কেএফসি

[এখানকার বক্তব্যগুলো হায়দারের স্ত্রী প্রেরণা’র লেখা]

আমার ঠিক তারিখটা মনে নাই, জুন মাসের দিকেই হবে। মন খারাপ লাগলে প্রায় পিলখানার গেটের সামনে দিয়ে যাই এবং দাঁড়াই। মনে হয় এখানের মাটিতে তো তানভীর পাড়িয়েছে। ও আমার কাছ থেকে হারিয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, আমার অপেক্ষার প্রহর বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই ভাবি ও সামনে আসলে কি করবো। আমার সারাদিন ওর কথা ভাবতে ভীষণ ভালো লাগে।

বিস্তারিত»

ডায়লগ মেলোডি ৩.০ (মির্জাপুরিয়ান ভার্সন)

(বহুদিন পরে আবার লিখতে বসলাম।লিখা বললে ভুল হবে বলা চলে স্মৃতিচারণ।)

ঘটনা ১ :

বাথরুমে আমার এক ব্যাচমেট দাঁড়িয়ে জলবিয়োগ করছিলো।সে দেখতে আবার বিশাল(প্রায় ৬’-২”)।এই সময়ে এক জুনিয়রও তার কাজে পাশে এসে শুরু করে দিলো।হঠাৎ কি মনে করে সেই জুনিয়র পাশে দাঁড়ানো আমার সেই বন্ধুকে বলে বসলো
“কাইন্ডলি ……. ভাই উকি দিয়েন না”
(সেই বন্ধু আজও বলে যে সে নাকি কোনো দিকে তাকায় নাই।জুনিয়র এম্নিতেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলো)

ঘটনা ২:

এই শিক্ষককে নিয়ে আমার ব্যাচমেট জিহাদ আগেও একটা পোস্টে বলেছিলো।আজ তার অন্য এক কাহিনি।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – কাঁচা হলুদ রোদ এবং আমার কবিতারা

১।
পরের দিন সকালে বাসে চড়তে হবে বলে, আর দুপুরে আমাদের রাস্তায় খেতে হবে বলে রাত জেগে মা খাবার তৈরী করেন। বাবার হাঁক-ডাকে সক্কাল বেলায় উঠে আধো ঘুমেই আমরা জামা কাপড় পরে তৈরী হয়ে নেই। নয়টা সাড়ে নয়টার বাস ধরতে পারলেও লাল-দিঘী নামতে নামতে দুপুর সাড়ে বারো বা একটা বেজে যায়। লাল –দিঘীর হাটে গরু অথবা মহিষের গাড়ি অপেক্ষায় থাকে, আর সাথে থাকে সদা হাস্যময় প্রিয় খলিল চাচা।

বিস্তারিত»

২৫ নভেম্বর ২০০৯: নয় মাস পর আবারো . . . আমার কিছু কথা . . .

ক্যাডেট কলেজ ব্লগের কথাগুলো গত একমাস ধরে পড়ছি। অনেক কিছুই জানলাম। সবার অনেক আনন্দ, কষ্ট, ক্ষোভের কথা শুনলাম। আজকে আমি কিছু বলতে চাই। আমি মিসেস ক্যাপ্টেন তানভীর। আমার সাথে তানভীরের বিয়ে হয় ২০০২-এর ২১ নভেম্বর। আমাদের নিজেদের পছন্দে দুই পরিবারের অমতে এ বিয়েটা হয়। আমার পরিবারের সাথে ওদের পরিবারের বনিবনা হয় নাই কোনভাবে। তানভীর আমাকে ১৪ তারিখ ফোনে জানায় যে, সে ছুটি নিয়েছে। সে কয়েকদিন চিন্তা করে একটা ডিসিশন দিবে।

বিস্তারিত»

২১ নভেম্বর ২০০২: ‘লাকি স্যাভেন’ বিবাহ বার্ষিকী!

