কামরুল ভাইয়ের পুরনো দিনের গান আজো ভরে মনপ্রান পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে। কমেন্টেই অনেক কথা লেখা হয়ে গেছে তাও অনেক কিছু মনে পড়ে গেল কলেজ ফাংশন নিয়ে। কলেজে সব ব্যাচ ঢুকার পরই একটা ফাংশন করতে হত আমাদের কলেজে সেটাকে বলত ট্যালেন্ট শো। সেখানেই বের হয়ে পড়ত কারা গান গায় কারা কি পারে, এবং পরবর্তী ৬ বছর তাদের দিয়েই সব ফাংশন করানো হত। সবচেয়ে হিট হত মোটামোটি হিন্দি গানটা তাই হিন্দি গানটা করানো হত সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কাউকে দিয়ে।
বিস্তারিত»পুরোনো দিনের গান, আজো ভরে মন প্রান
ক্লাস সেভেনে কলেজে গিয়েই আমরা প্রথম যে স্টেজ প্রোগ্রাম পেলাম সেটা ফাহিম ভাইদের (সুইস আল্পস খ্যাত ফাহিম ভাই) ব্যাচের কালচারাল শো। উনারা তখন সবেমাত্র এসএসসির ছুটি শেষ করে কলেজে এসেছেন। ক্লাস ইলেভেন। আর ইলেভেন মানে কলেজের রাজা। চলাফেরায় সব সময় মারদাঙ্গা ভাব। ফলে উনাদের কালচারাল শো’ও হলো সেই রকম মারদাঙ্গা।
শরীফ উদ্দিন নামে আমাদের একজন রসায়নের স্যার ছিলেন, ক্যাডেটদের যম বলা যেতো তাকে।
বিস্তারিত»নস্টালজিয়াঃ ভুলিতে চাই না আমি, ভুলি কেমনে?
জ়ীবনে বন্ধু আসে কয়েকটা স্তরে। আমার এক স্কুলে বেশিদিন থাকার কপাল হয়নি। আব্বু সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করতেন বলে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম এর স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত আল্লাহ রহমতে পাঁচ বছরে চার বার স্কুল পরিবর্তন করতে হয়েছে। বছরের মাঝখানে স্কুলে ভর্তি হবার কারণে রোল নম্বর আসত ১৪৪ বা ততোধিক। ফলাফলঃ পিছনের বেঞ্চে পোংটা পোলাপানের নিবিড় সান্নিধ্য পাওয়া, স্যার অথবা ম্যাডামদের চোখে খারাপ ছাত্রের লেবাশ প্রাপ্তি এবং মুখে তুচ্ছার্থক সম্বোধনেই যার পরনাই আনন্দে মাথা চুলকানো।
বিস্তারিত»আহসান ভাই রিটার্নস
ভাই,কেউ বলতে পারবেন কি,ব্যাঙের শুক্রাণু আর সাপ এর ডিম্বাণু মিলে যে জীব সৃষ্টি হবে তা কেমন হবে?!? :dreamy:
সেই কাহিনী আজ শুনুন তাইলে……
আমি তখন ক্লাস এইটে।সবেমাএ জীববিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় বুঝতেছি,আর কিছু বিষয় মাথার মধ্যে ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর বেশি তাপমাত্রায় ফুটতো।(বি:দ্র: আমার মাথার গলনাঙ্ক কক্ষ তাপমাত্রার একটু বেশি!)।এর প্রমাণ আমি আমার বালিশ ও হাউজের বাথরুমে পেয়েছি।পাঠকগণ,কথাটাকে প্লিজ অন্যভাবে নেবেন না।মাথার চুল যে হারে উঠছিল,তাতে ঘুম থেকে উঠেই আগে বালিশ ঝাড়তে হত;আর বাথরুমে গোছলের সময় পানি যেন না আটকায় তার ব্যাবস্থা করতে হত।তবে এটুকু ঠিকই বুঝতাম,হাওয়া থেইকা ক্যামনে একটা জ্বলজ্যান্ত প্রাণী(মানুষ,বিড়াল,কুকুর,…প্রমুখ) এই সুজলা সুফলা ধরণীতে আগমণ করে।