আমি বরাবরই জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে একটু choosy । এটার ভালো দিক হচ্ছে – সবাই পছন্দের দাম দেয়, আর অসুবিধার দিক হলো- যেকোন অনুষ্ঠানের আগে মার্কেটিং এর দায়িত্ব পড়ে আমার ঘাড়ে।
গত ঈদে আন্টি আর পিচ্চি কাজিনটাকে নিয়ে নিউ মার্কেট গিয়েছিলাম। সারাদিন কেনাকাটা করে বাসায় ফেরার পর বোন কান্নাকটি শুরু করল জুতা কিনে দেয়া হয়নি কেন – এই দাবিতে। ওর মত ভয়ংকর পিচ্চি আমাদের বংশে আর একটাও নেই।
নরকবাস-৪
মিতাপু
এক।
‘আমার আপন কোন বোন নাই’, বাল্যকালে বুকের মধ্যে এই চাঁপা দুঃখটা ক্ষণে ক্ষণে জানান দিয়ে উঠতো; বিশেষ করে যখন ছোটভাইটাকে দিয়ে রাতে আমাদের শোয়ার খাটের মশারী টাঙ্গানো এবং সকালে বিছানা গোছানো এই দুইটা দুঃসাধ্য কাজ করিয়ে নেবার জন্য আমাকে বিস্তর ফন্দিফিকির করতে হত; অতঃপর সব ছলচাতুরী ব্যর্থ হবার পর কাজগুলো নিজেকেই করতে হত। আদর্শবান শিক্ষক পিতা-মাতার সন্তান হওয়ায় এবং মা-বাবা দুজনেই চাকুরীজীবি হওয়ায় অনেক ছোট থেকেই নিজের সব কাজ আমাকে নিজের হাতে করতে হত।
ফ্ল্যাশব্যাক ০৬
১। আমাদের পৌরনীতির ইসহাক আলী স্যার খুব জনপ্রিয় ছিলেন। স্যার অনেক ফ্রি ছিলেন এবং অনেক সময় সিরিয়াস রোমান্টিক কথা বলতেন। স্যারকে আমরা গুরু মানতাম আর বলতাম *ক্স আলী। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে বলতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে যেতেন।তার একটা নমুনা-
“এই সেই আব্দুল বিশ্বাস(আব্দুর রহমান বিশ্বাস) যে খালেদা জিয়ার পে*কোট ধোয়”
পৌরনীতি পরীক্ষায় কোন প্রশ্নের উত্তর মানেই বেশি নম্বরের আশায় একগাদা পয়েন্ট আর কোটেশন,
স্মৃতির ঝাঁপি : জিয়ার নৃশংস শাসনকাল
প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব
‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে একই খুনি চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় গায়ে ভারতপন্থী লেবাস পড়িয়ে হত্যা করা হয় খালেদ মোশাররফ, হায়দারসহ সেনা কর্মকর্তাদের। ৭ নভেম্বর মূলতঃ সেনা সদস্যদের এক বিশৃঙ্খল অভ্যূত্থানে জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।
বিস্তারিত»নরকবাস-৩
ইব্লিশের সাগ্রেদ।
রমজান মাস আসতে না আসতেই চারিদিকে কেমন একটা পুতপবিত্র ভাব চলে আসল। মসজিদে মুসল্লীদের ভীড় বেড়ে গেল রাতারাতি। দিনে-রাতে পাড়ার ঘরবাড়ি-মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে সুর করে কোরান তেলাওয়াত শোনা যেতে লাগল। বিশেষ করে যখন রমজানের আগের শেষ জুম্মার বয়ানে সুর করে ইমাম সাহেব বললেন, “পিরিয় মুছল্লী ভায়েরা, এই রুমজান মাস, অইথ্যান্ত ফজিলতের মাস। আমরা কেউই কতি পারি নে, কোনো নিচ্চয়তা নেই, আইজগে এই মজলিশি হাজির সবাই এর পরের রুমজানে বাইচে থাক্বানে কিনা।
বিস্তারিত»১৭ আগস্টের ৩৫ বছর : বন্ধু তোদের ভালবাসি ভীষণ
আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ৫৬টি বালক এক অজানা ভয় আর আনন্দের অদ্ভূত অনুভূতি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে ঢুকেছিল। তারপর তারা ৬টি বছর একসঙ্গে সুখে-দুঃখে, ভালোবাসা-যন্ত্রণায় কাটিয়েছে। তারা অতিক্রম করেছে সাগর আর পাহাড়ের কোলে এক অনিন্দ্য সুন্দর সবুজ প্রান্তরে অসাধারণ সব সময়। সময়ের টানে আজ তারা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। কিন্তু ওই সময়ে তাদের মধ্যে যে অবিচ্ছেদ্য বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল, তা আজো উষ্ণতার চাদর একইরকমভাবে ওদের মুড়ে রেখেছে।
বিস্তারিত»নরকবাস ২ – পুরুষ মানুষ
একটি কৌতুকের মতো।
ক্লাস নাইনের গরমের ছুটিতে আক্লিমা গেল তার ছোট খালার বাড়িতে বেড়াতে। ছোট খালা-খালু দুজনই তাকে নিজের মেয়ের মত আদর করে। বিশেষ করে খালুজান তো তার সাথে ‘মা’ ছাড়া কোন কথাই বলে না। খালার বিশাল বাড়িতে আক্লিমা একা এক ঘরেই ঘুমাতো। একদিন ঘুমের ঘোরে আক্লিমা স্বপ্ন দেখলো যে একটা গোখ্রা সাপ কিলবিল করে তার শরীর বেয়ে উঠে গলায় পেঁচাতে চাইছে। এরকম বিশ্রী একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড় করে উঠতে যেতেই সে টের পেল যে স্বপ্নে নয়,
নরকবাস ১ – আল্লাহর বিচার

কুইনাইন।
আপনাদেরকে আমি আজ আমার জীবনে দেখা এমন কয়েকটি কাহিনী শোনাবো যা আমি এপর্যন্ত গল্প বা আড্ডার ছলেও খুব একটা কাউকে বলিনি। আমার এ বক্তব্যটা আবার একটু স্ববিরোধী হয়ে গেল না তো? বলতে পারেন, ‘খুব একটা কাউকে বলিনি’ এমন গোপন কাহিনী আবার এমন জনসমক্ষে বলার দরকারটা কি? না, বিষয়টা তেমন গোপন কিছু নয়, আমার বা আমাদের পরিচিত কারো একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপারও না। ঘটনাগুলো এমন যে আমাদের চোখের সামনেই অনেক সময় ঘটে যাবার পরেও বা নিজের কানে শোনার পরেও ঠিক বিশ্বাস করতে মন চায় না।
স্মৃতির ঝাঁপি : পঁচাত্তরের নৈরাজ্য এবং বঙ্গবন্ধু
প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব
ফৌজদারহাটে গিয়ে আমি সারা দেশ-বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম। বাসা থেকে আসা চিঠি আর মাসে একবার প্যারেন্টস ডে’র সুযোগে বাবা-মা-ভাই-বোন-স্বজনদের কারো কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ ছাড়া বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের আর কোনো পথ নেই। এইসব যোগাযোগ নিয়ে যে ওই সময় খুব আগ্রহী ছিলাম এমনও নয়।
বিস্তারিত»সিসিবি কে ঘুরিয়ে আনি নাইজেরিয়ান বিবাহ অনুষ্ঠানে …
আমার এই কামলাগিরির সবচেয়ে বড় পাওনা হল দেশবিদেশের বিভিন্ন জাতের মানুষ ও সংস্ক্বৃতি দেখা । সেই সুযোগ পারত:পক্ষে আমি হাতছাড়া করতে চাই না। আজ আমার এক কলিগের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। তাই সেজেগুজে রওনা হলাম ট্রেডিশনাল নাইজেরিয়ান বিয়ের আসরে। নাইজেরিয়ানরা স্বভাবতই খুব প্রানোচ্ছল ও হাসিখুশি। বিয়ের আয়োজনও নাইজেরিয়ানদের মতই বর্নময় ও আনন্দমুখর। আমি নিজে খুব উপভোগ করেছি , এমনকি নাইজেরিয়ান দের মতো অংশগ্রহনও করেছি। তার কিছু কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
বিস্তারিত»হারিয়ে খুজি তারে
কলেজ লাইফের কথা আমার খুব মনে পড়ে।মনে পড়ে কলেজ জীবনের প্রথম দিনটির কথা,কয়েকটি মাসের কঠোর পরিশ্রমের সুখময় পরিসমাপ্তি।আসলে ক্যাডেট কলেজে যদি আমি না যেতাম তাহলে হয়ত জীবনে বোঝাই হতনা বন্ধুত্ব কি?আমার ড্রমলিডার ছিল মাহফুজ ভাই একটু কড়া প্রকৃতির ছিল।আর আমাদের মিফতাহ ছিল একটু আদুরে প্রকৃতির।প্রতি রাতে ও বাসার জন্য কাদত,আর আমি ওর সঙ্গী।
