হলে ফিরে রুমে আসার পর দেখলো রাবেয়া কান্না ভেজা চোখে ওর বিছানার উপর বসে আছে। অজানা আশংকায় কাকনের বুকটা কেঁপে উঠেছিল। তারপরই সে রাবেয়ার কাছ থেকে সেই ভয়ংকর সংবাদটা শুনেছিল.
-চাচীর হার্ট এ্যটাক করেছে। অবস্থা খুব আশংকাজনক। এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে আছে।
সে আর দেরী করেনি। পরদিনই চলে গেল ময়মনসিংহে। মা কোন রকম ভাবে প্রাণে বেঁচে রইলো। তবে বুকের ভেতর একটা ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে। সেটা তাড়াতাড়ি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন।
এরপর সত্যিকার অর্থেই শুরু হলো কাকনের সংগ্রামী জীবন। নতুন করে দুটো টিউশনী জোগাড় করল। মায়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা লাগবে। প্রতিটা পাইপয়সা জমানোর চেষ্ঠা করতে লাগলো যা আজ পর্যন্ত করে চলছে।
অন্যদিকে খবর না দিয়ে হঠাৎ করে ময়মনসিংহে চলে যাওয়াতে কাকনের কোন খোঁজ না পেয়ে সবুজের একেবারে ত্রাহি অবস্থা। সেদিন পহেলা বৈশাখের পরদিনই হলে এসে কাকনের খোঁজ করতে গিয়ে সবুজ জানলো ওর ময়মনসিংহ চলে যাবার কথা। এরকম একটা দিন কাটানোর পর কাকন কিছু না বলে পরদিন চলে যাবে, সবুজের কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। প্রথমে খুব অভিমান হয়েছিল। পরে আশংকা হওয়াতে রাবেয়ার সাথে দেখা করে সব জানলো। সেবার বেশ অনেকদিন পরেই দুজনের দেখা হয়েছিল। সবুজ তো তখনই পারলে প্রায় ময়মনসিংহ ছুটে যায় কাকনের অসুস্থ মাকে দেখতে। ছেলেটার এতো কেয়ারিং স্বভাব কিছুটা সময়ের জন্য হলেও কাকনকে সব রকমের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়।
তবে এখন আর সবুজকে সে অর্থে আগের মতো সময় দিতে পারে না। চাকুরী, ক্লাস আর টিউশনি – এ তিনের চাপে কাকন আর এখন দিনের হিসেব করে না, সপ্তাহের হিসেবে চলে। মাঝে মধ্যে সবুজের সাথে দেখা হলে ভেতরের সব কথা বলে হাèা হওয়ার চেষ্ঠা করে। চাকুরীর প্রথম প্রথম ওরা অনেক ঘুরেছে, রেস্টুরেন্টে খেয়েছে। কাকনই সব খরচ দিত। এখন বাইরে খাওয়ার কথা তো কাকন ভাবতে পারে না।
সবুজের সাথে দেখা সাক্ষৎ আস্তে আস্তে খুব কমে আসছে। কিন্তু কাকন জানে সবুজ আছে ওর হূদয়ের মাঝখানে। যখন হাèা হবার জন্য একটা কাধের দরকার, তখন ঠিকই সবুজকে পাওয়া যাবে। এই যেমন আজকে খোলা হাওয়ার মধ্যে কিছুক্ষন পাশাপাশি থাকা।
কাকন বলল,
-তুমি আমাকে খুব সুন্দর করে প্রেম নিবেদন করেছিলে। এখনও সেদিনের কথা ভাবলে ভালো লাগে।
-তাহলে চাচাছোলাভবে যদি বিয়ের প্রস্তাব দিই তাহলে কিছু মনে কর না। একটাতো অন্তত সুন্দর ছিল।
-মানেটা কি? তোমার মতলব তো বুঝে উঠতে পারছি না।
-কোন মতলব নেই। আমার একটা চাকুরীর খবর হচ্ছে।
-বল কি? কোথায়?
-গৌড়িপুর ইসলামী ব্যাংকে।
-তাহলে তো ঢাকা ছাড়তে হবে।
-তা হবে। আমাদের কি আর ঢাকায় থাকা মানায়?
-তুমি আর বিসিএস পরীক্ষায় বসবে না?
-দু বার তো বসলাম, টিকতে তো পারলাম না। ও জায়গাতেও শুনেছি ঘুষ ছাড়া সুযোগ পাওয়া যায় না।
-তাহলে রাবেয়া এক বারে টিকলো কি করে?