আর রিসেন্টলি সুকুমার রায়ের হাইব্রিড নামগুলার(বকচ্ছপ,সিংহরিণ…)সংস্পর্শে এসে কোনভাবেই একটা ইকুয়েশন মিলাইতে পারছিলাম না।ব্যাঙের শুক্রাণু আর সাপ এর ডিম্বাণু মিললে কি হবে?ক্লাসমেট প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসা করছি,কিন্তু কারো ‘লিমিটেড ব্যাঙ্ক একাউন্ট’এ আমার এই সহজ সরল চেকটা ভাঙ্গাইতে পারি নাই।অগত্যা,আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাই,আমার জন্ম জন্মান্তরের শুভাকাঙ্খী,আমার সব প্রশ্নের উত্তর জানা একমাএ ‘ওরাকল’,আহসান ভাইয়ের(৩৫তম ইনটেক,মকক) সরণাপন্ন হলাম।তিনি ডাইনিংয়ে আমার বাম পাশে বসেতন।একদিন ডিনারে সবাইকে ডিমের কারি দিছে।কারি বলতে,ঠান্ডা পানির সাথে বিশ্বের তাবৎ মশলার সংমিশ্রণে যে অদ্ভুত যৌগ তৈরী হয়,তা।ডিমটা ফুল সিদ্ধ,গরম তেলে একটু ভাজা।সবার সামনে প্লেট আর প্লেটের বামপাশে হাফপ্লেটে কারি থাকতো।ভেজিটেবল দিয়ে খাওয়া শেষ করে,যেইনা কাটা চামচের মাথা দিয়ে ডিমটা হাফ প্লেট থেকে ফুল প্লেটে ট্রান্সফারের উদ্যোগ নিয়েছি,রাস্তার মধ্যে কোন এক দুর্নিবার আকর্ষণে ডিমটা নিউটনের সূত্যের প্রমাণ স্বরূপ হাফপ্লেটের বুকে যেয়ে পরল।কোন যুবতী মেয়ে আমার বুকে ২০০ কিমি স্পিডে ধাক্কা খাইলেও এতটা ‘ইয়ে’
বিস্তারিত»ওমের্তা
ইতালির সিসিলির মাফিয়াদের নিয়ে অনেক গল্প-উপন্যাস, চলচ্চিত্র হয়েছে। তবে মাফিয়া সাহিত্যের সবচেয়ে বড় শিল্পী আমার মতে মারিও পুজো। আমেরিকায় অভিবাসী ইতালীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের ছেলে তিনি। লিখেছেন উপন্যাস ও চিত্রনাট্য। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হলো ” দ্য গডফাদার”, সেবা প্রকাশনীর কল্যাণে এর অনুবাদ অনেকেই হয়তো পড়েছেন। তাঁর সেরা চিত্রনাট্য এই উপন্যাসেরই চিত্ররূপ, ফ্রান্সিস ফোর্ড কাপোলা পরিচালিত অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র “দ্য গডফাদার”। অনেকেই এই চলচ্চিত্রটিকে এ যাবৎকালের সেরা চলচ্চিত্র বলে গণ্য করে থাকেন।
বিস্তারিত»সাইফুল স্যার ও আমার ২য় পোস্ট
সিসিবি তে এটা আমার ২য় লেখা। প্রথম ব্লগ এর অসাধারণ(!) সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আজকের লেখার জন্ম। আজও আপাতত ১ টা ঘটনা দিচ্ছি।
**ক্লাস টেন এ তখন। ১৪ নং রুমে থাকি। করিডোর এর সাইডে জানালার পাশেই আমার বেড। গেমস এর পর এসেই ড্রেস চেঞ্জ না করেই সদ্য পাওয়া মাসুদ রানা সিরিজের “নীল ছবি” নিয়ে বসলাম। করিডোর দিয়ে যাচ্ছিলেন হাউজ ডিউটি মাস্টার সাইফুল ইসলাম(ইতিহাস) স্যার।তিনি আমার পড়ালেখা সম্পর্কে ভালই খোঁজ খবর রাখতেন!হঠাৎ কোন পূর্বাভাস ছাড়া রুমে ঢুকেই বললেন,”জাবীর,তুমি তো এত পড়ালেখা সচরাচর করো না!”
