!অবৈধ মাল!

সময়টা আমাদের HSC পরীক্ষা শুরু হবার মাসখানেক আগের ঘটনা।

আমাদের একটা আউটিং এ্যারেঞ্জ করা হল খুলনা তে, নিউজপ্রিন্ট মিল দেখাবে। নিউজপ্রিন্ট মিলে তখন যদিও দেখার কিছুই ছিল না, সব তো বন্ধ হয়ে গেছে। যাই হোক, আমাদের অধিকাংশের বাড়ি খুলনা হওয়াতে কেউ আপত্তি করল না। নিউজপ্রিন্ট দেখা হবে না তো কি, ফ্রেন্ডদের বাসায় বসে মাস্তি করব।

শিডিউল অনুযায়ী আমাদের যাত্রা শুরু হল।

বিস্তারিত»

সেই ফাগুনের গল্প

আর একটা ফাল্গুন চলে এলো আবার; আরেক ফাল্গুন। উহু ! লাল হয়ে যাওয়া কোনো শিমুল গাছ চোখে পড়েনি, কিংবা কালোচুড়া …
সময় কাটছে ফেসবুক- এ

সে সময়টাতে এই রাতটা ঘুমহীন কাটতো দেয়াল পত্রিকার কাজে, শেষ রাত পর্যন্ত। কাজ প্রায় শেষ…তবু শেষ হয়না যেন! সিগারেট চলছে খানিক বিরতিতে, রিজওয়ান এক মনে ছবির আউটলাইন ধরে কাচ বসাচ্ছে … হাতের লেখা ঠিক রেখে দ্রুত কলম চালাচ্ছে আন্দালিব।

বিস্তারিত»

গল্পের মত জীবন

{আজকে আট বছর আগের একটা গল্প বলব। আমি খেয়াল করলাম ব্লগে এখন পর্যন্ত কোন স্মৃতিমূলক পোস্ট দেই নাই। এটা সেই প্রচেষ্টার শুরু হউক।}

সময়টা ২০০১ সাল, জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহ হবে। স্থানঃ বদর হাউসের ডর্ম-৫, ঝকক। আমি ডর্মলীডার। ডর্মে আমার সাথে আরো চারজন আছে ইলেভেনের। একটু আগে ফারহান আসছে, লাইটস আউট হয়ে গেছে কিন্তু আমরা এমন উত্তপ্ত ঝগড়া করতেছি যে লাইট নিভানোর কথা কারোরই মনে নাই।

বিস্তারিত»

ঘুম সমাচার (আবার!)

তাইফুর ভাই যখন আমারে আবিষ্কারকের খেতাবটা দিয়াই ফালাইলেন তখন আরো কিছু প্রমাণ দেইঃ

জুনায়েদ কবীর ভাইদের ব্যাচমেট জাকির ভাই আমাদের দেখা এক বিখ্যাত ‘ঘুমার’ ছিলেন, যাকে দেখা যেত যে গ্রাউন্ড-এ সবাইইইই ফল ইন-এ দাড়ায় আছে (ইনক্লুডিং এডজুট্যান্ট), উনি টাওয়েল পেচায় টুথব্রাশ নিয়া বাথ্রুমের দিকে ছুটতেসেন। এডজুট্যান্ট ইউসুফ স্যার (ex-cadet PCC; এই জাগার খবর জানেন কিনা জানিনা) হাক-ডাক দিতেনঃ “জাকির, ডাবল আপ”… কিন্তু জাকির ভাই ডাবল হইতেন না,

বিস্তারিত»

থার্সডে নাইট

থার্সডে নাইট… বৃহস্পতিবার রাত মানেই অন্যরকম এক উত্তেজনা। কালকে সকালে পিটি প্যারেড নেই এই খুশিতেই কেমন করে যে থার্ড প্রেপটা শেষ হয়ে যেত। তারপত ইউক্যালিপ্টাসের ছায়া মাড়িয়ে হেঁটে হেটে হাউজে আসা। একটু দূর থেকে হাউজটাকে মনে হতো বন্দরে নোঙ্গর করা এক বিশাল জাহাজ! ডেকে নাবিকদের ছোটাছুটি… হাঁকডাক।

রোববার থেকে ফোর্থ ইয়ার ফাইনাল, ব্রাউজার ট্যাবে স্পার্কনোটস লিখতে গিয়েও সিসিবিতে ঢুকে যাচ্ছি। আমার অবাধ্য আঙ্গুল গুলো মস্তিষ্কের অনুশাসন মানতে চাইছেনা।

