আফটারনুন প্রেপ

ঢাকায় নাকি এখন ম্যালা গরম। তারওপর বিদ্যুৎ মামা নাকি সারাদিনই লুকোচুরি খেলেন। যানজটের ঠ্যালা নাকি বামে দিয়া চামে আর ডানে দিয়া বামে প্রতিনিয়ত জনগনের বারোটা বাজাইতেছে। নাকি বলিলাম কারন গত দেড় বছর দেশে যাই নাই। লোকমুখে শোনা কাহিনী। ভুক্তভোগি মনে লয় ব্লগের বৃহদাংশ জনগন।

তবে গরমের কথা মনে পড়লেই কলেজের গ্রীষ্মের টার্মটার কথা মনে পড়িয়া যায়। আমার তো শতভাগ ধারনা আফটারনুন প্রেপে কোন পোলা কুনুদিন কিছু পড়ছে কিনা।

বিস্তারিত»

এক রুমমেটের কথা

স্মৃতির পাতা হাতড়ে লিখছি, তাই ঘটনা তে কিছু বিবর্তন আসতে পারে।
একই সাথে ৭,৯,১০ এবং ১২শ এ একই রুম এ থাকতাম। তাই সম্পর্ক টা ঠিক বন্ধুত্ব না বলে ভাতৃত্ব বলা সহজ। তার সকল কথা আমার অজানা এমনটি হয়নি। স্বভাবে চঞ্চল এক কথায় দুষ্টদের সরদারদের একজন।
ক্যাডেটরা শিক্ষকদের সাথে যা করে তেমনি করত, তবে মাঝেমাঝে হঠাৎ যে বেশি হত না তার গ্যারান্টি ছিল না।

বিস্তারিত»

এক বলে এক রান!

এক বলে দরকার এক রান , তারপর হাসিবুল হোসেন শান্ত আর খালিদ মাসুদ পাইলটের সেই দৌড়, যার পর থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছিল এক নতুন পথে দৌড়… আজ ১৩ এপ্রিল সেই আইসিসি ফাইনালের ১২ বছর পূর্তি। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ, যার পর থেকেই বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের চিত্র।

সে সময় আমরা ক্লাস এইটে। লাঞ্চের পর পরই দেখলাম ক্লাস টুয়েলভের ব্লকে রেডিও অন করা হয়েছে,

বিস্তারিত»

ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৬

(একই সংগে অবাক আর খুশির খবর হচ্ছে, আমার এই সিরিজে ক্যাডেট কলেজ ঢুকে গেছে এবার। অবাক এই কারনে যে, এটা মাত্রই সিরিজের ছয় নম্বর পোষ্ট, আর খুশি এই জন্য, এটা কলেজের স্মৃতি)

ক্লাস নাইনের ক্রস-কান্ট্রি দৌড়ে সবার শেষে কলেজে ঢুকলাম, তাও দৌড়ে নয়, মেডিক্যালের গাড়িতে চড়ে। মাথা নীচু করে গাড়ি থেকে নামলাম, কলেজের শুভাকাঙ্খি, বন্ধু, হাউস মাষ্টার রুহুল আমীন স্যার, এমনি হাউসের চরম শত্রুরাও অবাক হয়ে গেল আমাকে গাড়িতে দেখে।

বিস্তারিত»

ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৫

সুবর্নের কথাগুলো বরং বলেই ফেলি এবারে।

কবে স্কুলে এসেছে ও, ক্লাস টু, নাকি থ্রীতে, নাকি থ্রীর একদম শেষের দিকে?
কি জানি, মনে করতে পারি না। কিন্তু মনে পড়ে ওর পুরো নামটাই, “আবু ওবায়দা মোহাম্মদ জাফর সাদেক, সূবর্ন”। একবার জানতে চেয়েছিলাম এত বিশাল নামের রহস্য, লাজুক হেসে বলেছিল বাসায় ওর আদরের কথা। সবার আদর, প্রায় সবার কিছু কিছু নাম নিয়ে ওর এই বিরাট নাম।

বিস্তারিত»