-ওরকম যদি কেউ দিনরাত গাধার খাটুনি খাটে তাহলে না হয় একটা আশা থাকে। আমার পক্ষে এতো পড়াশোনা করা সম্ভব না। আর সবে তো মৌখিক পরীক্ষা দিল। দেখ সেখানে টিকে কিনা?
-ও ভালো কথা মনে হয়েছে। কালকে খুব ভোরে রাবেয়া চলে যাবে। এখন না গেলে হয়তো কথা বলা হবে না। উঠ হলে ফিরব।
-আর কিছুক্ষন থাক। হলে গিয়ে তার দেখা তো নাও পেতে পার।
-আমাকে না বলে যাবে না।
আবার রিক্সা ভ্রমন। সবুজ চুপ হয়ে আছে।
কাকন হলে গিয়ে দেখলো রাবেয়া আসলেও চলে গেছে। তারমানে সবুজ কি জানতো রাবেয়ার চলে যাওয়ার কথা?
এর এক সপ্তাহ পরেই জরুরি খবর পেয়ে কাকন প্রায় সাথে সাথেই ময়মনসিংহ চলে গেল। তবে এবার যাওয়ার আগে সবুজকে বলে যেতে ভুল করলো না। সেখানে গিয়ে সে মাকে আর জ্ঞান ফেরা অবস্থায় পায়নি। কমা থেকে মা সবাইকে ছেড়ে এ দুনিয়া থেকে বিদায় নিল। ওরা সব ভাইবোন বাবা খেয়ে না খেয়ে মার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাকা জমাচ্ছিল তা আর সেই কাজে লাগলো না। কাকন একবার আশা করেছিল সবুজ এখানে আসবে তার সাথে দেখা করতে। তখন সে পরিবারের সবার সাথে সবুজের পরিচয় করিয়ে দিতে পারবে। এতে পরবর্তীতে বিয়ের কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। কিন্তু সবুজ আর আসলো না।
প্রায় একমাস পরে ঢাকায় এসে সে চাকরীটা ছেড়ে দেয়। মার চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ত্রিশ হাজার টাকা জমিয়েছিল। এখন কিছুদিন চাকুরী না করলেও চলে। শরীর আর মনের উপর দিয়ে অনেক ধকল গেছে। গত বছরে চাকরী আর টিউশনীর চাপে পরে তো আর পরীক্ষা দেওয়া হলো না। এ বছর পড়াশোনা ছাড়া আর কোন চাপ রাখবে না। সেদিন টিএসসিতে মনে হচ্ছিল সবুজ বোধহয় সম্পর্কটাকে বিয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। কাকনের তো আর সেখানে আপত্তি করার কোন কারণ নাই। গৌড়িপুরে অনায়াসে সে একটা স্কুলের চাকরী যোগাড় করতে পারবে। সে তো এরকম একটা নির্ঝ³াট ছিমছাম জীবনের স্বপ্নই এতোদিন ধরে দেখে আসছিলো।
অনেকদিন ধরে সবুজের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছিল না। মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোনের মালিক আরেক নামে পরিচয় দেয়। নাম্বারে কোন ভুল হওয়ার কথা না। কারণ এ ফোনটা কাকনই সবুজকে দিয়েছিল। সবুজের হলে গিয়েও দেখা পায় না। অবশেষে একদিন হল গেট থেকে বুয়ার হাত দিয়ে কাকনের কাছে সবুজের এক চিরকুট এসে পৌছে। পরেরদিন সবুজ তাকে মৌলি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলেছে। কাকন আপাদমস্তক শিহরিত হয়। অনেক ঘুরিয়ে অবশেষে খুব নাটকীয়ভাবে সবুজ তাকে প্রেম প্রস্তাব করেছিল। এবার কি তার জন্য আরো বেশি চমক অপেক্ষা করছে?