বিস্তারিত»

অতঃপর… সেই ঘুম

ঘুমের গল্প পড়ে আমারো একটা গল্প বলতে ইচ্ছা করছে —

আমরা তখন ক্লাস সেভেন-এ। নাইট প্রেপ। প্রেপ গার্ড ২৯-এর সাব্বির ভাই। ওহ্‌ বলে রাখি, তখনও আমাদের নভিসেস ড্রিল এর প্রাক্টিস চলছে। যাই হোক যেটা বলছিলাম – আমাদের নাইট প্রেপ, চরম ঘুম পাচ্ছে। আমাদের ফয়সাল অসম্ভব ট্যালেন্টেড একটা পোলা, ওর ঘুমের স্টাইল এতই জোস যে ধরার কোন কায়দা নাই। চেয়ারে স্ট্রেইট হয়ে বসে ঘুমায়।

বিস্তারিত»

আমার প্রথম ভূত দর্শন

১৯৯৩ সাল। আমার ক্লাস এইটের ঘটনা। তখন আমি ছিলাম মেঘনা হাউসের ৩৩ নম্বর রুমে, অর্থাৎ ৩ তলায় জুনিয়র ব্লকের সেকেন্ড কর্ণারমোষ্ট রুম। বাথরুমে যেতে হলে ৮/৯ টা রুমের সামনে দিয়ে করিডোর ধরে হেটে যাওয়া লাগত। এমনিতেই আমি একটু ভীতু ছিলাম, তার উপর যখন শুনলাম রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের আমলে ঐ ব্লকের কোন এক রুমে একজন ছাত্র ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্নহত্যা করেছিল এবং মাঝে মাঝে ভুত হয়ে চলে আসে তখন ভয় আরো বেড়ে গিয়েছিল।

বিস্তারিত»

অথঃ নিদ্রা কথন

প্রথম ব্লগেই এত্তো ভালো ভালো কমেন্টস তাই মনে হয় বদহজম হয়ে গেসে! ঘুম আসছিলোনা, আর সেই চিন্তাতেই কলেজে ক্যাডেটদের ঘুমের বিভিন্ন কায়দা কানুন মনে পড়তে লাগলো। আইডিয়াটা না আবার বেমালুম গায়েব হয়ে যায় তাই চটজলদি লিখে ফেলা-
আমাদের অনেক সকালে বিছানা ছাড়তে হতো বলেই যেন ঘুমটা আমাদের ঠিক বিছানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো না। প্রায়ই বিছানার গন্ডি ছেড়ে আরো বিভিন্ন জায়গায় নিদ্রাদেবী আমাদের চোখে ভর করতেন।

বিস্তারিত»

তোমায় কিছু বলার ছিল

আজ আমি বলবোই। গত তিনদিন ধরে ভেবেছি কয়েকবার এই নিয়ে, ঘুরে ফিরে একটাই জবাব এসেছে- আমাকে বলতেই হবে।

বারবার একটা দুরাশঙ্কায় মন কুকড়ে যাচ্ছে। ‘না’ শব্দটার সাথে আমার আজন্ম বৈরীতা, সেটা যেই বলুক না কেন। তারপরো এক অক্ষরের এই ক্ষুদ্র শব্দটা মাঝে মাঝেই জীবনকে ভীষনভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। আজ যদি ওর মুখ থেকেও না শুনতে হয়, তবে ভার্সিটিতে থাকার কোন ইচ্ছে বা কারণ আর অবশিষ্ট থাকবে না।

বিস্তারিত»

হাবিজাবি: স্পেশাল ডিনার!

বিষ্যুদবার। বৃহস্পতিবার।

ইংরাজিতে থার্সডে। সন্ধ্যে নামার অনেকক্ষণ আগে থেকেই আমাদের অপেক্ষা শুরু হতো। আজ ডিনারে কে কার কাছ থেকে কাস্টার্ড পাবে- কে কাবাবের সাথে স্যুপ অদলবদল করবে অন্য কারো সাথে। এসব আলোচনা শুরু হতো পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকা কলেজটায় – আমার প্রানের কলেজটায় সন্ধ্যে নামার অনেক আগে!