ভ্রমোলগ ১: ক্লান্ত ঢাকাত্যাগ এবং ক্রমশ সবুজায়ন

ভ্রমণে বেরোলেই অপরিচিত মুখগুলোকে কেন আমার পরিচিত মনে হয়? এমন না যে এটা আজকেই ঘটছে। আমি আগেও খেয়াল করেছি, সহযাত্রীদের, অপেক্ষমাণ মানুষের মুখ আমার কাছে আপন মনে হয় খুব। অথচ সেই মুখটাকেই এই স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের বাইরে দেখলে আমি ফিরেও তাকাতাম না! ঘরের বাইরে বেরিয়ে আমি কি কিছুটা বিপন্ন হয়ে পড়ি? এজন্যে অচেনাকেও আপন মনে হয়? অথবা আমি একটু সাহসী রোমাঞ্চপ্রিয় হয়ে উঠি, তাই অপরিচিতকেই ভাল লাগে!

বিস্তারিত»

বসন্ত ছুঁয়েছে আমাকে…!!!

(শিরোনাম দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। পিচ্চির (আমার ভাতিজা) বসন্ত হয়েছে…আজ দুপুরে ওর সাথে মারপিট করার সময় ওর গায়ের বসন্ত আমার গায়ে লেগেছে…ব্যাস এই হল নামকরণের ইতিহাস…)

পরশুদিনের আগ পর্যন্ত ভাতিজাকে নিয়ে আমরা সবাই চিন্তায় ছিলাম। বাসার হেল্পিং হ্যান্ড মেয়েটার বসন্ত হয়েছে…ওর থেকে পিচ্চির হবার আশঙ্কা অমূলক নয়। গতকাল আমাদের সবাইকে নিশ্চিন্ত করে (হবে কি না-এই চিন্তা থেকে মুক্তি!!!) দুই তিনটা বসন্ত দেখা গেল ওর গায়ে…আর এক দিনের মাথায় মোটামুটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে…ভাতিজা অবশ্য স্বাভাবিকই আছে…দেখে মনে হল না সে বসন্তের ভারে কাতর…তবে,

বিস্তারিত»

প্রেশিয়াস

দেখতে দেখতে প্যারেন্টস ডে শেষ। ধুত্তোরি! বুঝিনা এইদিন সময়টা এত দ্রুত কেন যায়। আজ আমার রেডি হয়ে যেতেও দেরি হয়ে গেল। জীবনের শেষ প্যারেন্টস ডে-টা একটু লম্বা হলে কি হত! এদিকে আবার নিয়ম করেছে কালো প্যান্ট পরা যাবেনা। আজিব! সাদা প্যান্ট সাদা শার্ট কেমন দেখায়! খুবই awful!!

আমি যদিও এসব নিয়মের ধার ধারিনা। বদ প্রিফেক্ট। জুতা পালিশ করিনা, সক্স পরিনা, বুকের বোতাম খুলে ঘুরি,

বিস্তারিত»

হাবিজাবি

আজ সকাল থেকেই মনটা বেশ খারাপ। কারন, স্প্রিং সেমিষ্টার শুরু হয়া গেল। ক্লাস নিচ্ছি তিনটা। আগের সেমিষ্টারে চারটা নিয়া বিরাট দৌড়ের উপরে আছিলাম। কিন্তু আজ তিন ক্লাসের সিলেবাস দেখে আমি পুরাই আউলায়া গেছি। কোনটার রিডিং এসাইনমেন্টই সপ্তাহে ৩০০ পৃষ্ঠার কম না :grr: । তার উপরে আছে প্র্যাক্টিস এথনোগ্রাফী, সপ্তাহে পুরা একদিন। :((

আগামী কয়েকদিনের জন্য হাইবারনেশনে যেতে হবে। তাই একটা ব্লগ দিয়ে যেতে চাই।

বিস্তারিত»

আমার জ্বীন দেখা

তখন ক্লাশ ইলেভেনে । পাড়ার বখাটে ছেলে বলতে যা বোঝায় হাউসে আমাদের কয়েকজনের অবস্থা ছিল অনেকটা সেরকম যদিও নিজেদের আমরা খুব বস মনে করতাম । আমরা ৫ জন। আমি, আরাফাত, ইফতে, আলীম, মেহেদী।

আমাদের হাউসে এক অদ্ভুত চিড়িয়া বাস করত । ধরি তার নাম ” ফ্যা ” । ক্লাস সেভেন থেকেই সে আমাদের ইনটেকে বিরাট বিনোদনের উৎস ছিল । এক টার্মে ছুটি থেকে কলেজে আসার পর দেখি তার অনেক চেঞ্জ ।

