কৈশোর ২

কৈশোর ১
২য় আর ৩য় পর্বের মাঝে ছুটিতে বগুড়া এলো আমার মা আর বোন। আমার উপরে দায়িত্ব পড়ল বিকালে বের হলে বোনকে চোখে চোখে রাখা। সাধের সাইকেল চালানো মাটি!!! কী আর করা, বোনের হাত ধরে পার্কে নিয়ে যাই, সে মনের আনন্দে খেলে, আমি ব্যাজার হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। সাইকেল চালানোর সাথীরা অনেকক্ষণ রেস্‌ দিয়ে এসে পার্কে জমা হয়। তখন যা একটু ভালো লাগে।

বিস্তারিত»

ব্লগার হওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা

মাঝেমাঝে দুই একটা ব্লগ সাইট-এ ঘোরাফেরা করলেও কখনো ব্লগ লেখা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এ ঢুকে কিছু একটা লেখার জন্য কেমন যেন হাত নিশপিশ করছে। তাই এই চেষ্টা। ভুল হলে মাফ করবেন।

কিন্তু কিভাবে শুরু করব বুঝতে পারছিনা। অনেক কথাই মনে পড়ে। কিন্তু ভয় হয় রেডবুকের। কলেজ লাইফটা দিব্বি পার করলেও এইখানেও যে কলেজ আউট হওয়ার ভয়, মানে ব্লগ থেকে আউট হওয়া আর কি।।

বিস্তারিত»

কৈশোর ১

৫ই জুন, ২০০৮

আজ সারাদিন, সকাল থেকে বসে আছি। মাথায় অজস্র চিন্তা চলছে। সব ঠেলে দিয়ে এখন লিখতে শুরু করলাম।

কৈশোর!! গতকাল থেকে দারুন স্মৃতিকাতর হয়ে আছি। পুরোনো স্বপ্ন আর জীবনটা বড় বেশি জ্বালাচ্ছে। ভুলে থাকার জন্য ক্রমশ হা হা করে হাসছি, ছুঁড়ে ফেলতে চাচ্ছি ভাবনাগুলো। আজ সকালে হুট করে একটা মেসেজ পেয়েছি:
“যতদূরে গেলে দূরে যাওয়া হয়, তার চেয়ে কত দূরে তুমি?…

বিস্তারিত»

কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিসপ্লে

১৯৯২ সালে ক্লাস সেভেনে কলেজে যোগদান করার পর একটামাত্র ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে স্টেজে ওঠার সুযোগ হয়েছিল। প্রাক্তন ইউএসএসআর ভেঙ্গে অনেকগুলো দেশে পরিণত হওয়ার ঘটনাটাই ছিল আমাদের হাউসের বিষয়বস্তু। আরও কয়েকজনের সাথে আমাকেও একটা পুরনো রেইনকোটে আবৃত করে দেয়া হলো। বড় ভাইদের কে যেন এসে কাজল দিয়ে একটা গোঁফ এঁকে দিলেন। ক্লাসমেট আরও কয়েকজনের সাথে আমি মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রিনরিনে কন্ঠে “গেট ব্যাক গেট ব্যাক, রেড আর্মি গেট ব্যাক”

বিস্তারিত»

“দ্য ড্রিম টিম” ভার্সেস “আদার্স”

পাঠকগন, আমার এই লেখাটা মাস্ফ্যুর জোরাজুরির ফলাফল, ছোট ভাই একটা দাবী করেছে। ফেলতে পারলাম না। যা মনে আসল লিখে ফেললাম।

১৯৯৭ সালের ঘটনা। আমরা তখন ক্লাস টুয়েল্‌ভে। আই সি সি এফ এম (ফুটবল) উপলক্ষে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম। এটা ছিল আমার ২য় আই সি সি। (এর আগে ৯৬ তে গিয়েছিলাম জেসিসি তে এ্যাথলেটিক্স টিমের মেম্বার হয়ে)। আমাদের ফুটবল টিমের কম্বিনেশন টা ছিল দারুন।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট না হইয়াও…!!!

[বিশেষ কারনে লেখাটি একা না পড়ে ১৮ জনের বেশি (18+!!) পড়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হল, কেউ লেখা পড়ে অফেন্ডেড হলে নিজ দায়িত্বে হবেন…কর্তৃপক্ষ কোন দায়-দায়িত্ব বহন করবে না...]

কিছু কিছু নন-ক্যাডেট মানুষ আছে যাদের দেখে নিজের অজান্তেই বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বের হয়…আহা! এই মানুষটা যদি ক্যাডেট কলেজের আলো-বাতাস-খাবার পেত- তা হলে না জানি কি আইটেম হত…!! পংটামি যে ক্যাডেটদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়,

বিস্তারিত»

বন্ধু তোর লাইগা রে …

কলেজ থেকে ছুটিতে আসলে আমাদের প্রধান কাজ ছিল সব বন্ধুরা (ক্যাডেট পার্টি) একসাথে আমার বাসার সামনে বা আহমেদের বাসার সামনে দুই দলে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলা। সকাল থেকে শুরু হতো একেবারে দুপুর গড়িয়ে বিকাল না হলে থামাথামির কোন নামগন্ধ ছিলো না।

ক্রিকেট আমার খুব প্রিয় খেলা। খেলতে এবং দেখতে। কিন্তু সমস্যা হলো খেলার সময় আমি আবার একেবারে আনাড়ী। ফলে দুই দল ভাগ করার সময় আমাকে সবাই বিপক্ষ দলের দিকে ঠেলে দিতো।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজে জানাযার নামায

নামায পড়ি সচরাচর আমরা সবাই। আর ক্যাডেট কলেজে থাকতেও পড়তাম। কিন্তু জানাযার নামায? এমনিতেই প্রায়শঃ এই নামাযটি পড়ার সৌভাগ্য কারো হয়না, ঘটনাক্রমে হয়ত কখনো পড়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ক্যাডেট কলেজের ৬ বছরে এই নামায পড়ার অভিজ্ঞতা ক’জনের আছে?