সেদিন মৌলিতে কাকন একটা লাল শাড়ি পরে এসেছিল। রেস্টুরেন্টে ঢোকার মুখে বেশ একটু লজ্জা লজ্জা লাগছিলো। ভেবেছিলো ভেতরে ঢুকেই সে সবুজকে দেখবে। না সবুজ তখনো আসেনি। বেশ কিছুক্ষন ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। একটু অস্বস্তি লাগছিলো। তার পরে এসে একটা মেয়ে খাবারের অর্ডার দিয়ে এখন তো রীতিমতো খেতে শুরু করেছে। মেয়েটা একাকীই। কাকন এর আগে রেস্টুরেন্টে কোন মেয়েকে একা একা খেতে দেখেনি। তার কাছে বেশ অদ্ভুত লাগছিলো। বার বার সেদিকে চোখ চলে যাচ্ছিল।
খানিকপরে সবুজ আসে। কিছুটা উস্কোখুস্কো, গম্ভীর। বেয়াড়া এসে মেনু দিয়ে যায়। সবুজ কোন কথা বলে না। কাকন আশা করছিল অন্তত ওর মায়ের কথা জিজ্ঞেস করবে। সেসব প্রসঙ্গে না গিয়ে হঠাৎ করেই সবুজ কথা শুরু করে,
-আসলে আমি কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না, তাই সরাসরিই কথাটা বলে ফেলব ভাবছি। দয়া করে তুমি কোন সিন ক্রিয়েট করো না।
-তুমি কি বলছো আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
-দেখ আমাদের সম্পর্কটা এখানেই শেষ করতে চাচ্ছি।
হতভম্ব কাকন অবিশ্বাস্য চোখে সবুজের হাত আকড়ে ধরল।
-তুমি এমনটা করতে পার না। আমি বুঝেছি এটা তোমার দুষ্টামী। তাই না?
-না সত্যি। আমি আগেই বলেছি কোন সিন ক্রিয়েট করো না।
কিন্তু কাকন তা পারল না। অঝোরে কাঁদতে লাগলো। অনেক অনুনয় বিনয় করেও সে শেষ পর্যন্ত সবুজকে তার সির্দ্ধান্ত থেকে ফেরাতে পারল না। যাওয়ার আগে শুধু জিজ্ঞেস করলো,
-আমার দোষটা কোথায়?
-তুমি আমার থেকে বয়সে দুবছরের বড়।
-এটা জেনেই তো তুমি আমার সাথে সম্পর্ক করেছিলে, এখন এটা সমস্যা হয়ে দেখা দিল কেন?
-তখন বয়স অল্প ছিল। অনেক আবেগী ছিলাম। কিন্তু অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম যেটাকে আগে কোন সমস্যা মনে হয়নি সেটাই এখন মনের মধ্যে দ্বিধা তৈরী করছে।
কাকন হতবিহবল। মনে হচ্ছে এ সবুজকে সে চিনে না। এই কিছুদিন আগেই তার জীবনে এতো ব্যস্ততা ছিল, পাশে সবুজ ছিল আর এখন হঠাৎ করেই সব শুন্য হয়ে যাবে? গত এক মাসে সবুজের বয়স হঠাৎ করেই এমন কি বেড়ে গেল যে তার মনোজগতে আমুল পরিবর্তন ঘটবে? নাকি চাকরীর পাকা ব্যবস্থা হয়ে গেছে?
-তোমার চাকরীটা কি হয়ে গেছে?
-সেটা কি তোমার জানার খুব প্রয়োজন আছে?
কেউ যেন কাকনের গালে ঠাস করে চড় কষাল। এর আগে সবুজ কখনও তাকে এরকম অপমান করেনি। শুন্য দৃষ্টি নিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখলো সেই একাকী মেয়েটা বিল মিটিয়ে উঠে দাড়িয়ে খুব দৃ• পদক্ষেপে চলে যাচ্ছে। সটান গ্রীবা যেন কোনদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তার দৃষ্টির শুন্যতা কেটে যেতে শুরু করেছে। মনে হলো এতোক্ষন সে শুধু শুধুই নিজেকে অপমানিত হতে দিচ্ছে।
-সরি তোমাকে এ প্রশ্নটা করার জন্য। আমি চলে যাচ্ছি।
কথা শেষ করেই কাকন একেবারে শক্ত হয়ে উঠে দাড়িয়ে একবারের জন্যও পিছনে না ফিরে সোজা মৌলি থেকে বের হয়ে আসে। নিজের কাজে সে নিজেই মু© হয়ে গেল। হঠাৎ করে কোথ্নেকে সে এতো শক্তি পেল? মনে মনে সেই একাকী মেয়েটাকে একটা ধন্যবাদ দিল। সবুজের শেষ কথাটা শুনে তার মনে হলো এই ছেলে তার চোখের পানিরও যোগ্য না। দরকার হলে সে একজন সৎ হূদয়ের মুদি দোকানদারকে বিয়ে করবে কিন্তু কখনই এই রকম কোন ভন্ডের সাথে আর নিজেকে জড়াবে না।
