ভুলব আমি কেমন করে (ইউ টিউব লিন্ক)
ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত
ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত
ভুলব আমি কেমন করে (ইউ টিউব লিন্ক)
ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত
ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত
গতো কয়েকদিনে ব্লগের অনেকগুলো পোষ্ট পড়ে শেষ করলাম। কি যে নষ্টালজিক হয়ে পড়লাম কিছু লেখা পড়ে! ভাবতে অবাক লাগে যখন ক্লাস টুয়েলভে ছিলাম তখন কলেজের অথোরিটি এর ঠ্যালায় মনে হইতো কবে এই জেলখানা থেকে মুক্তি পাবো। আর এখন সেই জেলখানার জন্যই মনটা আনচান করে।
সবাই দেখি অনেক মজার কাহিনী শেয়ার করে। আমিও ভাবলাম একটা শেয়ার করি সব ভাইদের সাথে। তখন আমরা ক্লাশ টেন এ।
বিস্তারিত»আমি ঠিক জানি না জানি নাকি নিয়ে লিখব, এম্নিতেই চিন্তাগুলো কে ঢেলে দেবার চেষ্টা করছি এলোমেলো র্যা ন্ডম বিন্যাসে, পারিসাংখ্যিক কেন্দ্রীয় প্রবনতার কারনে হয়ত সেগুলো একটা আকৃতি পাবে তবে নিশ্চিত ভাবে সেই আকৃতি অবয়ব কোনো পূর্বপরিকল্পনার অংশ নয়।
একসময় যখন জীবনটা ব্যাপকভাবে বিক্ষিপ্ত এবং মোটামুটই ভাবে উদ্দেশ্যহীন ছিল(তবে আল্টিমেট পাগলা ছাড়া ছাতার জীবনে হলুদ পাঞ্জাবীর “হিমু” মার্কা নির্লিপ্ততা পাওয়া মোটামুটি ভাবে অসম্ভব ব্যাপার। জীবনকে ঊদ্দেশ্যহীন বলা একরকম আধুনিকতা আক্রান্ত হতাশা বিলাস বলা যেতে পারে)তখন এই একটা ব্যাপার নিয়ে হেভী গবেষনা করতাম।
সিক্স ডেজ সেভেন নাইটস – ০১ – ০২
খাওয়ার পরে সিগারেট ধরিয়ে সবাই একসঙ্গে বের হলাম সমুদ্রের পারে হাঁটতে । খোলা গলায় এবং হেড়ে গলায় গান চললো কিছুক্ষণ। অনেক্ষণ পর ফিরে এসে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম, কিন্তু রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেখি এই গরমে রুমে ঘুমানো সম্ভব না। বালিশ তোশক নিয়ে একজন বারান্দায় এসে শুয়ে পড়লো, তার দেখাদেখি বাকি সবাই।
বিস্তারিত»আগেরটা ছিল সত্য হাউজের আমচুরির ঘটনা। তারা যেহেতু ব্যর্থ তাই এবার সদাচার হাউজের সবচেয়ে দুষ্টু ক্যাডেট কিন্তু ট্যালেন্টেড আর সত্য হাউজের বাদরদের অন্যতম একজন উদ্যোগী হয়ে উঠল আম চুরির ব্যাপারে। নতুন এডজুটেন্টের অহেতুক ভাব আর সহ্য হচ্ছে না তাই তাকে ব্যস্ত রাখতে হবে নিয়ম ভেঙে আর সেটা শুধু ক্লাস 11-ই পারে।
এবার শনিবারে ক্লাস শেষে লাঞ্চ করে সবার শর্ট ওয়ে তে হাউজে ফেরার কথা,
বিস্তারিত»ছেলেদের কলেজের বন্ধুদের কাছে শুনেছি তারা নাকি ডাব চুরি করে, কলেজ পালায় ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা যেহেতু মেয়ে তাই আমাদের পক্ষে কলেজ পালানোটা সম্ভবপর ছিল না। উপরন্তু নিজেদের সিকিউরিটির একটা ব্যাপার ছিল। তাই ডাব চুরি মাথায় ঘুরতে থাকল। কিন্তু ফলিনের পাশে (broad way) তে দাড়িয়ে থাকা নারিকেল গাছ গুলির দিকে তাকিয়ে আমরা বেশ কজন মনে বেশ দুঃখ নিয়ে ভাবতে লাগলাম – এত লম্বা গাছে ছেলেরা ক্যামনে উঠে?