‘এর পরের বার আমাদের জন্য হবে লাকি স্যাভেন।’ পরবর্তী বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মনের আনন্দে হায়দার তার স্ত্রীকে এ কথাটি বলেছিল। খুব দ্রুত তাদের ৬ টি বছর কেটে যায়। ২০০৩ সালে এক গেট-টুগ্যাদারে প্রথম বারের মতো আমরা অধিকাংশই তাদের দেখতে পাই। তখনো তাদের দাম্পত্য জীবনের এক বছরও হয় নি। আমাদের মাঝে যেহেতু প্রথম তারই বিয়ে হয়, তাই প্রথম দিকে তাদের খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছিলো।

Rumi-Rona-Satisfaction
সুখী দম্পতি রুমি ও রণা

২০০৫ তাদের জীবনে অন্যতম স্মরণীয় ম্যারেজ ডে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির ঝাঁপি : ইতিহাসের কালো অধ্যায়-২

প্রথম পর্ব ।। দ্বিতীয় পর্ব ।। তৃতীয় পর্ব ।। চতৃর্থ পর্ব ।। পঞ্চম পর্ব।। ষষ্ঠ পর্ব ।। সপ্তম পর্ব

কিছু সেনা কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ক্ষোভের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। বিশেষ করে খুনি চক্র এবং বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা এমন একটা প্রচার দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে এসেছে। মেজর শরিফুল হক ডালিমের স্ত্রীর সঙ্গে সে সময়ের রেডক্রসের চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফার অসদাচরণকে এ ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে ।

বিস্তারিত»

সিঙ্গেল লাইন

১.
আচ্ছা মানুষ কি পিঁপড়ে? নাকি মানুষদের পিঁপড়ে হতে এখানে পাঠানো হয়? ব্যাপারটা ঠিক বুঝে ঊঠতে পারে না তাশফিন। এখানকার সবকিছুই কেমন পিঁপড়ে পিঁপড়ে! দল বেঁধে থাকা, খাওয়া, পড়া খেলা ঘুমানো এমনকি বাথরুম অবধি ! সবখানেই লাইন, সিঙ্গেল লাইন।
দুপুরের খাবারের জন্য ক্লাসরুম থেকে বেড়িয়ে খাবার ঘরের দিকে যাচ্ছিলো তাশফিনরা। মানে তাশফিন, নাঈম, মুকুল এমন অনেক, প্রায় শ’দুয়েক ক্ষুধার্ত মুখ। সারি সারি পিঁপড়ের মতো,

বিস্তারিত»

সেলুকাস এবং ……..

প্রবল করতালিতে ভেসে যাচ্ছে রংপুর ক্যাডেট কলেজের অডিটরিয়াম। সময়টা আন্ত ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য/সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা ২০০৪ । বাংলা একক অভিনয় চলছে, মাত্র শেষ হল ঝিনাইদহ এর প্রতিযোগীর পর্ব। দর্শক সারির সবাই মুগ্ধ। এত করতালি আগের বারের ৪/৫ টাতেও পরে নি। স্বতস্ফুর্ত ভাবে তালি পরেই চলেছে। বিমোহিত হয়ে গেছে সবাই এই ক্যাডেট এর অভিনয় আর সংলাপ বলা দেখে। একে একে সবার পালাই শেষ হল। শুরু হল রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা,

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা (পর্ব-৭)

(২৯)
থার্ড পিরিয়ডে ক্লাশ চলছে । হঠাৎ তীব্র গন্ধে ক্লাশ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ল । স্যার বললেন “কিডা ই কাম করছেরে ? কয়দিন ধরি লং এ যাস না , যে ইডা করছে তাড়াতাড়ি লং থিকা ঘুরি আয় ।” স্যারের কথায় কেউ সারা দিল না । অগত্যা স্যার ক্লাশ বাদ দিয়ে চলে গেলেন । পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে জানা গেল এটা ছিল h2s (হাইড্রোজেন সালফাইড) এর গন্ধ ।

বিস্তারিত»

জগাখিচুড়ি পোস্ট

(১)
ক্লাস টুয়েলভে থাকাকালীন জনৈক সহপাঠীর আয়না পড়ার ঘটনা মনে পড়ল। আয়না পড়া ব্যাপারটা বেশ সহজ। টাওয়েল পরে কেউ যখন বাথরুমে যেতে থাকবে, তখন একজন জানালা দিয়ে তাকে ডেকে তার সাথে সিরিয়াস পড়াশুনা রিলেটেড কথা বার্তা চালাবে, এই ফাকে পিছন দিক থেকে এসে ২য় জন টাওয়েলের নিচ দিয়ে আয়না পড়া দিবে। সহজ লজিক। কিন্তু সমস্যা হল ওই সহপাঠীর আয়না পড়াতে কিছুই দেখা যায় নাই…

বিস্তারিত»

৮ নভেম্বর ২০০১: ঠিক ৮ বছর আগে যেভাবে শুরু হয়েছিলো . . .