সে রাতে হলে ফিরে কাকন দেখলো তার জন্য এক বড় ধরনের চমক অপেক্ষা করছিল। তার নামে দুটো চিঠি এসেছে। তার মধ্যে আছে একটা বড় সর খাম যেটা এসেছে সূদূর আমেরিকা থেকে। আর আরেকটা চিঠির প্রেরক রাবেয়া। রাবেয়ার চিঠিটা আগে পড়ল। সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে রাবেয়া যা লিখেছে তার সারমর্ম এই দাড়ায় যে ঢাকায় এসে সবুজের কাছ থেকে অনেক উপকার পেয়ে নিজের অজান্েতই সে সবুজের প্রেমে পরে গিয়েছিল। সবুজের সাথে কাকনের সম্পর্কটা আসলে কি পর্যায়ের সে ব্যাপারে রাবেয়ার কোন ধারণা ছিল না। সম্পর্কটা যে প্রেমের না সেটা সবুজের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর কিছুদিন আগে সবুজের প্রেমের প্রস্তাবে সে রাজী হয়েছে। তার আরো একটা সুসংবাদ আছে যে শিক্ষা ক্যাডারে সে বিসিএস পরীক্ষার ভাইবাতে টিকে গেছে। কিছুদিন আগে তার ট্রেনিং শেষ হবে। তারপর গৌড়িপুর কলেজে সে তার প্রথম পোষ্টিং নেওয়ার চেষ্টা করবে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো এই চিঠিটা পড়ে কাকনের তেমন কোন প্রতিক্রিয়া হলো না। সে অতি দ্রুততায় আমেরিকার খামটা খুলে ফেললো।
দ্বিতীয় চিঠিটা পড়ার পর সে এমন ভিমড়ী খেল যে আজকের সারাদিনের ঘটনা এমনকি রাবেয়ার চিঠির ভাবার্থ এক লহমায় ওর মাথা থেকে দূর হয়ে গেল।
সে আমেরিকার ডিভি ভিসা পেয়েছে!
মায়ের অপারেশনের জন্য জমানো টাকা দিয়ে অবশেষে কাকনকে আমেরিকা যাওয়ার টিকেট কাটতে হলো। বাবা আর ভাইবোনরাও টাকা দিয়ে সাহায্য করলো। এই পরিবারের মধ্যে প্রথম একজন আমেরিকা যাচ্ছে। বিদায় দেওয়ার জন্য সবাই ঢাকায় এসেছে। আগের রাতে সবাই তাদের মতো করে থাকার ব্যবস্থা করে নিয়েছে। পরেরদিন সবাই একসাথে এয়ারপোর্টে মিলিত হবে।
কাকনের আজকের রাতটাই এই হলে শেষ রাত। একদিন ঢাকা শহরে দুরু দুরু বক্ষে এসেছিল। তখন সামনের দিনগুলো নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল। অথচ এখন আমেরিকায় যাচ্ছে, কোন ভয়ই লাগছে না। হলগেটে ডাক পরেছে, কেউ হয়তো দেখা করতে এসেছে। ওর আমেরিকা যাবার কথা শুনে ক্লাসের অনেক বন্ধুবান্ধবই দেখা করতে আসছে।
ভিসিটিং রুমে এসে যাকে দেখলো তাকে একদমই আশা করেনি। এককোনায় সবুজ বসে আছে বিনীত মুখে। সেই কথা শুরু করল,
-শুনলাম কালকে আমেরিকা চলে যাচ্ছ?
কাকন ব্যাগ খুলে ওর মোবাইল ফোনটা নাড়াচাড়া করছিল। কিছুটা না শোনার ভান করে ছোট্ট করে উত্তর দিল,
-হু।
-সেদিন যে তুমি সত্যি সত্যিই ভরকে গিয়ে আমার দুষ্টামীটা বুঝতে পারবে না তা একদমই ভাবতে পারিনি।
-কোনদিনের কথা বলছো?
-ঐ যে সেদিন মৌলিতে যা হলো।
-তা তুমি সেদিন যে আমাকে বলেছিলে আমি তোমার থেকে বয়সে বড় বলে আর আমাকে ভালবাসো না, বিয়ের কথা তো বাদই দিলাম, তা সবই তোমার দুষ্টামী ছিল?
-হ্যা একদম সত্যি।
-আমেরিকা যেতে চাও সবুজ? আমাকে বিয়ে করলে কিন্তু এখনই যেতে পারবে?
