ব্যাপক তামাশা !

প্রকৃতির বর্ণিল আয়োজনে
রাতের আঁধারে চক্রাকারে
রঙীন বাতির অসহিষ্ণুতা,
আমাদের সলজ্জ অপেক্ষা!

যাদুকর তখনও আসে নি; আর
বাবা ছেলেকে দিচ্ছেন শান্তনা।
মা মেয়েকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন
ঘড়ির কাটায় এ সময়ের ক্ষয়।

বড় ভাই ছোট’কে ফিসফিসিয়ে
শুনিয়ে যায় যাদুবিদ্যায় কারবার-
রুমাল পায়রা হয়ে ডানা ঝাপ্টায় তো
লাল কাগজ নীল হয়ে যায় তার হাতে …

বিস্তারিত»

কিছুটা হাস্যরসের সাথে আত্মোপলব্ধি – বাংলাদেশের ক্রিকেট দল

এটি একটি তরতাজা সত্যি ঘটনা, এবং এটি প্রকাশের উদ্দেশ্য কোনভাবে ই কাউকে হেয় করা নয়, বরং এর মাধ্যমে আত্মোপলব্ধির একটি প্রয়াস নেয়া। বাংলাদেশের সাথে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের প্রথম টেষ্ট ম্যাচ চলাকালীন সময়ের ঘটনা। ঘটনাটি সংক্ষেপে এরকমঃ

গতকাল ২১/০৭/০৯ তারিখে আমাদের অফিসে বোর্ড মিটিং চলছিলো। বিশেষ একটি কারনে আমার সেখানে উপস্থিত থাকতে হয়েছিলো। রসকষহীন এরুপ একটি সভায় উপস্থিত থাকতে পেরে আমি নিজেকে একজন নিরানন্দ ব্যক্তি হিসেবেই গন্য করছিলাম।

বিস্তারিত»

প্রেম যেবার আমার উপর পড়ছিলো…..

সদ্য ক্যাডেট কলেজ ফেরত। রেজাল্ট দেয় নাই। মনটা খানিকণ উড়ু–উড়ু , কিছুক্ষন পরেই আবার উদাস। লম্বা অবসর, কিছু করার নাই। মানুষের সাথে সেরকম মিশতেও পারি না। ক্যাডেট হওয়ার জ্বালা।

আমার উদাস ভাব দেইখা বাপ-মায়ের দয়া হইল। জ্বীনা, বিবাহ দেন নাই। বরং চালাইতে শিখতে কইল। অন্যকিছু নারে ভাই, গাড়ির কথা বলতাছি। বাপের ধারণা ছিল আমি শিগগিরই আমেরিকা পারি দেব, লেখাপড়া করতে। (আমাদের সময় বাপ-মারা ছেলেমেয়েদের কত কম বুঝতো)।

বিস্তারিত»

রমণীয় রসিকতা

খুব খিয়াল কইরা দেখলাম মেয়েরা আমারে দেখলে সব সময় হাসে। প্রথম প্রথম খুব লজ্জা লাগতো, ভাবতাম, শালার ওদের কি দোষ! আমার চেহারা-সুরৎ, টার্ন-আউটই এমন যে দেখলে কোন মেয়েই হাসি সংবরণ করতে পারে না। অবশ্য সবাই যে এক্কেরে হো হো কইরা হাসে এমন না। অনেকেই খুব রুচিশীলা এবং সংযমী। তারা ঠোট টিপ্পা চোখের কোনে হাসে আবার কেউবা শাড়ির আঁচল অথবা ওড়না দিয়া হাসি গোপন করার চেষ্টা করে।

বিস্তারিত»

রম্য গল্প: বচনামৃত

ডিসক্লেইমার: ঘটনা খুবই খারাপ। আবার একটা গল্প লিখছি। শুধু তাই না, ব্লগে দেওয়ারও সাহস করতাছি। আবারও বলি এইটা কাল্পনিক গল্প।

আজমল হায়দার কথা বলতে ভালবাসেন। ২৭ বছর চাকরি করেছেন। সচিব ছিলেন তিনটি মন্ত্রণালয়ের। তখন কথা শোনার অনেক মানুষ ছিল। আজমল হায়দার কথা বলতেন আর বাকিরা শুনতেন।

কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। ঘড়ি ধরে টানা ৪০ মিনিট কথা বলতে হতো। ক্লান্ত হতেন না আজমল হায়দার।

বিস্তারিত»

