটা বেলীফুলের মালা কিনে পকেটে ভরলাম। এতক্ষণে অনুপমার ঘুম ভেঙেছে বোধ হয়। কতটা শৈল্পিক ভাবে ওকে ফুলগুলো দিব, ওর হিব্রু ভাষা আঁকানো চেহারাটা তখন দেখতে কেমন হবে- ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে বারডেমের দিকে হাঁটা দিই।

বিস্তারিত»