বিস্তারিত»আফসোস রিটার্নস্…
– ‘কিরে ব্যাটা! কি করস??’
– ‘কি আর করুম, নেট ব্রাউজ করি…’
– ‘সারাদিন তো করিস ঐ এক কাজ…’
– ‘না করার কি আছে? আমার তো এখন অখন্ড অবসর…!’
– ‘হা হা হা…কবে তোর ‘অখন্ড অবসর’ থাকে না…???’
এই পর্যায়ে হাল্কা মাইন্ড খাইলাম, ‘হালায় আমারে পঁচাইল নাকি?’ ভাবতে ভাবতে বললাম,
– ‘ইয়ে…মানে…অফিসিয়ালি আর কি…কেবলই সেমিস্টার শেষ হইল তো…!!!’
সেদিন জাফরের সাথে কথা শেষ করে ফোনটা রাখার পর হঠাৎ করে অনেক পুরনো স্মৃতি পড়ে গেল…
বিস্তারিত»আহসান ভাই ও আমার প্রথম ব্লগ
সিসিবি তে এটাই আমার প্রথম লেখা। প্রায় নিয়মিত ব্লগগুলো দেখা হলেও সাধারণত কি লিখব কি লিখব করে লিখা হয় না।আজ আপাতত ১ টা ঘটনা দিয়েই শুরু করি।
**তখন ক্লাস এইটের শেষ টার্ম। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের সোহরাওয়ার্দী হাইজের ১১ নং রুমে থাকি। রুমে সাৱির ভাই,মুশফিক ভাই এর কল্যাণে গিটার ও ড্রামস শেখার হাতেখরি। রাতদিন (দুখিঃত..কোয়াইট আওয়ার,গেমসের পর,রাতে থার্ড প্রেপের পর..) চলত আমার মিউজিসিয়ান হওয়ার অক্লান্ত সাধনা।
বিস্তারিত»আচার ০১১: ভাবুক বিনে ভাব জাগে না
২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বোধ হয় সেইদিন। ১৮ ও হতে পারে, ঠিক মনে নেই। আমরা, মানে আই ইউ টি-র ০২ ইনটেকের সবার মনে তখন মিশ্র একটা অনুভূতি। পাস করার আনন্দ আর সেই সাথে সামনের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে শংকা। সবার বললে হয়তো ভুল হবে, কারণ কিছু বস পোলাপান পাস করার আগেই মোটা বেতনের চাকরী বাগিয়ে বসে আছে। আর আমার মতো ক্যাবলাকান্তরা কি হবে কি হবে মনে করে মাথার চুল পাকাচ্ছে।
বিস্তারিত»কৈশোর ৪
সব ভালো জিনিশেরই বোধহয় একটা শেষ থাকে। আমাদের জীবন আবার এতোই অদ্ভুত- অনেক কিছুই শেষ হয়েও শেষ হয় না। এই গল্পের শেষটুকু আমি এখনও কাউকে বলি নাই। এই লেখাটাও আগে শেষ করি নাই। এখন কেন জানি মনে হচ্ছে শেষ করতে হবে। সব কথা ফুরুলে নির্বাক বসে থাকা নির্জন বাতিঘরের কাছে আর কোনও কথা জমা থাকবে না। সেভাবে নির্ভার হওয়াটাও জরুরি মনে হচ্ছে এখন।
৫ই জুন মেসেজটা পেয়েছিলামঃ “যতদূরে গেলে দূরে যাওয়া হয়,
বিস্তারিত»নাটক প্রতিযোগিতা : তোমরাই