ডাক্তার-ডাক্তার

আমাদের শেফালী রানীর অনেক ছেলে বন্ধু। বসে বসে খেলে রাজার ধন পর্যন্ত ফুরায়, ছেলে বন্ধু তো ফুরাবেই। তারপরেও অসুখ ভালো হলো না শেফালী রানীর। ডাক্তার পর্যন্ত দেখে আঁতকে উঠলেন। সাত দিন আগে যখন শেফালী রানী ডাক্তারের কাছে এসেছিল তখন তো এরকম ছিল না।
-সে কি, আপনার এরকম চেহাড়া হয়েছে কেনো? খুব ক্লান্ত ও বিধ্বস্থ লাগছে।
-আপনার প্রেসক্রিপশন মানতে গিয়েই তো এই অবস্থা ডাক্তার সাহেব।

বিস্তারিত»

ভার্টিগোর ভালো মন্দ

ভার্টিগো আমার পিছু ছাড়তাছে না। সেই কবে হিচককের ভার্টিগো মুভি দেইখা মহামুগ্ধ হইছিলাম। কিন্তু ভার্টিগো অসুখটার প্রতি ঠিক মুগ্ধ হইতে পারতাছি না। যারা ভার্টিগো নামের রোগের নাম কখনো শোনেন নাই, তাদের জন্য আমি এক হাজার ওয়েব সাইটের ঠিকানা দিতে পারি। তারা এই ঠিকানায় যাইয়া একজন ভার্টিগো বিশেষজ্ঞ হইতে পারবেন। আর যাদের ওতো সময় নাই তাদের জন্য বললে বলতে হয় ভার্টিগো আর প্রেগনেন্সি সিমটমের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নাই।

বিস্তারিত»

আমার ও বউয়ের বিয়া হইছিলো একই দিনে, আইজ সেই দিন

আমার বউয়ের সঙ্গে আমার একটা অসাধারণ মিল আছে। বউ ডাইনে হাঁটলে যারা বায়ে যান তাদের ঈর্ষা আরেকটু বাড়াইয়া দিয়া সেই মিলটার কথা আইজ সবাইকে জানাই। আর সেইটা হইলো-

আমার আর আমার বউয়ের একই দিন বিয়া হইছিলো। 😛

আইজ থেকে সাত বছর আগে এই একই দিনে আমাগো দুইজনেরই বিবাহ হইছিলো। আর সেই দিনটা ছিল ২৪ জুন। :((

আপনারা হয়তো কেউ কেউ কইবেন-ক্যান আরও তো মিল আছে।

বিস্তারিত»

স্বপ্নপূরণ……….অতঃপর কেম্নে কি??!!

আজকে একটা দিন গেল বটে। অসম্ভব রকমের গরমের মধ্যে অফিসের কাজে জীপে (নন-এসি অবশ্যই) দু’শ কিলোমিটার পাড়ি দেয়া খুব একটা আরামের কিছু না। তবে যাত্রা শুরু করার পর নিজের অজান্তেই একা একা মিটমিট হাসতে লাগলাম। আমার যাত্রাপথে ঝিনাইদহ পড়বে। ১৫ টা মিনিট সময় কি পাওয়া যাবে না? অবশ্যই যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। সহযাত্রীদের বিশ্রামের সুযোগ দিয়ে প্রবেশ করলাম সেই গেট দিয়ে যেটা পার হলে আজ ২০ বছর পরেও মনে হয় এখনও ক্যাডেট আছি।

বিস্তারিত»

সঁর্দি, কাঁশি জিঁদাবাঁদ!

সৈয়দ মুজতবা আলীকে আমার ভাল লাগে। লোকটা মহারসিক ছিলেন। এত কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, এখন কেউ যদি চেপে ধরে, “কেমনে জানলেন, আপনি তো মুজতবা আলীকে দেখেনই নাই?” তাহলে আমিও বিগলিত হেসে বলবো, তাঁর লেখা পড়ে মনে হয় জনাব। তিনি অত্যন্ত রসিক ছিলেন। আমাদের পাঠ্যেও তাঁর লেখা ছিল কি না মনে নেই, সদ্য পাশুরে ভাইয়েরা আমাকে কনফার্ম করো। তবে আমি পাঠ্যের পাশে তার বই রেখে বেমালুম পড়তাম।

বিস্তারিত»

