…..বুয়েট লাইফটা অনেক বেশি ডাইন্যামিক। পি. এল.(প্রিপারেটরী লীভ, ’পাছায় লাথথি’ ভাববেন না!) শুরু হবার আগ পর্যন্ত আজ ক্লাশ টেস্ট, কাল ল্যাব টেস্ট, পরশু ভাইভা, তরশু কুইজ-এই করে করে কিভাবে যে এক একটা সেমিস্টার পার হয়ে যায়, টেরই পাইনা। পুরোটা সময় কাটে একটা ঘোরের মধ্যে। ক্লাশ চলাকালীন যতই আঁতেল বা সুপারকুল হবার চেষ্টা করি না কেন, নতুন টার্ম শুরুর আগে যখন পূর্ববর্তী টার্মের আমলনামা (মার্কশীট) হাতে দেয়া হয়, তখন বারংবার পশ্চাদদেশে ‘সর্ববৃহত ঘাস>>বাঁশ’ এর শিহরণ অনুভব করি। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুদের সাথে হল লাইফ+বুয়েট লাইফ অনেক এনজয় করি। কেননা জানি, আর দশটা ছা-পোষা মধ্যবিত্ত মানুষের মত আমাকেও জীবন-যুদ্ধে নামতে হবে আর কিছুদিন পর। কাউকেই আর ফিরে পাব না এখনকার মত……..
ধুর!! বুয়েট লাইফ নিয়ে তো লিখতে বসিনি! স্বরস্বতী পূজার বন্ধ পেলাম, আমার হিন্দু বন্ধুরা জ্ঞান-দেবীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে আগামী সপ্তাহ শুরু করবে নতুন উদ্যমে। আর আমি লেখাপড়া শিকেয় তুলে, আবারো আমার ১০টা আংগুল আর আস্থাভাজন স্মৃতিশক্তিকে পুঁজি করে, বসে গেলাম আমার ক্যাডেট জীবনের আরো একটা স্বরণীয় ঘটনা লিখতে……….
[বিঃদ্রঃ..ছোটবেলায় সুকুমার রায়, শরতচন্দ্র প্রমুখ কিংবদন্তীর সাহিত্য পাঠ করিয়া সাধু ভাষাকে আমার নিকট যথেষ্ট রস-বান্ধব মনে হইত। যদিও গুণীজন কি কারণে চলিত ভাষাকে ‘ভদ্র ভাষা’ আখ্যা প্রদান করিয়াছিলেন, আমার জ্ঞানে নাই। তথাপি এই ‘অভদ্র’ আমি, সাধু ভাষাকেই আমার মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করিলাম। আশা করি বিজ্ঞ গুণীজন আমার ‘অভদ্রতা’ এবং গুরুচণ্ডালী দোষ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।।]
…………জানুয়ারী,২০০৪। প্রচন্ড শীত।পদ্মাপারে প্রবল কুয়াশাবিধৌত প্রভাতে পি.টি. তে দাঁড়াইলে পার্শ্ববর্তী মানবসন্তানকে দেখিয়া চিহ্নিত করাই কষ্টকর। এমতাবস্থায় ড্রীলের সময় যখন কর্তৃপক্ষের খেয়াল হইল, জুনিওর-সিনিওর স্কটে অন-প্যারেড ক্যাডেটদিগের তুলনায় সিক রিপোর্ট স্ট্যান্ডে দণ্ডায়মান অফ-প্যারেড ক্যাডেটদিগের সংখ্যাই অধিক, তখন তদানীন্তন অধ্যক্ষ জনাব ফায়জুল হাসান স্যার দয়া পরবশ হইয়া পি.টি.-প্যারেড স্থগিত করিয়া দিলেন। আমরাও হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলাম। কেননা, রাতে চোরের মত বে-আইনীভাবে (লাইট-অফঃ১০টা ৪৫ মিনিট) জ্ঞানচর্চা করিয়া, আড্ডা মারিয়া কিংবা ফল-ফলাদি চুরি করিয়া অন্ধকার কুয়াশাময় প্রভাতে পি.টি করা আসলেই মানবেতর ছিল আমাদিগের জন্য। উল্লেখ্য, তখন আমরা এস.এস.সি. পরীক্ষার্থী ব্যাচ। এই বিশেষ শ্রেণীতে(!) উঠিয়া যখন স্কন্ধে অ্যাপুলেটখানা পরিলাম, গর্ভে(গর্বে) এবং ভাবে শুধু আমি নহে, আমাদিগের সকলেরই বক্ষ ‘কয়েক ফুট’(ইঞ্চি কহিলাম না, কেননা অতি চতুর পাঠককুল-আমাদিগের লিঙ্গ পরিবর্তন ঘটিয়াছিল ভাবিতে পারেন) বাড়িয়া গেল। ইহার হেতু হইল, বড় ভ্রাতাদিগের নিকট হইতে বহু রূপকথা শুনিয়াছিলাম, যাহার অধিকাংশই তাহারা এই সময়ে ঘটাইয়াছিল। কাজেই, আমরাও কোন এক রূপকথার জন্ম দেওয়ার জন্যে মুখাইয়া ছিলাম…….সেই রূপকথাময় রাত্তিরে কত কিছু যে করিয়াছিলাম তাহা ঐ সময়ে কোন মানুষ তো নহেই, কাক পক্ষীও টের পাইনাই। তবে কুকুর এবং চড়াই পক্ষী আল্লাহ তাআলার অশেষ কুদরতে আমাদিগের আকাম ধরিতে পারিয়াছিল। কেমনে পারিয়াছিল,তাহা কাহিনিপরম্পরাতেই চলিয়া আসিবে…………. .
………যুগান্তকারী আইডিয়াখানি মাথায় আসিল কাইয়ূমের। অ্যাথলেটিক্সের কয়েকদিন আগে রূমে বসিয়া অপ্রাসঙ্গিকভাবেই কথা পাড়িল সে, ”বয়েজ, এক্সামিনি হয়ে গেছি, একটা ভাব আছে না! চল এমন কিছু একটা করি, যেটা জুনিওররা যুগ যুগ ধরে বলাবলি করব। বলব, কাসিম হাউসের ৩৭তম ব্যাচের ভাইগুলা বস ছিল।“ বলাই বাহুল্য, প্রবল নিয়ম-শৃঙ্খলাযুক্ত পরিবেশে নিয়ম ভাঙ্গাটাই নায়কোচিত। কাইয়ূমের কথাখানি কবিরাজি দাওয়াই এর মত কাজ করিল। সকলেই ঘাড় ফিরিয়া তাকাইল তাহার দিকে। ‘সিরিয়াস মেহেদী’ সিরিয়াসলি জিজ্ঞাসা করিল, ”কি করতে চাস তুই?’ কাইয়ূম কহিল, ’চল একটা পিকনিক করি।’ তাহার এই প্রস্তাব শুনিয়া আমরা বজ্রাহত হইয়া গেলাম।
কেননা, প্রথমত, তখন কলেজে মাননীয় অ্যাডজুটেন্ট জনাব শফিউল্লাহ মাস্তান স্যার রীতিমত ত্রাস সৃষ্টি করিয়াছেন। যখন তখন প্রেতের মতন এখানে সেখানে হাযির হইয়া যাইতেন তিনি। দেখা গেল, প্রেপটাইমে পড়া বাদ দিয়া নিদ্রাদেবীর সহিত স্বপ্নমৈথুন করিতেছি, আর তিনি হঠাৎ যমদূতের মত হাজির হইয়া আমার পরকীয়া প্রেমলীলা ভাঙ্গিয়া দিয়া ভয়ানক গলায় আদেশ করিতেন, ”Asib , My dear! Why are you sleeping? Go, splash water on the face, come back & study, Hurry up!” আবার দেখা গেল, ডাইনিং এ বাটলার, ও.আই.সি. প্রমুখ পুলিশ শ্রেণীর মানুষদিগের চক্ষুকে মধ্য আঙ্গুল দেখাইয়া হাত দিয়া রাবার খাইতেছি (জী পাঠকবৃন্দ, বিব্রত হইবেন না, পরোটা রাবার নয়ত টায়ার যে কোন একটির মতই দুঃছিন্নপ্রায় ছিল, আর সেই পরোটা ছুরি-চামচ দিয়া খাইলে পুষ্টি আর পেটে যাইত না, পরোটা কাটিতেই ব্যয় হইয়া যাইত।), এমন সময় তিনি ডাইনিং হলে আসিয়া আমাদিগের সহিত প্রাতঃরাশ সারিতেন। দুষ্টু ছেলের দল গুজব ছড়াইয়াছিল, রাতের বেলা ম্যাডামের সহিত বিবাদ করিয়া খানা-বঞ্চিত হইয়াই তিনি বিনামুল্যে আমাদিগের সহিত উদরপূর্তি করিতে আসিতেন। দ্বিতীয়ত, আমাদের কাসিম হাউস ঐ সময় ওভারঅল চ্যাম্পিয়নশিপে টানা তৃতীয়বারের মত তৃতীয় হবার কৃতিত্ব অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌছাইয়াছিল। একমাত্র অ্যাথলেটিক্স আর সি.এস.সি (College Stage Competitions) – ট্রফি নিশ্চিত করিলেই কেবল খালিদ হাউসকে ডিংগাইয়া দ্বিতীয় হইবার পথ খোলা ছিল। এমতাবস্থায় যদি বনভোজন করিতে গিয়া ধরা পড়ি, তাহা হইলে নিজেদের তো খবর হইবেই, উইকলি ডিসিপ্লিন এ বাঁশ খাইয়া আর দ্বিতীয় হইবার সু্যোগটিও থাকিবে না। নায়ক হইবার বদলে জুনিয়্রদিগের নিকট রীতিমত খলনায়কে পরিণত হইব।