-আমেরিকা যাওয়ার জন্য না, তবে কাকন তোমাকে ছাড়া আমি একদমই বাঁচবো না। এই কয়দিনে এই সত্যি কথাটা আমি হাড়ে হাড়ে উপলদ্ধি করেছি। তুমি চাইলে আমি এখনই তোমাকে বিয়ে করতে পারি।
-সত্যি তো? এটা তো আবার তোমার কোন দুষ্টামী না?
-না একদমই না। আল্লার কসম কেটে বলছি।
-ঠিক আছে তোমাকে বিশ্বাস করলাম। তুমি এবার একটু আমার এই ফোনটাতে একটু কথা বল। অপরপ্রান্েত একজন অপেক্ষা করছে।
-তোমার ফোন কি অন করা ছিল? কার সাথে কথা বলতে বলছো?
-আগামীকাল চলে যাচ্ছি। রাবেয়ার কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে না? ওকে কল দিয়েছিলাম। বাই দা ওয়ে ও আমাদের সব কথা শুনে ফেলেছে। নাও এবার তুমি একটু ওর সাথে কথা বলো।
সবুজের হাতে ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে ওর হঠাৎ সাদা হয়ে যাওয়া ফ্যাকাসে মুখটা পেছনে ফেলে কাকন সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
(শেষ)
অনেক আগের লেখা। না পড়েই পোস্ট করছি। অনেক বানান ভুল থাকতে পারে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বাস্তবে যদি এভাবে যার যা প্রাপ্য সেটা পেয়ে যেত...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আপু লেখা দুইটায় ১, ২ দিয়ে দেন। অনেকের বুঝতে সুবিধা হবে।
দুই পর্ব একসাথে পড়লাম। ভাল লাগলো।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দুইটা পর্ব একসাথে পড়লাম। 🙂
🙂 🙂 পড়ছো ভাল কথা। কিছু বলো নাই আরও ভালো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,খুব মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আপনার যে বইটা বের হয়েছিলো, আমি নামটা ভুলে গেছি। 🙁
নামটা একটু স্মরণ করিয়ে দিবেন প্লীজ?
খেয়া (২০০৬-২০১১)
মাইন্ড করলেন নাকি ? বুঝলাম না !! আমি কিছু বলি না মোটামুটি একমত হইলে এই আর কি। গল্পটা বেশ ভালো লাগছে। তবে আপনি সময় নিয়ে ঘষামাজা করলে একন হয়তো আরো জীবন্ত রূপ দিতে পারবেন। 🙂
@আমিন,
মাইন্ড করবো কেন? আমার মাইন্ড অতো সহজে নড়েচড়ে না। বলো নাই খুশী হয়েছি কারণ বললে যে 'ঘষামাজা'র কথা বলতে তা আমি জানি। আমি নিজেই গল্পটা পড়তে গিয়ে দেখি এখন লিখলে তা আরও জীবন্ত (+পরিপক্ক) করতে পারতাম। তাই।
@খেয়া,
আমার বইয়ের খবর তুমি জানলে কিভাবে? জিজ্ঞেস করছি কারণ খুবই আনন্দিত বোধ করছি। যে বইটা বের হয়েছিলো তার নাম 'কিন্নরকণ্ঠী নদী'। আর যে বইটা এই বছর বের হবার কথা ছিল তার নাম 'বিতংস'। বইয়ের আয়তন বেশি বড় হয়ে যাওয়াতে প্রকাশক মনে করেছে নতুন লেখকের জন্য তার পক্ষে বেশি ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যাচ্ছে। তাই আর বের করেনি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বের হয়নি? 🙁
আমি এদিকে ভাবছিলাম দেশে পাত্তা লাগাবো।
এ লেখাটা পড়িনি এখনো। একটু সময় নিয়ে পড়বো।
তোমার লেখা সময় নিয়ে পড়তে হয়।
আচ্ছা বলেন তো কিভাবে লিখলে সময় নিয়ে পড়তে হবে না?
