টিটোর গপ্পোঃ গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ

অতীত ভ্রমন সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না ? গাল গল্প নয়। আপনিও পারবেন। এজন্য বিশাল কিছু হবার প্রয়োজন নেই।ওয়ার্প স্পীডে ছোটার মত নভোযানও লাগবে না।টাইম মেশিনও দরকার নাই।প্রথমে একটু প্রমান দেই।চাঁদ তারা দেখুন।অতীত দেখা হয়ে যাবে।এবার কাজের কথায় আসি।নারকেল গাছে উঠুন। গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ দিয়েই পাঠিয়ে দিবো আপনার শৈশবে।

প্রথমে একটা নারকেল পাতার শলার এক পাশ থেকে একফালি কাটুন।ফালিটার মাথা থেকে একটা ছোট অংশ কাটতে হবে।ছোট অংশের দৈর্ঘ্য ফালিটার প্রস্থের তিনগুনের কম হতে হবে।ছবি অনুসরন করে গিট্টু দিন।হাতের কব্জির সাথে প্যাঁচ দিন।তৈরী হয়ে গেলো ঘড়ি।গিট্টুর দুই দিকে প্যাঁচ দিয়ে দুপাশে শলা লাগান।পেয়ে গেলেন চশমা।কয়েক ফালি পাতা নিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চোঙা বানান।বড় পাশে শলা আটকান।ছোট পাশে সমান দুই টুকরা পাতার ফালি ঢুকিয়ে দিন। ব্যাস হয়ে গেল বাঁশি।ছোট পাশটা মুখের ভিতর ঢুকিয়ে হালকা ফুঁ দিয়ে দেখুন ভুভুজেলার মত কিছু হলো কি না।নারকেলের কান্দিটার গোড়ায় ঘ্যাচ করে এক কোপ।কি সুন্দর নৌকা।শিশুদের সাথে নিয়ে গিট্টু প্যাঁচ ঘ্যাচ। ঘড়ি, চশমা, বাঁশি আর নৌকা ।এবার মিষ্টি আলু সেদ্ধ মুখে  নিয়ে মনে মনে তিনবার এই মন্ত্রটা পড়ুন –

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু সেদ্ধ
শেকড় খেয়ে
শেকড়ের কাছে ফেরা।

আমিও ঘুরে আসলাম শৈশব থেকে।ক্যামেরার পিছনে ছিলাম।

১,৮৩২ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “টিটোর গপ্পোঃ গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।