বিস্তারিত»[এই ব্লগটি যারা পড়ছেন তাদেরকে যদি একাদশ/দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়মভাঙার গল্প বলতে বলা হয়, তাহলে আপনারা কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবেন তাই নিয়েই হয়তো দ্বিধান্ধিত হয়ে পড়বেন। কারণ এদিক দিয়ে আমাদের (মগকক) চেয়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ আপনাদের গল্পের ঝুড়ি; লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া বা কলেজ পালিয়ে খেজুরের রস চুরি করতে যাওয়া। গল্পগুলি আসলেই অনেক মজার। কিন্তু একজন এমজিসিসিয়ানকে যদি তার ক্যাডেট লাইফের কিছু নিয়মভাঙার গল্প বলতে বলা হয় তাহলে সে রীতিমত চিন্তায় পড়ে যাবে কারণ দেখা যাবে তার গল্পের ভান্ডার প্রায় শুন্য (কারণটা একটু পরেই বলছি)।
বিস্তারিত»কোন এক বৃহস্পতিবার। অথরীটির ভিসিপি শো দেখার পারমিশন না পেয়ে রাগে দুঃখে দেশ ও জাতির মানবিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে তুলতে আমরা ২ জন সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, জাতি আমাদের ব্যাথা বুঝুক আর না বুঝুক আমাদের জাতির প্রতি কর্তব্যে অবহেলা করা যাবেনা।এই লক্ষে আমরা জাতির ভবিষ্যত নাগরিক (জুনিয়র) দের সুনাগরিক বানানোর প্রচেষ্টায় তাদের একটু “শাসন” করার জন্য রওনা হলাম। সুনাগরিক বানানোর প্রচেষ্টা ভালই চলছিল কিন্তু আবার বিধি বাম।
বিস্তারিত»সেন্টমার্টিন গিয়ে যখন নামলাম ততোক্ষণে অসম্ভব ক্লান্তি পেয়ে বসেছে। একজন একজন করে যখন এই সাগরদ্বীপে পা রাখছি তখন দুপুর প্রায় একটা। নেমেই প্রথমে যেটা চোখে পড়লো তা হলো অফ-সিজনে ট্যুরিস্ট দেখে দ্বীপবাসী মানুষের কৌতুহলী দৃষ্টি। সবাই মিলে এমন ভাবে আমাদের দেখছে যেন আমরা ‘নাগস হেড’ এ ক্যাবারে ড্যান্স করতে এসেছি। 😮
যাই হউক, ক্ষুধা, ক্লান্তি এবং জুন মাসের স্থলবায়ুর অসম্ভব গরম যখন আমাদের চামড়া ভেদ করে ঢুকছে তখন সমুদ্রের কোল ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা হোটেল প্রিন্স-হেভেনকে নিরাপদ আশ্রয় মনে হলো।
বিস্তারিত»দেশ থেকে ঘুরে আসার পর অর্থাভাবে পরেছিলাম। আসার সময় বউ ল্যাপটপটা রেখে দিলো। তাই এখানে এসে আবার একটা কম্পিউটার কিনতে সময় লাগলো । ব্লগ লেখার নেশাটা ভাল জাকিয়ে বসেছে মনের মাঝে। প্রথম লেখাগুলো ক্যাডেট কলেজের স্মৃতি থেকে সংগ্রহিত হলেও এবার তার পরবর্তী অধ্যায়। অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি লাইফ।
বুয়েটে আমাদের একসঙ্গে থাকা, রাতভর ঘুরে বেড়ানো, হোটেলে গিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং মাঝে মাঝে দেশে-বিদেশে ভ্রমন করাটা আমাদের মজ্জাগত হয়ে গিয়েছিলো।
বিস্তারিত»তিন মুঠো মাটি, তিন রাউন্ড ভলি ফায়ার, বিউগলের অন্তিম সুর আর মরণোত্তর সালাম। ব্যাস, এভাবেই মেজর জেনারেল রফিক, লেঃ কর্নেল মঞ্জুর, লেঃ কর্নেল শহীদ আর কর্নেল গুলজারকে আজ শুইয়ে দিয়ে আসলাম চিরনিদ্রায়। কত সহজ!
