থার্সডে নাইট… বৃহস্পতিবার রাত মানেই অন্যরকম এক উত্তেজনা। কালকে সকালে পিটি প্যারেড নেই এই খুশিতেই কেমন করে যে থার্ড প্রেপটা শেষ হয়ে যেত। তারপত ইউক্যালিপ্টাসের ছায়া মাড়িয়ে হেঁটে হেটে হাউজে আসা। একটু দূর থেকে হাউজটাকে মনে হতো বন্দরে নোঙ্গর করা এক বিশাল জাহাজ! ডেকে নাবিকদের ছোটাছুটি… হাঁকডাক।
রোববার থেকে ফোর্থ ইয়ার ফাইনাল, ব্রাউজার ট্যাবে স্পার্কনোটস লিখতে গিয়েও সিসিবিতে ঢুকে যাচ্ছি। আমার অবাধ্য আঙ্গুল গুলো মস্তিষ্কের অনুশাসন মানতে চাইছেনা। পরীক্ষার আগের এই থার্সডে নাইটে তাই ফ্ল্যাশব্যাক হয়ে কেন জানি ঘুরে ফিরে মনে আসছে কলেজের সেই নির্ঘুম রাতগুলোর কথা।
থার্সডে নাইট মানেই যেন বেশীক্ষণ টিভি দেখার এক অন্যরকঅম স্বাধীনতা। বিটিভির যান্ত্রিক NEWS @ 10 এর পর বাংলা সিনেমার গানের অনুষ্ঠান ‘তারকাজগত’ অথবা ‘চিত্রগীতি’র অন্যরকম আনন্দ। আমাদের আগামী এক সপ্তাহের আনন্দ বিনোদনের খোরাক। রুমে ফেরার পথে ঠোঁটে মান্না -মৌসুমির সেই গান…অনন্ত প্রেম…রাতে রূপালি স্বপ্ন!
একটু সিনিয়র হলেই ক্যাডেট কলেজে থার্সডে নাইট মানেই যেন চাপা উত্তেজনা…নিষিদ্ধ সব কাজের জন্য সাপ্তাহিক পবিত্র দিনের আগের রাতটিকে যেন বিধাতা ক্যাডেটদের জন্যই বরাদ্দ করেছেন! কলেজ পালানোর জন্যেও এই রাত আদর্শ। তবে ভেজাইল্যা নাইট ডিউটি মাষ্টার হয়ে গেলে একটু সমস্যা হইতো।ছাদে যাওয়া, ডাব পাড়া, রুমে কম্বল টাঙ্গিয়ে সারারাত তাশ পেটানো, কারো রুমে জমে ওঠা আড্ডা আর আমাদের কলেজের মতো যেসব কলেজে তিন হাউস একই বিল্ডিং এ সেক্ষেত্রে রাতে অন্য হাউসে কোন বন্ধুর রুমে ঘুরে আসা…বিকেলে ক্যান্টিন থেকে কেনা চানাচুর, ডিউটি ক্যাডেট কি দিয়ে জোগাড় করা পিয়াজ -মরিচ এন্টি-কাটার দিয়ে কুঁচিয়ে মেখে খাওয়া সব দৃশ্যের রিল যেন আমার মাথায় ঘুরতে শুরু করেছে।
কোন বন্ধুকে দেখেছি জানালা দিয়ে আসা করিডোরের আলোয় ‘নিষিদ্ধ’ মাসুদ রানা পড়তে…এমন ভক্তরা আছে বলেই তো কাজীদারা লেখা চালিয়ে যাবার সাহস পান।
এখন ক্যালেন্ডারে একেকটা দিন মানে এক একটা সংখ্যা…আবেদনহীন। এখন অনেক দেরী করে ঘুম থেকে উঠতে পারলেও কলেজের সেই একটু বাড়তি ঘুমের আনন্দ আর ব্রেকফাস্টের খিচুড়ির মজাটা পাই না।
১ম 😀 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:(( :(( পর জন্মে আমি আবার ক্যাডেট হবো।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ইইইহ্, আমি নিচ্চিৎ এই পোলা কলেজে থাকতে কইছে কবে যে কলেজ থিকা বাইর হমু!
পরজন্মে আমি মরতুজা ভাইও হবো B-) B-)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
অসাধারন স্মৃতিচারণ।
সিসিবিতে গত অনেকদিনে পড়া সেরা স্মৃতিচারণ গুলির একটা। :thumbup:
সামিউর, তোর লেখা খুবই দারুণ। :clap:
আর বেশি করে লিখ।
ধন্যবাদ কামরুল ভাই
সামিউর দোস্ত তুই কঠিন লিখসস।
বিশ্যুদবারের সিনামা দেখার জন্য সাম্নে সিট রাখার প্রতিযোগীতা চলত আমাদের ক্লাস ১২ -এ থাকতে। মসজিদ থেকে দউর দিতাম ক্লাস সেভেন-এর মত হাউজের উদ্দেশ্যে। কত স্মৃতি, না রে!!
