মনে আছে খুব ছোট বেলায় আমার মা আমাকে আলালের ঘরে দুলাল বইটা কিনে দিয়েছিল। বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস। পড়েছিলাম এবং কিছুই যে বুঝি নি সেটাও বেশ মনে আছে। আলালের ঘরে দুলাল ছিল আমার প্রথম নিজের বই।
সিক্সে পড়া সেই আমার তখন বই কেনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। মনে আছে একবার শিশু একাডেমিতে যেয়ে ৫/৬টা বই কিনে এনেছিলাম। নাম এখন আর মনে নেই। একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার ইচ্ছা তখন থেকেই আমার মাথায়।
সিসিআর-এ আমার প্রথম দিন
লিখতে চাইছি কলেজে আমার প্রথম সকালের কথা। কিন্তু মনে নাই তো :(( –
আসলে প্রথম সপ্তাহের অনেক কথাই মনে নাই। শুধু মনে আছে অভিষেক অনুষ্ঠানে ‘হাসিব’ ভাইয়ের হাওয়া ‘বুঝিনি তো আমি’ গান’টা।অডিটোরিয়ামে আম্মা, আব্বা আর এক মামার সাথে বসে গান’টা শুনতে বেশ ভাল লেগেছিলো। শেষ বিকেলে যখন হাউস অফিস থেকে আব্বা-আম্মা’কে বিদায় জানাচ্ছিলেন নাজনীন ম্যাডাম, দুচোখের পানি ধরে রাখতে না পেরে দৌড়ে রুমে চলে গিয়েছিলাম।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৫)
ক্লাশ সেভেনে আমদের রুমমেট, বেস্টফ্রেন্ড আর কিছু ক্লাশমেটের কথা :
আমার রুমমেট দিয়েই শুরু করি। আমাদের কলেজের রুমগুলি পুরাতন ক্যাডেট কলেজের মতো নয়। রুমগুলো ছোট ছোট এবং এক রুমে তিনজন করে থাকতে হতো। আমার রুমমেট ছিল মোঃ খালেকুজ্জামান জর্জ( ১২৭) এবং মোঃ রেজাউল হক ( ১৪৯)। নতুন ক্যডেট কলেজ হবার সুবাধে আমরা কেউ ইংরেজীর চর্চা করতাম না। জর্জ সুযোগ পাক না পাক ইংরেজীতে কথা বলার চেষ্টা করতো এবং ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে অনেক কিছু আগে থেকে জানতো,
বিস্তারিত»মেমেন্টো
ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস না করার শাস্তি আমি এখনো মাঝে মাঝে পাই। একবারে পথে ঘাটে।
ফার্স্ট ইয়ারে আমি কার্জন হল ভালো করে চিনতামই না। দিনরাত কাটতো কলাভবনে। টিএসসিতে। ওখানে মেয়েরা কতো সুন্দর করে সেজেগুজে আসে। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তার তুলনায় কার্জন হলের মেয়েরা একেবারে রসকষহীন। যেমন ডিপার্টমেন্ট, তেমনি তার ছাত্রী। দুই একটা ব্যাতিক্রম অবশ্য ছিলো। যেমন জুয়োলজি। আমরা বলতাম ‘লিপ্সটিক সাইন্স।’ এই নামের অবশ্য একটা মাহাত্ম্য ছিলো।
বিস্তারিত»স্যার ডানছের ছোডে খালি বাত্তি জ্বলে আর নিভে
প্রেপটা রীতিমতো একটা যন্ত্রণা! এইভাবে ধইরা-বাইন্ধা কি পড়াশুনা হয়? কিন্তু কি আর করা! ক্যাডেট কলেজের নিয়ম বলে কথা। সন্ধ্যার পর সাদা ফুল শার্ট, ফুল প্যান্ট, ব্ল্যাক সু’র সঙ্গে আবার কলেজ ক্র্যাস্টের প্রিন্টে টাই গলায় ঝুলিয়ে ফুল বাবু সেজে পড়তে বসতে হবে! অ্যাকাডেমিক ব্লকে তখন চক্কর দেবেন একজন ডিউটি মাস্টার। তিনি ঘুরে ঘুরে দেখবেন ছেলেরা পড়ছে, নাকি দুস্টুমি করছে! ধরা পড়লে এক্সট্রা ড্রিল তো বান্ধা।