আমি সেই ৬ বছরে কলেজে একটাই জানাযা অনুষ্ঠান পেয়েছি। তা ছিল আমাদের কলেজের বুকবাইন্ডার কাজেম সাহেবের। অশীতিপর বৃদ্ধ এই লোকটির পেশা ছিল লাইব্রেরির বই বাঁধাই করা,

বিস্তারিত»

আইসিইউ, ঢাকা সিএমএইচ

৯ আগস্ট ২০০৭ এর রাত সাড়ে দশটার দিকে ফোন আসল শাইখের কাছ থেকে। যশোরে একটা বাইক এ্যাক্সিডেন্ট করে নাকি তিনজন এয়ার ফোর্স অফিসার আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে অবস্থা খারাপ রাজীবের। ওকে হেলিকপ্টারে ঢাকা সিএমএইচ’এ ইমার্জেন্সি ইভাকুয়েট করা হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পর আর বাসায় থাকা হলো না। এক ছুটে যখন সিএমএইচ এর পার্কিং লটে পৌঁছালাম ততক্ষণে রাজীবের সঙ্গীসাথী অফিসার কলিগরা এসে পড়েছে। রাজীবের বাবা মা’ও এক পাশে চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছেন।

বিস্তারিত»

একজন চিকির আত্মকাহিনী

(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)

আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার,

বিস্তারিত»

বন্ধুত্বের ৩৪ বছর : জীবনের তিন চতুর্থাংশ

ফৌজদারহাটের ২১তম ব্যাচটা একটা জিনিষ! কলেজে যেমন ছিল তেমনি বাইরে এখনো সবগুলো দারুণ প্রাণবন্ত। সুযোগ পেলেই আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া, বেড়ানো আর ছেলেমানুষি কান্ডকারখানায় প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই বালকগুলোর জুড়ি মেলা কঠিন। বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কটা যেমন দূর্দান্ত, তেমনি সম্পর্ক তাদের স্ত্রীদের মধ্যেও। রবীন ও রায়হানের প্রদর্শিত ব্লগীয় ধারা বজায় রেখে ২১তম ব্যাচের একটি ফটোফিচার।

বিস্তারিত»

ইট হ্যাপেন্‌ড ওয়ান নাইট

এই ২৫শে জুলাই ড়্যান্ডি পাউশ মারা গেলেন। জীবনে তার অর্জন কম ছিল না। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে যা করে গেলেন তাই তাকে চির স্মরণীয় করে রাখবে। না, তিনি কোন যুগান্তকারী আবিষ্কার বা উদ্ভাবন করে যাননি। মৃত্যুর আগে তিনি কেবল একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, একটি পাবলিক বক্তৃতা। তার বক্তৃতার বিষয় ছিল, “Really Achieving Your Childhood Dreams“। সত্যিই পাগল করে দেয়ার মতো ভাষণ।

বিস্তারিত»

আমার এমওআই শিক্ষা

ক্যাডেট কলেজে নতুন শিক্ষক যারা যোগদান করতেন তাদেরকে একটা স্বল্পমেয়াদী কোর্স করতে পাঠানো হতো ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে। সেখানে তাদেরকে শেখানো হতো “মেথড অফ ইন্সট্রাকশন” বা এমওআই (অনুমানে নির্ভর করে বলছি)। এর উদ্দেশ্য কিভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং এইডের সাহায্যে ক্লাস নিতে হয়, কিভাবে ছাত্রদেরকে শতভাগ ইনপুট দেয়া যায় সেটা শেখানো । আমরা কলেজে থাকতে থাকতেই ব্যাপারটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই কোর্স করে স্যারদের কতখানি উত্তরণ ঘটত তার মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমার ছিল না।

বিস্তারিত»

নীল ছবি

১৯৯৮।
টাইটানিক নামের একটা ইংরেজি সিনেমার নাম খুব শোনা যাচ্ছে তখন। বিল্লাহ বলত এই ছবিতে নাকি অনেক ”সীন” আছে। ”সীন” বোঝার অবস্থা তখনো আমার হয় নি। ছবিতে মাঝে মধ্যে নায়ক নায়িকার হাত ধরাও আমার কাছে কম্পিউটারের কারসাজি! হাত ধরাই অনেক কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু হলেই মাথা আপনা আপনি নিচু হয়ে যেত। কখনো কখনো দেখেও ফেলতাম। রাস্তার পাশে স্টুডিওতে কোন হিন্দী নায়িকার উদার কোন ছবিতে মাঝে মধ্যে চোখ পড়ে যেত।

বিস্তারিত»

কালো সে যতই কালো হোক…!!!

আমাদের ইনটেকে বর্ণ বৈষম্য ছিল না বললেই চলে। আমরা বেশিরভাগই ছিলাম শ্যামলা কিংবা উজ্জ্বল শ্যামলা। একেবারে ফর্সা বা একেবারে কালো ছিল হাতে গোনা দু’একজন। শুরুতে যে বললাম- বর্ণ বৈষম্য ছিল না, তার প্রমান হচ্ছে বাকি দুই পার্টিদেরকে নিয়েই আমরা শ্যামলা পার্টি সবসময় হাসাহাসি করতাম। হাসাহাসি করা নিয়ে কোন সাদা-কালো ভেদাভেদ ছিল না…

যাইহোক, নামকরণের স্বার্থকতা প্রমানের জন্য আজ শুধু আমাদের কালো এক বন্ধুর গল্প বলব।

বিস্তারিত»