কিন্তু এই চার শহীদ কি জানতে পারলেন, যে এই তিন মুঠো মাটি আর সালামের সাথে আমরা আমাদের সমস্ত ভালবাসা, শ্রদ্ধা, অশ্রু আর হৃদয়টাও দিয়ে দিলাম?
বিস্তারিত»সংবাদে ছিলাম দীর্ঘ সময়, ৬ বছর। আমার প্রথম চাকরি। আহমদুল কবির তখন সম্পাদক, আর তার ছেলে মিশু ভাই (আলতামাস কবির) নির্বাহী পরিচালক। জীবনে অনেক বস দেখেছি, তবে আহমদুল কবির একদিক থেকে ব্যতিক্রম। তিনি তর্ক পছন্দ করতেন। যে রিপোর্টার তার সঙ্গে তর্ক করতো, তাকে তিনি বেশি পছন্দ করতেন। জনকণ্ঠের তোয়াব ভাই তো পাল্টা কিছু বললেই বলেন, আমার সঙ্গে তর্ক করবে না। আর আহমদুল কবির সাহেব ভাবতেন,
বিস্তারিত»তার একটা নাম দেয়া দরকার, দিলে ভাল হয়।
রংপুরে যে এলাকায় আমরা থাকতাম, সেই এলাকার নামের আগে “মিস” বসিয়ে আমার মহা রাশভারী বাবা তাকে ডাকতেন। সত্তর দশকের শেষের দিকের কথা বলছি। “মিস ওয়ার্ল্ড” তখন একটা অবাক করা অনুষ্ঠান বড়দের কাছে, আর আমরা কি ছাই তখন বুঝি এতসব।
আমাদের বাসার যতটুকু অংশে ঘর-দোর-উঠোন করেছিলেন বাবা, তার চেয়ে অনেক বেশি অংশই ছিল গাছে ভরা।
বিস্তারিত»আমি এখন যার বাসায় বসে লিখছি, গল্পটা তাকে নিয়ে।
২০০০ সাল। কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে আইসিসিএলএম চলছে। আমরা তখন ক্লাস টেন-এ। আমি গিয়েছিলাম ব্যান্ড পার্ফরমার হিসেবে, কিবোর্ডিস্ট। ওটা আমার প্রথম ইন্টার ক্যাডেট কলেজ মিট-এ যাওয়া। অন্যরকম এক্সাইটমেন্ট। সিনিয়ররা কলেজ থেকে আসার সময় বলে দিয়েছে ওই টাইমটা ফ্রি– কোন ইয়েস প্লীজ, নো প্লীজ এর বালাই নাই, কথা বলার সময় সাবধান হয়ে দাঁড়ায় থাকার দরকার নাই;
বিস্তারিত»অনেকের কোন কিছু হয়ে ওঠা হয় না। অনেকে সেটা শুরুতেই বুঝে যায় যে তাদের কিছু হয়ে ওঠা হবে না। তখন তারা একধরনের হাল ছেড়ে দেয়া অনুভবে ভাসতে থাকে। তারপরে একটা সময়ে সেই এলিয়ে পড়া অনুভূতিটাই তাদেরকে অভ্যস্ত করে ফেলে দৈনন্দিন ঘটনাবলীতে। তারা বুঝে ফেলে যে এই কোন কিছু না হয়ে ওঠা, কোনকিছু না করে ফেলাটাই একটা বড়ো কঠিন কাজ। এবং এরকম ক্রিয়াটি সুসম্পন্ন হলে তারা তৃপ্ত হয়।
বিস্তারিত»