গলাকাটা লাশ (দ্বিতীয় খন্ড)।
আমার প্রাথমিক ধারনা ছিল যে, ডাক্তার সোহেলকে যেকোন কারনে এবং যেকোন ভাবেই হোক, অপহরণ করা হয়েছে। কারন সে নিজের থেকে কোথাও গেলে তার গাইবান্ধাতে যাবার বা এত দীর্ঘসময় ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কোন কারন নাই। আর অবশ্যই সাইফুল এই ব্যাপারটার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। কিন্তু কিছুতেই তার কাছ থেকে কোন কথা বের করা যাচ্ছিল না। এইরকম একজন রোগা পটকা চ্যাংড়া পোলার নাড়ী যে এত শক্ত হবে তা আমার ধারনাতেও ছিল না।
নরকবাস – ৫
অসাংবিধানিক অসতর্কীকরণঃ
গল্প বলতে এসে এটা মনে করা যাবে না তো ওটা খেয়াল করা যাবে না এতসব বায়নাক্কা করা গল্পকারের জন্য অসাংবিধানিকই বটে। তবে এই গল্পের শুরুতে এই ইটালিক ফন্টের লেখাটুকু কিন্তু আপনাদেরকে সতর্ক করার জন্য না, বরং অসতর্ক করার জন্য। কারন নরকবাসের আগের গল্পগুলোর মত এখানে প্রকৃত স্থান, কাল বা পাত্রের ক্ষেত্রে কোনপ্রকার পরিবর্তন বা ছলনার আশ্রয় নেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ ঘটনাটাকে আমার বানরতুল্য স্মৃতিশক্তির সাধ্যমত তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
সেকাল এবং একাল
সেকাল এবং একাল
এই ব্লগে এটা আমার ২য় লেখা। ১ম লেখাটাতে সবাই যেভাবে উৎসাহ দিয়েছেন, তাতে আরেকটা লেখার লোভ সামলাতে আমার কষ্ট হচ্ছে।
কথায় আছে, ইতিহাস নাকি ঘুরে-ঘুরে আসে। ইতিহাসের সেই ঘুরে আসার বিষয় নিয়েই এখন আমি আমার নিজের দুটো অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি – একটা কলেজের, আরেকটা কর্মক্ষেত্রের।
ক) সেকালঃ
আমাদের সময়ে (১৯৮৮–’৯৪) যে ক’জন এডজুট্যান্ট ছিলেন, আমার ধারনা,
দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়
… দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় …
শুরুর কথাঃ
আমি একজন চুপচাপ-শান্তিপ্রিয় পাঠক। পেশায় আমি একজন শিক্ষক। ব্লগে এটাই আমার প্রথম লেখা। যা খুশি মন্তব্য করুন।
১।
ছোটবেলায় একটা গান আমার খুবই পছন্দের ছিলঃ
“ছোট্টবেলার সেই দিনগুলো হারিয়ে
খারাপ যে লাগেনা মনটা,
সেই লাল-নীল-হলদে রাজা-রাণী পুতুলে
ভরা ছিল জানালার কোনটা”
– গানটা অনেক দিন শোনা হয়নি।
ফাঁসির রশিতে মুক্তিযোদ্ধা রওশন ইয়াজদানী
মূল : সাইফুদ্দাহার শহীদ; ৬ষ্ঠ ব্যাচ; ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ।
অনুবাদ : সানাউল্লাহ
ভুমিকা
লেখাটি একটি ভূমিকা দাবি করে। নিচের লেখাটির মূল লেখক ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৬ষ্ঠ ব্যাচের সাইফুদ্দাহার শহীদ। লেখাটির লিংক তিনি দিয়েছিলেন ফৌজদারহাটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ইয়াহু গ্রুপ মেইলে। এটি আমাকে আবেগতাড়িত করে। সিসিবির সক্রিয় সদস্যরা জানেন, আমি গত কয়েকমাস ধরে এখানে একটি স্মৃতিকথা লিখছি। লেখার বর্তমান পর্যায়ে আশির দশকের রাজনৈতিক অস্থিরতা,