শেষ পর্যন্ত হাউস ফিলিংস, অ্যাডজুটেন্ট ভীতি, সবকিছু ছাপাইয়া শৃঙ্খল ভাঙ্গাই আমাদিগের নিকট অধিক লোভনীয় হইয়া দাঁড়াইল। আমাদের ১৮ জনের মধ্যে নেতৃস্থানীয় বন্ধুবর্গ পড়াশুনা ভুলিয়া প্ল্যান করিতে লাগিয়া গেল। দুইদিন ব্যাপিয়া ব্যাপক মগজ দৌড়াইবার পর তাহারা যাহা পেশ করিল, তাহা শুনিয়া আমার মত জেন্টেলম্যান ক্যাডেটদিগের মাথা ঘুরিয়া গেল। যাহাই হোক, প্রেজটিজ পাংচার হইবার ভয়ে নিজ ভীতি মুখায়বতে ফুটাইলাম না। ইতোমধ্যে সরল সোজা ফয়সাল কহিল, ’পিকনিকটা ছাদে করি, ওপেন স্পেইস, মজা হবে।‘ এই কথা বলিবামাত্র তাহার দিকে “ব-শব্দ,চ-শব্দ’’ প্রভৃতির তুবড়ি ছুটিয়া গেল। বাশার কহিল, ”বোকা+(চ-শব্দ), তোর কি মাথা খারাপ হইছে? নাইট ডিউটি মাস্টার ছাদের পাশের রুমে ঘুমায়, তার পাশে তুই পিকনিক করবি?? স্যার এসে বলবে, বাবুরা, কি কর তোমরা, আমিও পিকনিক করব তোমাদের সাথে।’’ নাহিয়ান তাহাতে একটু হিউমার অ্যাড করিল,”হ, ধোয়া আর আগুন দেইখ্যা গার্ডরা ভাবব যে কাসিম হাউসের উপরে জ্বীনদের ক্যাম্পফায়ার হইতেছে। “ সিরিয়াস মেহেদী’ কহিল,’ বাদ দে,বয়েজ, ও এমনি কইছে, পিকনিক হবে ড্রাইং রুমে, জানালা কালো ব্লাংকেট দিয়ে ঢেকে দিমু, বাইরে থেকে কেউ টের পাব না।“
‘ড্রাইং রুম’ বা ‘শুষ্ককরণ কক্ষ’ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা যাক। ইহা এমনি এক বিশেষ কক্ষ যাহাতে আন্ডারগার্মেন্টস ও ওভারগার্মেন্টস উভয়ই শুকাইতে দেয়া যাইত। প্রতিটা হাউসে দুইখানা করিয়া ‘ড্রাইং রুম’ বিদ্যমান ছিল। প্রতি রুমে একটি করিয়া ফ্যান দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ঘুরিতে থাকিত। আমরা যে ড্রাইং রুমটা ব্যবহার করিয়াছিলাম, উহা ছিল নিচতলায়। এই বিশেষ কক্ষটিতে আমরা আন্ডারগার্মেন্টস সচরাচর নাড়িতাম না। কেননা, শুকাইবার পর কাহার স্যান্ডো গেঞ্জি কাহার গায়ে, কাহার মোজা কাহার পায়ে এবং কাহার আন্ডি কাহার …..-তে চলিয়া যাইত, তাহার হদিস মিলিত না। যাহাই হোক, পিকনিক স্পট হিসাবে ইহাই সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হইল।
এইবার আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ’রান্না কেমনে করবি? র রান্না পারে কে? মেনু কি?’’নেতারা প্রস্তুত ছিল। তাতক্ষণিকভাবে ডিসিশন দিল তামীম, ”বয়েজ, চিন্তার কারন নাই, রান্নার হাঁড়ি তৈরি করা যাবে। আর আরাফাত বলছে ও খিঁচুড়ি রানতে পারে, ও আমাদের সাথে থাকবে।‘’ উল্লেখ্য, এই বিশিষ্ট রন্ধন বিশেষজ্ঞ থাকিতেন তারিক হাউসে। কিন্তু রান্নাবান্নার ব্যাপারে তারিক হাউসের বন্ধুবর্গ তাহাকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং রান্না সংক্রান্ত অ্যাডভেঞ্চার কাসিম হাউসেই প্রথম হওয়ায় তিনি আমাদিগের সাথে অত্যন্ত গোপনে যোগদান করিয়াছিলেন। আমরাও তাহাকে এই বিশেষ দায়িত্ব ন্যাস্ত করিয়া হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিয়াছিলাম, কেননা আমাদের কেউ ভাত, আলুভর্তা, ডিমভাজি ছাড়া গুরুপাক খাবার রাঁধতে জানিত না। মুন্তাসির কহিল,” হাঁড়ি কি পয়দা করবি শালা, বানাবি কি দিয়ে? ”ইহার পর তামীম যাহা কহিল তাহা ততদিন পর্যন্ত আমি কল্পনাতেও ভাবিনাই। সে সোত্সাহে কহিল,” সামনে অ্যাথলেটিক্স, ফাইনাল ডে-তে কলসি দিয়ে ডেকরেশন করবে, আমি একটা কলসি মাইরে দিমু, ওইটার মাথা ভাইঙ্গা পাতিল হিসাবে ইউজ করা যাব। দ্যাখো বয়েজ, এছাড়া বিকল্প রাস্তা নাই। হাড়ি ম্যানেজ করা সম্ভব না।‘’ আশিক নাক সিঁটকাইল, ”মাটির কলসিতে খিঁচুড়ি!!!! ভাই, এটা যে কি হবে আল্লাহই জানে। আচ্ছা,আর নাইট ডিঊটি মাস্টার দেখে ডেইট ফিক্স কর। কোন খাস্টা স্যার থাকলে শিউর ধরা!!” আমাদের এইসব অসম্ভব চিন্তা ভাবনা দেখিয়া ও শুনিয়া দুই বন্ধু রাশেদ ও হোসেন স্বীয় ভবিষ্যতে শনি অনুভব করিল এবং পিকনিক বর্জন করিল। কাজেই লোকসংখ্যা দাঁড়াইল ১৭ জন।
পরদিন সকালে ক্লাস টাইমে চুপিচুপি মেনু ঠিক করা হইল শুকনা খিঁচুড়ি, আলুর ডাল (খিঁচূড়ির সহিত!!), ডিমভাজি। কিন্তু ডাল আর ভাজি করতে তো কড়াই লাগবে। কড়াই কই পাওয়া যাবে? তখন রাফি কহিল যে তাহার একটা চওড়া-চ্যাপ্টা বিস্কুটের বৈয়াম আছে। সেটার ঢাকনা দিয়ে ভাজি আর বৈয়াম দিয়ে ডাল রান্না করা যাবে(!!!!)। আরো ঠিক হইল, কাইয়ূম, তামীম যাবে কলেজের বাইরে আতপ চাল, সয়াবিন তেল, ডিম, ডাল আনিতে। চাঁদা ৩০ টাকা/ক্যাডেট। আলুর জন্য একটি স্পেশাল ফোর্স দুইটা বালতি নিয়ে যাবে ৩য়-৪র্থ শ্রেণীর কলোনী সংলগ্ন আলুক্ষেতে। এই ফোর্সের গর্বিত সদস্য ছিল বাশার, মেহেদী, নাহিয়ান, মুন্তাসির, আশিকসহ আর দুই তিনজন। আর মসলা চুরি করা হইবে ডাইনিং হল থেকে। এই মিশনে যাইবে শফি, হাসান, মাহমুদ এবং আব্দুল্লাহ। আর আরাফাত থাকিবে সার্বিক তত্ত্বাবধানে। আমি, রাফি, ফয়সাল গার্ড দিব। চাল, সবজি আসার পর কুটা-বাছা ও ধোয়ার কাজ আমার উপর পড়িল (কেন পড়িল, সেই প্রসঙ্গে বলিতে চাই, বাবা-মা দুইজনই চাকুরিজীবী হইবার সুবাদে এইসব গৃহস্থালি ব্যাপারে সবার থেকে একটু অ্যাডভান্স ছিলাম আমি, লেডীস ভাবলে ভাবেন, I don’t mind)। সবশেষে হাউস অফিসে গোপনে হানা দিয়া কাইয়ুম দেখিয়া আসিল, অ্যাথলেটিক্স এর পর ডীউটি রোস্টারে কোন ঘুমকাতুরে টিচার আছেন। ডিসিশন হইল যে, খন্দকার লুতফর রহমান স্যার (বাংলা বিভাগ,তখন খালিদ হাউসের হাউস মাস্টার ছিলেন) এর ডিউটির রাতে আমাদের ‘কক্ষভোজন’ অনুস্ঠিত হইবে। আপাতত,অ্যাথলেটিক্স আসুক………