🙁 🙁
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
সেইরকম আপু সেইরকম। মনে ভরে গেল এরকম একটা লেখা পড়ে। দারুণ দারুণ।
::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute::
Saleh
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
খেয়া (২০০৬-২০১১)
অসাধারণ
আপু, চরম হয়েছে, সত্যিই অসাধারণ!! পুরাই অস্থির!! :thumbup: ::salute:: :duel: :awesome: :thumbup: ::salute:: :duel: :awesome: :boss:
আপা,
২টা পর্বই একসাথে পড়লাম। পড়া শেষে একটা ভালো লাগার অনুভূতি পেয়ে বসেছে।
সম্ভবত সবশেষে 'দুষ্টের দমন' জাতীয় এন্ডিং এর জন্য।
১ম পর্ব পড়ে মনে হয়েছে, আপনি সাবলীলভাবে 'কাকনের' সূক্ষ অনুভূতিগুলোও তুলে ধরেছেন। ২য় পর্ব পড়ে মনে হয়েছে, ঘটনা খুব দ্রুত এগিয়েছে। আমি নিশ্চিত, আপনি আরো একটু 'ঘষামাজা' করলে পুরো গল্পটাকে আরো জমিয়ে তুলতে পারতেন।
অনেকদিন ধরেই মনে করেছিলাম, আপনার লেখা সম্বন্ধে একটা কথা বলব। আমি আসলে খুব বেশী সাহিত্য পড়িনি। যাও পড়েছি, তার অধিকাংশই সায়েন্স ফিকশন অথবা ঢিশুম ঢিশুম থ্রিলার। তবে এর মধ্যে হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের গল্পগুলো দারুন লেগেছে। তার গল্পের একটা বড় বৈশিষ্ট্য, চারপাশের প্রকৃতির অসাধারণ বর্ণনা। মনে হয় যেন মুভি দেখছি। আপনি মানুষের অনুভূতিকে অনেক জীবন্তভাবে তুলে ধরেন, অনেকটা হ্যাগার্ডের মত। আপনি এটাকে ধরে রাখবেন। অবশ্য আমি জানি, আপনাকে কেউ কিছু না বল্লেও আপনি ঠিকই এটাকে ধরে রাখবেন।
সবশেষে একটা প্রশ্ন, আপনার লেখা বইগুলো কি অনলাইনে কেনা যাবে, ই-বুক ফর্ম্যাটে?
হ্যাগার্ডের লেখা আমি পড়ি নাই। তবে সামনে পড়ার আশা রাখি।
কেউ লেখা পড়তে চাইলে তো সেটা আমার কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো মনে হয়। সমস্যা হলো গিয়ে লেখাগুলোকে উপস্থাপন করার জন্য বই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম।এর জন্য আমি প্রকাশকের দিকে তাকিয়ে আছি।
অনেক ধন্যবাদ তোমার সুন্দর কথাগুলোর জন্য।
অঃ টঃ আশা করি সুনামী+ভূমিকম্পজনিত অধ্যায় এখন অতীত হয়ে গেছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা,
হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের গল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল, 'কিং সলোমোন'স মাইনস', 'অ্যালান কোয়ারটারমেইন' এবং 'শী'। লেখক সম্বন্ধে জানতে পারবেন এখানে,http://en.wikipedia.org/wiki/Henry_Rider_Haggard.
এবং তার বইগুলো অনলাইনে ফ্রি পাবেন এখানে, http://www.gutenberg.org/ebooks/search/?query=H.+Rider+Haggard
আপনি যে প্রকাশকের দিকে তাকিয়ে আছেন, এটা জেনে একটা ঘটনা মনে পড়ল।
জাপানের রাষ্ট্রীয় টিভি 'এন এইচ কে' তে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের মধ্যে অনেক শিক্ষামুলক অনুষ্ঠান হয়। প্রায় ২ বছর আগে, টিনএজারদের উদ্দেশ্যে তৈরী একটা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২জন বিজ্ঞানীকে দেখানো হয় যারা কিনা গৃহস্হালি আবর্জনা থেকে জৈব সার উদ্ভাবন করে রিতিমত সফল একটি সার কারখানা চালু করেছেন।
আমরা সবাই ঢাকার বস্তি এলাকার নোংরা আবর্জনাময় পরিবেশের কথা জানি। ঐ ২ বিজ্ঞানী খুব সস্তায় এমন একটি সিষ্টেম বের করেছেন, যাতে সারও তৈরী হবে, বস্তির পরিবেশ ও ভালো থাকবে, বস্তিবাসীও লাভবান হবে, কৃষকও উপকৃত হবে। সিষ্টেমটা চালু করার জন্য তারা বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে ধরণা দেন। কিন্তু তথাকথিত আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কেউই তাদেরকে সহযোগিতা করেনি। যখন তারা প্রায় হাল ছেড়ে দিবেন, তখনই একজন কর্মবিমুখ কর্মকর্তা উপদেশ দেন, 'আপনারা যদি এটাকে এতই সম্ভাবনাময় মনে করেন, তাহলে নিজেরাই করে দেখেন না কেন?' এই কথাটাই তাদের মধ্যে যাদুর মত কাজ করে। 'তাইতো, আমরা অন্যের জন্য আপেক্ষা করে আছি কেন?' নিজেরাই কিছু টাকা জোগাড় করে, আগারগাঁও বস্তিতে তারা প্রথম প্রজেক্ট চালু করে। লাভের একটা অংশ বস্তিবাসীরাও পেয়ে থাকে। বাংলাদেশে বর্তমানে তারা সম্ভবত সবচেয়ে সফল জৈব সার ব্যবসায়ী।
'এন এইচ কে' আগারগাঁও বস্তিতে গিয়ে পুরো সিস্টেমটা তুলে ধরেছে এবং কাহিনীটা ২ বিজ্ঞানী এবং বস্তিবাসীদের সাক্ষাতকার থেকে তৈরী করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে একটি কথা দিয়ে, ' যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে'।
প্রকাশক হবার ঝক্কিঝামেলা সম্বন্ধে আমার কোন ধারনা নেই। তবুও মনে হয়, আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তবে আপনি নিজেই প্রকাশক হয়ে যাননা কেন?