ঈদগুলো
২০০২ সালে দেশ ছেড়ে আসার পরে আর ঈদ দেশে করা হলো না। এই সাত বছরে কতবার দেশে গেলাম, কিন্তু ঈদের সময় দেশে যাওয়াটা হয়ে উঠল না। দেশে থাকা বাবা, মা, ভাই বন্ধুদের কে প্রচন্ডভাবে মনে পড়ে সব সময়ই, ঈদের দিনে আরো বেশী করে মনে পড়ে আর মন খারাপ হয়।
ছোটবেলায় ঈদের দিন বাবার সাথে হাত ধরে নামাজ পড়তে যেতাম। আমার চাচারা আমাদের পাড়ার মধ্যেই থাকত,
বিস্তারিত»প্রাপ্তির হিসাব কিতাব – আনন্দাশ্রু
সেদিন মনে হলো – এইতো সেদিন মেম্বার হলাম এই ব্লগে। তারপর কাজের ভীড়ে তলিয়ে গেলাম। হঠাত মেইল পেলাম পার্সোনাল মেইল এ। তখন খেয়াল হলো পরিবারে এসে নাম লিখিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু কাজ তো করি নি কোনো। তাই চেষ্টা করলাম লিখতে কেমন লাগে সেটা বোঝার জন্য। দিলাম ছোট্ট একটা লেখা। স্বাগতমের ভীড়ে চাপা পড়ে গেলাম, যা আমাকে মনে করিয়ে দিলো দায়বদ্ধতার কথা। মনে করিয়ে দিলো খেটে খাওয়ার কথা।
বিস্তারিত»ফিরে দেখা (পর্ব-৩)
(৭)
কলেজে মাঝে মাঝেই স্যানিটারি ইন্সপেকশন হোত । এর উদ্দেশ্য ছিল ক্যাডেটদের হাইজেনিক কন্ডিশন ঠিক আছে কিনা তা চেক করা । এই ইন্সপেকশনে মূলত মেডিক্যাল অফিসার স্যারকে মূল দায়িত্ন দিয়ে পাঠানো হত । তিনি ক্যাডেটদের রুমগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে কিনা তা দেখতেন । পাশাপাশি হাউস এবং একাডেমির টয়লেট বাথরুমগুলো হাইজেনিক কিনা তাও চেক করতেন । আর এই চেকিংগুলো ছিল ঝটিকা চেক । কাউকে না জানিয়েই হঠাৎ করেই চেক করা হত ।
বিস্তারিত»অক্ষমতার লজ্জা – পর্ব ১
কাশবনের মধ্যে দৌড়াতে গিয়ে প্রথমে ই কনুই থেকে কব্জী পর্যন্ত সরলরেখার মতো দাগ পড়লো, এর পরেই ঘামের বেয়ে আসা ধারায় হালকা জ্বলুনী। হাসিব কে কিন্তু তারপরেও ধরতে পারলাম না। এখন না পারলে আর পারা সম্ভব ও না। কারন সামনে চরের বালির বিস্তৃতি। ওখানে দৌড়ানো আমার কাজ না। মশা – হাসিব কে আমরা ছোটবেলা থেকে এ নামেই ডাকি, আমাদের নিয়ে এসেছে ওর নানাবাড়ীতে। এসেই প্রথম কাজ,
বিস্তারিত»ফিরে দেখা (পর্ব-২)
(৪)
ইলেভেনে আমার রুমমেট ছিলো রকিব । এস এস সির ছুটিতে নতুন গার্লফ্রেন্ড জুটিয়েছে সে । মেয়েটার সাথে কথা বলতে হবে তাই মোবাইল নিয়ে এসেছে কলেজে । প্রতিদিন রাতেই মেয়েটির সাথে কথা বলে ও । বিষয়টি কারো কাছে অজানা রইলনা । একদিন আমরা জিজ্ঞাসা করলাম , দোস্ত তোর গার্লফ্রেন্ডের কন্ঠ কেমন । উত্তরে সে বলল মেয়েদের মতো ।
(৫)
সব কলেজেই কিছু প্রচলিত ভুতের গল্প আছে হয়ত ,
কত বুদ্ধি………!!!