…..অবশেষে অ্যাথলেটিক্স অনুস্ঠিত হইল। তারিক হাউস আমাদের শিরোপার স্বপ্ন প্রবল প্রতাপে ধবংস করিয়া অ্যাথলেটিক্স এ চ্যাম্পিয়ন হইল। সেইসাথে তাহারা ২০০৩ সালের জন্য ওভারঅল চ্যাম্পিয়ন হইল, আর আমরা লাস্ট হাউস হিসাবে হ্যাট্রিক পূর্ণ করিলাম। যাহাই হোক, মনকে বুঝাইলাম, কিছুই পরোয়া করি না। আমাদের ‘কক্ষভোজন’ হইবেই। তো, যথারীতি তামীম গ্রাঊণ্ড থাকিয়া একখানা কলসি মারিয়া দিয়া তাহার পালঙ্কের তলদেশে লুকাইয়া রাখিল। সেই দিন আমার মনে আছে হাউস মাস্টার (গোলাম মোশ্তফা>>আরাফাতের বেস্ট টিচার) এবং হাউস প্রিফেক্ট ওয়ার্সি ভাই এর মন ও মেজাজ এতটাই গরম ছিল যে একটা সময় তাহাদের মাথাতেই যাবতীয় রান্না সম্পন্ন করা যায় কিনা, ভাবিতেছিলাম……
….অবশেষে আসিল সেই আকাংক্ষিত রাত্রি। প্ল্যানমাফিক রাত ১০টা নাগাদ অবিশ্বাস্যভাবে কলেজের বাইরে গিয়া তামীম ও কাইয়ুম চাল,ডাল,তেল লইয়া আসিল। আমাদের কাজ শুরু হইবার কথা নাইট ডি.এম. রাঊন্ড দিয়ে তিনতলায় উঠবার পর। কিন্তু তীর্থের কাকের ন্যায় চাহিয়া থাকি। স্যার আর আসিতেছেন না। এইভাবে রাত ১টার দিকে তাহাকে দেখা গেল ক্লান্ত পায়ে তিনতলায় উঠিতে। হাউস বেয়ারা ইমরান ভাই বয়সে স্যার এর থেকেও বড়, ১৯৭১ সালেও বেয়ারা ছিলেন আমাদিগের হাউসের। তিনি সবসময়েই ম্যানেজড। তিনিও ঘুমাইয়া পড়িলেন। যে যে যার যার দায়িত্ব মত কাজে লাগিয়া গেল। আমি, আরাফাত রুমটা পরিস্কার করলাম। হাসান প্রিন্সিপাল বাংলোর সামনের লেবুবাগান হইতে আগেই ৬ খানা ইট লইয়া আসিয়াছিল, সেটা সেট করিয়া চুলা বানাইল।(পাঠককুল,ভাবিয়া দেখুন,শুকনা কাপড়-চোপড় ভর্তি রুমে খড়ির চুলায় রান্না!!)……
এদিকে কাজ না পাইয়া তামীম আর কাইয়ুমের (ফাইজলামো করিয়া আমি এই মানিকজোড়কে ‘শম্ভু ও বগা’ কহিয়া ডাকিতাম) মাথায় নতুন ভূত চাপিয়া বসিল। খালিদ হাউস টু একাডেমী ভবন রূটে শেড ছিল। সেই শেডের একটা ফাটলে প্রাকৃতিকভাবেই কয়েকটা পায়রা বাসা বাঁধিয়াছিল। তাহাদের খায়েশ হইল, কবুতরের মাংস ভোজন করিবে। তো যেই ভাবা, সেই কাজ এবং বিপত্তির উত্পত্তি। জায়গামত গিয়ে যেই না কবুতরের খোপে হাত ঢুকাইয়াছে, অমনি কোথথেকে যেন স্বয়ং কলেজ প্রিফেক্ট নাসের ভাই আর কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট মুকাররাবীন ভাই উদয় হইয়া মামদো ভূতের মত জিগাইলেন,’কাহিনি কী?এত রাতে কবুতর ধরতে আসছ কেন?’ তারা আমতা আমতা করিয়া কহিল, ”ভাই, এদিক দিয়ে হাটতেছিলাম, দেখি কবুতরের বাচ্চা একটা পড়ে আছে, তুলে দিলাম, ধরতে আসিনাই ভাই। শিয়াল দেখলে খেয়ে ফেলবে না! পড়তে ভাল লাগতেছিল না তাই হাটতে বের হইছি।“ এইসব ভুং-চুং বুঝাইয়া তাহারা সেই যাত্রায় বাঁচিয়া ফিরিয়াছিল। উল্লেখ্য, এই ব্যাচের সাথে আমাদিগের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। তাছাড়া, পরীক্ষার্থী ব্যাচ বলিয়া আমরা ছাড় পাইয়াছিলাম। যাহাই হোক, ডাইরেক্ট ধরা খাইয়াও তাহারা বিনা ফ্যাসাদে যে ফিরিয়া আসিল, ইহাই বড় কথা।
এদিকে মসলা ডাকাতির মিশনে যাহারা গিয়াছিল, তাহারা বিরাট সমস্যায় উপনীত হইল। ডাইনিং হলের পিছনদিকে ছিল মসলাঘর। সকালে ব্রেকফাস্টের জন্য রাতেই মসলা বেটে রাখিয়াছিল বাবুর্চীরা। তো এই জায়গাটাতে ৫-৬টা কুকুর নিদ্রাযাপন করিতেছিল। আমাদের বিশিষ্ট ডাকাতদিগকে দেখিয়া তাহাদের মেজাজ খারাপ হইয়াছিল, না মানুষকে জ্বীন ভাবিয়াছিল জানি না কী হেতু; কুকুরসমুহ সপরিবারে তারস্বরে চিত্কার আরম্ভ করিল। কোনমতে একটা লম্বা লাঠি দিয়া ভয় দেখাইয়া উহাদিগকে তাড়ান গেল। এইবার মসলাঘরের দিকে তাকাইয়া তাহারা দেখিল, জানালাখানা নেটিং করা এবং জানালা থেকে মসলার গামলা প্রায় ১.৫-২ মি. দূরে। তো আমাদের ডাকাতবাহিনীর আর্টিলারি ছিলঃ ২টা কাঁচি, একটা টেবিল চামচ, দড়ি আর দুইটা লম্বা ডাল। কাঁচি দিয়া প্রথমে নেটটা সুচারুরূপে তিন বাহুতে কাটিল দুইজনে মিলিয়া, যাহাতে ডাকাতির পর নেট টা আবার বল্টাইয়া পুর্বের মত রুপ দেওয়া যায়। নেট কাটা হইবার পর দুই ডাল রশি দ্বারা বাঁধিয়া তাহার আগায় চামচ লাগানো হইল। অতঃপর এই বিশাল হাতলওয়ালা চামচ খানা দিয়া(গিনেজ বুক ঘাটা দরকার!) ‘মেধাবী’ মসলা-ডাকাত গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ মসল্লা ডাকাতি করিল। ফিরিবার সময় খড়ি লইতেও ভুলিল না।
খড়ি পাইয়া আমরা চাল-ডাল ধুয়ে খিঁচুড়ি চড়াইয়া দিলাম। আর এদিকে গার্ডদের চক্ষু ফাঁকি দিয়া আলুচোরেরা দুই বালতি আলু লইয়া নির্বিঘ্নে আমার হাতে অর্পণ করিল। তাহাদের কাজটাই আসলে ঝুকিপুর্ণ ছিল, কারণ হাউস থেকে আলুক্ষেত কম দূরে না! তবে বালতির দিকে তাকাইয়া আমার চক্ষু চড়কগাছ হইয়া গেল, আলুগাছ হইয়া গেল বলিলেও ক্ষতি নাই। কারণ, দেখিলাম, এই আলুচোরেরা তাড়াহুড়া করিয়া আলু নহে, বরং আলুর গাছ উপড়াইয়া লইয়া আসিয়াছে। দেখিলাম, প্রতিটা গাছের তলে বড় বড় কাল দলা। বুঝিলাম ইহাই আলু। ভাবিলাম, যাক, এত আলু দিয়া আলুর ডাল তো বটেই, আলুভর্তাও খাওয়া যাবে। এই ভাবিয়া আলু ধৌত করা শুরু করিলাম। পাঠকবৃন্দ, বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, উপর্যুপরি ১৯ বার ধোয়ার পর যে শ্বেতশুভ্র জিনিসগুলা আবিষ্কার করিলাম, তাহা দেখিয়া আমার মনে হইল, ইহার তুলনায় সমপরিমাণ শিম চুরি করিয়া আনিলে শিমের ডালও(!) হইত, শিমভর্তাও হইত। তাহার পর এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকনা লইয়া ড্রাইং রুমে প্রবেশ করিতেই মনে হইল, পুরা এলাকার যত কুয়াশা সব এই রুমে কেন্দ্রীভুত হইয়াছে। পরক্ষণেই বুঝিলাম,ইহা কুয়াশা নহে, ধোঁয়াশা এবং ইহার উতপত্তিস্থল মাথাভাঙ্গা সেই পাতিলরুপী কলসির ভিতর ফুটতে থাকা অর্ধতরল,অর্ধকঠিন পদার্থখানা। এই ব্যাপক ধোঁয়াশা খাইয়াই আমার উদরপুর্তি হইয়া গেল এবং ভাবিলাম, সকাল বেলা প্রাত্যহিক প্রাকৃতিকলীলা চালাইবার সময় কেবলমাত্র বায়বীয় পদার্থ নিঃসরণ করিয়াই ‘বৈশ্বয়িক উষ্ণায়ন’-এ অবদান রাখিব………