তখন ক্লাস নাইন কি টেনে পড়ি আমরা।
বিস্তারিত»আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)
আমার কাজলাদিদিরা ২
ওর আসল নাম হচ্ছে চামেলী। আমার খালাত বোন। কলেজে ৯ এ উঠার সময় এক ছেলের সাথে আমার বাজি হল পরের টার্মে ওর থেকে আমি বেশি চিঠি পাব। কিন্তু টার্ম শুরু হওয়ার পর বুঝতে পারলাম খুবই অসম্ভব ব্যাপার। আমার বাসা থেকেই আমাকে মাসে একখানা চিঠি লেখে। আর ও প্রতি সপ্তাহে ৩-৪টা চিঠি পেয়ে যাচ্ছে। কি আর করা বাজিতে হারব বুঝে গেলাম।
কিংবদন্তির কথা-৩
কিংবদন্তির কথা- ১। ২
মনেকরি, আমার এই ক্লাশমেটটার নাম “ডন”।
নিজের জীবন রক্ষার তাগিদেই ওর আসল নামটা প্রকাশ করলাম না। তবে মাফিয়াদের কর্মকান্ডের সাথে আমার এই বন্ধুটির অনেক আচরণ মিলে যাওয়ায় আমরা তাকে ‘ডন’ ডাকতাম। আর কলেজ থেকে বের হয়ে আসার এতদিন পরে আমরা উপলব্ধি করি যে ঠিকঠাক মত “মিডিয়া সমর্থন” পেলে সেও নিজেকে কিংবদন্তিতে পরিণত করতে পারত।
বই পড়া, বই কেনা
বই পড়ার অভ্যাসটা পেয়েছি আমার মায়ের কাছ থেকে। আমার মা বই কিনেও পড়তেন। তবে গ্রামে বড় হওয়া আমার মায়ের সংগ্রহশালায় ছিল নীহাররঞ্জন, ফাল্গুনি, আশুতোষ আর নিমাই ভট্টাচার্য। মনে আছে অল্প বয়সে নীহাররঞ্জনের কালো ভ্রমর পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কাহিনী এখন আর কিছুই মনে নেই, তবে মুগ্ধ হয়েছিলাম সেটা বেশ মনে আছে।
নাখালপাড়া থাকতে তেজগাঁও পলিটেকনিক স্কুলে পড়েছিলাম ক্লাস ফোর থেকে সেভেন পর্যন্ত। স্কুলে ঢোকার মুখেই ছিল বইয়ের দোকান,
একটি ‘ভাইডি’র গল্প…
ঘটনাটা প্রত্যক্ষদর্শীর (এখানে ‘রুমমেট’) কাছ থেকে শোনা। আমাদের কয়েকজন অফিসার চীনে গেছেন কোর্স করতে। এর মধ্যে আছেন একজন শর্টকোর্সের অফিসার যিনি এখনও সব প্রচলিত সামরিক শব্দ রপ্ত করতে পারেন নি।
তো চীনে অবস্থিত আমাদের ডিফেন্স এটাশের বাসায় দাওয়াত। উনি সবার সাথেই বেশ আন্তরিক এবং খোলামেলা। আমাদের অফিসারদের তিনি যথেষ্ট যত্ন করলেন। ভাবী খাওয়ালেন স্নেহ করে।
বাসায় ফিরে এসে অফিসারটি তার রুমমেটকে বললেনঃ
–
বিস্তারিত»কলেজের লিজেন্ডারি GIVSON বেস গিটার
আমরা তখন ক্লাস 12 -এ পড়ি। আমাদের class function সামনে। ওটার প্রস্তুতি চলছে। গেমস টাইম-এ আমরা পারফর্মার-রা সবাই অডিটোরিয়াম-এ প্র্যাকটিসরত। আমার বদৌলতে আমার ব্যাচে বেশ কিছু গিটারিস্ট পয়দা হয়েছিল; সবাইকেই আমরা যারা মিউজিক সেকশন-টা দেখছি, একটা ফিল্ড দিতে চাইছিলাম।
আমাদের সাখাওয়াত এরকম-ই আমার এক স্টুডেন্ট-ব্যাচমেট আর কি। তো, প্রোগ্রাম-এর একটা গান-এ ও বেস বাজাবে। By the way, আমাদের সময় ক্যাডেট কলেজে গিভসন গিটার-এর খুব প্রচলন ছিল।
বিস্তারিত»রক্তচক্ষু @ night prep