(ভুমিকম্প সম্বন্ধে লিখতে চেয়েছিলাম, সময় কম বলে কাল-পরশু লিখব। সরি। একটু অপেক্ষা করুন।) (সম্পাদিত) (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
দেশে গেলেই মনে হয় এখানে করার কত কিছু আছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে এই জৈবসার বিষয়ক। এটা নিয়ে যে অলরেডি একটা সফল প্রজেক্ট হয়েছে এটা জেনে ভাল লাগলো।
আমি যেহেতু অন্য অবজেক্টিভ নিয়ে ব্যস্ত আছি তাই আর প্রকাশক হবার ইচ্ছে নেই। দেশে পুরনো এবং বড় বড় কিছু প্রকাশনী সংস্থা আছে যারা অনেক হাত ঘুরে রিভিউ হবার পর এক একটি পাণ্ডুলিপিকে বইয়ে রূপান্তরিত করে।আমার প্রকাশনীর এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা।আর ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কমপক্ষে পাঁচটি বই বের হবার পরও যদি কেউ লেখা চালিয়ে যায় তবেই তাকে লেখক হিসেবে কাউন্ট করতে হবে। এর আগে নয়। কারণ প্রতিটি মানুষই অন্ততঃ একটি বই লেখার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় আর তা হলো তার জীবনী। অনেক সময় দেখা যায় সেই একটি বইটি বিখ্যাত হয়ে গেছে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ভেরী গুড। :clap: :clap:
আমি প্রার্থনা করি, আপনি যেন ভালোভাবেই এই পরীক্ষায় পাশ করেন।
এবার আশা যাক, সুনামী+ভূমিকম্পজনিত অধ্যায়ে। ঘটনা ঠিকই অতীত হয়ে গেছে, কিন্তু এর প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে আগের অবস্হায় ফিরে আসতে এখনও অনেক সময় দরকার। সহজেই চোখে পড়ে এমন পরিবর্তন ছাড়াও আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে সুনামী-আক্রান্তদের মধ্য থেকে অনেকেই সম্পূর্ণ নতুনভাবে জীবনকে গড়তে শুরু করেছে।
কিছুদিন আগে একজন জাপানীর সাথে পরিচিত হলাম, সুনামীতে বাবা-মা সহ প্রাণে বেঁচে গেলেও, বাড়ী-গাড়ী, চাকুরিরত অফিস সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। সে গত দশ বছর যাবত একাউন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করলেও, বর্তমানে সে এয়ারক্রাফট কেবিন এটেনডেন্ট হবার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এর কারণ জিজ্ঞেস করায় সে বলল, " জীবন তো একটাই। নিজের প্রতি যেন আফসোস না থাকে সেজন্য যা একসময় আমার স্বপ্ন ছিল তা পূরণ করার চেষ্টা করছি।"
সুনামী আক্রান্ত শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্হগুলোর একটা হল ইশিনোমাকি, তোহোকু এরিয়ার অন্যতম প্রধান ফিশিং পোর্ট। সেখানে ভুমিকম্পের মাত্র পনেরো মিনিট পর, প্রায় চারতলা উঁচু সুনামী আঘাত হানে। তিন সপ্তাহ আগে সেখানে গিয়েছিলাম বর্তমান অবস্হা দেখার জন্য। শহরের ভিতরের অবস্হা অনেকখানি ঠিক হলেও পোর্ট এরিয়া এখনোও বিধ্বস্ত। পোর্টের কাছাকাছি পুরো এলাকা জুড়ে কেমন যেন একটা বোটকা গন্ধ। আবর্জনার গন্ধ। পুরোদমে প্রসেসিং এগিয়ে চললেও এখনও শেষ হয়নি। পোর্টের কাছাকাছি ছোট একটা পাহাড়কে পিছনে রেখে একটা হাসপাতাল ছিল। তিনতলা। কিন্তু কেউ বাঁচেনি। ইশিনোমাকির সুনামী যে কতটা ভয়ংকর ছিল সেটা এই ভিডিওতে পাবেন। ভিডিও করার স্হান সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় পাচশ মিটার দুরে ছিল। http://www.youtube.com/watch?v=aAIj2fws5O4