টিভি রুমের ভিসিডি শোতে সামনের চেয়ারে কে বসবে এসব নিয়ে খুনসুটির মাঝপথে যখন ডিনারের হুইসেল বাজতো- আমরা য়খন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন সাথে সাথে ছুটতাম ফলইনে।

বিস্তারিত»

কলেজের গন্ধ

কতই বা বয়স ছিল আমাদের। ১১/১২/১৩? ঐ অতটুকু বয়সে ছাড়লাম ঘর। আর ফেরা হয়নি। মা-বাবার আদরের সান্নিধ্য ছেড়ে শতাধিক ক্রোশ দূরে এক অজানা অচেনা জায়গাকে কি সহজেই আপন করে নিলাম। আসলেই কি আপন করতে পেরেছিলাম? হোম-সিকনেস আর ‘কলেজ ফিলিংসের’ একটা দ্বৈতস্বত্বা কি বাস করেনি আমার মাঝে? কলেজে থাকতে বাড়ির টান, আর ছুটিতে থাকতে কলেজের টান – এই দুইয়ের মাঝে পার করে দিলাম শৈশব-তারুণ্যের ছয় ছয়টি বছর।

বিস্তারিত»

কান্না, বন্ধুর কথা আর আমি

আমার ক্যাডেটের সবচেয়ে ভাল বন্ধুটা নাকি মন ভাল রাখতে কাঁদতো। কাঁদলে নাকি মন ফ্রেশ হয়ে যায়। ও নাকি সবাই দেখবে বলে টয়লেটে গিয়ে দরজা বন্ধ করে কাঁদতো। এ কথা শুনে অবাকই হয়েছিলাম। কিন্তু ফেলে দেইনি ওর কথাটা। জীবনে তো আর কম কাঁদি নি আর ভবিষ্যতেও যে কান্না অনেক আসবে এটার কথা ভেবে তার কথাটাকে ভালভাবেই নিয়েছিলাম। কান্নার সাইডপ্রডাক্ট হিসেবে যদি মনের রিফ্রেশমেন্ট আসে খারাপ কি!

বিস্তারিত»

সি-৫৯, দক্ষিণ ছায়াবীথি

আটানব্বইয়ের শেষের দিকে কোন একসময়। ঢাকায় এসেছি আই এস এস বি দিতে। অন্য ক্যাডেট কলেজগুলোর চেনা অচেনা বিভিন্ন বন্ধুদের সাথে জমজমাট চারটা দিন পার করলাম। তখন কোন এক কারণে সরকারবিরোধীদের হরতাল অবরোধ চলছিল। যেদিন আই এস এস বি শেষ করে বের হলাম সেদিন সন্ধ্যা থেকেই আবার লাগাতার এক অবরোধের ডাক দিয়ে বসেছিলেন বিরোধী নেত্রী। বিকেল পাঁচটার দিকে আমরা তিনজন ঠিক করলাম গাজীপুর যাবো। জহিরের বাসায়।

বিস্তারিত»

শুধু তোমারই জন্য হে শওকত ( সবাই পড়তে পারে)

আমার এই পোষ্টটা শওকতের পোষ্টের জবাবে। তাই এর নাম দেয়া যায় শওকতের জবাব বা ঐ জাতীয় কিছু একটা। একটুও মনঃকষ্ট নয়, আমার এই অদ্ভুত বিষয়টা সবাইকে জানানোর জন্য আমি এই পোস্টটা লিখছি। আমি কোন ঘটনা চাক্ষুশ দেখলে কখনো মন থেকে এই চিত্র মুছে ফেলতে পারিনা। সামরিক বাহিনীতে চাকুরি করলেও আমার কিছু দুর্বলতা আছে। যেমন আমি কোন বিভৎস দূর্ঘটনা বা কারো লাশ ইচছা করে দেখিনা। আমি কোন বিভৎস হরর মুভি দেখিনা।

বিস্তারিত»

১৯৭১ সাল -আমার দেখা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা

সিসিবিতে এসে দেখলাম আজ মাত্র একটা পোস্ট। ভাবলাম আগামি কাল পোলাপান মন্তব্য করবে কিসে। তাই সামুতে প্রকাশিত আমার একটা গল্প আজ দিয়ে দিলাম এখানে। গল্প হলেও এটা একটা সত্যা ঘটনা। ২/১ মাস এদিক ওদিক হতে পারে কারন ৩৭ বছর আগের ঘটনা সম্পূর্ন স্মৃতি থেকে লেখা।

প্রায় ৩৭ বছর আগের ঘটনা। আমার বয়স তখন চার বছরের একটু বেশি।

বিস্তারিত»