নাইট প্রেপ-এ ঘুমানো ক্যাডেট-দের জন্য একটা খুব-ই নরমাল জিনিস ছিল এটা তো সবাই জানে। এটার জন্য প্রেপ গার্ড সিনিয়র ভাই-দের কাছে কত যে chicken/duck হয়ে থেকেছি তার গল্প তো শেষ হবার নয়।
তো, তখন আমরা খুব সম্ভবতঃ class XI -এ; আমাদের হাফিজ একবার এরকম একটা নাইট প্রেপে ঘুমাচ্ছিলো। ঐদিন ডিউটি মাস্টার ছিলেন আব্দুল মান্নান রোকনি স্যার (যাকে আমরা তখন ‘মান্নান খাউজানি’ ডাকতাম কারণ উনি তার বাম হাত মাথার পেছন থেকে এনে ডান দিকের গাল চুলকাতেন,
বিস্তারিত»কলেজ জীবনের Ctrl+Z আর Ctrl+Y গুলো…
প্রথম পোস্টে জীবনে রিউইণ্ড-পজ-প্লে আর undo সম্পর্কে লিখেছিলাম। ভাবনা যখন লিখা হয়ে ভূমিষ্ঠ হয় তখন মনে হয় এর ডালপালা গজাতে থাকে। আমার বেলা হলও তাই। Undo কথাটা লিখার পরেই মনে হল আচ্ছা সুযোগ পেলে আর কি কি undo করতাম আমি। কল্পনাই যখন করছি, তখন redo নিয়ে চিন্তা করতে তো বাধা নেই। (লেখাটা আমাদের ব্লগের সাইন্স ফিকশন গুরুদের ‘যোগাযোগ মডিউলে’ একটা চিন্তার খোরাক দিতে পারে)।
সত্যিই যদি জীবনের কিবোর্ডে Ctrl+Z প্রেস করা যেত তাহলে এই সমস্ত ইভেণ্টগুলোকে undo করতামঃ (সংগত কারণে সারা জীবনের ইপ্সিত undo গুলো ক্লাসিফায়েড,
বিস্তারিত»আজাদ-এর প্রথম সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা
আমাদের SSC exam এর registration করানোর জন্য একবার কলেজ এ যাওয়া লাগলো। আমাদের intake এর সবাই… তো, আমাদের হাফিজ থাকতো ঝিনাইদহ-তেই। সে কলেজ-এ সাইকেল চালিয়েই চলে আসলো।
আজাদ তখন সাইকেল চালাতে পারতো না। ও বায়না ধরলো যে তাকে সাইকেল চালানো তখন-ই শিখাতে হবে। ভাল, আমি শিখানো শুরু করলাম। বললাম, প্যাডেল মার, দুরে তাকা, ভয় পাইসনা আমি আছি পেছনে তরে ধইরা রাখমু problem নাই তুই just সোজা তাকা আর প্যাডেল মারতে থাক।
বিস্তারিত»পোস্ট যখন গান নিয়েই….তবে তাই সই…..কলেজের সময়ের গান
ক্যাডেট কলেজের সময়টুকুতে অনেক কিছুর সাথে মনে হয় গানটাও শুনতে শিখেছিলাম। যতদূর মনে পড়ে গান-পাগলামিটা সেভেন-এইট থেকেই শুরু। ঢাকার ছেলে, ঢাকায় থাকি – তাই ঢাকার হাওয়াটাই গায়ে লেগেছিল। বাংলায় সোলস-মাইলস-ফিডব্যাক-চাইম এর সাথে ইংরেজি গানের দিকে যে কখন ঝুঁকে পড়লাম, টেরই পেলাম না।
বিস্তারিত»মন খারাপ হলে আমি শুনি বব মার্লের ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’
গায়ক বব মার্লেকে (অথবা মার্লি) কোনো বিশেষণে আখ্যা দেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। একরকম বালককাল থেকে অবশ্য ফৌজদারহাটে তার গানের সঙ্গে পরিচয়। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে এক গায়ক। মুখে মুখে ফিরতো তার গান, “নো ওমেন, নো ক্রাই”, “বাফালো সোলজার” তো বটেই আমার প্রিয় হয়ে ওঠেছিল, “গেট আপ স্ট্যান্ড আপ”। বন্ধু শাহীন (এখন কানাডা প্রবাসী) তো গানটিকে তার জাতীয় সংগীতে পরিণত করেছিল।
সংবাদপত্রের জগতে ঢুকে মাথা থেকে গান,
বিস্তারিত»