যাহোক, এখন আর এসব নিয়ে কিছু ভাবিনা। সবসময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি।
গল্পটা (দুইপর্ব) আজ পড়লাম শান্তা আপা। গল্পটা স্থান এবং কালের বিবেচনায় যে সময়টাকে ধরতে চেষ্টা করেছে তখন সম্ভবত মোবাইল ফোন এত সহজলোভ্য ছিল না। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু পিলু মাস্টার্স নব্বইয়ের শুরু পর্যন্ত ছিল। আমাদের সময় ছিল না। মোবাইলটা সবার হাতে আসে ২০০৩/০৪ এর দিকে। শেষের দিকে গল্পটায় গল্পের চেয়ে সিনেমেট্যাটিক ইফেক্টস বেশি মনে হয়েছে। টাইপোগুলো দেখেন একটু।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
"বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু পিলু মাস্টার্স নব্বইয়ের শুরু পর্যন্ত ছিল"
এই কথাটা তুমি আবার ডাবল চেক করে দেখো। ৯৫ পর্যন্ত ছিল - এইটা আমি নিশ্চিত এমনকি আমরা আসার (৯৮) আগ পর্যন্তও ছিল। তখন অবশ্য মোবাইলের দাম অনেক ছিল। মোবাইল ব্যাপারটাই খুব অভিজাত ছিল।
হুমম ইহা একটি নান্টু প্রযোজনা।সময়াভাবে গান, নাচ, ঢিসুম-ঢিসুম আর ছেড়E দে শয়তান যোগ করতে পারি না।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপনার পিলু মাস্টার্সের সময় হয়তো ঠিক আছে। তবে আমরা ৯৮-৯৯ সেশনে যখন শুরু করলাম তখন পিলু ছিলনা। মূল পয়েন্ট পিলু এবং মোবাইলের সহজলোভ্যতা দুইটার মাঝে সময়ের গ্যাপ ছিল। গল্পকার হিসেবে যেকোনভাবে এটাকে ধরতে পারেন। কিন্তু যখন উপাদান হিসেবে এদুটো গল্পের সময়কালকে ধরেছে আমার কাছে গল্পে একটা গ্যাপ মনে হলো। যেহেতু কাঁকনের চরিত্রায়ন স্ট্রাগল করা মেয়ে হিসেবে পাচ্ছি আমরা।
সিনেম্যাটিক মনে হলো কাঁকনকে ডিভি দিয়ে প্রেক্ষাপট থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টা। আমার কাছে পড়ে একটু আরোপিত মনে হয়েছে গল্পের শেষ টানার জন্য। এমন না যে ডিভি পেতে পারে না সেসময। বরং যেসব সমস্যার ফাঁদগুলোতে চরিত্র হিসেবে কাঁকন আটকে গেলো কিভাবে সামাল দিলো সেটা দেখলে হয়তো চরিত্র গল্পের সাথে শক্তভাবে গেঁথে যেতো।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
রাব্বী - আমাদের ব্যাচের ছেলেরা সুন্দরী আর স্মার্ট মেয়ে দেখতে ঢাকা ভার্সিটির কলা ভবনে যেত। সেখানে কাকন বড্ড বেশি বেমানান হয়ে গেছে। পিলু যাদের বলা হয় তারাও চৌকস ছিল। এই যেমন শমী কায়সার। কখনও যদি এই গল্পটা আবার লেখার ইচ্ছা হয় তাহলে প্রেক্ষাপট বদলে দিব।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute:: ::salute::
Islam, CCR (1996-2002)