বিস্তারিত»

দার্জিলিং জমজমাট – শেষ পর্ব

পরদিন ভোর বেলায় উঠে সবাই গেলাম কাঞ্চনজঙ্গা’য় সূর্যোদয় দেখতে। ‘টাইগার হিল’ থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্গা’র চূড়া। মাইনাস ৪/৫ তাপমাত্রায় ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে টাইগার হিল যাওয়ায় সময় মনে হচ্ছিলো এবস্যালুটলি রঙ ডিসিশান। আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে একটা জীপ নিয়ে সবাই পৌছে গেলাম ‘টাইগার হিল’। আমাদের মতো আরো অনেক ট্যুরিস্ট অপেক্ষা করছে সেখানে। প্রচন্ড শীতে অনেকেই কাহিল। আগুন গরম চা খাচ্ছি একের পর এক,

বিস্তারিত»

দার্জিলিং জমজমাট -০২

ষ্টেশন থেকে একটা টাটা-সুমো নিয়ে চলে এলাম দার্জিলিং চৌরাস্তায়। আসার পথটা এতো উঁচু-নিচু আর সরু সেটা দেখলে রীতিমতো ভয় লাগে। গাড়ি প্রতিটা বাঁক নেয়ার সময় মনে হচ্ছিলো এই বুঝি খাদে পড়ে যাবে। রাস্তাটা বিপজ্জনক বলেই একটু পর পরই সবার জন্যে সতর্কবাণী ছিলো দেখেশুনে গাড়ি চালাতে। একটা সতর্কবানী আমার এখনো মনে আছে- donate your blood in blood bank, not in the road। চৌরাস্তায় এসে পছন্দসই একটা হোটেল খুঁজে বের করে ফেললাম সবাই মিলে।

বিস্তারিত»

স্বাধীনতা ঘোষণার আগের সেই নারকীয় রাত

[ডিসক্লেমারঃ এটি আমার লেখা নয়। পেয়েছি বিডিনিউজ২৪ এ। আমি লিঙ্ক দিব ভেবেছিলাম কিন্তু মনে হল এই লেখাটি থাকলে আমাদের সিসিবি সমৃদ্ধ হবে তাই পুরো লেখাটি তুলে দিলাম। লেখক এবং অনুবাদক এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক]

অ্যান্থনি মাসক্যারেনহাস

রাত আটটার দিকে একটা রিকশা দ্রুতগতিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে থামলো। রিকশাঅলাটি তখন ক্লান্তিতে হাঁপাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে লোকটা জানালো ঝাড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে রিকশা চালিয়ে এসেছে সে।

বিস্তারিত»

দুধ কাহিনী, খাঁটি vs পাউডার

যতদূর মনে পরে, আম্মার সঙ্গে প্রথম দ্বন্দ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি দুধ খাওয়া নিয়ে। তিনি আমাকে পেল্লায় সাইজের একটা কাঁসার মগে করে প্রায় এক পোয়া দুধ সামনে রেখে খান্ডারনীর মত থাকিয়ে থাকতেন, যতক্ষন পর্যন্ত তা শেষ না হবে। এমন কি বিকালে খেলতে যাওয়ার মত নিস্পাপ চাহিদার সংগে “দুধ খেয়ে তারপর যাও” এর মত কঠিন শাস্তি জুড়ে দিতেন।

ছোট বেলায় অক্ষরিক অর্থেই ওজনে কম ছিলাম।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রুপকথা : ‘তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে’ – (শেষ পর্ব)

[রূপকথার তো কোন শেষ নাই…তাই এই ব্যক্তিগত রূপকথাটাও শেষ করবোনা ভাবসিলাম…তবু একটা বিশেষ উপলক্ষ্যে তাড়াহুড়া করে লিখে ফেললাম…এবারো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে :shy: ]

(প্রথম পর্ব)

– “সে আমার হাত রাখে হাতে;
সব কাজ তুচ্ছ মনে হয়, পন্ড মনে হয়,
সব চিন্তা- প্রার্থনার সকল সময়
শূণ্য মনে হয়,
শূণ্য মনে হয়”-

অবারিত ঐশ্বর্য্য নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে সন্ধ্যা নামে…’ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলা চিল’

বিস্তারিত»