আরাফাত যে কেমনে এই ধোঁয়াশার মধ্যে এত সময় বসিয়া ছিল, আমি বুঝিলাম না। নিজের রুমে ফিরিয়া চিত হইয়া শুইয়া পড়িলাম। প্রায় ৪০ মিনিট পর ডাক আসিল যে, রন্ধনকার্য সম্পন্ন হইয়াছে। মন খুশিতে নাচিয়া উঠিল। সকল খাবার রুমের আলোতে লইয়া আসিলাম। তারপর সকলে মিলে আবিষ্কার করলাম সম্পূর্ণ’ ভিন্ন জাতের কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য। ইহার বর্ণ ছিল কোথাও সাদা, কোথাও হলুদ। একই সাথে ভাত ও খিঁচুড়ি রান্না করা যায় এটা সেদিনই শিখিলাম। তবে ইহার স্বাদ আস্বাদন করিতে গিয়া বুঝিলাম যে ইহা ভাত ও না, খিঁচুড়িও না, ইহা একটা মৌলিক সৃষ্টি। প্রত্যেকেই আরাফাতের দিকে চোরাদৃষ্টিতে একবার করে তাকাইলাম। দেখি বেচারা পাংশু মুখ করিয়া বসিয়া আছে, খাবে কি খাবে না এই নিয়ে দ্বিধায় আছে। সেই সময় বোধ করি সকলের মনেই এক কথা চলিতেছিল, এত কষ্ট করিলাম, না খাইয়াই থাকিব?!! অন্যদের কথা জানি না, আমি নেয়া শুরু করিলাম। আমার দেখাদেখি অন্যরাও নিল।যতটুকু আলুর ডাল হইয়াছিল, ততটুকুই সবার মাঝে বণ্টন করা হইল। ডিমভাজির সাইজ হইয়াছিল পিঁয়াজুর সমান। যাই হোক, জিহবার আস্বাদন-তন্ত্রের ঘোরতর আপত্তি উপেক্ষা করিয়া খাওয়া শেষ করিলাম। হঠাত আরাফাত রুম থেকে দৌড়াইয়া বাহির হইয়া গেল এবং যাহা কিছু পেটে ঢুকাইয়াছিল সকলি উদগীরণ করিল। বুঝিলাম না, সেগুলা বায়বীয় পদার্থ ছিল নাকি তিন রকম পদার্থই ছিল! তবে জীবনে প্রথম এবং সম্ভবত শেষ যে ব্যাপারটা খেয়াল করিলাম তাহা হইল, ’’বাবুর্চী নিজেই নিজের রান্না খাইয়া তাহা উদগীরণ করিয়াছে।।‘’
ঠিক তখনই রাফি খুব সিরিয়াসলি একটা ডায়লগ মারিল, কিন্তু আমার নিকট উহাই সবথেকে বড় জোক্স মনে হইল…..”আসলে আরাফাতের কোন দোষ নাই। সব সিস্টেমের দোষ।“………..
খাওয়া শেষে যত প্রমাণ আছে, মুছিয়া ফেলিলাম। কিন্তু ড্রাইং রুমের ফ্লোরের পোড়া দাগটা থাকিয়া গেল। এই মহান অ্যাডভেঞ্চারের উদ্যোক্তা কাইয়ুম সদর্পে ঘোষণা করিল, ”যাহ শালা। একটা চিহ্ন থাক, জুনিওররা জানবে, কি করছি এক রাতে।“
প্রায় অর্ধেক খিচুড়ি বাঁচিয়া গেল। আরাফাত বমি করেই হাউসে চলিয়া গিয়াছিল। তামীম কহিল,’’সামনে গার্ডেনিং কম্পিটিশন, জমিতে সার দেই।“ এই কহিয়া পাগলাটা গার্ডেনে নামিয়া গেল। আমরাও তালে তালে তাহাকে অনুসরণ করিলাম। ১০ মিনিট ধরিয়া চাষাদের মতন সার ছিটানোর পর খিচুড়ি শেষ হইল। তারপর হাত মুখ ধুইয়া শয়ন করিলাম। তখন ফজরের আজান হইতেছিল, ইহা মনে পড়ে………..
সকালে প্রাতঃরাশ সারিতে গিয়াই বুঝিলাম, কিছু একটা ঘটিয়াছে। দেখি, কাসিম ও তারিক হাউস তরকারি পাইয়াছে কিন্তু খালিদ হাউস পায়নাই। আরও দেখিলাম ও.আই.সি.(অফিসার-ইন-চার্জ) আর বাটলার উদ্ভ্রান্তের মতন দৌড়াদৌড়ি করিতেছে। ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করিয়া জানিলাম, মসলা শর্ট ছিল দেখিয়া এক হাউসের কারি রান্না হয়নাই। হাসতে পারিলাম না, ভাবিলাম, এক হাউসের মসলা মারিয়া দিলাম অথচ খিঁচুড়ির রঙ হলুদ করিতে পারিলাম না!!!!
প্রাতঃরাশ শেষে ফল-ইন এ দাঁড়াইলাম আমাদের গার্ডেনের সম্মুখে। হঠাত দেখি দিক-বিদিক থাকিয়া আকাশ বাতাস কালো করিয়া শত শত চড়াই পক্ষী আমাদিগের বাগিচা পানে ছুটিয়া আসিতেছে। বুঝিলাম, আমরা যে খিঁচুড়ি রোপণ করিয়াছিলাম, তাহা হইতে খিচুড়িচারা গজাইবার পুর্বেই চড়াই পক্ষী উহা গলাধঃকরণ করিবে। এমতাবস্থায় দেখি আমাদের ইমরান ভাই বাঁশ লইয়া চড়াই পক্ষী তাড়া করিতেছেন এই বলিতে বলিতে, ”হায়রে আমার লাগানো পিচ্চি পিচ্চি বিচি গুলারে খাইয়া শেষ কইর্যাই ফালাইলো রে, স্যার রে বুলবো কি বে!! স্যার যখন বুলবে গাছ গজায় না কেনে, তখন আমি কি বুলব তারে এ এ এ………..’’
তামীমের দিকে তাকাইলাম। ও হাসিতেছে না। ঐ ছিল ‘খিঁচুড়ী রোপণ কর্মসুচীর’’ হোতা। সার দিতে গিয়া কী বিপত্তি যে ঘটাইয়াছি তাহা হাড়ে হাড়ে টের পাইলাম। নাসের ভাই carry on দিলেন। মার্চ শুরু করিলাম একাডেমীর দিকে…..মনে মনে চাহিতেছিলাম, ’হে আল্লাহ! ইমরান ভাইকে একজোড়া ডানা দাও, যাতে সে বাশ নিয়ে চড়ুই তাড়া করতে পারে।“ ”কেননা, বহুদুর পর্যন্ত শুনিতেছিলাম, ইমরান ভাই চিল্লাইতেছেন, ”আআমারর বিচিইইইইই……………………”
বৃদ্ধবয়সে যদি কখনও নাতি নাতনীদের ‘টীম এফর্ট’ কি জিনিস বয়ান করিতে হয়, এই কাহিনিটাই কহিব। আর শেষে একটা ডায়লগ মারিয়া দিব,’’It doesn’t matter whether you do or don’t achieve what you want, but eventually you will feel better by telling to yourself , ”WE WORKED AS A TEAM & WE WERE UNITED;AGAINST THE CHAINS”
পুনঃশ্চ—
আমার প্রিয় বন্ধু আরাফাত এখন চীনে থাকে। ওর জীবনসঙ্গিনীর কাছ থেকে জানতে পারলাম, ও নাকি সেখানে পুরাই নান্না মিয়া হয়ে গেছে। ওর বউ এর ত্থেকে ওর রান্নাই নাকি বেশি সুস্বাদু……ইসশশ, আরাফাত, দোস্ত কবে দেশে আসবি? তোর রান্না খাব………..
আর একটা কথা! আমাদের হাউস ঐ বছর গার্ডেনিং কম্পিটিশনে কি হয়েছিল আমি জানি না, সম্ভবত এস.এস.সি. এর ছুটিতে ছিলাম, তবে প্রথম যে হয়নি সেটা আমিও বুঝি, আপনারাও বুঝবেন।
বাংলা গদ্যের রচনামুলক প্রশ্নের মত একটা প্রশ্ন করি……নামকরণটা কি সার্থক হয়েছে?
পড়িয়া খুবই আনন্দ পাইলাম।পুঙ্খানুপুঙ্খ সাবলীল নিখাঁদ বর্ণনা আমাকে মুগ্ধ করিয়াছে।কক্ষভোজনের সাফল্যে যারপরনাই খুশি হইয়াছি। :salute:
😀 আমরা সফল হয়েছিলাম ভাই, 😀 কিন্তু কিছুদিন পর তারিক হাউসের পোলাপান আমাদের মত করতে গিয়া তো ডিমটাও ডাইনিং থেকে চুরি করছিল 😡 ,আর সেই নেট কেটে ফেলে রাখছিল,জানালার এই হাল দেখে সেদিন ও.আই.সি. এর মাথা ঘুরান দিয়াছিল :duel: ,সে তো আর একটু হইলে ডাইনিং হল প্রিফেক্ট এর প্রিফেক্টশীপ সিজ করত!! :))
অ্যানিওয়ে,অনেক ধন্যবাদ,বস :boss:
কোনো কথা কহিলাম না। শুধু পঞ্চতারতা অঙ্কিত করিয়া গেলাম
হে হে ,আপনি আর কি বলিবেন,আপ্নি তো কলেজেই ছিলেন, 😀 শুধু জানতেন না কি ঘটিতেছিল ..... :khekz:
দারুণ মজা পেয়েছি আছিব।
একদম সেইরকম এডভ্যানচার ছিল দেখা যায়! 😀
হে হে,ভাই ধন্যবাদ,আরও আকাম করছি, O:-) কমুনে... :-B .....দোয়া করবেন বস :boss:
:goragori: :goragori: :goragori:
আছিব,টানটান উত্তেজনা নিয়ে লেখাটা পড়লাম,নিজেই ভয় এ অস্থির হয়ে গেছি,পারবে তো??
:boss: :boss: :boss:
বেচারা আরাফাত,এত কষ্ট করে রান্না করা খিচুরি টা হজম করতে পারল না!
:shy: আরে ভাবীজান,আপনাকে টানাটানির :shy: মধ্যে রাখতে পারছি,উত্তেজিত করতে পারছি 😡 !যাক....মিশন সাক্সেসফুল :goragori: ,দেইখ, :-B ভাই যেন আবার মাইণ্ডক্স না খেয়ে বসে!! =(( :chup:
আরাফাত এখন বস হয়ে গেছে,ওর বউ ওর খাদ্যের ১ নং পাংখা :khekz:
এইরকম বৌ :thumbdown:
ব্যাটা, ল্যাঙ্গুয়েজ সামলা, নাইলে পাঞ্গা খায়া তুলাধুনা হয়া যাবি রে ;;;
:shy: ওই,বিরাজ বৌ মুভি দেখছস? x-(
:gulli: "শ-শব্দ", ~x( তুই আমাদের ভাবী-দেবরের পবিত্র ভাষাকে সাম্লাইতে বলিস!! :gulli2: পামর!!"
তুই কি ভাইজানের স্পাই???? :chup:
x-( আর,আরাফাতের বউ রে নিয়া কিছু কবি না,সেও ভালো রান্দে :dreamy: ,আরাফাত নিজেও তার বউ এর পাংখা 😡
x-( আর ব-শব্দ,তুই কোন সি.সি.?কোন ইনফো নাই কেন,শার্লক হোমস সাজছ,চ-শব্দ?? :gulti:
ভাই আছিব(কমেন্টটা একটু সিরিয়াস টাইপ তাই তোমার ওই নামে এখানে ডাকলাম না,পরবর্তী কমেন্টে আবার শুরু হবে)
জোকিং এপার্ট, আমার মনে হয় উপরের কমেন্টটা আরেকটু চিন্তাভাবনা করে করা দরকার ছিল।আমি যদিও তোমার উদ্দেশ্য নির্দোষ আমোদ বলেই ধরে নিচ্ছি-তারপরেও এধরণের মন্তব্য অনেক ক্ষেত্রেই জটিলতার সৃষ্টি করে।ভেবো না তোমাকে ঝাড়ি দিচ্ছি বা এ জাতীয় কিছু,তুমি ব্লগে নতুন এবং আমার খুবই প্রিয় একজন ছোটভাই-তাই বড়ভাই হিসেবে খানিকটা সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছি।
"উপরের কমেন্ট" বলতে রাহাতের কমেন্টের শেষ লাইনের উপরে তোমার যে কথাগুলো আছে সেটা বুঝিয়েছি- আমরা আমরা যে কমেন্টগুলো চালাচালি করি তাতে কোন অসুবিধা নেই 🙂
যথা আজ্ঞা বস,আর বলা লাগবে না।ব্যাচমেট তো,তাই ফাইজলামী একটু বেশি করছিলাম।মাফ করেন বস 🙁
~x( ইশ,এইখানে কমেণ্ট ডিলিটের অপশন থাকলে এই শর্মিন্দা হইতাম না। shy:
যাই হোক ব্লগের প্রথম পাংগা মাসরুফ ভাই এর কাছে খাইলাম ধইরা নিয়া এক্ষনি ফ্রণ্ট রোল দিতাছি :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
x-( হইছে অনেক পাঙ্গা খাইছোস এইবার উঠ, পিন্টু।তয় নেক্সট টাইম আবার হইলে কইলাম :duel:
যাক,বসের মেজাজ ফিরিয়াছে দেখিয়া আর আবারও নামখানা শুনিয়া আমার জানে প্রাণ ফিরিয়া আসিল,ধন্যবাদ বস, :boss: ''তুসি গ্রেইট হো
তোওফা কবুল কারো।" :boss:
আস্তাগফিরুল্লাহ পিন্টু,আমি ওই তোফা চাইনা-দিতে হইলে পিসিসির কাউরে দে :no: :no:
ভাই,জানেন,আড়াই বছর ধরে বুয়েটে আছি,কিন্তু কোন পিসিসি এর ক্যাডেটের সাথে আমাদের দেখা বা কথা হয়নাই।এরা নিজেদেরকে এতটাই লুকিয়ে রাখছে,ভাবতে অবাক লাগে।আমরা বোধ হয় এদেরকে একটু বেশিই অপমান করি।এজন্যি এরা আমাদের কাছে ঘেষে না
আরে দূর অপমান না-এইগুলা তো জোক,এই যেমন আমাগোরে সবাই "গাছ" কয় x-( 😡
ওই বেটা আমার ইনফো নাই মানে ? x-( আমি সিসিবিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ B-) বিসিসি এর
ভাবী,আমি দুঃখিত,যদিও ফাইজলামি করছি,তুমি কিছু মনে করিও না।প্লিজ.......
বাপরে এইখানে তো একদম কাহিনী হয়ে গেছে,আচ্ছা বেচারা পিন্টুরে এত পাঙগা দিয়েন না প্লিজ,আমার দেবর বলে কথা! ;;;
তবে পিন্টু ভাই,তোমার ভাই দেখলে কিন্তু কোপা শামসু ও হয়ে যেতে পারে :duel: :duel:
বদটা কই ছোটবৌদি? x-( খালি পিকনিক/গেটটুগেদারের আগেই খালি অরে সিসিবিতে দেখা যায় x-( x-(
আমার ও সেইটাই কথা।একটু খুজে দেখেন না কোথায়,আমার ই খোজ টোজ নেয় না,আর যখন ই একটু সময় পাই কথা বলার,খালি সিসিবির কথা জিগাই! 😡 😡 😡
পড়াশোনা রিলেটেড কি সব হাবিজাবি কাজে খুব ব্যস্ত,তার উপর আবার বেচারার ল্যাপটপের মনিটর টাও নষ্ট :no: :no:
ভাবী,আমি দুঃখিত,যদিও ফাইজলামি করছি,তুমি কিছু মনে করিও না।প্লিজ…….
আছিব আর কত মাফ চাইবা,ক্ষ্যমা দাও এইবার ;;;
😀 ,আবার শুরু করা যাক, :shy: যেখানটায় শেষ হইছিল,নাকি বল ভাবী :grr:
শত শ্ত বৎসর ধরিয়া বালকসেনাদিগের এইরুপ বনভোজনের যে ধ্রুপদী রীতি তাহা ধরিয়া রাখিবার জন্যে আমার অন্তরের অন্তঃস্থল হইতে তোমাদিগকে অভিবাদন জানাই।লেখা অত্যন্ত সরস হইয়াছে-বিশেষ করিয়া কতিপয় বর্ণনা পড়িয়া হাসিতে হাসিতে খাবি খাইয়াছি।সময় করিয়া সে সকল নিয়া পরবর্তীতে দীর্ঘকায় মন্তব্য করিব।পিন্টু মহাশয়,তিন হস্তিমূর্খ চলচ্চিত্রের চিত্রাভিনেতা ধনশীল খাদকের ন্যায় এই বেলা বলিয়া রাখি স্মৃতি-রোমন্থনের ক্ষেত্রে-"তুসি গ্রেট হো"
:goragori: বসের পদধুলি পড়িয়াছে দেখিয়া যারপরনাই প্রীত হইলাম। :pira:
:(( 🙁 :shy: আমাকে গ্রেট বলিয়া লজ্জা দিবেন না,বস,আপনারা এই প্লাটফর্ম না দিলে এসব স্মৃতি মাথাতেই থাকিয়া যাইত।লিখনে রূপান্তরিত হইত না কখনও।হয়ত ভুলিয়াও যাইতাম। :-B কাজেই,সব ক্রেডিট পাবেন আপ্নি :boss: ,রায়হান আবির ভাই :boss: ,জিহাদ ভাই :boss: ,বন্য ভাই(আসল নাম জানি না) :boss: ,আরও অনেকে ,এই অল্পকদিনে আমি এই কজনের নাম ই বের করতে পারছি.......... 😡
🙁 ইয়ে বস,একটু কারেকশন আছে, 🙁 ধনশীল খাদক এই ডায়লগ ইউজ করেন নাই,তিনি subject ছিলেন।মানে এই ডায়লগ তিনি শুধু খাইতেন,ছাড়িতেন না :-B
=))
:shy:
সেইরকম লিখছিস । হাসতে হাসতে পিরা গেলাম =))
ইমরান ভাই চিল্লাইতেছেন,”আআমারর বিচিইইইইই……………………”
উনি কি শেষ পর্যন্ত উনার িি রক্ষা করতে পারহিলেন?জানতে মন চায়...
ভাই,ইমরান ভাই :boss: অনেক পরিশ্রমী ছিলেন,গার্ডেনিং এ আমাদের হাউস বরাবর ই খারাপ করত।্যতটুকূ কাজ ইমরান ভাই-ই করতেন।আমাদের লীডিং এ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গার্ডেনিং এ ১ম হইছিলাম,ওইবার ইম্রান ভাই অনেক খাটছেন :hatsoff:
বিদায় নেয়ার সময় সবাই মিলে ২০০০/= দিয়া আসছি :salute:
তা তো বুঝলাম তয় আমার প্রশ্নের উত্তর দিলিনা ক্যান? 😛
জানি না ভাই 🙁 ,তবে এটা জানি যে উনি ঐ ঘটনার পর আর বাবা হন নাই :khekz:
উনি অলরেডি দাদা-নানা হয়ে গেছিলেন,বস 😀
তোমাদের এই পিকনিকের কাহিনীটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নাই ...... যথারীতি জটিল ......
তোমার লেখার স্টাইলটাও সেইরকম লেগেসে ...... তুমি একটা মাল ... :boss: :boss: :boss: :boss:
মইনুল ভাই, ও শুধু মাল না ও হইলো মাল্পিন্টু 😀
:hatsoff:
😀 ভাই রে,বুয়েটে আসিয়া অনেক কিছুই নতুন করিয়া শিখিয়াছি,আমরা মাল বলতে :gulli: Most Attractive Lady :khekz: বুঝাই। =(( আমাকে দয়া করিয়া এই গোত্রে ফেলিবেন না 😕 ।আমি সকলের মাঝে :gulli2: পিণ্টু :gulti: হয়েই সুখে আছি। 😡
আপ্নারাই বস,আপ্নাদের ভাল লেগেছে জেনে আমি ধন্য :boss:
ছি ছি ...... তরুন প্রজন্মের একি দুরাবস্থা ????!!!!! আমরা তো এইসব কিছু দূরে থাক, চোখ তুলে তাকাতাম পর্যন্ত না .........
আচ্ছা ...... ইংরেজীর ফারিয়া ম্যাডাম কি এখনো আছেন ????
আপনের করা এই মন্তব্যটা ভাবীকে ইমেইল কইরা পাঠামু।ইমেইল এড্রেস দ্যান 🙂
ঐ ...... তোমার ভাবীরে আমি ডরাই নাকি ????
বাহ =)) ,ভাই চোখ না তুলে :-/ ফারিয়া ম্যাডাম :dreamy: 😡 কে দেখে ফেলছেন? 😮
ভাবী কি আপনার এই দিব্যদৃষ্টির কথা জানেন? :khekz:
ম্যাডাম আছেন,কিন্তু আপনার দেখা সেইরকম ম্যাডাম এখন নাই : grr:
ইলেক্ত্রিক্যালের পোলাপাইনের সাথে বইসা ম্যাডামের ক্লাশ করতাম ...... আহারে ... ছিলো বটে দিনগুলো ...... :dreamy: :dreamy: :dreamy: :dreamy:
:shy: ইয়ে মানে,আমি ইকোনমিক্সের ছাত্র আর নন-বুয়েট,তয় ইন্টারে সাইন্স ছিল।আমিও কি ক্লাস করতে পারি? :shy:
মোস্ট ওয়েল্কাম ভাই,বোনরে বুয়েটে দিতে এসে আমার সাথে ক্লাস করে যাইএন,কেও কিছু বলবে না,বুয়েটে অত কড়াকড়ি নাই,চাইলে বোনের সাথেও ক্লাস করতে পারেন :))
🙁 🙁 সেই দিন আর নাইরে পিন্টু,বোন তার হৈলেও-হৈতে-পারে ভাবীর কাছে রিপোর্ট কীওরা আমারে হালুয়া বানায় ফেল্বো-বড়ই ফিচকা টাইপের বোন আমার 😕
:khekz:
ম্যাশ, একটা দুইটা ক্লাশ করার ব্যবস্থা করে দিতে পারি, কিন্তু সমস্যা হল- ইংরেজির ফারিয়া ম্যাডাম কোঞ্জন তা তো মনে পড়ছে না। আছিব, এই ম্যাডাম কে? আমার তো শুধু বেইবি ম্যাডামের কথা মনে পড়ছে ~x(
:shy: ইংরেজির ম্যাডাম হৈলে তো সুবিধা- ক্যাডেট কলেজে এই একটা সাবজেক্টই অল্পবিস্তর শিখার ট্রাই দিছিলাম বাকিগুলাতে তো 🙁 কেলাস বুঝতে সমিস্যা হৈবোনা বৈলাই মনে হৈতেছে-আঁধার্ভাবী আপ্নেই বস!
এত ডিপার্টমেন্ট আর এত টিচার! ~x( কার কথা যে জিগান ভাবী :-/ ,কিছুই ঠাওর খরবার হাইরতাছি না। :bash: আন্নে কত বত্ছর আগত্ ফাস্ দিছেন ,ইডা আই জাইন্তেন্ন,তয় 'বেবী' ম্যাডাম আর 'বেবী' নাই 😛 ,হেই লাইগ্যাই মনে কয় পেহ্চান্ কইরবার হারলাম না, :)) ক্ষ্যামা দিয়েন গো ভাবীসাব! 🙁
ফারিয়া ম্যাডাম আমাগো সিভিল'০৬ রেও আংরেজ শিক্ষা দিছলেন। :-B মাগার আমার কাছত্ অত পরীর নাহাল লাগে নাই,যে দিব্যদৃষ্টিতে দেখবার হারুম B-)
তা ভাবীসাব,আন্নে কোন্ ব্যাচ? 😡
আঁই তো জিরু ঠু ব্যাচ, তয় ফারিয়া ম্যাডাম্রে কইলাম আমরা ইংরাজি কেলাশে ফাই নাই। আর বেইবি ম্যাডাম আম্রার সময়েও বেইবি ছিলেন না, হ্যাইতে তো ফুনেডিক্স ফড়াইতেন, হ্যার লাইগা দুষড ফুলাফাইনে হ্যাইতের নাম দিছিল 'বেইবি ম্যাডাম' অথবা "গাও' দেয়া-" (go there)।
😮 😮 আপনেরা কি বাংলাদেশের বিখ্যাত জেলা নোয়াখালির বাসিন্দা?????আল্লাগো আগে কইবেন না :no: :no: :no:
নোয়াখালির কি হলো মাসরুফ ?????
আমার এক নোয়াখালির :just: ফ্রেন্ডের সাথে ঈদের দিন দেখা করতে গেছি ফুলার রোডে- টানা ৩ ঘন্টা দোলনায় বইসা গপসপ করল কিন্তু একটা বারের জন্য উপরে ডাকলোনা নাস্তা খাইতে।তার চেয়েও বড় কথা,৭ মাস পরে আমার দিল ভাইঙ্গা টুকরা টুকরা কৈরা দিছিলো :(( :(( =(( =(( :(( :((
ইয়ে বস, আমি জুক করছি অফেন্স নিয়েননা :frontroll: :frontroll:
আহারে .........
একটু একটু খারাপ লোকজন সব জায়গাতেই আছে ...... তবে সাধারনত নোয়াখালির লোকজন বেস্ট ...... 🙂 🙂 🙂
তীঁব্রঁ দ্বিঁমঁতঁ পোঁষঁণঁ কঁরঁছিঁ দাঁদাঁ-সেঁইঁসাঁথেঁ সাঁম্প্রঁদাঁইয়িঁকঁতাঁরঁ প্রঁতিঁবাঁদঁ জাঁনাঁচ্ছিঁ :grr: :-B :frontroll:
আহারে বস,আপনার এই অভিজ্ঞতা আমাদের মত ম্যাংগো পাবলিকদের :-B সচেতন হতে সাহায্য করবে। :awesome:
~x( মাসরুফ ভাই,আমাকে :gulli: বি.এন.সি.সি :gulti: এর লোক ভাবিয়া লজ্জা দিবেন না :bash: ।বিভিন্ন এলাকার গণমানুষের সহিত মিলমিশ করিয়া মোটামুটি কয়েকটা টান রপ্ত করিয়াছি :-B ।আমার দাদা-নানা দুই বাড়িই 😡 জামালপুর জেলায়, বস। B-)
😮 অই সারছে,আফা কইতাম না ভাভী কইতাম ঠাওর কইরবার হাইরতাছি না :bash: ।যাই হোক বইনডি, :gulli2: বেবী ম্যাডাম আমাগো ক্লাসও নিছেন।হেতীর ভাবের ঠেলায় আঁরা হা খরিয়া তাহাই থাইকতাম 🙁 ।হেতী ফনেডিক্স হড়ায় নাই, :no: The Bet,Carcy's garden...etc হড়াইছে :-B ।আঁই হেতীরে একদিন The Bet এর ফুল সামারী এংরেজী তে বয়ান করিয়া তাজ্জব বানায় দিছিলাম।এর হর থাইক্যা হেতী আঁরে খুব বালা হাইত 😡 ।আর আমাগো ফনেডিক্স হড়াইত নিশাত ম্যাডাম,হেতী বি.টি.ভি. ত এংরেজ খবর হড়ে। :dreamy:
যাউক গা,নতুন কুশ্চেন মাথায় আইল,আন্নে কোন ডিপার্টমেন্ট,বইন্ডি??????? :boss:
আঁই তো ইলেক্ড্রিক্যাল। আর আঁই কইলাম বিএন্সিসি ন। আঁই মাইকল্দার লাহান যুঁশোইর্যা ফাব্লিক। হেতী তুয়াঁরে খুব বালা হাইলে কি লাভ, হেতী তো তুয়াঁর খালার লাহান! (হেতীর কি রূফবতী মাইয়া আছে নি :-/ )
না গো আঁফা, :no: হেতীও রুফবতী ন,হেতীর মাইয়া থাকলেও রুফবতী হবার কুনো সম্ভাবনা নাই :bash: ।হেতী :just: এম্নেই আঁরে বালা ফাইত 😡 ।কন দেহি,খালাম্মা কি বাইগ্নারে বালা ফাইতে ফারে ন? :shy:
আন্নে তো বস আঁফা :boss: ,ইইই তে ছিলেন।তয় ভাইজান কই ছিলেন? :-/
ওরে আছিব, ভাইডি, তোমার ভাইজান তখন খোলাহাটিতে ছিল 🙁
তুমার বাড়ি যশোরে তা আগে কবা না ?? যশোরের কনে থাকো ??
ষষ্ঠিতলায় থাকি। কিন্তু তুমার তো ২০০৪ এ ইন্টার পাশ মনে হচ্ছে, সিনিয়রদের 'তুমি' সন্মোধন তো ঠিক আদবের মধ্যি পড়ে না x-( । লাগাতার :frontroll: দাও। শেষ হইলে বাড়ির ঠিকানা দিয়ে রকিবের দোকানে আমার নামে এক কাপ চা খেয়ে নিও।
রাব্বি তুই শ্যাষ :grr:
:party: ধন্যবাদ বস, :boss: সবই আপনাদের দোয়া :goragori:
কলেজের কাহিনী পড়তেই সবচে বেশি মজা লাগে, জটিল লিখছিস দোস্ত, আরো লেখ...........SSC Candidate লাইফেই সবচেয়ে বেশি আকাম(!) করা হয়, ওই সময়ের কথা ভোলা যায় না :dreamy:
😀 ধন্যবাদ আপনাকে,দয়া করিয়া আপনার পরিচয় প্রকাশ্যে রাখিবেন 😡
dosto kam sharce, amar profile er link e kisui ashtece na 404! bivrat dekhaitse, ami sick report kortesi :(( disposal pawar pore ashakori abar amar full profile dekhte parbi, ei onicchakrito ID hiding er jonne sorry.
জোশ !! ব্যাপক মজা পাইলাম 😉
ধন্যবাদ ভাই,দোয়া করবেন :boss:
অসাধারণ.......... আছিব...... সিম্পলি অসাধারণ :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:shy: ভাই,অসংখ্য ধন্যবাদ,দোয়া করবেন :boss:
জ্যেষ্ঠ ভ্রাত,
অপার মহিমায় লিখিয়াছেন। বিমুগ্ধ, বিমোহিত এবং যারপরনাই পিরা (এইটা পিরা ভাষা) না যাইয়া পারিলাম না। আপনি ইষ্টকান (পাথরান)। :boss:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কনিষ্ঠ ভ্রাত, :-*
স্তুতি গ্রহণ করিলাম। :shy:
চাকা তুই জটিল লিখছস 😀
বেশি হিলিয়াম দিমু না তাইলে আকাশে ছইলা জাইবি
'ছইলা জাইবি'???? :-/
যাই হোক,অন্তর্নিহিত ভাব বুঝছি। :goragori:
হিলিয়াম লাগব না,আপাতত স্ট্রাকচার সেশনাল এর রিপোর্ট টা দে। :-B
ইহা পয়দা করিতে গিয়া জীবন হইতে এক রাতের ঘুম অপব্যয় হইয়া গিয়াছে। ~x( শীতকালে এই ক্ষতি আরো কষ্টকর। :((
মিথুন 😮 😮 :hug: :hug:
:boss: :boss:
ভাইআ জটিল লিখসেন।এত কিসু মনে রাখসেন কেমনে???
😀 ধন্যবাদ :shy:
:hatsoff: পদ্ধতি শিখিয়ে দিব নে,একটু অপেক্ষা কর ছোট্ট বন্ধু। :-B
ছোট্ট বন্ধু :-/
😡 ইয়ে মানে,আফা,ডাউট দিয়েন না প্লিজ :shy:
এক বিল্ডিং এ ক্লাস করি।মানে এক ছান্দের তলে। :just: বিভাগটাই আলাদা,তাই আপন ভাবিয়া ডাকিলাম :shy:
ভাবী,বুঝেন না ,ক্যাডেট পাইলে যা হয় :goragori: ,তাও আবার ম.গা.সি.সি............... :khekz:
ম.গা.সি.সি……
:khekz: :khekz:
:-B না মানে, ইয়ে মানে, "ছোট্ট আপু" না লিখে "ছোট্ট বন্ধু"!!!!!!!!! ;;) :-B :-/ :-/ :-/
:hatsoff: :dreamy: ;;) :hug: :-* :shy: :goragori: :guitar:
কিছু বুঝলেন ভাবী?
x-( সিসিবিতে নরেশগিরি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ x-( (এই নিয়ম অবশ্য র আর স আদ্যক্ষরের দুজনের জন্য প্রযোজ্য নয় :-B )
আপনের BMA লাইফের কাহিনী চাইপ্পা গেলাম .... ওই যে শারমিন ছার না কার কথা যেন শুনতাসিলাম ;;; ;;;
:khekz:
x-( x-( bull-fish রে আমি বিএমএ তে পাইনাই x-(
x-( অরে রাহাইত্তা ,ভুল নাম্বারে ডায়াল করছস,শারমিন ছার এর কাহিনি আমাদের কলেজের ইশ্তিয়াক ভাই এর সাথে :grr: ।মাসরুফ ভাই নির্দোষ। :boss:
আরে সিরাম, ঘটনা তো পুরাই সিরাম =)) :clap:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পুরাই জোস........ অসাধারণ বললেও কম বলা হয়.....
:thumbup:
O:-) ,ধন্যবাদ ভাই :hug:
পিন্টু রে,তুই তো গাম্ভীর হয়া যাইতাছোস-পর পর দুই ব্লগে একটায় সেঞ্চুরি আর পরেরটায় ফিফটি নট আউট... 😮 😮 😮
:shy:
:boss : সবই আপনাদের দোয়া :hatsoff: আর আল্লাহ তাআলার দয়া O:-)
ভাই বাংলা তে বেশি ভুল ধরতে জাইএন না x-(
এইখানে লিখতে গিআ ঝামেলা তে পরতেসি।।।।
মাফ কইরা দিএন :bash: লেখা হই নাই
রিপোর্ট দে তাড়াতাড়ি,হ-শব্দ। :chup:
কত্তগুলা রিপোর্ট বাকি!!!! :bash:
এই সপ্তাহে আর বাঁশের ঠেলায় হিপ নিয়ে ব্লগে বসতে পারমু না। :((
আছিব,
তুমি তো একটা জিনিস রে ভাই।
:just: :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2: :gulli2: হইছে। চালায়া যাও।
আজ্ঞে ফরিদদা ও জিনিস নয় গো দাদা ও হচ্চে মাল্পিন্টু :goragori: :goragori:
ভাই গো,সি সি বি তে আইসা দেখি আরেক বিবর্তন ঘইট্টা গেল পিণ্টু নামের! :goragori: !!!তয় কেন জানি এইটা ভাল ঠেকতাছে না ভাই :shy:
ফরিদ ভাই,জিনিস বানায় দিলেন! :-B !'ন' আর 'স' এর মধ্যে 'য়া' দিলে আরও খুশি হইতাম,বস :boss:
এইডাও তো ছেঞ্চুরি ছাড়াইবো মনে হইতেছে 😮
😛 আমারো মনে হইতাছে বস।দোয়া করবেন :boss: :goragori:
কিন্তু বস,আরো কয়েকটা বসকে আমার লেখা পড়তে দেখলাম না ।মনটা তাই ভাল না। 🙁
ভাই,চ্যাট এও তো কেউ ঢুকে না।এর উন্নতি কবে হবে? :-/
এই ঘটনা কার কাছ থেকে যেন আগেই শুনছিলাম। তা মাল্লেখক পিন্টু(এই নামটা আমার বিশেষ পছন্দ তবে তোর নাম এই জন্যে না, এর অধিকারী আমার এক বন্ধু), দিন দিন তুই দেখি উন্নতির চরম শিখর ধরতেছিস। উত্তম, অতি উত্তম।
আমার স্মৃতি যদি বিভ্রাট না করে থাকে তবে ২০০৪ সালে আমরা খালিদ হাউসকে হ্যাট্রিক শিরোপা পাইয়েছিলাম। তাহলে ২০০৩ এ তারিক কাউস কিভাবে ওভারঅল চ্যাম্পিয়ন হল? :-/ তারিক হাউস এনুয়াল স্পোর্টসে চ্যাম্পিয়ন হইছিল বলে মনে পরে।
তারিক কাউস না হাউস। 😕
😛
ভাই গো,আমার মনে হয় আমান ভাই,হাসানুল ভাইরা তারিক হাউসকে ওভার অল পাওয়ায় গেছিল 😉 ।তবে আপনার এই কথা ঠিক আছে।নাসের ভাইদের সময় আপনারাই পাইছেন। :boss:
মাফ করবেন দাদা,একটু স্মৃতিবিভ্রাট ঘটিয়াছে,কতই আর মনে রাখা যায় কন? :((
আচ্ছা এই নাহিয়ান কি বাধন না? এখন আর্মিতে আছে, রংপুরে পোস্টিং। তাই না? আমি আর নাহিয়ান শহীদে একরুমে থাকছি। ম্যান আমি ক্যাডেট-এ চান্স পাইলে হয়ত এই "ভয়ংকর এ্যডভ্যান্চারে" আমিও থাকতাম।:) যাই হোক ভাইয়া, তুমি বুয়েটে কোন সাবজেক্টে পড়?
:boss: একদম হাছা ধরছ বস। :gulli2: ওই চ-শব্দ এখন রংপুরেই আছে এবং বহাল তবিয়তেই আছে।কিন্তু সে :gulli: জি.এফ. এর মায়ায় এতটাই স্ত্রৈণ হয়ে গেছে,যে ছুটিতে আসলে উহার আঁচলেই লাগিয়া থাকে :chup: ।আমাদের সহিত সাক্ষাতের কথা মুখেই লয় না :duel: । ~x( নারী জাতটাই সেইরাম, x-( এদের কাজ হইল হাজার বন্ধন ভাঙ্গিয়া নিজের বন্ধন জোড়া লাগানো। :))
অ্যানিওয়ে,আমি চিভিলে আছি লেভেল -৩,টার্ম-১,তুমি কিসে? :-B
x-( পিন্টু তুই চিভিলে??আমার ছুডো বইনটাও ছিভিলে ঢুক্তেছে এইবার-খবরদার যদি দেখি ওর কুনো নোটপত্র,বইখাতা ইত্যাদির শর্ট পড়ছে তাইলে কইলাম তোরে... :duel:
🙁 ভাই,আমি ভাবলাম আপনি জানেন,আমি সিভিলে,আপনার আনন্দাশ্রু এবং....... ওই লেখাতে পরে একটা কমেন্ট দিছিলাম,আপনে কাইন্ডলি একটু কমেন্ট টা পড়বেন,বস :boss:
আর বস,আমি থাকতে আপনার বোনের কোন কিছুর শর্টেজ হবে না,জাস্ট যোগাযোগটা রাখলেই হবে। :thumbup:
বস,চ্যাটের উন্নতি হবে কবে? :-/
বস,চ্যাটের উন্নতি হবে কবে?
=)) =)) =)) =)) =))
পিন্টু রে,আমার নানাবাড়ি নরসিংদীতে গিয়া ভুলেও গ্রামের মানুষের সামনে এই কথা কইস না =)) =)) =)) যা কইলি এইটার উলটা মানে আছে...।
ওয়াল্লা মাস্রুফ ভাই, আপনের নানাবাড়ি নরসিংদি ?? আপনে তো আমার আত্মীয় লাগেন দেহা যায় 😀
:khekz: :khekz:
x-( কমেন্ট পড়ছি-তোরে মনে করায় দিতে এইখানে আবার লিখলাম x-(
:frontroll: ভুল হয়া গেছে
ইয়ে বস 🙁 ,চামে চুমে তো আরেকটা সেঞ্চুরি পিটায় দিলাম :goragori: :guitar: O:-) ।অবশ্য আপনি রহম না করলে এইটা হইত না :boss: :awesome:
আমি সরল-সোজা :-B পোলা বস,সোজাটাই জিগাইছি B-)
পিন্টু!! নারীজাতি নিয়া আউল ফাউল কমেন্টানোর অফ্রাধে :chup: :gulli: :gulli2: এখন কুইক ১০টা :frontroll:
:teacup: রাখলাম, :frontroll: শেষ হইলে খেয়ে নিও :grr:
:salute: ভাবীজান,আফনে তো সোনার টুকরা চান্দের নাহাল মাইয়া,আন্নের মত মাইয়া হইলে কি আর এ্যাইসা কমেন্টাম,কন? :dreamy:
:(( আফসোস কইরে কমেন্টাইরে ভাবী,জানের দোস্ত যদি এইরাম ভাবে পর হইয়া যায়,মাথামুথা কি ঠিক থাকে কন? x-(
যাউকগা,ভাবীর আদেশ শিরোধার্য 😡 ,তাও আবার বুয়েটের আফা, :shy:
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
ভাবী, :teacup: -তে চিনি বেশি দিছেন তো?
কন্ডেন্সড মিল্ক, চিনি, চায়ের লিকার- সবকিছুই বেশি বেশি দিয়েছি :teacup: তে
:-* ধন্যবাদ ভাবী, :teacup: মিষ্টি হইছে ;)) ,ঠিক আফনার মত 😡 :shy: ;;)
x-( তুই তো তেল মারতে সেইরকম ওস্তাদ রে x-( কি সুন্দর ভাবীরে মিষ্টি কথা কৈয়া পয়েন্ট আপ করায় নিলি...
তেল ভাল জিনিস, মন পিচ্ছিল করে দেয়, তবে অক্সিজেন ছাড়া তো বাঁচা মুশকিল। মাস্ফ্যু, নাও, :teacup: সিসিবিতে কেক্কুক আর এক জগ চা এর ইমো থাকা দরকার।
:shy: :shy:
দেখছেন বস,আমার তেল এর ইফেক্ট আপনার উপরেও পড়ছে।।............. :grr: :goragori:
ভাবী,ইউ আর সুউউ কিউট!! ;))
এক দফা এক দাবি :thumbup:
ব্যাপক হইছে, জট্টিল
ভাই পিন্টু, ফ্যান্টাস্টিক হইছে লেখাটা। পুরাই সেরকম :thumbup: :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:boss: :boss: কাইয়ুম ভাই,আশা করি আপনি আর আমার উপর নাখোশ নাই 😕