সেন্টমার্টিন থেকে চলে আসার পর মনটা কেমন অবসাদগ্রস্ত হয়ে ছিলো। এতো আনন্দ ফুর্তির হঠাৎ পরিসমাপ্তি খুবই বেদনাদায়ক। তাই চলে আসার পর থেকেই মনে মনে ফন্দি আঁটতে শুরু করি যে আবার কোথায় যাওয়া যায়। ভাবলাম সমুদ্রতো দেখা হলো, বাকি রইলো পর্বতশৃংগ। বাকি রইলো হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্গা। নামটা মনে হতেই এক অজানা রোমাঞ্চ অনুভব করলাম। যে করেই হউক হিমালয়কে কাছ থেকে একবার দেখার লোভ সামলাতে পারলাম না। অন্তত পশ্চিমে আসার আগে হিমালয় আমাক দেখতেই হবে।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন, ভাইয়া
আমার ছোটভাই কনক। ওর পিচ্চি বেলার কথা এখনো আমার মনে আছে। আমি ওর অল্প বড় হলেও ওকে নিয়মিত গল্প শোনাতাম। কখনো গল্পের বই থেকে কখনো বানিয়ে বানিয়ে। সেও ছোট্টবেলা থেকে ও আমার সাথে সাথে থাকত। ৩ ভাইয়ের মাঝে আমরা দুজন থাকতাম সবসময় একসাথে। পিচ্চিটাকে নিয়ে চলত আমার সারাদিনের সকল কাজ। খেলাধূলার ব্যাপারে ওর প্রায় সব খেলার হাতেখড়ি মনে হয় আমার হাতেই। পিচ্চিবেলায় ও যখন মাত্র পড়ালেখা শুরু করে তখন একবার নিজের বানান করেছিল এইভাবে cng কনইক্যা।
বিস্তারিত»জেন্টল্ ক্যাডেটস!
আমি আমার আগের লেখাতেই বলেছিলাম ক্যাডেট থাকা অবস্থায় বাইরের মেয়েদের সাথে আমাদের চিন্তাধারার অনেক পার্থক্য ছিল। কলেজের নিয়মকানুন আর ব্যস্ততার জন্যই হয়তোবা নিয়ম ভাঙার বিষয়গুলো আমাদের অনেক বেশি আকৃষ্ট করত।
আমরা যখন ক্লাস টেন এ পড়ি, কোন এক ছুটিতে আমার কাজিনদের একজন ইটালি থেকে এসেছে। সঙ্গে এসেছে তার ছোট বেবিটা। আমাদের সব কাজিনদের গেট টুগেদার হচ্ছে বড়খালার বাসায়। ওখানে আমাদের একজন আরেকজনকে পঁচানোর উপায় ছিল ‘কুদ্দুস’ বলা।
বিস্তারিত»কলেজ লাইফ-ক্লাস সেভেন
৭ই মে ২০০২,আমরা ২৫তম ব্যাচ বরিশাল ক্যাডেট কলেজে পা দেই। অনেক কলেজের মত আমরাও ৫০ জন ছিলাম ২৫তম ব্যাচে। ক্লাস সেভেন, প্রথমেই সিনিয়রদের দেয়া কিছু টিজ নাম মাথা পেতে নিলাম। :no: আমরা সোহরাওয়ার্দী হাউজ এ ছিলাম সতেরো জন। আর আমার প্রথম রুম ৩০৩ এ আমরা ছিলাম ৪ জন। আমি,শশী,রেজা এবং মুস্তাকীম।
আমরা যাওয়ার ৭ দিন পরই ভেকেশন ছিল। কিন্তু তার আগেই জানিনা কিভাবে মুস্তাকীম মোজার বল বানিয়ে ফেললো।
বিস্তারিত»পাঙ্কচোয়াল!