কলেজে সেভেনে শান্তির সময় বলতে ছিল ব্লকে যতটুকু সময় থাকতাম।তাও যদি প্রেপ গার্ড ভাল হয়।আমার বরাবরই মুখচোরা অভ্যাস।আর কলেজ আমার এত খারাপ লাগত যে কারোর সাথে কথাও বলতে ইচ্ছা করত না।প্রেপে সবাই একটু কথা বলত কারণ প্রেপ গার্ড আদনান ভাই খুব ভালো ছিল।তখনও আমি চুপচাপ বসে থাকতাম।আর করতাম কি বাথরূমে যেয়ে কান্নাকাটি।একদিনের কথা আমার টেবিলের সিনিয়র ভাই নকীব ভাই আমাকে কি কারণে খুব বকাঝকা করছে,আমি চুপচাপ কাদছি।হঠাৎ কে যেন পিঠে হাত দিল।
ড্রামের তালে তালে হাইহিলের শব্দ
আমরা যখন ক্যাডেট কলেজে জয়েন করলাম তখন আমাদের ব্যাচে ছিল মোট ৫৬ জন।একমাত্র আমাদেরই চারটি হাউস। তাই প্রতি হাউসে ১৪ জন করে। আমাদের মধ্যে একজন ছিল সাখাওয়াত উল্লাহ জুয়েল। ওর জ়ন্ম কাতারে হওয়ায় আমরা ওকে বাংলাদেশী হিসেবে মানতে নারাজ় ছিলাম। এ নিয়ে টীজ় করতে কার্পণ্য করতাম না। কাতারের এই ছেলেটির বাংলা হাতের লেখা কিন্তূ ছিল অসাধারণ। তাই হাউসের ওয়ালপেপারে ওর লেখা থাকত।নাইন টেনে একবার সাখাওয়াতের প্রাইভেট টিউটরের বাংলা নোট বেশ জনপ্রিয়তা পেল।
বিস্তারিত»এ জার্নি টু দা ক্যাপিটাল অফ ম্যাংগো
গত এপ্রিলে আমার বন্ধূ মাহবুবের শশুড় বাড়ী রাজশাহী গিয়েছিলাম। তখনি বললো জ়ুনে ‘আম খেতে চাপাই নবাবগঞ্জের ভোলাহাট যাওয়ার প্ল্যান আছে। ব্যাপারটা মাথায় রাখিস। সময়মতো ডেট জানানো হবে’। ভোলাহাট ওর মামা শশুড়ের বাড়ী।
প্ল্যান মাফিক বৃহস্পতিবার ছূটি ম্যানেজ করলাম। এখন যে ল্যাংড়া আমের সিজন। আগামী সপ্তাহে ফজলী। ১৭ জ়ুন বুধবার অফিস করে বাসায় গিয়ে কল্যাণপূর যাওয়ার জন্য বের হই এবং অবধারিত ভাবে ৪০ মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর সি এন জ়ি পাই।
বিস্তারিত»অনুবাদ – সনেট ০৩
নিদ্রা যান প্রেম-দেব একদা অঘোরে
শয্যাপাশে প্রেম-শর বহ্নিতপ্তজ্যোতি,
সতীসাধ্বী রূপসীকূল ইত্যবসরে
চলেছে সে পথে, তারি শ্রেষ্ঠ রূপবতী
লহে সেই অগ্নিবাণ অনাঘ্রাত হাতে
তাপ লভিয়াছে যার হৃদয় কতনা;
তপ্ত কামনার প্রভু গভীর নিদ্রাতে
নিরস্ত্রীকৃত, নিকটে কুমারী ললনা
জুড়ায় শীতল কূপে প্রেমাগ্নি-তূণীর,
বারি তার লভে তাপ চির-হুতাশনে,
হয়ে ওঠে ধন্বন্তরি রোগহরা নীর;
একদা গেলেম সেথা, প্রিয়ার শাসনে,
ফ্ল্যাশব্যাক ০৫
১।আমাদের কলেজ়ে মাঝে মাঝেই সাডেন ইন্সপেকশন হতো। একাডেমি ব্লকে এসে ক্লাশ টাইমে হঠাৎ আমাদের চাবি চেয়ে নিয়ে হাউস ডিউটি মাস্টাররা এবং এডজুট্যান্ট স্যার লকার চেক করতেন। তখন ত সবার আত্নারাম খাঁচাছাড়া। কিছু স্যার আবার ছিলেন বেশ উদার। ইংরেজীর শফিক স্যার আমাদের একজনের লকার থেকে এডুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ‘পুস্তিকা’ নিজের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন।
আরেকদিন চাবি নেয়ার পর আমাদের একজন মোকসেদুল ইসলাম রাজা স্যারকে কাঁচুমাচু করে বলল-
“স্যার আমার লকারটা একটু…”
স্যার দ্বায়িত্ব নিয়ে সেভ করলেন এবং পরে ঝারি দিলেন “ এত সস্তা জিনিস পড় কেন,