এই লাইনে নতুন…

বাংলা সিনেমা কে কে পছন্দ করে ? কেউ না তাইনা ? কিন্তু যদি বলি গাবতলি (নাম মনে নেই) সিনেমা হলে তাহলে?এর পর তা যদি হয় ২ ইন ১ ?এইবার সবাই রাজি তাইনা …হা হা হা। আজকের গল্পটা আমার জনৈক এক ক্যাডেট বন্ধুকে নিয়ে । কলেজ ছুটির আগেরদিন রাতের প্ল্যান , গাবতলিতে বাস থেকে নেমেই সরাসরি মরনিং সো ধরবো , তখন আমরা ৯ এ।প্ল্যান মাফিক বাস থেকে নেমে যার যা পারসোনাল ড্রেস ছিল পরে নিলাম এরপর একজন গিয়ে টিকিট কাটল এবং ঢুকলাম ফ্যান্টাসির জগতে ।ঘটনাটা ঘটল সেকেন্ড মুভি যখন শুরু হল,

বিস্তারিত»

স্মৃতিচারণ: পলাশীর আম্রকানন …

আমরা তখন ১১ এ। নতুন প্রিন্সিপাল এসে আমাদের ৪ বছরের সম্পত্তি আম বাগান লিজ দিয়ে দিল। গত ৪ বছরে গাছের একটা আমও পাকতে দেইনি আর এখন কিনা এই বেরসিক প্রিন্সিপাল আম পাকিয়ে বিক্রি করবে !!! সবার তো মাথা গরম । প্রতিটা গাছের নিচে একটা করে গাডঁ , কোন উপাই নাই আম পাড়ার । কি করা যায় এই নিয়ে প্ল্যান করতে থাকলাম। বুদ্ধি বের হল। কাউন্টার এ্যাটাক…প্রেপ টাইমে ঠিক করলাম সবাই একসাথে আমগাছে এ্যাটাক করব।

বিস্তারিত»

আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই- ৪

১.
অলস বিকেলে টিভির সামনে বসে বসে চ্যানেল বদলাচ্ছিলাম, বিটিভেতে এসে থেমে গেলাম হঠাৎ। একেবারে বাধ্য না হলে বিটিভি দেখি না সাধারনত, দেখার রুচি হয় না আসলে। কিন্তু আজ থেমে কিছুক্ষণ দেখলাম কারণ সংসদের বাজেট অধিবেশন দেখাচ্ছে অথচ আলোচনা হচ্ছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড খেলা নিয়ে। ভাবলাম দেখি আমাদের মাননীয় সাংসদরা কি ভাবছেন এহেন লজ্জাজনক পরাজয় নিয়ে।

বিরোধী দল, ম্যাডাম খালেদার বিএনপি সংসদে নেই, প্রথম সারিতে দাবি মোতাবেক আসন না পেয়ে সংসদ বর্জন করে আছেন।

বিস্তারিত»

জন্মদিন বিভ্রাট, ছড়াহামলা, অতঃপর একটি প্রায় হৈতে চলা সম্পর্কের(প্রায়) অপমৃত্যু

ব্লগে চা বিক্রি করি প্রায় বছরখানেক। সততা আর নিষ্টার সাথে ভেজাল মুক্ত খাঁটি গরুর দুধ (দুধ খাঁটি এইটা কই নাই) দিয়া চা বানায়া ভালোই টু-পাইস কামাচ্ছি। দোচালার টিনের বেড়া দেয়া দোকানটাও বেশ সিমেন্টের বেড়া পেয়ে গেছে। মাঝখানে আবার কামরুল ভাইয়ের অনুরোধে একখান সিনেমায় নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হইছিলাম, বছর শেষে ঐটারে নাকি অস্কার না বহিষ্কার কি যেন একটা দিছে। যাই হোক নিজের প্রশংসা করতে চাই না।

বিস্তারিত»

আমার বাঁধভাঙা ইচ্ছেগুলো……………

চাকরি-বাকরি আর করবো না! কতোদিন আর অন্যের চাকর হয়ে থাকবো? দিনের পর দিন একই কাজ……… ক্লান্তিকর দিনযাপন!! ঘড়ির এলার্ম শুনে ঘুম ভেঙে দাঁত মাজা, বড় কাজ, ছোট কাজ, নাস্তা-স্নান, তারপর দে ছুট। অফিস, কাজ, চাকরি। রাতে আবার বাসায় ফিরে খাওয়া-দাওয়া, টিভি দেখা, রেডিও শোনা, শেষে ঘুম। দিনের পর দিন- এই তো রুটিন! একদম বাজে। এইসবই তো করে আসছি। যেন দম দেয়া মানুষ, মানুষের চেহারায় রোবট!

বিস্তারিত»