[বড় ভাই-রা, প্লিজ অন্যভাবে নিয়েন না… জাস্ট স্মৃতিচারণ, মনে কোন বিতৃষ্ণা নাই O:-) ]
আগে একটু হিন্টস দিয়া লইঃ
আমরা তখন নতুন নতুন ক্লাস টেনে উঠসি। আমাদের গ্রান্ডপা’দের (অল্টারনেট সিনিয়র) জেপি-শিপ দেওয়া হইসে প্রথম প্রথম। আমরা মোটামুটি হ্যাপি কারণ যিনি প্রথম জেপি হইসেন (নাম কইলাম না) তারে আমাদের খুব ভাল লাগত, বেশি ঘাটাইত না জুনিয়র নিয়া। ভাবলাম, যাক –
বিস্তারিত»আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া… গান ছাড়া
ক্লাস ইলেভেনে প্রথম টার্মটা আম চুরি, করমচা চুরি এসব টুকরো টুকরো ইনডিসিপ্লিন কাজ দিয়েই শেষ। এবার ২য় টার্মটাও বেশ কর্মবিহীন যাচ্ছে। সবার মনে তাই কিছুটা ভাব জেগে উঠেছে, বেশির ভাগ ওয়াকম্যানে গান শুনে সময় কাটাচ্ছে। আমাদের ডর্মে আমি আর কানিজ লেখালিখি করতাম। ক্লাস সেভেন থেকেই তাই আমাদের অবসরটা লেখালিখি করে ভালোই কাটছে।
একদিন দেলোয়ারা ম্যাডাম ডি.এম. ছিলেন, উনি হঠাৎ করে আমাদের ব্লক সার্চ করে সব ওয়াকম্যানগুলি সিজ করে নিয়ে গেলেন।
বিস্তারিত»আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া…
হায়দার হোসেনের এই গানটা আমাদের অব্যক্ত অনেক কথাই বলে ফেলল….আমরা কিছুই বলতে পারলাম না, শোকের ভয়াবহতা আমাদের পাথর করে ফেলেছে। নির্বাক নিস্তব্ধ হয়ে দেখে যাই ভিডিও ফুটেজ কিংবা স্বজনহারাদের স্থিরচিত্রগুলো। আমাদের বুকের লাল রক্ত শুধু বর্ণহীন অশ্রু হয়ে চোখ দিয়ে নিঃসৃত হয়ে চলে, কেউ বোঝে না এই যন্ত্রনাময় রক্তক্ষরনের রুপান্তরের নেপথ্য….
তবে আমি সারাজীবন এই যন্ত্রনা পেতে চাই। এই যন্ত্রনার রয়েছে এক অমিত শক্তি,
বিস্তারিত»সাঁঝের বেলায়
সিসিবি’র প্রথম গেটটুগেদারে কামরুলতপু ভাইয়ের আবদার ছিল এরকমঃ তুমি সবাইকে উৎসর্গ করে এটা-সেটা লিখছো, আমার জন্যে কবে লিখবা? সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ওনার নাম করে এই লেখাটা প্রকাশ করার। এটা গল্পাকারে হলেও মূলতঃ আমার ব্যক্তিগত কাহিনী, কলেজ বার্ষিকীতে প্রকাশ হয়েছিল। এখন সেটা দেখে দেখে টাইপ করতে হলো, আর সেকারণেই তপু ভাইকে ওয়েট করতে হলো এতগুলো দিন!
১…
আজ বিকেলে কলেজ থেকে বাসায় এসেছে কথন।
বিমানবালা – রিলোডেড
[ বহুদিন আগে একখানা গল্প অর্ধেক লিখে বৌ’য়ের ভয়ে সেখানেই শেষ করে দিয়েছিলাম। তারপর নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সেই গল্প আর শেষ করা হয়নি। ভেবেছিলাম পাঠকরাও ভুলে যাবে, এই পোস্ট-সেই পোস্ট দিয়ে সেই অর্ধেক গল্প থেকে চোখ ফেরাতে চাইছিলাম। কিন্তু সিসিবির পাঠক খুব খারাপ। কয়দিন পরপরই দেখি সেই অর্ধেক গল্পের পোস্টে একজন করে কমেন্ট দিয়ে আসে, ‘কি ভাই , বাকি গল্পটা শেষ করবেন না’।
বিস্তারিত»ডায়লগ সমাচার (সিলেটি ভার্সন)
জিহাদ ভাই আর মাসরুফ ভাইয়ের ডায়লগ মেলোডি আর ডায়লগ মাসালা দেখে আমি আমাদের কলেজের কতিপয় ডায়লগ সবার সাথে শেয়ার করলাম। প্রথমেই কপিরাইট ভঙ্গের জন্য এবং আমার মত নাদান লেখক দারা ওনাদের মত গুণী লেখকদের নকল করবার চেষ্টার জন্য :frontroll: :frontroll: দিয়ে নিচ্ছি।
#জিওগ্রাফির একজন স্যার, কলেজে ৪ বছর আমাদের ফর্ম মাস্টার ছিলেন, আমরা যখন এইটে উনি বিএমএ থেকে ইংরেজি কোর্স করে আসার পর অক্সিলারি ভার্বের তোয়াক্কা না করে মুখ দিয়ে ফটফট ইংরেজি বাইর করতেন,
বিস্তারিত»ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৪
সমস্ত দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম খুঁজি রাতের আঁধারে। হয়ত জানালার গ্রীলে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখা, সিনিয়র ব্লকের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে কুয়াশার দৌড়, মধ্যরাতে দল বেধে এক কিলোমিটার হেটে দুধ চা খেয়ে আসা, কান পেতে শুনতে চাওয়া বাতাসের শব্দ, পূর্নিমার চাঁদ (কেমন আছ তুমি ঈদানীং), পুকুরের পারে বসে গিটারের টুংটাং শব্দে তিতাসের গান, কিংবা আবৃত্তি, অথবা বৃষ্টির ঝিমঝিম শব্দে গায়ের উপর পর্যন্ত টেনে নেয়া কম্বল, (বৃষ্টির ফোটা গুনতে চাওয়া,
বিস্তারিত»আমার কাজলাদিদিরা – শেষ পর্ব (আপুসোনা)
[সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট অনেক বড় এবং বরাবরের মতই আমার ইমোশনাল লেখা। অনেকের বিরক্তি উৎপাদন করতে পারে তাই নিজ দায়িত্বে পড়ুন। কেউ খুব বিরক্ত হলে কিংবা আমার লেখা ন্যাকামি মনে হলে তাদের জন্য ভাল খবর হচ্ছে এইটাই আমার এই সিরিজের শেষ লেখা। এই সিরিজ আমার অনেক ইমোশনের তাই শেষ করে নিজের খুবই খারাপ লাগছে। ]
আমার কাজলাদিদিরা – ৬
এইচ,এস,সি পরীক্ষার আগের শেষ ছুটিতে কলেজ থেকে ঢাকা আসলাম।
ফিরে দেখা একটি বছর…
আমার আজকের এই পোষ্টটি আমার কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারন, সম্ভবত এটি লাইবেরিয়ার মাটিতে বসে আমার লেখা শেষ পোষ্ট। এক বছরের অনুভুতি লিখতে গিয়ে লেখাটি অনেক বড় হয়ে গেল। হয়তো সামনের একটা লম্বা সময় সিসিবিতে থাকতে পারব না। তাই সিরিজ বানিয়ে ঝুলিয়ে না রেখে একবারেই সম্পূর্ণ লেখাটি দিয়ে দিলাম।
প্রারম্ভিকা
২০০৮ সালের ০৬ মার্চ আমরা এই লাইবেরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলাম ।
বিস্তারিত»কিছু শৈশব ও একটি মন খারাপ গল্প
শিক্ষাজীবন শুরু করেছিলাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাংগাইল থেকে। টেক্সচুয়ালি ভাল থাকলেও, বাহ্যিক সাধারন জ্ঞান কম থাকার কারনে সবাই একটু বাঁকা চোখেই দেখত। আমার জেঠাত ভাই মলয় বেশ চালাকচতুর ছোটবেলা থেকেই। তাই যৌথ পরিবারে ওর দাপট ছিল খুব বেশি। মাছের মাথাটা দুপুরে স্কুল থেকে আসার পর মলয়ের পাতেই যেত। আজ সেই মলয়কে খুব মনে পড়ছে। তাই হঠাৎ ভাবলাম ওর কথাই লিখবো । ওর কিছু কিছু ঘটনা আজো আমার মনে পড়ে।
বিস্তারিত»নির্বাক আমি…(ভুলব আমি কেমন করে)
ভুলব আমি কেমন করে (ইউ টিউব লিন্ক)
ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত
ভুলব আমি কেমন করে
এই বেদনার শোক
আজ কেবলি এই হৃদয়ে
দুঃখ নদীর স্রোত