আমরা দৌড়াদৌড়ি করতাম না, তবে বৃহস্পতিবার সকালে পিটিতে যাওয়ার আগে চেয়ারে চক দিয়ে ক্যাডেট নাম্বার লেখার রেওয়াজ ছিল। যে যার আগে সকালে উঠে সিট রাখতে পারে!
আপনারাতো খুবই ভদ্র ছিলেন ;;;
এই চেয়ার রাখা নিয়া ফাটাফাটি হইছিল, তারপরে অযথা রক্তপাত এড়াতে এই ব্যবস্থা নেয়া হইলো।
পরের কথা হইলো, এই সিস্টেমেও পুলাপাইন দুই নাম্বারি করছিল। আগের রাতে, বুধবার লাইটস আউটের পরে কমনরুমে ঢুকে চেয়ারে নাম্বার লিখত। x-( x-( x-(
আমরা কিরাম বদাছিলাম!! :dreamy: :dreamy:
ঠিক আছে ভাই আপনারা বদনা ছিলেন না :grr: :grr:
দিলে তো মনটা উতলা করে!
কলেজের পরে কত থার্সডে নাইট এলো...কিন্তু কোনটাই কলেজের মত না...
অসাধারন স্মৃতিচারন সামিউর। :boss:
থার্সডে নাইট রক্স... :thumbup:
এখনো বৃহঃস্পতিবার আসলে মন ভাল হয়ে যায়...কোন কারণ নেই, তবুও... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হঠাত মনে পড়ল, আজ আমার এখানে বৃহস্পতিবার রাত। 😀 😀 😀
কিন্তু কুনো স্পেশাল-ডিনার নাই। তাই কুনো মজাও নাই। :(( :(( :(( :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
থার্সডে নাইটের গল্প বললি কিন্তু ইস্পিশাল ডিনার, আর কাবাবের কথা বললি না ... ক্যাম্নে কি ??
ফৌজে কিন্তু আমরা এখনও থার্সডে নাইট, মাস্তি নাইট পালন করি ... 😉
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
বস...আমরা কন্তু শুক্রবারে পোলাও খাইতাম...তাই...
😮 😮 😮
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
শুক্রবার স্পেশাল ডিনার 😮 😮 😮
আরে ভাই ইম্প্রুভড ডিনার এর কথা আর কি বলব? ওতে যে মুরগীর কারি টা দিত সেটার ঝোলের টেস্ট আমি আর কুনোদিন কোথাও পাইনাই।
ামাদের খাসির মাংস দিত :dreamy:
চমৎকার স্মৃতিচারণ সামিউর :clap: :clap:
নস্টালজিক করে দেয় :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
স্মৃতিচারণ ভাল হয়েছে। আরো ভাল করার... ছিল 😉 ( মানে স্পেশাল ডিনারের কথাটা বাদ পরায় একটু অপূর্ণ লাগছে 😛
চমৎকার লেখার স্টাইল সামিউর :thumbup:
ভালো লাগলো সামিউর। তোমাদের কলেজ যখন জন্ম নেয় নেয়, সেই সময় ১৯৭৯ সালে সিলেটে এক্সকার্শনে গিয়ে তোমাদের কলেজে ছিলাম।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ধন্যবাদ সানা ভাই...আপনি ভালো বলসেন খুব খুশি লাগতেসে। 🙂
অসাধারণ স্মৃতিচারণ :boss:
কিন্তু থার্সডে নাইটেও প্রেপ!!! 😮
আহারে, মায়া লাগতেসে...
আমাদের ঐদিন কোন প্রেপ ছিলনা...তাই সেকেন্ড প্রেপ টাইমে হাউসে শরীর গরম(ব্যায়াম) কইরা, স্পেশাল ডিনারে কুবাইতাম :gulli2:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
😮 😮
আমাগো কুনু প্রেপ আছিল না, কি মজা, কি মজা :awesome: :awesome:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আসলে ভাইয়া আমি আমার কলেজের কন্টেক্সট এ লিখসি...আমাদের থার্সডে তে প্রেপ ছিলো কিন্তু শুক্রবারে ছিলোনা। আর স্পেশাল ডিনার শুক্রবারে...তাই কাবাব পুডিং এগুলা ছিলো না...আসলে আমি খাবার বা পুডিং ,প্রেপ এসব এ না গিয়ে ঐ রাতের মজাটা বা তথাকথিত অপকর্ম গুলা করা বা করার প্রয়াস, বা বৃহস্পতিবার রাতের ভিন্নতার কারণ এই সব নিয়ে যে রোমাঞ্চ সেটা একটু প্রকাশ করার চেষ্টা করসি।
কাবাব পোলাও এর গল্প অন্য দিন করবো।
মজার লেখা দিয়েছ সামিউর।আমি তোমার নিয়মিত পাঠক।
সামীউর, চমৎকার স্মৃতিচারণমূলক পোস্ট। :boss: :boss:
আগেই লিখাটা পরেছিলাম। আজ আবার পরলাম। অসাধারন লাগল। আহ Thursday night. দোস্ত তুই লিখিস অসাধারন। তোর লিখার Big Fan, আমি।বেশি বেশি করে লিখ।Awsaamm Shalaaaaa......... :boss: :boss: :clap: :clap: :gulli2: :gulli2: