আমার দেখা আমেরিকা (২য় পর্ব)

আমার দেখা আমেরিকা (প্রথম পর্ব)

দুবাই টু লন্ডন

রাত ২টায় দুবাই বিমান বন্দরে প্লেন নামলো। সবার আগে বের হতে চাইলালাম, কারন আমার হাতে সময় মাত্র ১ ঘন্টা; পরবর্তী প্লেন ধরার জন্য। টাইট শিডিউল। রেল গাড়ীর মত আজব দর্শন বাসে উঠতে হলো, প্রায় মিনিট ১৫ চলার পর আমরা টার্মিনালের কাছে পৌছলাম। এখানে আরেক সমস্যা, লম্বা লাইন সিকিউরিটি চেকের জন্য। শত শত মানুষ,

বিস্তারিত»

ধূলিমাখা শরীর , অদেখা স্বর্গ ও অব্যক্ত গল্প…….

সামনে এইচ এস সি পরীক্ষা। প্রস্তুতি নেয়াতে ক্যাডেটদের চেয়ে শিক্ষক ও ল্যাব-এসিসটেন্টদের মাথাব্যাথা বেশী বলেই উপলব্ধি করেছিলাম। কি জ্বালাটাই না দিয়েছেন তারা। তখন সর্বশেষ মডেল টেস্ট চলছিল। মনে মনে আমাদের সকলেরই আনন্দ (কত শত xm কথাটা সেবারের মত শেষ হতে চলেছে) এরই মধ্যে আমদের একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার আবিস্কার করে ফেলল যে, অডিটরিয়ামে প্রতিদিন বিকেলে প্র্যাকটিস করা ব্যান্ড সেট ও সিডি প্লেয়ার পর্দার আড়ালে ওভাবেই রাখা থাকে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : ইতিহাসের কালো অধ্যায়-১

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব।। ষষ্ঠ পর্ব

১৯৭৫ সাল নিয়ে আমাদের জানার আগ্রহ ভীষণ। বাংলাদেশের ৩৮ বছরের ইতিহাসে ওই সময়টা ছিল প্রচণ্ড অস্থিরতা আর বিভ্রান্তির। রাজনীতি নিয়ে জাতি হিসাবে বাঙালির আগ্রহ সম্ভবত বিশ্বে বিরল। এতো দরিদ্র, এতো ছোট অথচ জনবহুল এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশের মানুষের এইরকম রাজনৈতিক সচেতনতা আমি জানি না আর কোথাও দেখা যায় কিনা!

বিস্তারিত»

খুশকি – ৫

১। ক্লাস এইটের ঘটনা। আমাদের এক বিখ্যাত ষ্টাফ ছিল নাম- আইয়ুব ষ্টাফ। সাইজে খাটো এবং গাট্টাগোট্টা হবার কারনে আমরা তাকে ‘আইয়ুব গিট্টু’ বলে ডাকতাম। আইয়ুব ষ্টাফ সবসময় পিটি এবং গেমসে ছোট সাইজের হাফপ্যান্ট পরত। একবার কুরবানী ঈদের পর প্রথম গেমসের ফলিনে গিয়ে দেখি ষ্টাফ আরো মোটা হয়েছে এবং তাতে হাফপ্যান্ট ছিড়ে যাবার উপক্রম।
যাই হোক, ষ্টাফ আমাদেরকে সাবধান করে উলটা ঘুরে এ্যাডজুটেন্টকে রিপোর্ট দেয়ার সময় উনার পা বেশি তুলে চেক মারতে গিয়ে হাফপ্যান্টের সেলাই পিছন থেকে মাঝ বরাবর অনেকখানি ছুটে গেল।

বিস্তারিত»

বন্ধুরা …

জিমেইলে গত কিছুদিন ধরেই মেইল পাচ্ছিলাম ক্যাডেটকলেজ ব্লগ থেকে। আমার না কী এখানে কোন এক ব্যক্তিগত মেসেজ আছে সেজন্যে। যাই হোক, অবশেষে আসা হল এখানে আজ। আমার লেখালেখি পরীক্ষার খাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিছুদিন আগ পর্যন্তও। পিএইচডি করতে এখানে (নেদারল্যান্ড) আসার পর থেকেই একাকীত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেই মনে হয় কী-বোর্ড আর মনিটরকে আপন করে নিয়েছিলাম এখানে কিছু হাবিজাবি লেখে। তবে এটাই বা বাদ যাবে কেন?

বিস্তারিত»

আমার দেখা আমেরিকা (প্রথম পর্ব)

ভুমিকা পর্ব

সরকারী কাজে প্রায় ৭ মাস সময়ের জন্য আমাকে আমেরিকা থাকতে হয়েছিল। দেশ ছাড়ার সময়টা ছিলাম খুব দোটানার মধ্যে। এক দিকে স্ত্রীর গর্ভে ৮ মাসের সন্তান, তাও আবার আমার প্রথম সন্তান। একবার ঠিক করে ফেললাম যাবনা, চুলায় যাক এই চাকরী। এবার বউ বেকে বসলো, সে বলল তাকেও নিতে হবে আমার সাথে। আত্মীয়রা সবাই আমাদের বিপক্ষে, প্রথম বাচ্চা ঝুকি নেয়া ঠিক হবেনা। অবশেষে সিদ্ধান্ত আমি যাব বেবীটা ২/৩ মাস হলে আমার বউ তাকে নিয়ে পরে আসবে।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা (পর্ব-৬)

(২৩)
প্যারেন্টস ডের ৫ দিন আগে ক্লাশে হৈ চৈ করে ধরা পড়লাম আমি এবং তানভীর । এজন্য ভিপি স্যার স্টেটমেন্ট নিলেন এবং বললেন প্যারেন্টস ডেতে প্যারেন্টস সহ দেখা করতে । প্যারেন্টস ডের আগের দিন আবার স্যারের কাছে গেলাম ক্ষমা পাবার জন্য । স্যার কিছুতেই ক্ষমা করতে রাজী হলেন না । ক্ষমা পাবার শেষ অস্ত্র হিসেবে তানভীর বলল “স্যার আপনিই তো বলেছেন , স্যারেরা ক্ষমার বস্তা নিয়ে ঘোরে ।

বিস্তারিত»

আন্টি: একজন মায়ের মুখ…..

ঘটনা-১:
বেশ ক’বছর আগে মুস্তাকিমের বাসায় ছুটিতে গেলে ঢুকতে ঢুকতেই ও বললো, আম্মা কিন্তু ফুল প্রফেসর হয়ে গেছেন…..আন্টি আনন্দমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক…….ডাইনিং টেবিলে বসে একথা ওকথার মাঝেই হঠাৎ বললাম, “আন্টি, কংগ্রাচুলেশন”……আন্টি মূহুর্ত কয়েক সময় নিয়ে কপট অভিমানের সুরে বললেন….আমার খবরটা ওরা কাউকেই আমার নিজের মুখে বলতে দিবেনা দেখতেছি…..

ঘটনা-২:
মুস্তাকিম বছর দুই আগে ফোন দিল, আম্মাকে তো ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করছি,

বিস্তারিত»

খুশকি – ৪

খুশকি -১
খুশকি -২
খুশকি -৩

১। বড় কমোড কেনার শানে নুযুল

আমার বাবা ১৯৯৩ সালে বাড়ি তৈরীর কাজে হাত দেন। ১৯৯৫ তে আমরা সেই বাড়িতে উঠলাম। দোতলায় দুই ইউনিট এর দুটি বাসা বানানো হলো। তারই একটিতে আমরা উঠলাম। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। ছুটিতে বাসায় গেলাম। ঐ বাসাটিতে রুমের সংখ্যা কম হওয়ায় এবং বাথরুমের সাইজ ছোট হওয়াতে সব মিলিয়ে কারোরই বাসাটা মনমতো হচ্ছিলনা।

বিস্তারিত»

বাবারে, তোকে আজ খুব মনে পড়ছে রে বাবা !

সিসিবি তে প্রায়এক বছর পর যোগদান করেছি। অনেক দিন ধরে লেখার ইচ্ছা হচ্ছিল। আজ শুরু করে দিলাম। যদিও সিসিবির সব লেখা পড়ে শেষ করতে পারিনি। তবে এখন পর্যন্ত ‘বাবা’কে নিয়ে কোন লেখা চোখে পরেনি। তাই ‘বাবা’কে নিয়ে লিখতে বসে গেলাম। আগে কেউ লিখে থাকলে একটু জানাবেন।

এই ‘বাবা’ কোন বাবা তা মনে হয় ঝিনাইদহ আর রংপুরের ক্যাডেটদেরকে বলতে হবে না। যিনি আমাদের কলেজে আমাকে মোটামুটি খুব স্নেহ করতেন…।

বিস্তারিত»

সাধের হাসপাতাল

সাফল্য / ব্যর্থতার পেজগি
হাসপাতাল যে কারো সাধের জায়গা হতে পারে ক্যাডেট কলেজে না গেলে বুঝি জানা হত না। কে কত বার এডমিট হতে পারল , কে কত দিন পিটি মাফ পেল তা নিয়ে ছিল রিতিমত হিসাব নিকাশ। আর কেউ যদি বারকয়েক সি,এম,এইচ যেতে পারে তাহলে তো আর কথাই নাই। যেন রীতিমত বীরের সম্মান । আমাদের ব্যাচ এর সুমন আর শহীদুল্লাহ ছিল সি,এম,এইচ এক্সপার্ট।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা (পর্ব-৫)

(১৬)
ক্লাশ নাইনের সবচেয়ে ভদ্র ছেলেটি ইডি খাচ্ছে । ব্যাপার কি ? সবাই অবাক । পরে জানলাম সে এক ম্যাডামকে বলেছিল “ম্যাডাম এই টপিকটা খুব কঠিন , যদি দু দুবার করে বোঝান তবে খুব ভাল হয়” । ম্যাডাম ‘দু দুবার’ শব্দটিকে
অন্যভাবে মিন করেছিলেন । ফলে ভদ্র ছেলেটির ৩ টা এক্সট্রা দ্রিল ।
(১৭)
ছুটিতে আমরা কয়েক ফ্রেন্ড একটা ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকেছি হালকা নাস্তা করার জন্য ।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা (পর্ব-৪)

(১১)
মুসতাঈন স্যার ছিলেন আমাদের এডজুটেন্ট । তিনি আবার ইংরেজী ব্যতীত কখনই কথা বলতেন না । তার মুখ থেকে শোনা কিছু ইংরেজীর নমুনাঃ
*কোন কারণে আমাদের ফর্মে এসেছিলেন তিনি । এসে দেখলেন ফ্যান বন্ধ । তিনি বললেন “গিভ দ্যা ফ্যান” ।
*প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশন প্যারেডে তিনি হেয়ার কাট চেক করতে এসেছেন । তখন কমান্ড দিলেন “ওপেন ইওর ক্যাপ” ।
*এস এস সির রেজাল্ট বের হয়েছে ।

বিস্তারিত»

ছেড়া ছেড়া কথা

খুবই ইচ্ছা ছিলো একখানা পিরিত করার। যখন দেখতাম হাউস বেয়ারা ব্যাচমেটদেরকে গোপনে হলুদ খামের চিঠি দিয়ে চলে যাচ্ছে তখন মনে হতো আহা রে ওদের কত সুখ!!!!!!!!! তখন নিযেকে খুব দুর্ভাগ্যবান মনে হতো। তাই দুধের সাধ ঘোলে মিটানোর জন্য তখন সেই প্রেমিক বন্ধুদের গল্প শুনতাম। ওরাও গর্বিত পুরুষদের মত একটা ভাব নিয়ে বলতো ” আরে দোস্তো, এগুলা তো ওয়ান-টু এর ব্যাপার। কতজন এলো গেলো। সাহস করে একবার প্রোপোজ করেই দেখ না।”

বিস্তারিত»

নরকবাস – ৬

গলাকাটা লাশ (দ্বিতীয় খন্ড)।
আমার প্রাথমিক ধারনা ছিল যে, ডাক্তার সোহেলকে যেকোন কারনে এবং যেকোন ভাবেই হোক, অপহরণ করা হয়েছে। কারন সে নিজের থেকে কোথাও গেলে তার গাইবান্ধাতে যাবার বা এত দীর্ঘসময় ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কোন কারন নাই। আর অবশ্যই সাইফুল এই ব্যাপারটার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। কিন্তু কিছুতেই তার কাছ থেকে কোন কথা বের করা যাচ্ছিল না। এইরকম একজন রোগা পটকা চ্যাংড়া পোলার নাড়ী যে এত শক্ত হবে তা আমার ধারনাতেও ছিল না।

বিস্তারিত»