আমরা সবাই কমবেশী বুদ্ধিমান :-B …কিন্তু কারো কারো বুদ্ধি আশংকাজনক পর্যায়ের…যেমনঃ
আমাদের ব্যাচের একজন বুদ্ধিমানের কথা…( নাম বলা যাবে না, তাইলে সামনের গেট টুগেদার এ মাইর খাওয়ার চান্স আছে… :gulli: )। এস এস সি টেস্ট চলতেছে, অংক পরীক্ষা চলে, বেচারা অংক করার টাইম একটু কম পাইছিল, তো পাশের জনের হেল্প নেয়া শুরু হল…ঠিকমতই চলতেছিল, ঝামেলা হইল, ক্যালকুলাসে গিয়ে, পাশের জন যখন বলল ,
বিস্তারিত»দুটি স্মৃতি………
ব্লগের আগের পোস্টগুলো পড়তেছিলাম…জিহাদের একটা পোস্ট পড়ে জাহিদ রেজার কথা খুব মনে পরে গেল………অনেক কিছু লেখা যায় ওকে নিয়ে…তাই ভাবলাম, প্রথম লেখাটা ওকে নিয়েই লিখি… দুইটা স্মৃতি এই মুহুর্তে মনে পরতেছে………দিলাম লিখে……
১;
জাহিদ তখন JP। তখন নিয়ম ছিল,JP-কে এক্সট্রা ড্রিল দেয়ার দরকার পরলে, ড্রেস রেস্ট্রিকসন দেয়া হত। কোনো একটা কারনে জাহিদের ৩ দিন ড্রেস রেস্ট্রিকসন চলতেছিল, ঘটনার দিন ছিল,৩য় দিন।সন্ধ্যা বেলা, ২টা কাঠাল পাড়া হল,জাহিদ ২টা কাঠাল দুই পাশে নিয়ে যেই হাউসে ঢুকতে যাবে,
আমার দেখা স্বর্গপুরি – ১
ফার্স্ট টার্ম এন্ডের ছুটি শেষ হতে মাত্র ৮ দিন বাকী। এর মাঝে হঠাৎ করেই মাথায় ইউরোপ ট্যুরের ভূত চেপে বসলো। ভেবেছিলাম ভিসা পেতে অনেক ঝামেলা হবে কিন্তু তেমন কোন ঝামেলা হলো না। দুই মাসের স্যাঞ্জন ভিসা নিয়ে ফ্রান্স এম্বাসি থেকে সোজা রওনা হলাম ভিক্টোরিয়া বাস স্টেশনের দিকে। অনেকগুলো প্যাকেজ অপশনের মধ্য থেকে আমি আর তৌহিদ “লন্ডন-আমস্টারডাম-প্যারিস-লন্ডন” রুটের দুইটি ওপেন টিকিট কাটলাম। ঐদিনই রাত দশটায় ইউরো লাইনস এর বাসে উঠে পড়লাম।
বিস্তারিত»আমাদের মোল্লা স্যার
একটা কথা ছিলো না……সেই ১৯৫৩ সাল থেকে…..তেমনি, সেই কোন সাল থেকে মোল্লা স্যার আমাদের ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনকে উনার পদভারে কম্পিত করেছিলেন, তা আমার এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে আমার মতো আন্ডাবাচ্চা থেকে শুরু করে আন্ডাবাচ্চার বাপ হওয়া পর্যন্ত সব এক্স ক্যাডটরা যে মোল্লা স্যারকে চেনেন, এ ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তিনি আমাদের নুরুজ্জামান মোল্লা স্যার, গণিতের শিক্ষক।
মোল্লা স্যারের যে জিনিসটা সবচেয়ে ইউনিক,
আমার ক্যাডেট লাইফ এবং প্রবাস লাইফ (২য় পর্ব)
কলেজে আমি ছাত্র হিসাবে ছিলাম মিডিয়াম ক্যাটাগরির আর ক্যাডেট হিসাবে ছিলাম টপ বদমাইশ। প্রথম টার্মে ছিলাম ১৮ দিন এবং এরমধ্যে ২/৩ টা ঘটনা ঘটালাম।আমার প্রথম ক্যাড্ট ক্রাইম হিসেবে সুরু হল , জুম্মার নামাজের সময় , আমার দুই ফ্রেণ্ডের পাঞ্জাবির কোনা গীড়া দিয়ে দেয়া।দুঃখজনকভাবে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার পাঁঠা তা দেখে ফেলল এবং তাঁর আভ্যাসমত কান ধরে মলা এবং ৮২ শিক্কার একটা থাপ্পর ! ক্লাস সেভেনে এইরকম কাজ করার জন্য তিনি আতিশয় আশ্চয’
বিস্তারিত»