আইসিসি ফুটবল কম্পিটিশন ১৯৯৭ এর প্রস্তুতি পর্ব। অনেকটা সময় ছিল বলে তখনও মূল দল নির্বাচন করা হয়ে ওঠেনি। এই গ্যাপে আমরা বুট শিনগার্ড ইস্যু করে টুকটাক প্রাকটিস শুরু করেছি। কোন এক শুক্রবার সকালে ঘন্টা দুয়েক খেলাধুলা করে হাউসে আসতেই শুনি হাউস মাস্টার আর জনাদু্ই হাউস টিউটর মিলে আন্তঃহাউস নাটক প্রতিযোগিতার প্রস্তুতির তফছড়া করছেন। ১৯৯২ এর পর থেকে এই পর্যন্ত কোন আন্তঃহাউস নাটক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে নাটকের জন্য সিএডি’র মতোন যে সাজ সাজ রব পড়ে যাওয়ার কথা তার বিন্দুমাত্র উপস্থিত নেই।
বিস্তারিত»আজ মন খারাপের দিনে
আজ সকালে তুহিন ভাইয়ের পোষ্ট দেখার পর থেকেই কলেজ জীবনের সবচেয়ে কষ্টের স্মৃতিটা খুব বেশি মনে পড়ছিল। অশ্রূ ভেজা দুটো চোখের সামনে আমার অসহায়ত্বের ছবি বারবার ভেসে উঠছিলো। সেই জমাট বাধা কষ্টের প্রলাপ বকেই আজ সিসিবিতে আমার ব্লগিং ইনিংসের শুরু হলো।
আমি ছিলাম বদর হাউসে আর আশিক হুনাইনে। যে কোন গেমসেই ওর মারাত্নক ভালো পারফরম্যান্সের জন্য অন্য কলেজের অনেকেই ওকে চিনতো।
মা
আমার আজকের এই লেখাটি তুহিনের মায়ের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করে তুহিনকে উৎসর্গ করে লিখা।
আমার ক্যাডেট কলেজের একেবারে শুরুর দিকের ঘটনা। ১৯৯২ সালের জুলাই/আগষ্ট মাস। ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন। আমি, ফখরুল, ফয়সাল এবং মাহফুজ আমরা ৪ জন ছিলাম রুমমেট। আগের শুক্রবারে প্যারেন্টস্ ডে হয়ে গিয়েছে। সবার কাছেই কমবেশি খাবারের ষ্টক আছে। ফয়সালের ডেক্সের ভিতরে ছিল ড্রাইকেকের একটা প্যাকেট। আমি আবার ড্রাইকেক খুব পছন্দ করতাম।
বিস্তারিত»কামরুল হাসানকে বলছি
দোস্ত ,অনেক আগে দার্জিলিং য়ে মাইনাস ৫ তাপমাত্রায় টাইগার হিল যাবার সময় আমার কাছে একটা মাফলার চাইছিলি, কিন্তু আমি দেই নাই।
দোস্ত, পরে ঘটনাটা মনে পড়ার পর খুব খারাপ লাগছিলো। আমি এই জন্য এখন অনুতপ্ত।
আমাকে কোন এক সময় ক্ষমা করে দিস।
টুশকি জুনিয়ার!!!!
অনেক দিন ধরে টুশকি ভাইয়ের টুশকি পড়তে পড়তে আমারও মনে হল আইডিয়াটা বেশ ভাল। জীবনে চলার পথে ছোট খাট এই রকম প্রায়ই হাস্য কৌতুকের সম্মুখীন হতে হয়। ঘটনা গুলো সুন্দর ভাবে লিপি বদ্ধ করাটাই কঠিন কাজ। যেটা কিনা সায়েদ ভাই(মতান্তরে টুশকি ভাই) তার সুনিপুন দক্ষতায় সহজ করে পরিবেশন করেন। আরও অনেকে অতি সুন্দর বর্ননা করতে পারে, কিন্তু আমি মটেও পারি না 🙁
আমি আমার আসল লেখায় চলে যাই।