৮ নভেম্বর ২০০১ জীবনে ভীষণ আনন্দময় একটা দিন প্রেরণা’র জীবনে। রুমি নামের একটা ছেলে সেল ফোনের নম্বরটা দিয়ে বললো, ‘কোন অপরিচিত মেয়েকে আমি নম্বরটা দেই না। তবে আপনার কাছ থেকে একটা কল আশা করবো।’

Rumi-and-Rona
কোন কথাটা বেশি প্রযোজ্য- ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ নাকি ‘হিডেন’?

এরপর প্রতিদিনের কথা বলা, মাঝে মাঝে দেখা করা থেকে আজ দীর্ঘ ৮ বছর পর তারা এত কাছের মানুষ যে,

বিস্তারিত»

জনৈক বেরসিকের বিটিভি ম্যাগাজিন দর্শন

আমাদের বাসায় টিভির আগমন ঘটেছিল আমার সৌজন্যে। সেসময় টিভি সবিশেষ ছিলো না। তাই টিভি দেখতে আমাকে নিয়ে যাওয়া হতো পাশের বাসায়। তৎকালীন নেসলে কোন এক বিজ্ঞাপনের বালক মডেলের সাথে গলা মিলিয়ে “হুমমম” না বলতে পারলে নাকি আমার প্রতিক্রিয়া হতো তীব্র। তার সাথে যোগ হলো সন্ধ্যা আট টায় আমার পিতার সাহেব বিবি গোলাম (এরশাদের আমলে সংবাদকে নাকি এই নামে বলা হতো) অনুষ্ঠানটি দর্শনের আগ্রহ। টিভি আসার পরে যা হোল আমাদের সব রিলেটিভ মিলে বেশ একটা ঘরোয়া পরিবেশে টিভি দেখা হতো।

বিস্তারিত»

শ্রদ্ধাঞ্জলিঃ ডেভিড শেফার্ডকে উপলক্ষ্য করে স্মৃতিচারণ…….

অভাবনীয় খারাপ সময় যাচ্ছিল ২০০০সালে ভর্তি পরীক্ষাগুলো শুরু হওয়ার পরে…….বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় প্রচন্ড বৃষ্টির চোটে এমনিতেই অবস্থা খারাপ……তার উপর পাশে সিট পরা ছেলের যণ্ত্রণায় একসময় দুজনেরই খাতা নিয়ে টান দিলেন কর্তব্যরত শিক্ষক…….

বাসায় কিছুই জানালাম না…….নিশ্চিত বুয়েটে হচ্ছেনা…….ঢা.বি ‘ক’-ইউনিট পরীক্ষার আগের দিন বুয়েটের ফল দিল, যথারীতি আমি নেই……তাও বাসায় চেপে গেলাম…….

পরদিন নভেম্বর ১০, ২০০০…….ঢা.বি.-র পরীক্ষা হলো খারাপ……দাগাবো কি, হতাশায় নুইয়ে গিয়েছিলাম একেবারে…….সময় শেষ হলে সানাউল্লাহকে নিয়ে সোজা স্টেডিয়াম,

বিস্তারিত»

আমার প্রায় “আকসেনভ” হওয়ার গল্প

আকসেনভ লোকটার নাম মনে হতেই নিজের অজান্তে আমি শি্উরে উঠি। কেমন এক অজানা ভয় আমার শিড়দাঁড়া দিয়ে নেমে যায়। অথচ এই আকসেনভ বুড়ো আমার কাছে যে খুব বেশি ভয়ের ব্যাপার ছিল এ দাবি করাটা অযৌক্তিক হবে। বরং একটু খোলাসা করেই বলি আকসেনভ হচ্ছে খুব ছোট বেলায় পড়া তলস্তয়ের এক ছোট গল্পের চরিত্র। আপাতত এই বুড়োকে আমলে নেবার কোন কারণ না ঘটলেও তার নামটি আমার মনে বেশ স্থায়ী ছাপ ফেলে গেছে।

বিস্তারিত»

…অবিন্যস্ত কথামালা…

আমি চারপাশে নিকষ আঁধারের মাঝে বসে আছি
একটা টিউব লাইট জ্বেলে।
পড়ার ঘর, কোণার টি.টি. রুমটা, তাও পুরো হয়নি
আলোকিত। বাইরে তাকাই……রাস্তার ধারের বাতির আলো
চোখে লাগে আবছা আবছা। অনেক দূরের কয়েকটা বড় গাছ
দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চল, দোল খায়না সামান্যও; হঠাৎ দেখে
কেমন যেন ভূতুড়ে মনে হয়। আগামীকালটাকে সুন্দর করে পেতে
আমি এখন রাতের পর রাত জাগি, তবুও বুঝি তৃপ্তি নেই…….

বিস্তারিত»